মনে রাখার ক্ষমতা কি বাড়ানো যায়?



[এই লেখাটা “গরুর মত” মুখস্ত করা নিয়ে। শুধু এটা করলে পরীক্ষায় ভাল করা যাবে না। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে মানুষ পাই-এর মান দশমিকের পরে ৩০,০০০ সংখ্যারও বেশি মুখস্ত করেছে এবং সেগুলি একজন দুজন না, শত শত মানুষ। সুতরাং মুখস্ত করতে চাইলে এই পদ্ধতি কার্যকর, এটা প্রমাণিত। কিন্তু এই মুখস্ত করার সাথে বোঝার সরাসরি কোন সম্পর্ক নাই। পরীক্ষায় ভাল করতে হলে শুধু স্মৃতি দিয়ে হয় না, বুঝতে হয় স্মৃতির কোন অংশ কীভাবে  কাজে লাগাতে হবে। 

লেখাটা কয়েকটা অংশে ভাগ করা। তাত্বিক কচকচানি পড়তে না চাইলে (৩) আর (৪) পড়লেই চলবে]

১। স্মৃতি কীভাবে কাজ করে?

কম্পিউটারের অনেক কিছুই মানুষের মাথার অনুকরণে বানানো। বিশেষ করে CPUর ডিজাইন বা আর্কিটেকচার ব্রেইনকে নকল করে বানানো। সেটায় বেশি যাব না, কারন এই অংশটা প্রাথমিক ধারনা দেয়ার জন্য লেখা। 

আমরা যদি ২৯+৩৭ এর ফল বের করতে যাই, আমরা হিসাব করি এইভাবেঃ ৯ আর ৭ এ ১৬-র ৬ লিখলাম, হাতে থাকলো ১। ২ আর ৩ এ ৫, হাতের এক যোগ করে ছয়। এই যে হাতে রাখা, এই জিনিসটা কই রাখি? আমরা এটাকে অস্থায়ী স্টোরেজ বলতে পারি, যেখানে অল্প সময়ের জন্য কিছু রাখা দরকার। আমরা এটা নিয়ে চিন্তা করি না, কিন্তু আমাদের ব্রেইনে এই ধরনের সাতটা অস্থায়ী স্টোরেজ আছে। সেখানে আমরা একসাথে সাতটা এক অঙ্কের সংখ্যা, ছয়টা অক্ষর, বা পাঁচটা শব্দ রাখতে পারি। এটা কি সবার জন্য বা সব সময় সাত/ছয়/পাচ?? না। কারুর জন্য সেটা কম হতে পারে, কারুর জন্য বেশী হতে পারে। সময়ভেদেও এর পরিবর্তন হতে পারে। ১৯৫৬ সালে লেখা একটা আর্টিকেলে এটা প্রথম তুলে ধরা হয়, এবং লেখকের নাম অনুসারে এটাকে মিলার’স ল বলা হয়। 

The magical number seven, plus or minus two: Some limits on our capacity for processing information.

https://doi.apa.org/doiLanding?doi=10.1037%2Fh0043158

এটা থেকে আমরা পেলাম আমাদের প্রথম সীমাবদ্ধতা। এক সাথে সাতটার (ক্ষেত্র বিশেষে কম-বেশি) বেশি ছোট ছোট তথ্য আমরা গ্রহণ করতে পারি না। [একটা অপ্রয়োজনীয় তথ্য: এই কারনে অ্যামেরিকায় ফোন নাম্বার সাত ডিজিটের। যেমন হোয়াইট হাউসের এলাকা নির্দেশ করার জন্য প্রথমে ২০২, এবং তার পরে মূল ফোন নাম্বার হচ্ছে ৪৫৬-১১১১ [(202) 456-1111]। যখন অ্যামেরিকার ফোন নাম্বার কীভাবে হবে সেটা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছিল, তখন স্মৃতির এই “সাত” সীমাবদ্ধতার কথা চিন্তা করে ফোন নাম্বার সাত ডিজিট করা হয়েছিল, যাতে মানুষ শুনে মনে রাখার চেষ্টা করতে পারে। এটা আট ডিজিট হলে সেখানে শুরুতেই সমস্যা হয়ে যেত। আমি বিদেশে বসে যখন শুনলাম বাংলাদেশে মোবাইল ফোন নাম্বার ১০ ডিজিট ও পরে ১১ ডিজিট করা হয়েছে, তখন মনে হলো, এখানে একটা ভুল করেছে কর্তৃপক্ষ]

এই “সাত”টা সংখ্যা স্মৃতির যেখানে জমা হয়, সেটাকে বলা হয় working memory। উপরের অংকের হাতে “১” যখন রাখি, তখন সেটা এই ওয়ার্কিং মেমোরিতে থাকে। আমি যদি উত্তরটা না লিখে অন্য কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়ি, তাহলে আমাকে আবার সেই ৯+৭ থেকে আবার শুরু করা লাগবে। কেন? উত্তরটা খুব সহজ। মোট স্থান আছে সাতটা। প্রতিনিয়ত নতুন তথ্য আসছে, সেগুলিকে স্থান দেয়ার জন্য এই অস্থায়ী ওয়ার্কিং মেমোরি থেকে অন্য কোথাও তথ্যটা জমা করা লাগবে, নয়তো সেটা খুব দ্রুত হারিয়ে যাবে

২। মেমোরিতে খোদাই করা

কীভাবে ওয়ার্কিং মেমোরি থেকে লং টার্ম বা দীর্ধস্থায়ী মেমোরিতে যাবে? 

ক) রিপিট করতে হবে। ) 456-1111 ফোন নাম্বারটা দুই-তিন বার মনে মনে বলতে হবে।

খ) জোরে জোরে বললে আরো ভাল। কান দিয়ে শব্দ ঢুকলে সেটা একটু আলাদা পথ দিয়ে মেমোরিতে যায়, এবং সেটা সম্ভবত বেশি টেকসই। 

https://spinalresearch.com.au/struggling-remember-repeat-loud/

গ) লিখলে আরো ভাল। কিন্তু কম্পউটারে টাইপ করলে সেটা সমান ফলাফল দিবে না। কাগজে পেন্সিল/কলম দিয়ে লিখতে হবে

https://www.pbs.org/wgbh/nova/article/taking-notes-by-hand-could-improve-memory-wt/

৩। দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি

লং টার্ম মেমোরিতে গেল। এটাকে দুইভাগে ভাগ করা যায় (অন্য ভাবেও করা যায়, আমি এভাবে বলছি কারন বিসিবিতে মাঝে মাঝে এটা নিয়ে একটা প্রশ্ন আসে। 

- Procedural (রুটিন ধরা কাজ- যেমন জুতার ফিতা বাঁধা, সাইকেল চালানো

- Declarative (ঘোষণা দেয়া যায়, ঘটনা ও ফ্যাক্ট সম্পর্কিত)। এগুলি মনে করা যায়, মুখে বলা যায় (তাই 'ডিক্লেয়ার' করা যায়)

ডিক্লারেটিভ আবার দুই রকম।

-- এপিসোডিক (অনিয়মিত)--কালকে একটা সিনেমা দেখলাম

-- সেমানটিক (শব্দার্থগত)—“বৃষ্টি” শব্দটার অর্থ কী? উত্তর: বৃষ্টি মানে আকাশ থেকে পড়া পানি

সেমানটিক বা শব্দার্থগত স্মৃতি শুধু লং-টার্ম মেমোরিতে যায় তাই না, আমরা অর্থ সহ সেটা জানি, কনসেপচুয়ালি বুঝে রাখি সেটা।

[বিসিবিতে বার বার আসা প্রশ্ন: মানুষ মাথায় আঘাত পেলে ভাষা ভোলে না কেন? ভাষা, বোঝাই যাচ্ছে, সেমানটিক মেমোরিতে যায়। তবে শুধু ভাষা না। আমি যদি নিউটনের প্রথম সূত্র শুধু মুখস্ত না করে বেসিক সহ বুঝি, সেটাও সেমানটিক মেমোরিতেই যাবে। অন্যভাবে বললে, এপিসোডিক মেমোরি (কালকে কী দিয়ে ভাত খেয়েছি) সেটায় পৌছানোর দরজা মাত্র একটা। সেমানটিক মেমোরিতে পৌছানোর দরজা অনেকগুলি... একটা বন্ধ থাকলেও সেটায় পৌছানোর অন্য পথ থাকে, তাই আমরা সেগুলি গুদাম থেকে তুলে আনতে পারি।

তাই ভাষা ভুলে যাওয়া কঠিন কারন সেটা সেমানটিক মেমোরিতে যায় যেখান থেকে সেটাকে তুলে আনার পথ অনেক, আর সারা জীবন ব্যবহার ও রিপিট করার কারনে সেটা খুব গভীরভাবে বসে থাকে (২য় অংশ অনুযায়ী)। কিন্তু অসম্ভব না। সেমানটিক মেমোরি মাথার যে অংশে থাকে, সেটায় আঘাত পেলে ভাষাও ভুলে যাবে।]

এই সেকশনের চুম্বক অংশ হচ্ছে, পরীক্ষায় ভাল করতে হলে বুঝে পড়ে সেটাকে সেমানটিক মেমোরিতে ঢোকাতে হবে।

৪। স্মৃতি প্রাসাদ

এই অংশে প্রথমে উল্লেখিত “গরুর মত” মুখস্ত করার টেকনিক আলোচনা করা হবেl অনেক তথ্য আমরা সেমানটিক মেমোরিতে কীভাবে ঢোকাবো? সেটা বুঝে পড়া বায়োলজি বা ইতিহাস বা পদার্থবিজ্ঞান হতে পারে, তবে এখানে বোঝানোর সুবিধার জন্য আমি দুইটা নির্দিষ্ট উদাহরণ দেব, যেগুলি আসলে সম্পর্কিত। 

প্রথম উদাহরন হচ্ছে মেমোনিক বা স্মৃতিসূত্র। রংধনুর সাতটা রঙ কী? আমরা অনেকেই এটাকে শিখেছি, “বেনীআসহকলা” তারপর মুখস্ত করেছি, বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল। বেনীআসহকলা অনেকটা ম্যাপের মত কাজ করে, আমাদের ব্রেইন থেকে তথ্য তুলে আনতে সাহায্য করে। 

২য় উদাহরণ বোঝার জন্য আমাদেরকে একটু বিবর্তন ঘুরে আসতে হবে। আমাদের আদিম পূর্বপুরুষদের জন্য একটা স্কিল খুব জরুরী ছিল। সেটা হচ্ছে, শিকার করতে বা অন্য কোন কারনে নিজের দল ছেড়ে দূরে গেলে পথ চিনে ফেরত আসা। এটার ওপর টিকে থাকা নির্ভর করতো। যারা এই কাজটা ভাল করতে পারতো না, তারা মারা গিয়েছে, এবং ফলে তাদের জিন পরবর্তি প্রজন্মতে যাওয়ার সুযোগ পায় নাই। সুতরাং হাজার হাজার বছরের বিবর্তনের ফল আমাদের এই পথ চিনে ফেরত আসার ক্ষমতা। তাই আমরা মানুষকে বর্ণনা দেই, রিকশাকে বলবেন, কলেজের সামনে নিয়ে যেতে। সেখানে দেখবেন, মতিন ট্রেডার্স নামে একটা দোকান আছে। সেটাকে হাতের ডানে রেখে একটা গলি পার হয়ে পরের গলিতে ঢুকবেন, আমাদের বাসার জানালাগুলি সবুজ, গলির চতুর্থ বাসা, হাতের ডানে। নিজেরা যখন বাসায় ফিরি, আমরা ঠিক এভাবেই পথ খুঁজে পাই, যদিও সেটা অভ্যাসের কারনে অবচেতন মনেই করতে পারি আমরা। কারন আমাদের মাথায়, সেমানটিক মেমোরিতে বসে আছে, কিসের পরে কী আসবে। এই যে ক্রম, সেটা কিন্তু “বেনীআসহকলা”-র মত আরোপিত না। দৈনন্দিন যাওয়া আসায় সেটা আমাদের এমনিতেই মুখস্ত হয়ে আছে।

এবার একটা প্র্যাক্টিকাল করা যাক। প্র্যাক্টিকালটা করার জন্য তোমার প্রতিদিনের পথে দেখা যায়, এমন দশটা জিনিস মনে কর। সেগুলি যেন তোমার যাত্রার দিকে ক্রমানুসারে হয়। চোখ বন্ধ করে একবার ঐ দশটা জিনিস কল্পনা কর। তোমার ঘরের দরজা হতে পারে প্রথম জিনিসটা। তোমার বাসার পাসের বাসার দরজা হতে পারে ২য়টা, ইত্যাদি। এই 

এবার এই তালিকাটা পড়

তালি

ডাকাত

বাঘ

অগভীর

শক্তি

ধ্বংস

সুন্দরবন

সংসদ

গ্রীষ্ম

হইচই

পড়েছো? প্রথম শব্দ, “তালি”, সেটাকে কল্পনা কর আগের দশটা জিনিসের প্রথমটায় “তালি” শব্দটা ঝুলিয়ে দাও। যদি তোমার প্রথম জিনিস ঘরের দরজা হয়, কল্পনা কর দরজাটা তালি বাজাচ্ছে। এভাবে একে একে দশটা শব্দকে দশটা জিনিসের সাথে সম্পর্কিত কর। সেটা হতে পারে শুধু শব্দটা জিনিসটার ওপরে লেখা। অথবা কল্পনা করতে পার সামনের বাসায় ডাকাতি হচ্ছে।

দশটা হয়েছে? এবার চোখ বন্ধ করে ভ্রমণের কল্পনা কর। প্রথম জিনিসে কোন শব্দ ছিল? ২য় জিনিসে? ৩য় জিনিসটা কী ছিল? সেটায় কোন শব্দ? দেখবে, এভাবে খুব সহজেই দশটা শব্দ ক্রম অনুসারে মনে রাখা যায়। 

এই পদ্ধতিকে বলা হয় স্থানের পদ্ধতি (Method of loci, মেথড অফ লোকাই [অনেকে ইংলিশে উচ্চারণ করে লোসাই, মূল ল্যাটিনে লোকাই])। এই পদ্ধতিতে বিশাল বিশাল তালিকা মুখস্ত রাখার জন্য মানুষ রাজপ্রাসাদ বা বড় বাসার ভেতরের অনেক কিছুর তালিকা ব্যবহার করে, বা উপরে আমাদের উদাহরণের মত একটা যাত্রার সময় দেখা জিনিসের তালিকা ব্যবহার করে। তাই এটাকে মেমরি প্যালেস বা স্মৃতি প্রাসাদ অথবা স্মৃতিযাত্রাও বলা হয়। 

এটা কেমন কাজ করে তা নিয়ে অনেক রিসার্চ আছে। একটা পেপারের লিংক দিচ্ছি। পাকিস্তানে একটা মেডিকাল কলেজে একটা টপিক পড়ানোর পরে কিছু ছাত্রছাত্রীদের Method of loci শেখানো হয়। পরিচিত স্থানের তালিকার জন্য তারা কলেজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান ব্যবহার করে। তারপর দেখা যায়, যারা যারা অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করেছে তাদের গড় মার্ক ৮.১০, যারা Method of loci শিখেছে তাদের গড় মার্ক ৯.৩১

https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC4056179/

কিন্তু আমার দেয়া উদাহরণে তো শুধু আলাদা আলাদা শব্দ ছিল। ৫০০ শব্দের “নৌকাভ্রমণ” রচনা শিখতে কি তাহলে আমার ৫০০ টা জিনিসের তালিকা বানানো লাগবে? না, লাগবে না। যদি ৫০০ শব্দের রচনা তে ১০টা প্যারাগ্রাফ থাকে, তাহলে ১০টা জিনিস হলেই হবে। একটা প্যারাগ্রাফ পড়ে, রিপিট করে, একটা জিনিসে ঝুলিয়ে দিলেই হবে। 

তারপর যখন মনে করতে হবে, কল্পনায় আবার ঐ পথ ধরে হেটে যাও। স্মৃতিগুলো ফেরত আসবে তোমার কাছে আবার। 

তাহলে কীভাবে করতে হবে?

ক) একটা স্মৃতি প্রাসাদ / মেমোরি প্যালেস বানাতে হবে মনের ভেতর

খ) সেটাতে একটা পথ নির্ধারন করতে হবে, বা কিছু জিনিসের ক্রম অনুসারে তালিকা তৈরি করতে হবে

গ) সেই বস্তুগুলির সাথে যা মনে রাখতে চাই, সেগুলিকে যুক্ত করা লাগবে মনের ভেতরে

ঘ) একবার পথ ধরে হেটে গিয়ে দেখতে হবে, সব ঠিকমত ফেরত আসে নাকি। 

অবশ্যই, এটা এত সহজ কোন জিনিস না। প্র্যাকটিস করা লাগবে। কিন্তু অবাক করা ব্যপার হচ্ছে, এই প্র্যাকটিসটা কঠিন না। শুধু সময় নিয়ে নিয়মিত করা লাগবে। আর প্রথমে ২-৩ ঘন্টা সময় দিতে হবে পদ্ধতিটা শেখার জন্য। 

তাই হোমওয়ার্ক দিচ্ছিঃ

ক)

এই তিনটা ভিডিও দেখে শুরু করে দাও তাহলে

https://www.youtube.com/watch?v=mh9B5UJbbRg (ইন্ট্রোডাকশন)

https://www.youtube.com/watch?v=3vlpQHJ09do (এই লোক বিখ্যাত তার মেমোরির জন্য)

https://www.youtube.com/watch?v=eIQRiqQFKQY (সব শেষে এটা। এই লোকের আরো অনেক ভিডিও আছে, সেগুলিও দেখতে পার) 

খ) তারপর এই উইকিহাও পেইজটা পড়

https://www.wikihow.com/Build-a-Memory-Palace


ছবি উইকিহাও থেকে। 

ফুটনোটঃ

আমি মেমোরি প্যালেস দিয়ে কিছু মুখস্ত করি নাই। স্কুলে/ইউনিভার্সিটতে থাকার সময় আমি একটা লাইব্রেরি কল্পনা করতাম, যেখানে বিভিন্ন তথ্য জমা রাখতাম, দরকারের সময় সেগুলি টেনে বের করতাম। আমি মেমোরি প্যালেসের কথা জানতাম না, সুতরাং আমি যেটা করতাম সেটা বেনীআসহকলা-র মত একটা জিনিস যেখানে আমাকে প্রথমে আরেকটা জিনিস মুখস্ত করা লাগতো। সুতরাং সেটা ইনএফিশিয়েন্ট ছিল। 

মেমোরি প্যালেসের সাথে আমার পরিচয় এই বইটা পড়ে। Moonwalking with Einstein: The Art and Science of Remembering Everything। পড়ার পরে প্র্যাকটিস করে দেখেছি, আসলেই খুব ভাল কাজ করে।

তবে এখন আর মুখস্ত করার দরকার হয় না, যতটুকু মেমোরি আছে তাই ভাঙ্গিয়েই চলছে।

Writer: Javed Ikbal

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form