টাইম ট্রাভেল বা সময় পরিভ্রমন।
নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে এক কাল্পনিক মেসিন।যার মধ্যে প্রবেশ করে সহজেই ভ্রমণ করতে পারবো অতীত বা ভবিষ্যৎ। টাইম ট্রাভেল নিয়ে জানার আগে আমরা দুটি বিষয় জেনে নি।
সময় কি?
কাউকে এই প্রশ্নটা করা হলে তিনি বলবেন, সময় তো সময়ই যা কারো জন্য অপেক্ষা করে না চলতেই থাকে। আসলে সময় একটি আপেক্ষিক বিষয়। আইন্সটাইনের সুত্র মতে সময় হল চতুর্থ মাত্রা।আমরা যে স্থান কাল বলে থাকি তার মধ্যে স্থান হলো তিন মাত্রার আর সময় চতুর্থ মাত্রা।
কাউকে এই প্রশ্নটা করা হলে তিনি বলবেন, সময় তো সময়ই যা কারো জন্য অপেক্ষা করে না চলতেই থাকে। আসলে সময় একটি আপেক্ষিক বিষয়। আইন্সটাইনের সুত্র মতে সময় হল চতুর্থ মাত্রা।আমরা যে স্থান কাল বলে থাকি তার মধ্যে স্থান হলো তিন মাত্রার আর সময় চতুর্থ মাত্রা।
টাইম ট্রাভেল কি?
টাইম ট্রাভেল হল সময়ের অক্ষ বরাবর পরিভ্রমণ করা। আমরা তিন মাত্রা অর্থাৎ দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতা বরাবর স্থান পরিবর্তন করতে সক্ষম। কিন্তু এখন পর্যন্ত সময়ের অক্ষ বরাবর স্থান পরিবর্তন সম্ভব হয় নি।
টাইম ট্রাভেল হল সময়ের অক্ষ বরাবর পরিভ্রমণ করা। আমরা তিন মাত্রা অর্থাৎ দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতা বরাবর স্থান পরিবর্তন করতে সক্ষম। কিন্তু এখন পর্যন্ত সময়ের অক্ষ বরাবর স্থান পরিবর্তন সম্ভব হয় নি।
আমাদের মহাবিশ্বে আলোর বেগ সবচেয়ে বেশি।আলো প্রতিফলিত হয়,প্রতিসরিত হয় এমনকি বেকে যায় তা না হলে আমরা কখনো আকাশে তারা দেখার স্বাদ উপলব্ধি করতে পারতাম না। ওই যে উপরে বললাম স্থানকাল এই স্থানকাল বক্রতার কারনেই আলো বেকে যায়।আর আলোর বেগ সর্বদা ধ্রুবক। আলো নিয়ে বলছি কারন এখন আমরা পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম সূত্র আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটি নিয়ে কথা বলব।
আইনস্টাইনের এই সূত্র মতে কোনো ব্যাক্তি আলোর বেগে চললে তার জন্য সময় স্থির হয়ে যায়। কথা হলো আলোর বেগে পরিভ্রমণকারী কোনো ব্যাক্তির ভর অসীম এবং দৈর্ঘ্য শুন্য হয়ে যাবে।অর্থাৎ কারো পক্ষে আলোরবেগে ভ্রমণ করা সম্ভব নয়। তবে কোনো ব্যাক্তি যদি আলোর গতির কাছাকাছি (0.99c) উচ্চ গতিসম্পন্ন কোনো স্পেসশিপ দিয়ে ভ্রমণ করে আসে। তবে সে পৃথিবীতে এসে দেখবে তার বয়স তার জমজ ভাইয়ের বয়সের তুলনায় অনেক গুন কমে গেছে।এটাকে বলে টুইন প্যারাডক্স।এভাবে ভবিষ্যৎ উপলব্ধি করা সম্ভব।তবে এটা প্রমাণিত।
ভবিষ্যতে যাওয়ার প্ল্যান তো হলো। এবার অতীতের প্ল্যান করা যাক। অতীতে যাওয়ার ও একটা ধারণা প্রস্তাব করা হয় তা হল ওয়ার্মহোল। যদিও এর অস্তিত্বের এখনো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি। কিন্তু তবুও বিজ্ঞানীরা এর ধারণা করে থাকেন।মনের মধ্যে প্রশ্ন আসতেই পারে ওয়ার্মহোল আসলে কি? ওয়ার্মহোল হলো স্থান কাল এর দুটি বিন্দুর মধ্যে নুন্যতম দূরত্ব বা সর্বনিম্ন যে পথ অবলম্বন করে অতীতে যেতে পারবেন।এটি এমন একটি ক্ষুদ্র সুড়ঙ্গ যা অনেক অনেক আলোকবর্ষ দুরের দুটি ঘটনা বিন্দুকেও স্পেস ফেব্রিকের সংকোচনের মাধ্যমে খুব কাছাকাছি দুরত্বে নিয়ে আসে।এবার একটু দাদামশায় এর কথায় আসি।না ভাই এখানে দাদা মশায় কোনো দোষ করেন নাই।কিন্তু একবার ভাবুন তো যদি আপনি অতীতে গিয়ে আপনার দাদামশায়কে জন্মের পরই কুপিয়ে চলে আসলেন! এখন আপনার দাদামশায়ই যদি না থাকে তাহলে আপনার অস্তিত্ব আছে কিভাবে? এটাকে বলে গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স। তাহলে এবার এই প্যারাডক্স এর সমাধানে যাওয়া যাক।
রাশিয়ান পদার্থবিদ ডিমিয়েত্রিভিচ নভিকভের থিওরি অনুযায়ী টাইম ট্রাভেল করে অতীতে ফিরে গেলেও কেউ এমন কোনো কাজ করতে পারবে না যা বর্তমানকে প্রভাবিত করে।
রাশিয়ান পদার্থবিদ ডিমিয়েত্রিভিচ নভিকভের থিওরি অনুযায়ী টাইম ট্রাভেল করে অতীতে ফিরে গেলেও কেউ এমন কোনো কাজ করতে পারবে না যা বর্তমানকে প্রভাবিত করে।
আচ্ছা বুঝলাম ওয়ার্মহোল দিয়ে আমরা অতীতে যেতে পারব।কিন্তু আমরা যাব কি দিয়ে???
হ্যাঁ যাওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই একটা টাইম মেশিনের দরকার হবে। মেশিনটা এমন হতে হবে যেন বাকানো স্থানকাল কে একটি বদ্ধ বৃত্তের মত লুপ তৈরি করে অতিক্রম করতে পারবে। এর জন্য টাইম মেশিন এমন পদার্থ দিয়ে বানাতে হবে যার নেগেটিভ এনার্জি ডেনসিটি আছে।এধরনের পদার্থের অস্তিত্ব থাকলেও তা পাওয়া খুবই মুস্কিল ব্যাপার। আর এমন শক্তি সম্পন্ন পদার্থের পরিমাণ এত কম যে তা দিয়ে টাইম মেশিন বানানো সম্ভব নয়।
হ্যাঁ যাওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই একটা টাইম মেশিনের দরকার হবে। মেশিনটা এমন হতে হবে যেন বাকানো স্থানকাল কে একটি বদ্ধ বৃত্তের মত লুপ তৈরি করে অতিক্রম করতে পারবে। এর জন্য টাইম মেশিন এমন পদার্থ দিয়ে বানাতে হবে যার নেগেটিভ এনার্জি ডেনসিটি আছে।এধরনের পদার্থের অস্তিত্ব থাকলেও তা পাওয়া খুবই মুস্কিল ব্যাপার। আর এমন শক্তি সম্পন্ন পদার্থের পরিমাণ এত কম যে তা দিয়ে টাইম মেশিন বানানো সম্ভব নয়।
টাইম ট্রাভেল বা সময় পরিভ্রমণ কি আদো সম্ভব এ নিয়ে আলোচনার কোনো শেষ নেই।
লিখাঃ আরমান
Tags:
Science Fiction