"প্রফেসর থমসন, আমি আপনার প্লাম-পুড়িং থিওরিকে রক্ষা করতে এসেছি।"
জে. জে. থমসন তার টেবিল থেকে চোখ সরিয়ে তাকালেন। আগন্তুকের পরনে ভদ্রলোকের পোষাক থাকলেও সেগুলো কিঞ্চিৎ নোংরা ও এলোমেলো ছিল। তার গাঢ় ধূসর বর্ণের চোখজোড়া থেকে ঠিকরে রেরুচ্ছিল বুদ্ধিমত্তা।
থমসন ঘোৎ শব্দ করে কলমটা টেবিলে রেখে দিলেন। "আর তুমি কে বাপু? এই সময়ে আমার অফিসে ঢুকলে কী করে?"
"আমি হারবার্ট ওয়েলসের বন্ধু।"
"সে কী পড়ায়? ফিজিক্স? কেমিস্ট্রি?"
"সে একজন লেখক। আপনি হয়তো আমার কীর্তিকালাপ নিয়ে লেখা ক'বছর আগে প্রকাশিত হওয়া তার বই পড়েছেন?"
থমসন তার চশমার ওপর দিয়ে তাকিয়ে অগোছালো লোকটির দিকে চাইলেন। "দুঃখিত, সে সৌভাগ্য হয়েছে বলে মনে হয় না-"
আগন্তুক শ্রাগ করল। "দুঃখজনক। ভবিষ্যতে আপনার প্লাম-পুডিং থিওরি--"
"এটাকে ওই নামে ডাকা বন্ধ কর!" এই টার্মটা আমার মডেলের অতিসরলীকরণ।"
"ওহ ডিয়ার। আমি কী আমার ইতিহাস ভুল করছি? আপনিই কী সেই পদার্থবিদ নন যিনি বলেছিলেন এটম হল অনেকটা প্লাম-পুডিং এর মত?"
থমসনের ক্রোধ কিছুটা কমে এল। "আমি ওইসব ছাইপাঁশ কখনো বলিনি। বরং আমার মডেলের প্রস্তাব হল একটা বিস্তৃত পজেটিভ চার্জের মেঘ যার মাঝে নেগেটিভ কণা ঘুরতে থাকে।"
"আচ্ছা যাই হোক," আগন্তুক বলল, তার রোগা চেহারা কোনো সংকল্পে আরো দৃঢ় হয়ে ওঠে, "আগামী বছর লর্ড রাদারফোর্ড একটা এক্সপেরিমেন্টে আপনার মডেলকে ভুল প্রমাণ করবেন।"
"আর্নেস্ট রাদারফোর্ড? আমার পুরোনো ছাত্র? ব্রিলিয়ান্ট মানুষ, কিন্তু লর্ড নয়।"
"এখনও না। ওই উপাধিটা তিনি আরো ক'বছর পর পাবেন যখন তিনি এটমের নিউক্লিয়ার মডেলের প্রস্তাব পেশ করবেন।"
থমসন আগন্তুকের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিকে তাকালেন। "আর আপনি কীভাবে ভবিষ্যতের বাপারে জানেন?"
"আমি সেখান থেকেই এসেছি। সেটাই বলার চেষ্টা করছি আমি আপনাকে। রাদারফোর্ডের কাজ নতুন একটা থিওরির জন্য পথ খুলে দেবে যেটাকে কোয়ান্টাম মেকানিক্স বলা হয়। এটা আপনার মডেলের প্রায় উল্টো, একটা কেন্দ্রীয় পজেটিভ নিউক্লিয়াস যার চারপাশে আছে নেগেটিভ চার্জের মেঘ।"
থমসম তার ভ্রুজোড়া ওপরে ওঠালেন। "আর আর্নেস্ট এসব করে?"
"না, কিন্তু তিনি এটার শুরুটা করে দেন আপনার মডেলকে বাতিল প্রমাণ করে। আর আপনাকে তাকে বাধা দিতেই হবে।"
"তাই কী? ইয়াং ম্যান, আমি যদি তোমাকে বিশ্বাসও করি তবুও আমি কেন বিজ্ঞানের অগ্রগতির পথে বাধা দেব?"
"আপনি জানেন না সেই ভয়ানক জিনিসগুলোর ব্যাপারে যা আমি দেখেছি।" আগন্তুকের চেহারায় বেদনাদায়ক স্মৃতির প্রতিফলন ঘটে উঠল। হোচট খেয়ে সামনে তাকিয়ে রইল যেন ভবিষ্যতের ভয়াবহতা আরো একবার প্রত্যক্ষ করছে।
থমসন হতভাগী মানুষটার ভীত চোখের পানে চেয়ে কিছুটা নরম হলেন। "ঠোটজোড়া শক্ত করো ছেলে। বল আমাকে, বিষয়টা কী?"
"রাদারফোর্ডের নিউক্লিয়াস! একবার নিউক্লিয়াস পেয়ে গেলে, সেটাকে ভাঙা সম্ভব হবে, আর তারপর... আপনার কোনো ধারণাই নেই কী নৃশংসতা মানবজাতি ছড়ায়-- ছড়াবে-- ওই থিওরি দিয়ে।"
"কিন্তু ছেলে," থমসন বলল, "যদি আমি আর্নেস্টকে তার এক্সপেরিমেন্ট করতে বাধা দিতে সফলও হই, অন্য কেউ নিউক্লিয়াস ঠিকই বের করে ফেলবে।"
"আহ, কিন্তু এখানেই আপনি ভুল। ভবিষ্যতে যে নতুন থিওরিটা আসে, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, বলে যে বাস্তবতা একগাদা পরিসংখ্যান হিসেবে বিদ্যমান, যার কোনোটাই আসলে সত্য নয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সেগুলোকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বুঝলেন এবার? রাদারফোর্ড না খোজা পর্যন্ত নিউক্লিয়াসের অস্তিত্ব ছিল না। তার পরিমাপ আর পর্যবেক্ষণের ফলেই প্রকৃতি নিউক্লিয়াসের সম্ভাবনাকে বাস্তবতা বানিয়ে দিয়েছে। সেই অর্থে, নিউক্লিয়াসকে উনিই সৃষ্টি করেছেন পর্যবেক্ষণ করে।"
থমসন কিছুটা সময় নিলেন বুঝতে। "তাহলে তুমি বলছ যে আর্নেস্ট যদি তার এক্সপেরিমেন্ট না করে--"
"তাহলে প্রকৃতিকে এটমের পজেটিভ চার্জের লোকেশন ফিক্স করার বিষয়ে কোনো সম্ভাবনা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে না। পজেটিভ চার্জ বিস্তৃত হয়েই থাকবে। প্লাম-পুডিং মডেলটাই বাস্তবতা হয়ে রইবে।"
"তো আমাকে স্রেফ আর্নেস্টের কাছে চিঠি লিখে তাকে নিরুৎসাহিত করতে হবে আর আমার মডেল সত্য হয়ে যাবে?" থমসনের ঠোটে একটা হাসির ঝিলিক নেচে বেড়াচ্ছে।
আগন্তুকের চোখ জ্বলে ওঠে। "হ্যা! আপনি করবেন?"
"কিন্তু এগুলো সবই ননসেন্স।" থমসন তার হাত ছড়িয়ে দিয়ে হাসলেন। "অবশ্যই আর্নেস্টের কাছে আমার এমন গাজাখুরি মার্কা চিঠি লেখা উচিৎ হবে না।"
আগন্তুক থমসনের বাহু শক্ত করে চেপে ধরল। "কিন্তু আপনাকে করতেই হবে! এভাবে ভাবুন," লোকটা বলল, তার চেহারা ধূর্ত, "আ[পনার চিঠি কোনো ক্ষতি তো আর করছে না। যদি আমি ভুল হই, অন্য কেউ নিউক্লিয়াস আবিষ্কার করে ফেলবে। কিন্তু যদি আমি সঠিক হই, আপনি ভবিষ্যত রক্ষা করবেন। আপনাকে চিঠি পাঠাতেই হবে!"
"আচ্ছা, ঠিক আছে," থমসন বললেন। "যদি এটা এতই গুরুত্বপূর্ণ হয়, আমি পাঠাবো। সে এটা এমনিতেও উপেক্ষাই করবে।"
লোকটা থমসনের হাত চেপে ঝাকাতে থাকল। "ধন্যবাদ, প্রফেসর। আপনি অনুশোচনা করবেন না।" এরপর হঠাৎ হাত ছেড়ে দিল। "আমাকে যেতে হবে। আমি আমার মেশিন ব্যবহার করে বের করতে পারি--"
থমসন শেষ পর্যন্ত শুনতে পেলেন না কারণ ততক্ষণে লোকটা দরজা দিয়ে বেড়িয়ে হলওয়েতে চলে গেছে। বাকা হাসি দিয়ে থমসন তাকে ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবেরটরি থেকে চলে যেতে দেখলেন। অনেক্ষণ পর, তিনি তার টেবিলে ফিরে গিয়ে ড্রয়ার থেকে একটা কাগজ বের করে আনলেন। তিনি তার কলমদানি থেকে একটা কলম তুলে নিলেন এবং লিখলেন, "প্রিয় আর্নেস্ট," পৃষ্ঠার একদম ওপরে। একটু থামলেন, কলমটি পুরো পৃষ্ঠার ওপর একবার ঘুরিয়ে আনলেন। দীর্ঘশ্বাসের সাথে নিজেকে মনে করালেন তিনি কাউকে কথা দিয়েছেন।
তার মাথা ঝট করে ওপরে উঠে গেল যখন অফিসের দরজাটা দড়াম করে খুলে সেই আগন্তুক একেবারে প্রবল বেগে ঘরে ঢুকল। তার চলে যাওয়ার এই কয়েক মুহুর্তের মাঝেই, তার চুল আরো পাতলা আর তার চোখে ভয় আরো ঠিকরে পড়ছিল। "কলম রেখে দিন!", সে চিৎকার করে উঠল।
"ছেলে, তুমিই না এইমাত্র আমাকে এই চিঠি লিখতে বললে?"
প্রায় আধপাগল স্বরে আগন্তুক বলল, "আপনার কোনো ধারণাই নেই মানবজাতি আপনার প্লাম-পুডিং মডেল নিয়ে কী নৃশংসতা করবে!"
(সমাপ্ত)
(গল্পে বিজ্ঞান খুজতে যেয়েন না। রাদারফোর্ড পর্যবেক্ষণ করেছে বলেই নিউক্লিয়াস এসেছে এমন কিছু নেই। মূলত, প্রকৃতিতে রাদারফোর্ড বলে কিছু নেই। আছে রাদারফোর্ডের শরীরের ইলেক্ট্রন, প্রোটন আর নিউট্রন। যেটা প্রকৃতিতে আরো আগে থেকেই আছে যারা একে অপরের সাথে ইনটারেক্ট করে। বিস্তারিত জানতে চা, কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স পড়তে পারেন।
জে. জে. থমসন তার টেবিল থেকে চোখ সরিয়ে তাকালেন। আগন্তুকের পরনে ভদ্রলোকের পোষাক থাকলেও সেগুলো কিঞ্চিৎ নোংরা ও এলোমেলো ছিল। তার গাঢ় ধূসর বর্ণের চোখজোড়া থেকে ঠিকরে রেরুচ্ছিল বুদ্ধিমত্তা।
থমসন ঘোৎ শব্দ করে কলমটা টেবিলে রেখে দিলেন। "আর তুমি কে বাপু? এই সময়ে আমার অফিসে ঢুকলে কী করে?"
"আমি হারবার্ট ওয়েলসের বন্ধু।"
"সে কী পড়ায়? ফিজিক্স? কেমিস্ট্রি?"
"সে একজন লেখক। আপনি হয়তো আমার কীর্তিকালাপ নিয়ে লেখা ক'বছর আগে প্রকাশিত হওয়া তার বই পড়েছেন?"
থমসন তার চশমার ওপর দিয়ে তাকিয়ে অগোছালো লোকটির দিকে চাইলেন। "দুঃখিত, সে সৌভাগ্য হয়েছে বলে মনে হয় না-"
আগন্তুক শ্রাগ করল। "দুঃখজনক। ভবিষ্যতে আপনার প্লাম-পুডিং থিওরি--"
"এটাকে ওই নামে ডাকা বন্ধ কর!" এই টার্মটা আমার মডেলের অতিসরলীকরণ।"
"ওহ ডিয়ার। আমি কী আমার ইতিহাস ভুল করছি? আপনিই কী সেই পদার্থবিদ নন যিনি বলেছিলেন এটম হল অনেকটা প্লাম-পুডিং এর মত?"
থমসনের ক্রোধ কিছুটা কমে এল। "আমি ওইসব ছাইপাঁশ কখনো বলিনি। বরং আমার মডেলের প্রস্তাব হল একটা বিস্তৃত পজেটিভ চার্জের মেঘ যার মাঝে নেগেটিভ কণা ঘুরতে থাকে।"
"আচ্ছা যাই হোক," আগন্তুক বলল, তার রোগা চেহারা কোনো সংকল্পে আরো দৃঢ় হয়ে ওঠে, "আগামী বছর লর্ড রাদারফোর্ড একটা এক্সপেরিমেন্টে আপনার মডেলকে ভুল প্রমাণ করবেন।"
"আর্নেস্ট রাদারফোর্ড? আমার পুরোনো ছাত্র? ব্রিলিয়ান্ট মানুষ, কিন্তু লর্ড নয়।"
"এখনও না। ওই উপাধিটা তিনি আরো ক'বছর পর পাবেন যখন তিনি এটমের নিউক্লিয়ার মডেলের প্রস্তাব পেশ করবেন।"
থমসন আগন্তুকের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিকে তাকালেন। "আর আপনি কীভাবে ভবিষ্যতের বাপারে জানেন?"
"আমি সেখান থেকেই এসেছি। সেটাই বলার চেষ্টা করছি আমি আপনাকে। রাদারফোর্ডের কাজ নতুন একটা থিওরির জন্য পথ খুলে দেবে যেটাকে কোয়ান্টাম মেকানিক্স বলা হয়। এটা আপনার মডেলের প্রায় উল্টো, একটা কেন্দ্রীয় পজেটিভ নিউক্লিয়াস যার চারপাশে আছে নেগেটিভ চার্জের মেঘ।"
থমসম তার ভ্রুজোড়া ওপরে ওঠালেন। "আর আর্নেস্ট এসব করে?"
"না, কিন্তু তিনি এটার শুরুটা করে দেন আপনার মডেলকে বাতিল প্রমাণ করে। আর আপনাকে তাকে বাধা দিতেই হবে।"
"তাই কী? ইয়াং ম্যান, আমি যদি তোমাকে বিশ্বাসও করি তবুও আমি কেন বিজ্ঞানের অগ্রগতির পথে বাধা দেব?"
"আপনি জানেন না সেই ভয়ানক জিনিসগুলোর ব্যাপারে যা আমি দেখেছি।" আগন্তুকের চেহারায় বেদনাদায়ক স্মৃতির প্রতিফলন ঘটে উঠল। হোচট খেয়ে সামনে তাকিয়ে রইল যেন ভবিষ্যতের ভয়াবহতা আরো একবার প্রত্যক্ষ করছে।
থমসন হতভাগী মানুষটার ভীত চোখের পানে চেয়ে কিছুটা নরম হলেন। "ঠোটজোড়া শক্ত করো ছেলে। বল আমাকে, বিষয়টা কী?"
"রাদারফোর্ডের নিউক্লিয়াস! একবার নিউক্লিয়াস পেয়ে গেলে, সেটাকে ভাঙা সম্ভব হবে, আর তারপর... আপনার কোনো ধারণাই নেই কী নৃশংসতা মানবজাতি ছড়ায়-- ছড়াবে-- ওই থিওরি দিয়ে।"
"কিন্তু ছেলে," থমসন বলল, "যদি আমি আর্নেস্টকে তার এক্সপেরিমেন্ট করতে বাধা দিতে সফলও হই, অন্য কেউ নিউক্লিয়াস ঠিকই বের করে ফেলবে।"
"আহ, কিন্তু এখানেই আপনি ভুল। ভবিষ্যতে যে নতুন থিওরিটা আসে, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, বলে যে বাস্তবতা একগাদা পরিসংখ্যান হিসেবে বিদ্যমান, যার কোনোটাই আসলে সত্য নয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সেগুলোকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বুঝলেন এবার? রাদারফোর্ড না খোজা পর্যন্ত নিউক্লিয়াসের অস্তিত্ব ছিল না। তার পরিমাপ আর পর্যবেক্ষণের ফলেই প্রকৃতি নিউক্লিয়াসের সম্ভাবনাকে বাস্তবতা বানিয়ে দিয়েছে। সেই অর্থে, নিউক্লিয়াসকে উনিই সৃষ্টি করেছেন পর্যবেক্ষণ করে।"
থমসন কিছুটা সময় নিলেন বুঝতে। "তাহলে তুমি বলছ যে আর্নেস্ট যদি তার এক্সপেরিমেন্ট না করে--"
"তাহলে প্রকৃতিকে এটমের পজেটিভ চার্জের লোকেশন ফিক্স করার বিষয়ে কোনো সম্ভাবনা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে না। পজেটিভ চার্জ বিস্তৃত হয়েই থাকবে। প্লাম-পুডিং মডেলটাই বাস্তবতা হয়ে রইবে।"
"তো আমাকে স্রেফ আর্নেস্টের কাছে চিঠি লিখে তাকে নিরুৎসাহিত করতে হবে আর আমার মডেল সত্য হয়ে যাবে?" থমসনের ঠোটে একটা হাসির ঝিলিক নেচে বেড়াচ্ছে।
আগন্তুকের চোখ জ্বলে ওঠে। "হ্যা! আপনি করবেন?"
"কিন্তু এগুলো সবই ননসেন্স।" থমসন তার হাত ছড়িয়ে দিয়ে হাসলেন। "অবশ্যই আর্নেস্টের কাছে আমার এমন গাজাখুরি মার্কা চিঠি লেখা উচিৎ হবে না।"
আগন্তুক থমসনের বাহু শক্ত করে চেপে ধরল। "কিন্তু আপনাকে করতেই হবে! এভাবে ভাবুন," লোকটা বলল, তার চেহারা ধূর্ত, "আ[পনার চিঠি কোনো ক্ষতি তো আর করছে না। যদি আমি ভুল হই, অন্য কেউ নিউক্লিয়াস আবিষ্কার করে ফেলবে। কিন্তু যদি আমি সঠিক হই, আপনি ভবিষ্যত রক্ষা করবেন। আপনাকে চিঠি পাঠাতেই হবে!"
"আচ্ছা, ঠিক আছে," থমসন বললেন। "যদি এটা এতই গুরুত্বপূর্ণ হয়, আমি পাঠাবো। সে এটা এমনিতেও উপেক্ষাই করবে।"
লোকটা থমসনের হাত চেপে ঝাকাতে থাকল। "ধন্যবাদ, প্রফেসর। আপনি অনুশোচনা করবেন না।" এরপর হঠাৎ হাত ছেড়ে দিল। "আমাকে যেতে হবে। আমি আমার মেশিন ব্যবহার করে বের করতে পারি--"
থমসন শেষ পর্যন্ত শুনতে পেলেন না কারণ ততক্ষণে লোকটা দরজা দিয়ে বেড়িয়ে হলওয়েতে চলে গেছে। বাকা হাসি দিয়ে থমসন তাকে ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবেরটরি থেকে চলে যেতে দেখলেন। অনেক্ষণ পর, তিনি তার টেবিলে ফিরে গিয়ে ড্রয়ার থেকে একটা কাগজ বের করে আনলেন। তিনি তার কলমদানি থেকে একটা কলম তুলে নিলেন এবং লিখলেন, "প্রিয় আর্নেস্ট," পৃষ্ঠার একদম ওপরে। একটু থামলেন, কলমটি পুরো পৃষ্ঠার ওপর একবার ঘুরিয়ে আনলেন। দীর্ঘশ্বাসের সাথে নিজেকে মনে করালেন তিনি কাউকে কথা দিয়েছেন।
তার মাথা ঝট করে ওপরে উঠে গেল যখন অফিসের দরজাটা দড়াম করে খুলে সেই আগন্তুক একেবারে প্রবল বেগে ঘরে ঢুকল। তার চলে যাওয়ার এই কয়েক মুহুর্তের মাঝেই, তার চুল আরো পাতলা আর তার চোখে ভয় আরো ঠিকরে পড়ছিল। "কলম রেখে দিন!", সে চিৎকার করে উঠল।
"ছেলে, তুমিই না এইমাত্র আমাকে এই চিঠি লিখতে বললে?"
প্রায় আধপাগল স্বরে আগন্তুক বলল, "আপনার কোনো ধারণাই নেই মানবজাতি আপনার প্লাম-পুডিং মডেল নিয়ে কী নৃশংসতা করবে!"
(সমাপ্ত)
লেখকঃ Jay Werkheiser
অনুবাদঃ মনিফ শাহ চৌধুরী
(গল্পে বিজ্ঞান খুজতে যেয়েন না। রাদারফোর্ড পর্যবেক্ষণ করেছে বলেই নিউক্লিয়াস এসেছে এমন কিছু নেই। মূলত, প্রকৃতিতে রাদারফোর্ড বলে কিছু নেই। আছে রাদারফোর্ডের শরীরের ইলেক্ট্রন, প্রোটন আর নিউট্রন। যেটা প্রকৃতিতে আরো আগে থেকেই আছে যারা একে অপরের সাথে ইনটারেক্ট করে। বিস্তারিত জানতে চা, কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স পড়তে পারেন।
Tags:
Science Fiction