Linux vs Windows

লিনাক্স ভার্সেস উইন্ডোজ


বর্তমান বিশ্বকে বলা হয় প্রযুক্তির বিশ্ব। আর, যেখানেই প্রযুক্তি সেখানেই কম্পিউটার। সেই কম্পিউটার ডিভাইস রয়েছে সবার ঘরে ঘরে যেমনঃ মোবাইল, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ইত্যাদি। এই কম্পিউটার ডিভাইসগুলোর হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করানো ও পরিচালনার কাজ করে অপারেটিং সিস্টেম। এছাড়াও কম্পিউটার ডিভাইসের কিছু সাধারণ কার্যাবলীও অপারেটিং সিস্টেম পরিচালনা করে থাকে যেমনঃ

* আপনি হয়তো একটি অডিও play করে ইন্টারনেটে browse করছেন। অর্থাৎ, ২ টি কাজ একসাথে করছেন। এক্ষেত্রে কম্পিউটারকে multi tasking অথবা, multi programming করতে হবে। এখানে multi programming হচ্ছে একটি কাজ সম্পুর্নভাবে processing করে তারপর আরেকটি কাজ processing করা। আর, multi tasking হচ্ছে একসাথে অডিও, ভিডিও, ইন্টারনেট browsing ইত্যাদি সবকিছুই processing করার কাজ করা হবে। কিন্তু, অডিওর কিছু অংশ processing করার পর অডিওকে অপেক্ষাগারে রেখে ভিডিওর কিছু অংশ processing করা হবে। এভাবে প্রত্যেকটি কাজ কিছু অংশ করার পর আরেকটি কাজ processing করা হবে। সেক্ষেত্রে, কোন কাজটি কতো অংশ করা হবে, কোন কাজ আগে করা হবে ইত্যাদি এলগরিদম ভিত্তিক কাজ পরিচালনা করে থাকে অপারেটিং সিস্টেম।

* আবার, আপনি যদি একসাথে অনেকগুলো app চালু করে রাখেন তখন কোন app এর জন্য কখন সাউন্ড স্পীকার, কি-বোর্ড ইত্যাদি হার্ডওয়্যার ব্যাবহার করতে হবে সেসব বিষয় পরিচালনার কাজও অপারেটিং সিস্টেম করে থাকে।

এক কথায় বলতে গেলে, অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া কম্পিউটার বেকার পড়ে থাকবে।

আন্তর্জাতিক বাজারে অনেকগুলো অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। এর মধ্যে বহুল পরিচিত ও আলোচিত ২ টি হচ্ছে Windows এবং Linux। প্রথমেই এই দুইটি অপারেটিং সিস্টেমের পরিচয় তুলে ধরা যাক-

Windows

মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের ডেভলপ করা Windows অপারেটিং সিস্টেম ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করে। Windows এর বিভিন্ন ভার্সন রয়েছে যেমনঃ Windows 95, Windows XP, Windows 10 ইত্যাদি। Windows যেহেতু টাকা দিয়ে কিনতে হয় তাই, সেই হিসেবে Windows সবসময় support এবং update দিয়ে থাকে। যখনই কোন সিকিউরিটি ইস্যু ধরা পড়ে তখন আপডেট দেওয়া হয়। যদিও এই support আজীবনের জন্য না। একটি ভার্সন release করার সময়ই জানিয়ে দেওয়া হয় যে, সেই ভার্সনের জন্য কতো বছর support দেওয়া হবে।

Linux 

লিনাক্স বিশ্বজনীন একটি ফ্রি অপারেটিং সিস্টেম। যদিও, তাত্ত্বিকভাবে Linux আসলে অপারেটিং সিস্টেম না। বরং, এটি হচ্ছে কার্নেল। আর, কার্নেল হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেমের সেই অংশ, যা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। উদাহরণস্বরূপ- আপনি sound recorder দিয়ে আপনার কথা রেকর্ড করতে চাইলে sound recorder সফটওয়্যারটি কার্নেলের মাধ্যমে মাইক্রোফোনকে জানিয়ে দিবে- 'এখন চালু হও, শব্দ record করতে হবে'। এটাই হচ্ছে কার্নেল। আর, Linux কার্নেলের ওপর নির্ভর করে যেসকল অপারেটিং সিস্টেম ডেভলপ করা হয়েছে সেসকলদক্ষতা অপারেটিং সিস্টেমকেই Linux অপারেটিং সিস্টেম বলা হয় যেমনঃ Debian, Ubuntu, Red Hat, Fedora ইত্যাদি। যদিও এগুলোকে distribution বলে এবং সংক্ষেপে distro বলে। কিন্তু, যখন কেউ 'লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম' বলেন তখন তার উদ্দেশ্য হয় এসব ডিস্ট্রো। ফিনল্যান্ডের অধিবাসী Linus Torvalds ১৯৯১ সালে Linux কার্নেল ডেভলপ করেছিলেন। এটি একটি GNU প্রজেক্ট, যার মুল লক্ষ্য হচ্ছে- কম্পিউটার ব্যাবহারকারীদের জন্য ফ্রি সফটওয়্যার ডেভলপ করে তাদেরকে কম্পিউটার ব্যাবহারের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেওয়া। Linux অপারেটিং সিস্টেমগুলোর জন্য ডেভলপ করা সফটওয়্যারগুলোও প্রায় সবগুলো ফ্রি। বড় বড় সুপার কম্পিউটার, ডাটা সেন্টার বা, সার্ভার ইত্যাদি পরিচালনার ক্ষেত্রে Linux এর ব্যাবহারই বেশি। 

Linux এবং Windows এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়ার পর এখন উভয় অপারেটিং সিস্টেমের ওপর তুলনামূলক আলোচনা করবো। নিচে পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হলো-

অধিক নিরাপত্তা কোথায় এবং কেনো? 

কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ যুবকরা এক কথায় বলে ফেলেন- Linux বেশি নিরাপদ। এক্ষেত্রে আপনাকে নিচের দুইটি বিষয় বুঝতে হবে-
* একটি সফটওয়্যার তেমন কেউ ব্যাবহার করে না; তাই, হ্যাকাররাও সেই সফটওয়্যারে আক্রমণ করে না। এই কারণে যেই অল্প কয়েকজন সফটওয়্যারটি ব্যাবহার করে তাদের জন্য এটি নিরাপদ।
* একটি সফটওয়্যার দক্ষতার সাথে এতো নিখুঁতভাবে বানানো হয়েছে যে, হ্যাকাররা সেই সফটওয়্যারের কিছু হ্যাক করতে পারছে না। সেই কারণে সফটওয়্যারটি সকলের জন্যেই নিরাপদ। যদিও সেই সফটওয়্যারটি লক্ষ লক্ষ মানুষ ব্যাবহার করুক না কেনো।

উপরের আলোচনাটি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। তাহলে এখন চিন্তা করে দেখুন- সারা বিশ্বে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ Windows ব্যাবহার করছে! আবার, Apple কোম্পানির macOS তো আছেই। সেই তুলনায় Linux কিন্তু খুব বেশি সংখ্যক মানুষ ব্যাবহার করছে না। তাই, যৌক্তিকভাবেই হ্যাকাররা Linux এর চাইতে Windows কম্পিউটারকে বেশি হ্যাক করতে চাইবে। কারণ Windows এর একটি ত্রুটি খুঁজে পেলে সেই ত্রুটি কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা অনেক বেশি কম্পিউটার হ্যাক করতে পারবে। আবার, Linux কম্পিউটার কখনো হ্যাক হয় নি বা, হবে না এমন কিন্তু না। অল্প সংখ্যক মানুষ Linux ব্যাবহার করায় হ্যাকাররা Linux এর প্রতি তেমন একটা আগ্রহ দেখায় না। আবার, Linux ব্যাবহারকারীগণ সাধারণত প্রযুক্তি বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকে। তাই, তাদের সাথে হ্যাকাররা ইচ্ছা করেই হয়তো মোকাবেলা করতে চায় না। অন্যদিকে এমন অনেক কোটিপতি আছেন যারা কম্পিউটার বিষয়ে তেমন পারদর্শী না ফলে, Windows ব্যাবহার করেন। তাদের কম্পিউটার সিস্টেম বা একাউন্ট হ্যাক করা সহজ কিন্তু লাভ বেশি। ইত্যাদি নানা কারণে হয়তো Linux এর চাইতে Windows হ্যাক হওয়ার ঘটনা বেশি ঘটে। তবে, এভাবে ব্যক্তিগত অজ্ঞতার কারণে কেউ হ্যাকিং এর শিকার হলে তখন কিন্তু সেই দায় Windows এর না। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করে হাজার হাজার লাইন লিখে একটি সফটওয়্যার বানানো হয়। কিন্তু, Windows এর প্রোগ্রামিং করা সেই লাইনগুলো (source code) সবার জন্য উন্মুক্ত না। আপনি, অমি বা, হ্যাকার কেউই সেই source code দেখতে পারবো না। কিন্তু, Linux হচ্ছে open source। অর্থাৎ, Linux এর source code সবার জন্য উন্মুক্ত। তাই, হ্যাকার চাইলেই সেই source code দেখে বুঝে নিতে পারবে যে, Linux কিভাবে কাজ করে। হ্যাক করার ক্ষেত্রে হ্যাকারের জন্য এটি অনেক বড় সুবিধা। এজন্যই open source বা, খোলা সোর্সকে হ্যাকারদের জন্য খোলা দরজা হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন অনেকে। যদিও, কেউ কেউ হয়তো বলবেন যে, open source এর মধ্যে কোন ত্রুটি থাকলে সেটি খুব দ্রুত সরিয়ে ফেলা যাবে; কারন এগুলো সবার চোখের সামনেই রয়েছে। কিন্তু, অমি সেই বিতর্ক খণ্ডন করতে আসি নি। আমার এই লেখা কেবলমাত্র জ্ঞান বিতরণের জন্য।

যাই হোক, Windows এর source code সবার জন্য উন্মুক্ত না হওয়ায় হ্যাকাররা সেই সম্বন্ধে ভালো ধারনা পেতে পারবে না। তবে বলে রাখা ভালো যে, কিছুদিন আগে Windows XP -র source code ফাঁস হওয়ার খবর সারা বিশ্বে অনেক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছিলো। কিন্তু, Linux এর source code এর একটি site হ্যাক হওয়ার ঘটনাও কিন্তু ঘটেছে। সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চাচ্ছি না।

এতক্ষণের আলোচনার মাধ্যমে এটাই বুঝাতে চেয়েছি যে, Linux এর ব্যাবহারকারীরা অধিক জ্ঞানী হওয়ায় এবং সংখ্যায় তুলনামূলক কম হওয়ায় এখন পর্যন্ত Linux কম্পিউটার হ্যাকিং এর পরিমাণ তুলনামূলক কম। কিন্তু, তাত্ত্বিকভাবে Linux এর প্রোগ্রাম বেশি নিরাপদ নাকি Windows এর প্রোগ্রাম বেশি নিরাপদ- সেই দিক বিবেচনা করে খুব কম মানুষই নিরাপত্তার ওজন পরিমাপ করে থাকে।

ফাইল সিস্টেমের পার্থক্য

কম্পিউটার ডিভাইসে file নিয়ে আমরা যতো কাজ করি তার সব ব্যাবস্থাপনা করে ফাইল সিস্টেম। File কিভাবে সংরক্ষিত থাকবে, কিভাবে সেগুলোকে আলাদাভাবে চেনা যাবে ইত্যাদি ব্যাবস্থাপনা করা এবং কাজ করার সময় সেগুলোকে মেমোরি address থেকে বের করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া ইত্যাদি কাজ করে এই ফাইল সিস্টেম। Windows 10 এ ডিফল্টভাবে NTFS ফাইল সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। অপরদিকে প্রায় সকল Linux অপারেটিং সিস্টেমের ডিফল্ট ফাইল সিস্টেম হিসেবে Ext4 ব্যাবহার করা হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে Kali Linux 2020.3 ব্যাবহার করি। এতে NTFS এবং Ext4 উভয় ফাইল সিস্টেমই রয়েছে। তবে, এক্ষেত্রে উপকার ও অপকার উভয়ই রয়েছে।

**উপকারঃ **NTFS ফাইল সিস্টেমের ওপর নির্ভর করা file নিয়ে কাজ করা যায়।

**অপকারঃ **অনেক ক্ষেত্রে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা ফাইল NTFS ফাইল সিস্টেমের মাধ্যমে মেমোরিতে store হয়। এই কারণে লিনাক্স ডিভাইসে create করা ফাইলকে chmod কমান্ড দিয়ে permission পরিবর্তন করা গেলেও ডাউনলোড করা ফাইল গুলোর permission পরিবর্তন করা যায় না। এমনকি root user হিসেবেও permission পরিবর্তন করা যায় না। কারন সেগুলো NTFS ফাইল সিস্টেমের আওতাধীন।

কোন ফাইল সিস্টেম ভালো?

NTFS ফাইল সিস্টেম ভালো নাকি Ext4, এই নিয়ে ইন্টারনেটে অনেক লেখালেখির যুদ্ধ হয়ে গেছে। আমি আর নতুন করে এখানে কিছু বলবো না। তবে, এতোটুকু অবশ্যই বলবো- Linux এর নতুন Btrfs ফাইল সিস্টেম নিরাপত্তা ও দক্ষতার দিক দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাঙ্ক্ষিত ফাইল সিস্টেম হিসেবে পরিগণিত হতে চলেছে।

Windows এবং Linux এর সেরা দিক ও কিছু কথা

Windows দিয়েই আমদের কম্পিউটার ব্যাবহারের হাতেখড়ি। Windows এর পরিবর্তে Linux দিয়ে কম্পিউটার ব্যাবহার শুরু করা অনেকটা সাইকেল চালানো না শিখে মোটরসাইকেল চালানো শেখার মতো। Linux দিয়ে শুরু করলে আপনি ভুল করবেন, তা বলছি না। কিন্তু, Windows দিয়ে শুরু না করলে আপনি কম্পিউটারের আসল স্বাদ পাবেন না। অনেক চেষ্টার পর বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে ইউজার ফ্রেইন্ডলি UI নিয়ে এসেছিলো Windows অপারেটিং সিস্টেম। এই Windows ব্যাবহার করে হাতে-কলমে কম্পিউটার সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতে পারবেন আনন্দের সাথেই।

অন্যদিকে Linux এর সেরা দিক অনেক যেমনঃ এটি ফ্রি, এটি বেশি নিরাপদ ইত্যাদি। আবার, এখন অনেক Linux ডিস্ট্রো আসছে যেগুলোর UI একদম Windows এর মতোই।

কিন্তু, কিছু কথা রয়েছে। কিছু Linux ডিস্ট্রো Windows এর মতো UI নিয়ে আসার ফলে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে Windows এর UI আসলেই অগ্রগণ্য। আর, Windows এর নিত্যনতুন vulnerability (দুর্বলতা) প্রকাশ পাওয়ের কারণে Linux অধিক নিরাপদ বলে প্রশংসিত হচ্ছে। আমিও প্রশংসা করি। কিন্তু, এখানে অনেক কথা আছে। তরুণ প্রজন্ম এখন প্রযুক্তির দিকে বেশি ঝুঁকছে। আমি দেখেছি- dual boot কি জিনিস, সেটা না জানা ছেলেও Linux ব্যাবহার করতে চাচ্ছে। তার মানে, কম্পিউটার বিষয়ে পারদর্শী না, এমন মানুষও আজকাল Linux ব্যাবহার করা শুরু করছে। তাই ভবিষ্যতের জন্য একটি প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি- Linux এর নিরাপত্তা ভবিষ্যতে এমনই থাকবে তো?

Windows এর ওপর ১ টি অভিযোগ

অনেকের অভিযোগ- Windows চাপ প্রয়োগ করে তাদের update ইন্সটল করিয়ে নেয়। কিন্তু, যুক্তির বিচারে এই অভিযোগ কতোটা গ্রহণযোগ্য? Windows কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমে update ইন্সটল করতে বাধ্য করবে কি করবে না- সেটা তো একান্তই তাদের বিষয়। কারও যদি Windows ভালো না লাগে তাহলে Linux ব্যাবহার করতে পারেন। মনে রাখবেন, 'Microsoft loves Linux' কখাটি মাইক্রোসফটের CEO অনেক আগেই সবাইকে জানিয়েছেন।

অমি শুরুতে Windows ব্যাবহার করলেও বর্তমানে Linux ব্যাবহার করি। Windows এর চাইতে Linux এর size অনেক কম। Linux এর সফটওয়্যার বলতে গেলে সবই ফ্রি। Windows ব্যাবহার করার সময় কয়েকবার display গ্লিচি হয়ে গিয়ে লাফালাফি করতো এবং Advanced display settings এ গিয়ে ঠিক করতে হতো। তবে, Linux ব্যাবহার করার পর থেকে কখনো এমন করে নি। সব মিলিয়ে Linux অনেক stable অপারেটিং সিস্টেম। প্রযুক্তি প্রেমীরা যেই কারণে Linux বেশি ভালোবাসে তা হচ্ছে Linux ব্যাবহার করলে অপারেটিং সিস্টেমের ওপর অধিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অনেক কাজ করা যায়। যদিও উপরের আলোচনায় অতি-উৎসুক সাধারণ Linux ব্যাবহারকারীদের কিছু যুক্তির খণ্ডন করেছি। কিন্তু, এর মানে এই না যে, অমি Linux কে ছোট করতে চেয়েছি। মানুষ কিন্তু নিজের সন্তানকেই শাসন করে। Windows অসাধারণ সুন্দর ও সহজ। অপরদিকে Linux অত্যন্ত শক্তিশালী এবং বিস্তৃত পরিধির অপারেটিং সিস্টেম। Windows ব্যাবহার করলে আপনি সহজেই অনুভব করবেন যে, আপনি অন্যের পণ্য ব্যাবহার করছেন। কিন্তু, Linux ব্যাবহারের ক্ষেত্রে মনে হবে- এটি একান্তই আপনার নিজের। যদিও, Windows এর এমনকিছু সেরা দিক রয়েছে যার মাধ্যমে Windows আজও প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু, Linux এর এমনকিছু সেরা দিক রয়েছে যেই কারণে Linux কে Windows এর চেয়ে ভালো বলা হয়।

পরিশেষে একটি কথা না বললেই নয়, প্রযুক্তির বিশ্বে Linux ই অধিক মানানসই। এজন্যেই তো বড় বড় সুপার কম্পিউটার এবং সার্ভারে Linux ব্যাবহার করা হয়। অমি Linux ভালোবাসি, আজীবন Linux ব্যাবহার করে যেতে চাই।

Writer: Md. Abdullah Al Mamun

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form