পড়া যাদের মনে থাকে না" " যে কাজ গুলো করলে পড়া ইজিলি মনে থাকবে

আমরা পড়ি, কিন্তু পড়া আমাদের মনে থাকে না। এখন আর কেউ বা কিছু মনে থাকুক না থাকুক পড়া তো মনে রাখতেই হবে। সেজন্য আজ জেনে নিই দশটি টিপস, যেগুলো পড়া মনে রাখায় হেল্প করবে।

>< মুখে বলা, চোখে দেখা, কানে শোনা। পড়ার ক্ষেত্রে এই তিনটা জিনিসই ইউজ করো। বইয়ের দিকে তাকিয়ে পড়বে, উচ্চারণ করবে, মনোযোগ দিয়ে শুনবে।

>< আমার এক টিচার বলতেন, একবার লিখা দশবার পড়ার সমান। আসলেই তাই। কোন কিছু আমরা যতটা মনোযোগ দিতে হয় পড়ার সময় ততটা দিইনা বা না দিলেও চলে। এজন্য লিখে লিখে পড়ার স্থায়িত্ব বেশি হয়ে থাকে।

>< যে অধ্যায়টা পড়বে সে অধ্যায়কে সাতটা ভাগে ভাগ করে নাও। তারপর প্রতিটা ভাগ পড়ার সাথেসাথে সংক্ষেপে সারমর্ম লিখে রাখো। এটা কিন্তু কার্যকরী। এই সিস্টেমটাকে বলা হয় কনসেপ্ট ট্রি সিস্টেম।

>< বড় কোন কিছু, ধার যাক একটা ডেফিনিশন, একসাথে কিন্তু মুখস্থ করা এবং মনে রাখ টাফ হয়ে যায়। আবার এই বড় জিনিসটা দুইতিনটা ভাগ করে পড়লে দেখবে সহজে মনে থাকছে।

>< দাগিয়ে বা আন্ডারলাইন করা পড়াও মনে রাখতে হেল্প করবে। কোন টপিকের ইম্পরট্যান্ট লাইন গুলো আন্ডারলাইন করে পড়তে পারো। বিশেষ করে এমসিকিউর মতো ছোট ছোট ইনফরমেশন মনে রাখতে এই সিস্টেমটা অনেক কাজে দেবে।

<> অনেকগুলা বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য, প্রকারভেদ মনে না থাকলে। সেগুলার প্রথম বর্ণ দিয়ে একটা শব্দ বা ছন্দ তৈরি করে ফেলো। ভূগোল বা বিজ্ঞানের কঠিন কোন চিত্র বা গ্রাফ থাকলে, গ্রাফের কিছু অংশ কালো, কিছু অংশ নীল, কিছু অংশ লাল রঙের কলম/পেন্সিল দিয়ে আঁকলে, গ্রাফ মনে রাখা সহজ হবে। কোন চ্যাপ্টারের গুরুত্বপূর্ণ গ্রাফ, বিদঘুটে পয়েন্টগুলো কয়েকটা গ্রুপে ভাগ করে আলাদা কালারের কলম দিয়ে খাতায় লিখো। তারপর টেবিলের সামনেই রাখো বা দেয়ালে ঝুলিয়ে দাও। অবসর সময়ে হালকা চোখ বুলাতে বুলাতে বিদঘুটে পড়াগুলোও এভাবে মনে থাকবে।

>< আমাদের ব্রেইন অগোছালো জিনিস সহজে মনে রাখতে পারে না। তাই পড়াশোনার ক্ষেত্রেও এই ব্যপরটা মাথায় রাখতে হবে। অগোছালো ভাবে কিছু পড়লে সেটা মস্তিষ্ক থেকে রিমুভ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পড়ার সময় কোন কিছু ছক বা টেবিল আকারে সাজিয়ে নিলে কিংবা কবিতার ছন্দ বানিয়ে পড়লে তা সহজেই মনে রাখা যায়। পড়া মনে রাখার এই কৌশলকে নিমনিক বলা হয়ে থাকে।

>< বিজ্ঞানীদের মতে আমরা আজকে সারাদিনে যত কিছু, দেখি, শুনি, জানি বা পড়ি তার ৫দিন পরে চারভাগের তিনভাগই ভুলে যাই। তবে এই ভুলে যাওয়া ঠেকানোর জন্য অনেকগুলা ট্রিকস আছে। যেমন- ৪৫ মিনিট পড়ে ১৫ মিনিটের নিবা এবং সেই ব্রেকে পড়াটা মনে মনে রিভাইজ দাও এবং কোথাও আটকে গেলে আরেকবার দেখে নাও। এবং আজকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পড়লে আগামীকাল ঘুমানোর আগে এই জিনিস ২০মিনিটে রিভাইজ দিয়ে দিবা। তারপর এক সপ্তাহ পরে আরেকবার রিভাইজ দিলে এই পড়ার ৯০% জিনিস এক মাস পর্যন্ত আপনার মনে থাকবে।

>< প্রত্যেকটা সাবজেক্টের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস, ক্লু, সামারি পয়েন্টগুলা আলাদা আলাদা খাতায় লিখে রাখবা। চ্যাপ্টার ওয়াইজ। তারপর গোসল, ভাত খাওয়া, সিঁড়ি দিয়েই নামা, বাসের জন্য অপেক্ষা, ইত্যাদি যযেকোন কিছু করার সময় চিন্তা করবা। যতবেশি চিন্তা করবে, যতবেশি মনে মনে রিভাইজ দিবা তত বেশি মনে থাকবে।

>< জ্ঞান দেয়া এমনিতে আমরা ভালো চোখে না দেখলেও পড়া মনে রাখতে এটা হেল্পফুল। নিজে যা শিখছো সেটা অন্যকে শেখানোর ট্রাই করো। ওই অন্য কেউ শিখুক আর না শিখুক। তোমার মনে ব্যাপারটা ভালো করে গেঁথে যাবে।

>< গল্প করে করে পড়া। আমরা যেটাকে গ্রুপ স্টাডি বলি। এটাও মনে রাখতে হেল্প করে।


FI Kolpo
একাউন্টিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form