Aviation History

ইতিহাস বলে সব যুদ্ধের দান,চলুন এর সত্যতা দেখি!
উড়ার শখ সবারই থাকে তাই "আমি পাখির মতো উড়তে চাই" একটি চির চেনা বাক্য মনে হয় যা প্রায়শই আমরা বলে ফেলি।এই শখ মেটাতে বেলুন দিয়ে যাত্রা শুরু এভিয়েশন ফিল্ডের,তারপর একদিকে আবেগি মনের উদ্ভাবন অন্যদিকে ভীতিকর বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতির অত্যাধুনিক অস্ত্র হিসেবেই চলতে থাকে আকাশ জয়ের নেশা আর এই নেশায় ইচ্ছা-অনিচ্ছায় মত্ত ইঞ্জিনিয়াররা নিয়ে আসে যুগান্তকারী সব বিমান যা বিংশ শতাব্দীকে এক অমর উপাধি দেয় "Century of Flight"
🛩World War 1 একদিকে উড়ার শখে মত্ত কিছু প্রাণ আর অন্যদিকে ভয়,ঘৃণা,লোভের রিপুতে ভরা কিছু প্রতাপশালী ব্যাক্তির ক্ষমতার তাণ্ডব নিয়ে এলো প্রথমসারির মনোপ্লেন,বাইপ্লেন যেগুলো সবই ছিলো অনেক ত্রুটিযুক্ত তাও সে সময়ের বিশাল অর্জন।যুদ্ধ না হলে হয়তো এরোন্যটিক্স শিল্পে এমন বিপ্লব কখনোই হতো না।
🛩 World War 2 আমেরিকা,জার্মান,ব্রিটিশ,ফ্রান্স,জাপান,রাশিয়া এই শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যকার চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা পৃথিবীকে আর কিছু না দিলেও যুগান্তকারী সব প্রযুক্তি উপহার দিয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে আমরা পেয়ে যায় Jet ও Rocket Engine যা সত্তিই এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে।আর এর পরপরেই শুরু হয় অধিকতর শক্তিশালী,দ্রুত,ক্ষিপ্র বিমান বানানোর প্রতিযোগিতা যার মূল লক্ষ্য ছিলো যুদ্ধ জয়।
🛩 Cold War এর সময়েই আমরা চাঁদে পা রাখি তাই যথার্থই বলতে পারেন এই সময়ে শুরু হয় আমাদের প্রযুক্তির এক নব অধ্যায়,Space Race যেখানে রাশিয়া আর আমেরিকার প্রতিযোগিতায় পুরো বিশ্ব চন্দ্রজয়,স্যাটেলাইট,মহাকাশ মিশন এমনকি International Space Station এর মত চমক দেখতে পায়।এময়েই আমরা শব্দের চেয়ে দ্রুত বেগ অর্জন করি,Supersonics.
🛩 Gulf War এ আমরা পেয়েছি Stealth Technology।রাডার ফাঁকি দেওয়ার এক অভিনব যাত্রা।এই যুদ্ধেই আমরা বিমানের ক্যামোফ্লাজ প্রযুক্তি পেয়ে যায় যার উদ্দেশ্য ছিলো শত্রুর অজান্তেই তার সীমানায় ডুকে তথ্য সংগ্রহ বা হামলা চালানো।
তো,কী বুঝলেন?
যুদ্ধের অবদান অস্বীকার করা কী সম্ভব?
একের পর এক এই যুদ্ধগুলো আমাদের বিধ্বংসী সব অস্ত্র দিতে গিয়ে হয়তো তাদের অজান্তেই মানবসভ্যতাকে পাখি বা নিঃসন্দেহে পাখিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
রাইট ব্রাদার্স আর হিটলারকে তুলনা করেন,একজনের স্বপ্ন ছিলো নিতান্ত পাখির মতো উড়া যা তাদের এনে দিলো বিশ্বের বুকে প্রথম সফল ফ্লাইট আর হিটলারের মত ব্যক্তিরা আমাদের যে উপকার করেছে তা হলো তারা তাদের স্বার্থ হাসিল করতে তীক্ষ্ণ মেধাবী সুদক্ষ সব ইঞ্জিনিয়ারদের গবেষণায় প্রচুর টাকা ইনভেস্ট করেছে যা আমাদের এনে দিলো Jet Engine,Stealth,Supersonic এর মতো প্রযুক্তি যেসব হিটলার ব্যবহার করেছিল যুদ্ধে আর মানবসভ্যতা এখন সেই মহাযুদ্ধের শান্তি সুফলগুলো ভোগ করছে।
অনেক ত্যাগ আর সময়ের বিনিময়ে এভাবেই মনে হয় যুদ্ধ শান্তি আনে!
ধন্যবাদ।

Writer: Myin Uddin 

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form