মুড সুইং বা মেজাজ পরিবর্তন, খুব দ্রুত সহজ সরল পরিস্থিতিকে চরম অস্থিরতার মধ্যে ফেলে একটা মানসিক বেখেয়ালি পনা তৈরি করে। এর মূলে থাকে অতিরিক্ত সুখ ও দুঃখের অনুভূতি এবং রাগ, বিরক্তভাব কিংবা বিষণ্নতা ও অনিদ্রা।
মুড সুইং সাধারণত নিজের সুস্থ পরিস্থিতিকে ভারসাম্যহীন করার ফলেই হয়। সেই পরিস্থিতি তৈরি করে মস্তিষ্কে রাসায়নিকের সঙ্গে যুক্ত মেজাজ নিয়ন্ত্রক হিসাবে ব্যবহৃত বাইপোলার ডিজঅর্ডার। এবং হরমোন পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত থাকা মাসিক চক্র বা মেনোপজ!
মুড সুইং এর ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয় তাকে নরমাল বিষণ্নতা বলা হয়। আর এই নরমাল বিষন্নতা প্রতিটি মানুষকে এক থেকে দুই করতে খুব বেশিই প্রভাব ফেলে।
মুড সুইং খুবই অল্প সময়ের জন্য তৈরি হয়৷ কিন্তু যখন শুরু হয় তার কিছুক্ষন পর এত তীব্র আকার ধারণ করে থাকে, যার ফলে একজন নারীর দৈনন্দিন জীবনের কাজ, এমনকি যেকোনো সম্পর্কে দ্বৈত্ব অবস্থা তৈরি করে থাকে। এই সমস্যা তৈরি হলে একজন সাইকোলজিস্ট দেখানো যেতে পারে। কারণ এই একটি মানসিক ব্যাধি, যা তৈরি করে বাইপোলার ডিজঅর্ডার বা পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার (BPD)।
মুড সুইংয়ের ফলে যে তৈরি বিষণ্নতা হয় তার কিছু উপসর্গ আছে সেগুলো জানা খুবই জরুরি। কারণ আমরা মূলত যে বিষয়গুলোর কারণে নিজেদের স্বাভাবিক অবস্থার পরিবর্তন দেখতে পাই সেগুলো জানতে না পারলে মুড সুইংয়ের ব্যপার টা ক্লিয়ার হতে পারবোনা৷ আসুন এবার পড়ি-
১। নিজের ভেতরে অতিরিক্ত সুখ বা দুঃখ বোধ তৈরি, তারপর কোনো কিছু নিয়ে আশাহীন হওয়া এবং খাবারে অরুচি ভাব তৈরি। খুব বেশী খাওয়া বা খুবই সামান্য।
২। ঘুমানের অসুবিধা এবং শরীরের ক্লান্ত, ক্লান্ত ভাব আর ভেতরে অবসন্ন বোধ তৈরি হওয়া৷
৪। প্রয়োজনীয় কোনো কিছু খুঁজে না পেলে, এবং সেই সময় কেউ আপনাকে নিয়ে মজা করলে বা আপনি কোথাও যাচ্ছেন বা যাবেন তা নিয়ে তখন কেউ ঠাট্টা করলে।
৫। নিজের ইচ্ছা মতো পরিবেশে ভালো ভাবে থাকতে না পারলে কিংবা পড়া শোনায় অমনোযোগী হলে এবং কোনো কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বর্জনের দুটানা ক্ষেত্র তৈরি হলে।
৬। মৃত্যুকে নিয়ে ভাবা শুরু করলে বা নিজের অপরাগতার ফলে মনে মনে আত্মহত্যার কথা ভাবলে।
উপরের প্রতিটি ব্যাপার গুলো নারী ও পুরুষ উভয়ের মেজাজ পরিবর্তনের জন্য কাজ করে থাকে। এগুলো ক্লাসিক লক্ষণ। বাইপোলার ডিজঅর্ডার দ্বারা তৈরি এই ব্যপার গুলো ভালো ভাবে কাটিয়ে উড়তে না পারলে মনের বিষণ্নতা আপনাকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যাবে।
বাইপোলার ডিজঅর্ডার মানে দ্বিমেরু ব্যাধি। সেখানে দুটি প্রধান ধরনের হয় বাইপোলার আছে। যেমন বাইপোলার এক এবং বাইপোলার দুই।
বাইপোলার একঃ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্যা ল ম্যানুয়াল অব মেন্টাল ডিসঅর্ডার, বাইপোলার এক মানসিক বিশৃঙ্খলার সাথে জড়িত, তা প্রায়ই খুব দ্রুত বিষণ্নতা তৈরি করতে পারে। এবং শুধু বিষন্নতা নয় এর ফলে তৈরি হয় অতিরিক্ত কথা বলা, অলস্য বোধ।
যেমন, ঐ মুহূর্তে কারো সাথে অত্যন্ত ফাজলামি করার
পর নিজের ভেতর হঠাৎ নতুন কোনো আকর্ষিক ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ অনুভব হলেই তৈরি হতে পারে খিটখিটে ভাব এবং সেই ব্যপারটা প্রভাবিত হয়ে তুলনামূলকের চেয়ে কম ঘুম হয়ে থাকে এবং নিজের প্রতি তৈরি করে বিরক্তকর পরিস্থিতি। যা সাধারণত আপনি নিজস্ব নন।
পর নিজের ভেতর হঠাৎ নতুন কোনো আকর্ষিক ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ অনুভব হলেই তৈরি হতে পারে খিটখিটে ভাব এবং সেই ব্যপারটা প্রভাবিত হয়ে তুলনামূলকের চেয়ে কম ঘুম হয়ে থাকে এবং নিজের প্রতি তৈরি করে বিরক্তকর পরিস্থিতি। যা সাধারণত আপনি নিজস্ব নন।
বাইপোলার দুইঃ এটা তৈরি হয় আশে পাশের পরিবেশ থেকে। এবং এটা ডিপ্রেশন তৈরির জন্য খুবই কার্যকরী একটা ধাপ। এর ফলে দুঃখ বোধ বা অখাদ্য ভাব তৈরি হয়। ঠিক এই মুহূর্তে সুস্থ চিকিংসা না পেলে নিজেকে করে তুলে উদাসীন, ধীরে ধীরে মানসিক শক্তি দুর্বল করে দেয়। তৈরি করে অনিদ্রা আর যার ফলে যেকোনো কাজে প্রভাব ফেলে অমনোযোগীতার। এর কারণে মৃত্যুর অথবা আত্মহত্যার চিন্তাও আসতে পারে, এই ধাপটার ফলে নিজের নিজস্বতাকে হারানোর বিষাদিত আনন্দ ভোগ একবারে আস্বাদিত করে তুলে।
একান্ত নিজস্ব মতামত আজকাল পরিবেশেগত কিংবা বাইপোলার দুই এর প্রভাবেই আমরা নারী, পুরুষ বেশি বিচলিত। এবং এ আমাদের মেজাজের উপরও প্রভাব ফেলছে। তবে পরিবেশগত কারণে যে প্রভাবটা নারীর উপর ফেলে তার ৪০% প্রভাব পুরুষ উপর ফেলে নারী। ৬০% নিজের ভেতর ধরে রেখে ভেতরটাকে ভয়ংকর
করে তুলে। এজন্য বলা হয় নারী তার চারপাশ থেকেই প্রভাবিত বেশি।
করে তুলে। এজন্য বলা হয় নারী তার চারপাশ থেকেই প্রভাবিত বেশি।
যেমন ধরুণ-
পাশের বাড়ির আপু, ভাবি, শ্বাশুড়ি নতুন একটা পোশাক কিনেছে। সেটা পরে প্রায় বাহিরে হাঁটাহাঁটি করে বা তাকে কোনো এক ছুটিতে দেখছে অন্য একজন আপু, ভাবি বা শ্বাশুড়ি। এটা দেখার ফলে প্রশংসা করতে করতে নিজেও কিনার জন্য মন চেপে বসে। এখন সেই পোশাক তাকে
মানাবে কিনা তাকে যে কিনে দিবে তার হাতে টাকা আছে কিনা, কেমন লাগবে বিচার করার সময় নেই। শুধু তার ঐ পোশাক টা চাই। তখন যদি কেউ কোনো যুক্তি দাঁড় করায় তাহলেই তার মেজাজ পরিবর্তন হয়ে যাবে।এবং তাৎক্ষনিক বড় ধরণের আঘাতও হানতে পারে পরিবেশের উপর৷
পাশের বাড়ির আপু, ভাবি, শ্বাশুড়ি নতুন একটা পোশাক কিনেছে। সেটা পরে প্রায় বাহিরে হাঁটাহাঁটি করে বা তাকে কোনো এক ছুটিতে দেখছে অন্য একজন আপু, ভাবি বা শ্বাশুড়ি। এটা দেখার ফলে প্রশংসা করতে করতে নিজেও কিনার জন্য মন চেপে বসে। এখন সেই পোশাক তাকে
মানাবে কিনা তাকে যে কিনে দিবে তার হাতে টাকা আছে কিনা, কেমন লাগবে বিচার করার সময় নেই। শুধু তার ঐ পোশাক টা চাই। তখন যদি কেউ কোনো যুক্তি দাঁড় করায় তাহলেই তার মেজাজ পরিবর্তন হয়ে যাবে।এবং তাৎক্ষনিক বড় ধরণের আঘাতও হানতে পারে পরিবেশের উপর৷
তাই বলা হয় পার্সোনাল ডিজঅর্ডার এর মাধ্যমে একজন নারীর মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধি ও চিন্তার তারতম্য তৈরি করে খুব দ্রুত মুড সুইং করাইয়া ফেলে এবং সেটা খুব তীব্র ও পরিবর্তনশীল হয় আর ভেতরেও থাকতে পারে গত কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন।
আরো যে যে কারণ গুলোর জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বা হচ্ছে হয় তা নিচে দেওয়া হলো। আবেগপ্রবণ ও ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ উদাহরণস্বরূপ:
১। আকর্ষিত অসুরক্ষিত যৌন আচরণ করা এবং দুঃব্যবহার করা।
২। কোনো কিছু বিসর্জন দেওয়ার পরও আপনার জন্য সেটা সুফল বয়ে আনেনা তখন ভেতরে কষ্টকর প্রতিক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বিষণ্নতা, ক্ষোভ বা প্যানিক।
৩। পরিবেশের সাথে মিলতে গিয়ে নিজেকে প্রায়ই অনুভূতিহীন এবং অস্থির মনে করা।
৪। নিজের কর্মের সুফল না পেলে চার পাশের মানুষের কথায় আত্মহত্যার বা আকর্ষিক স্ব-ক্ষতি মত আচরণ অনুভব করা।
৫। নিজের নরমাল রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা৷ কিন্তু ভেতরে এমন রাগের নিয়ন্ত্রন করতে না পারার অক্ষমতা তৈরি হলে মেজাজ যে খিটখিটে হয়ে যায় তাও একটা কারণ।
৬। প্রতিবেশির কোনো সুখবর শোনে নিজের ভেতর রমরমা সুখের অনুভূতি হলে।
৭। বর্ধিত যৌন ইচ্ছার তাড়না কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ যৌন আচরণ তৈরি হলে।
৮। নিজে টাকা থাকা না থাকা সত্তেও অত্যধিক পরিমাণে টাকা ব্যয় আর বেশি বেশি আবেগ প্রবণ সিদ্ধান্ত নেওয়া।
৯। হ্যালুসিনেশন বা বিভ্রম তৈরি হওয়া৷
উপরিউক্ত কারণ গুলো যে শুধু যুবতী মেয়েদের বা
কারো বউ, প্রেমিকা, ক্ষেত্রে হয় তা নয়, এই বাইপোলার ডিজঅর্ডার মাধ্যমে মুড সুইং ঘটতে পারে যে কোন বয়সের বাচ্চা মেয়েদেরও৷
কারো বউ, প্রেমিকা, ক্ষেত্রে হয় তা নয়, এই বাইপোলার ডিজঅর্ডার মাধ্যমে মুড সুইং ঘটতে পারে যে কোন বয়সের বাচ্চা মেয়েদেরও৷
বাচ্চা মেয়েদের মুড সুইং হওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণতা বহন করে তার পিতামাতা কতো টুকু সচেতন তার উপর। একটা মেয়ে সন্তানের আচরণ, তার কখন কী প্রয়োজন তা যদি বাবা মা বুঝতে না পারে কিংবা গুরুত্ব কম দেয় তাহলে সেই বাচ্চা মেয়ের মধ্যে এক ধরণের বিষন্নতা তৈরি হয়। এমনকি তার অনুভূতি গুলোও বাবা মাকে বুঝতে হবে আর না বুঝলে ভেতরে উৎপন্ন হয় মুড সুইংয়ের মতো গোপন অসুখ। বাচ্চা মেয়েদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে পারিবারিক পূর্ব ইতিহাসে বিশৃঙ্খলা থাকলে, সেটা খুবই বেশি প্রভাব ফেলে।
তা ছাড়া মুড সুইংয়ে মতো নরমাল ডিপ্রেশনীক বিষন্নতার অসুখ আজকাল গর্ভবতী মা ও মেয়েদের ভেতর তৈরি হচ্ছে। একজন নারীর জীবনে গর্ভবতী খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটা শূন্য দেহে আর একটি প্রাণকে লালন পালন করা সহজ কাজ নয়। জীবনের এই কঠিন সময়টাতে মুড সুইং হয় খুবই বেশি।
The American Pregnancy Association says- mood swings can all be related to the hormonal changes as well as physical and emotional toll pregnancy has on a woman.
এই ভালো তো এই মন্দ। বিশেষ করে যখন প্রসব যন্ত্রণা ওঠে, তখন মেজাজটা চড়ে যায়। গর্ভবতী হলে কেউ অনেক উৎফুল্ল থাকে আবার কেউ আকস্মিকতায় আনচান অনুভব করে। মনে মনে ভাবে জীবনের প্রথম মা হতে চলেছে। চিন্তা তারতম্যে এই সময় হরমোনের অনেক ওঠানামা হয়।
সেই হরমোনের ইতরামির সাথে পাল্লা দিয়ে ওঠানামা করে তার মুড। সাথে সাথে শরীর ও মনের উপর খুব চাপ পড়ে। তখন সেই গর্ভবতী মা নিজের কাজ ও আশ পাশের উপর চরম বিরক্তি প্রকাশ করে৷ আচ্ছা এর একটা সহজ সমাধানও বলে দেই এই সবই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে যোগাসন মানে যোগ ব্যায়াম।
প্রেগন্যান্সির সময় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতেও যোগাসন খুব সাহায্য করে। শুধু যে চাপ কমানোই তা নয় বরং গর্ভাবস্থার যে কোনও সমস্যা- যেমন, পিঠে ব্যাথা, সকালে গা গোলানো ভাব, মাথাধরাও যোগসনে কমে যায়। আর যেকোনো মানুষ প্রতিদিন সকালে যদি একটু ধ্যান করতে পারে তাহলে মেজাজও ঠিক থাকে সারাদিন।
মুড সুইংয়ের আলোচনায় শুধু নারী আসবে কেনো! যুবক, বৃদ্ধ, বাচ্চা ছেলেদের মধ্যে এর প্রভাব ফেলে সেই বাইপোলার ডিজঅর্ডার।
পরিবেশগত কারণে বাচ্চা ছেলেদের মধ্যেও বিষন্নতা কিংবা তার মেজাজ পরিবর্তন হতে পারে। যেমন, একটা বাচ্চা ছেলের পাশে আরেকটা বাচ্চা ছেলে দাঁড়িয়ে আইসক্রিম খাচ্ছে, এই খাওয়া দেখে তারও ইচ্ছে হবে আইসক্রিমের তখন যদি বাবা মা কিনে না দেয় তাহলে তার মুড সুইং হবে। তা ছাড়া আরো নানান উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে৷ তবে এটা মনে রাখা ভালো বাচ্চা ছেলেদেরও পরিবেশগত কারণে মুড সুইং হয়৷
বৃদ্ধ বাবা মার মুড সুইং হয় যখন সন্তান তাদের অবহেলা করে। কিংবা অসুস্থতা তৈরি হলে যদি ভালো চিকিৎসা পাওয়ার পরও সুস্থ না হয়। কিংবা ভালো চিকিৎসা না পায় তাহলে।
আর যুবক কিংবা কর্মশ্রেণীর ছেলেদের মুড সুইং হওয়ার নিজস্ব পারিপার্শ্বিক আরো অনেক কারণ থাকতে পারে৷ যেমন উপরের বাইপোলার ডিজঅর্ডার থেকে আলোচনা করা প্রতিটি কারণ তো আছেই, নতুন করে দুই একটা বলা যাচ্ছে-
যেমন, নিদিষ্ট বয়স হওয়ার পরও চাকরি না পেলে৷ চাকরি পাওয়ার পরও ভেতর ভালো না হলে, নিজের ভবিষ্যত নিয়ে বেশি ভাবলে। আর নিদিষ্ট উপার্জন ক্ষমতা হাতে আসার আগেই সংসারের চাপ মাথায় পড়লে। তা ছাড়া ঘরে বা বাহিরে কোনো সুন্দরী মেয়ের প্রেমে পড়লে তার মুড সুইং হতে পারে প্রায় সময়৷ লেখা পড়া নিয়ে সাধারণ সব ছেলেদের মধ্যে মুড সুইং কাজ করেনা। তবে যৌনতার ব্যপারটা ছেলেদের মধ্যে চরম প্রভাব ফেলে৷ এজন্য বলা হয় যুবক বয়সে একজন ছেলের একটা মেয়ে সঙ্গী জরুরি।
সম্পূর্ন আলোচনা করে আমরা জানতে পারলাম আসলে মুড সুইং বা মেজাজ পরিবর্তনের ব্যপারটা সমাজ, পরিবেশ, পরিবার সবখানেই প্রভাব ফেলে থাকে। আমাদের সমাজে প্রচলিত যে নারীদেরই বেশি মুড সুইং হয় তা নয় বরং সব শ্রেণী মানুষেরই মুড সুইং হয়৷ তাই আসুন আমরা মুড সুইং তৈরি করার প্রতিটি ধাপ নিয়ে নিজে একান্তে কোন সাইকোলজিস্টের সাথে আলোচনা করি । কারণ আমরা ইতি মধ্যে জেনে গেছি এটা একটা মানসিক ব্যাধি।
তবে এর থেকে ঘরোয়া ভাবে পরিত্রাণ পেতে একটাই উপায়, সেটা হলো- যোগাসন বা যোগ ব্যায়াম। আসুন আমরা জানি, শিখি, বুঝি। চুপ থেকে নিজের ভেতর রোগ লালন না করি।
আপনাদের কারো কোনো অভিজ্ঞতা থাকলে এখানে কমেন্ট কিংবা মেইল করতে পারেন। তা ছাড়া কোনো বিষয় না বুঝলেও প্রশ্ন করতে পারেন। এটা আমার ছোট্ট একটা এনালাইসিস থেকে লেখা। ধন্যবাদ।
-আদিব হোসাইন
মেইলঃ mogdhakash@gmai l.com
মেইলঃ mogdhakash@gmai
Tags:
Phychology