(এক)
ড্রোনগুলো পিছু নিয়েছে আবার।
'খসিয়েই তো দিয়েছিলাম। আবার খুঁজে পেলো কি করে?', ভাবলো বুলবুল। উড়ছে দ্রুত গতিতে। জানে, ড্রোনগুলো কাছাকাছি চলে এলেই এক ধরনের বিষাক্ত ডার্ট ছুড়তে থাকে।এক একটা ডার্ট ওকে চব্বিশ ঘন্টার জন্য অচেতন করে দেবার জন্য যথেষ্ট। ইতিমধ্যেই একবার ঐ ডার্টের স্বাদ পেয়েছে সে। দ্বিতীয়বার আর পাবার ইচ্ছে নেই।
সামনে ফাঁকা মতোন জায়গাটা দেখে মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেলো। বনের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে উপড়ে উঠতে লাগলো দ্রুত। পিছন ফিরে তাকিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিলো, হ্যাঁ, ড্রোনগুলোও ওকে অনুসরণ করতে শুরু করেছে।
অনেকটা উপরে উঠে এসে বিরাট ডানাদুটো মেলে দিয়ে নিজেকে কিছুক্ষন স্থিরভাবে ধরে রাখলো বুলবুল। বড় ধরনের ফড়িং এর মতো দেখতে ড্রোণগুলোকে কাছে আসার সময় দিলো কিছুটা। তারপর ছেড়ে দিলো নিজেকে।
বাতাস কেটে নীচের দিকে পড়ছে বুলবুল। ডানা দুটোকে কিছুটা ভাজ করে সামনের দিকে বাড়িয়ে রেখেছে। গতি বাড়ছে দ্রুত। ওকে অনুসরন করা চারটা ড্রোনও গতি বাড়িয়েছে। ধীরে ধীরে কমছে দূরত্ব।
একেবারে মাটির কাছাকাছি চলে আসার পর ওর ডানাদুটোকে মেলে দিলো আবার। প্রায় মাটি ঘেঁষে উড়তে শুরু করলো। কিন্তু যান্ত্রিক ফড়িংগুলো এরকম কিছু আশা করেনি। গতি সামলাতে পারলোনা। সোজা এসে মাটিতে আঘাত করলো দুটো। বাকি দুটো নিজেদের মধ্যেই ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়লো।
পিছনে বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে মাটিতে নামলো বুলবুল। নিশ্চিত হবার জন্য এগিয়ে এলো খানিকটা। যাক, একটাও আর আস্তো নেই!
কিন্তু হিসেবে ভুল করে ফেলেছিলো ও।পঞ্চম ড্রোনটা ভুতের মতো উদয় হলো ওর পিছনে।ছুঁড়ে দিলো বিষাক্ত ডার্ট। চোখের সামনে একটা কালো পর্দা নেমে আসতে সময় নিলোনা।
-------
মনিটরের সামনে দাঁড়ানো লোকটার বীভৎস মুখে ফুটে উঠল ক্রুর, নিষ্ঠুর একটা হাসি। অবশেষে ডানাওয়ালা অদ্ভুত ছেলেটার খোঁজ পাওয়া গেছে। দুদিন আগে তার হাত থেকে পালিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু এখন আবার ধরে আনা যাবে। বনের ভিতরে লাগানো ক্যামেরাগুলো বেশ ভালো কাজে দিয়েছে। কন্ট্রোল প্যানেলে বিশেষভাবে তৈরী ড্রোনগুলোকে কিছু নির্দেশ দিয়ে দিলো লোকটা। বসে থাকলে এখন চলবেনা তার।অনেক কাজ পড়ে আছে।
(দুই)
'বিলু,বিলু'
একদম যেনো মগজের ভিতর ডাকটা শুনতে পেলো বিলু। ঘুম ভেঙ্গে ধড়মড় করে খাটে উঠে বসলো।
'কে?'
'আমি। টুকুনজিল'
প্রথমে ব্যাপারটা বিশ্বাস করতে পারলোনা বিলু। কিন্তু কৈশোরের কথাগুলো মনে পড়ে গুলো মুহুর্তেই। বসা অবস্থাতেই একটা লাফ দিলো বিলু।
'সত্যিই তুমি টুকুনজিল? ফিরে এসেছো?'
'হ্যাঁ, আমি এসেছি'
'বিলু,বিলু'
একদম যেনো মগজের ভিতর ডাকটা শুনতে পেলো বিলু। ঘুম ভেঙ্গে ধড়মড় করে খাটে উঠে বসলো।
'কে?'
'আমি। টুকুনজিল'
প্রথমে ব্যাপারটা বিশ্বাস করতে পারলোনা বিলু। কিন্তু কৈশোরের কথাগুলো মনে পড়ে গুলো মুহুর্তেই। বসা অবস্থাতেই একটা লাফ দিলো বিলু।
'সত্যিই তুমি টুকুনজিল? ফিরে এসেছো?'
'হ্যাঁ, আমি এসেছি'
আচমকা ঘাড়ে তীব্র একটা যন্ত্রনা অনুভব করায় বুঝতে পারল, টুকুনজিল তার অস্তিত্বের প্রমাণ দিচ্ছে।
'আউফ! বুঝেছি বুঝেছি, তুমি সত্যিই টুকুনজিল। কিন্তু তুমি পৃথিবীতে করছো কি? আবার বুঝি স্পেসশিপ নষ্ট হয়েছে?
'না বিলু। বিপদ। মহাবিপদ।'
'কিসের বিপদ টুকুনজিল?'
'পৃথিবীর। পৃথিবীর মহাবিপদ।'
'না বিলু। বিপদ। মহাবিপদ।'
'কিসের বিপদ টুকুনজিল?'
'পৃথিবীর। পৃথিবীর মহাবিপদ।'
একে তো টুকুনজিলের ফিরে আসা,তারপর এখন আবার বলছে পৃথিবীর মহাবিপদ।বিলুর কাছে সবকিছু কেমন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু টুকুনজিল বোঝার জন্য সময় দিলোনা ওকে। আচমকা শুণ্যে তুলে ফেললো। তারপর ঘরের জানালা দিয়ে বাইরে বের করে আনলো।জানালার লোহার গ্রিল সমান করে কেটে রাখার কাজটা আগেই সেরে রেখেছিলো টুকুনজিল।
ধীরে ধীরে ভাসতে ভাসতে বাড়ির পিছনের মাঠে এসে নামলো বিলু। দেখলো,চারজন মানুষ দাঁড়িয়ে সেখানে। মানুষ গুলোর চেহারা কেমন অদ্ভুত।পোশাক-আশ াকও কেমন যেনো অন্যরকম।
'এরা কী তোমার গ্রহের মানুষ নাকি টুকুনজিল?'
কিন্তু কোনো উত্তর পেলোনা বিলু। বরং চারজনের মধ্যে থেকে একজন এগিয়ে এলো ওর দিকে। লোকটা ওর বয়েসীই হবে। হাত বাড়িয়ে বললো,'আমি রিকি'। পিছনে দাঁড়ানো তিনজনের দিকে ইঙ্গিত করে বললো, 'ইগা, টুকি ও ঝা।'
'তুমি নিশ্চয়ই বিলু,তাইনা?'
'তুমি নিশ্চয়ই বিলু,তাইনা?'
বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে গেছে বিলু। পোষাক দেখে বিদেশীই তো মনে হয়। কিন্তু এমন স্পষ্ট বাংলা বলছে কিভাবে? তবে কি এরা নতুন কোনো বিজ্ঞানীর দল? টুকুনজিলকে ফাঁদ পেতে ধরার চেষ্টা করছে? কিন্তু টুকুনজিল কেনো তাহলে এদের কাছে নিয়ে এলো ওকে? এসবের সাথে পৃথিবীর মহাবিপদের সম্পর্কইটা বা কোথায়? মনের ভিতর এমন হাজারটা প্রশ্ন সামলে কোনোরকমে রিকির হাতটা ধরে বললো, 'হ্যাঁ, আমি বিলু। কিন্তু আপনারা....'
হাত নেড়ে ওকে থামিয়ে দিলো রিকি।
'সব জানতে পারবে। এখন সময় নেই। এক্ষুনি রওনা দিতে হবে।'
'কোথায় রওনা দিবো?', জিজ্ঞাসা করতে যাচ্ছিল বিলু, কিন্তু মাথার উপর ভারী একটা যান্ত্রিক গুঞ্জন থামিয়ে দিলো ওকে । চাঁদটা ঢেকে গেছে একটা কালো ছায়ায়। কী ওটা? বিলুকে হতভম্ব করে দিয়ে মাটিতে এসে ল্যান্ড করলো বিচিত্র একটা আকাশযান।
'সব জানতে পারবে। এখন সময় নেই। এক্ষুনি রওনা দিতে হবে।'
'কোথায় রওনা দিবো?', জিজ্ঞাসা করতে যাচ্ছিল বিলু, কিন্তু মাথার উপর ভারী একটা যান্ত্রিক গুঞ্জন থামিয়ে দিলো ওকে । চাঁদটা ঢেকে গেছে একটা কালো ছায়ায়। কী ওটা? বিলুকে হতভম্ব করে দিয়ে মাটিতে এসে ল্যান্ড করলো বিচিত্র একটা আকাশযান।
কিছুক্ষন পর ওটা থেকে চৌকো একটা দরজা খুলে বেরিয়ে এলো বয়স্ক একজন লোক। উস্কোখুস্কো চুল দাঁড়ি সব ধবধবে সাদা।
লোকটার সাথে বিলুর পরিচয় করিয়ে দিলো রিকি, 'পরিচিত হও বিলু। ইনি বিজ্ঞানী সফদর আলী'
(তিন)
কিম্ভুত আকৃতির যানটা উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইগা। ভবিষ্যত পৃথিবীর বাই-ভার্বালের সফদর আলী সংস্করণ বলা যায় এটাকে।
কিম্ভুত আকৃতির যানটা উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইগা। ভবিষ্যত পৃথিবীর বাই-ভার্বালের সফদর আলী সংস্করণ বলা যায় এটাকে।
নরম গদির একটা সিটে হেলান দিয়ে বসে আছে বিলু। রিকি ওকে বুঝিয়ে বলেছে সব। ত্রিনিত্রি রাশিমালা কী, কীভাবে কাজ করে, কীভাবে ওরা ফাঁকি দিয়ে শ্যালক্স গ্রুণের হাত থেকে পৃথিবীকে প্রায় বাঁচিয়ে দিয়েছিল। প্রায়। কারণ ওদের পাঠানো রোবটকে অচল করে দিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে এসেছে শ্যালক্স গ্রুন। তবে ইঞ্জিনে বড় ধরনের ত্রুটি থেকে যাওয়ায় চলে এসেছে হাজার বছর অতীতে।
রোবটটা অচল হবার আগে, গ্রুনের শরীরের ভিতরে লুকোনো ভাইরাস এম্পুলটা নষ্ট করে দিতে পেরেছিলো। আঘাতের ক্ষত সারাতে গিয়ে শারীরিক বিকৃতি ঘটেছে গ্রুণের শরীরে। যার কারণে আরো ক্ষেপে উঠেছে সে। প্রচন্ড ক্রোধে পৃথিবীটা ধ্বংস করে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
খবরটা পাবার সাথে সাথে ওয়ার্মহোল তৈরী করে অতীতে চলে আসে ইগা। আসার আগে শুধুমাত্র রিকিকে খবরটা জানাতে পেরেছিলো। কিন্তু আসার পরপরই গ্রুনের হাতে ধরা পড়ে যায়। এদিকে ইগার কাছ থেকে খবর পাবার পর ইয়োরন রিসির সাথে যোগাযোগ করে রিকি। ইয়োরন রিসি টুকি আর ঝাকে ওর সাথে অতীতে পাঠিয়ে দেয়। অতীতে এসে সফদর আলীকে খুঁজে পায় ওরা। গ্রুনের কাছ থেকে পালিয়ে এসে ইগাও যোগ দেয় ওদের সাথে।
কিন্তু সমস্যা বাঁধে অন্যখানে। অতীতের এই পৃথিবীতে আসার পর এখানে এক এলিয়েন লাইফ ফর্মের উপস্থিতি ট্রেস করতে সক্ষম হয় টুকি। কিন্তু সেটা কি বা কেমন, তার সাথে কিভাবে যোগাযোগ করা যায় তার কোনো উপায় পাচ্ছিলনা তারা। অবশেষে সেই এলিয়েন নিজেই তাদের সাথে যোগাযোগ করে। জানায় তার নাম টুকুনজিল। তার কাছ থেকেই বিলুর কথা জানতে পারে। শেষে সব ভেবেচিন্তে বিলুকেও তাদের দলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রিকি।
অপারেশন গ্রুন হান্ট। এ নামেই অভিযানটাকে ডাকছে রিকি।বর্তমানে টুকি আর ঝায়ের সাথে পরিকল্পনা করতে ব্যস্ত সে। এই অদ্ভুত দুই মানিক-জোড়কে দেখে মনে মনে হাসলো বিলু।কিন্তু মনে কেমন স্বস্তি পাচ্ছেনা। রিকি ওকে অনেক কথা বললেও, আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর ও পায়নি। রিকির কথা সত্যি হয়ে থাকলে পৃথিবীতে আরো আগেই এসেছে টুকুনজিল। কেনো? আর এসেই যদি থাকে, তাহলে ওর সাথে যোগাযোগ করেনি কেনো?
'টুকুনজিল, আছো?'
'বলো'
'তুমি গ্রুনের কথা জানলে কীভাবে?পৃথিবীর উপর কী নজর রাখো সবসময়?'
'বলো'
'তুমি গ্রুনের কথা জানলে কীভাবে?পৃথিবীর উপর কী নজর রাখো সবসময়?'
উত্তরে কী বললো টুকুনজিল, ভালোমতো শুনতে পেলোনা বিলু। প্রচন্ড ঝাঁকুনি শুরু হয়েছে বাই-ভার্বালে। যেনো রিখটার স্কেলে নয় মাত্রার ভূমিকম্প হচ্ছে। বিলুর যখন মনে হচ্ছিল এভাবেই বুঝি মারা যাচ্ছে ও, তখনই প্রচন্ড একটা ধাক্কায় থেমে গেল আকাশযান। ইগা ঘোষনা করল, 'পৌঁছে গেছি'
জানালার বাইরে তাকিয়ে জায়গাটা ঠিক চিনতে পারলো না বিলু। তবে উঁচু উঁচু গাছ গাছালির সমারোহ বলে দিচ্ছে তারা এখন গভীর অরণ্যে।
(চার)
কাঁধে ভারী একটা অস্ত্র ফেলে বনের ভিতর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ইগা। এই এলাকায় আগেও এসেছে সে। গ্রুনের মহাকাশযানের অবস্থান জানা আছে তার। পেছন পেছন আসছে রিকি, বিলু। ওদের হাতেও অস্ত্র ধরিয়ে দিয়েছে টুকি আর ঝা। নিজেরা থেকে গেছে বাই-ভার্বালে, ব্যাকআপ হিসেবে। বাকি তিন জনের শরীরে লাগিয়ে দিয়েছে এক ধরনের ট্র্যাকার। কোনো কারণে কারো ট্র্যাকারের সিগন্যাল বন্ধ হয়ে গেলেই ওরা খুঁজতে বেরিয়ে পড়বে। বিলুকে নিশ্চিত করেছে টুকুনজিল, ওর মহাকাশযানেও ক্ষেপনাস্ত্র আছে এবার। সুতরাং ভয় নেই। এখানেও অবাক লাগছে বিলুর। টুকুনজিল চাইলেই তো এক নিমেষে গ্রুণের মহাকাশযানে ঢুকে ওকে অচল করে দিয়ে আসতে পারে। তা করছেনা কেনো? কিংবা এতোক্ষণেও করেনি কেনো?
'টুকুনজিল, তুমি কি লুকাচ্ছো আমার কাছ থেকে?'
'না'
'তাহলে বলো, পৃথিবীর মহাবিপদ তুমি জানলে কিভাবে?'
উত্তর নেই।
'টুকুনজিল'
'আছি'
'উত্তরটা দাও।
'আমি...জানিনা। কেউ একজন খবর পাঠিয়েছে'
'কে সে? শ্যালক্স গ্রুন?'
'জানিনা'
'আচ্ছা তাহলে বলো, শ্যালক্স গ্রুন এখন কোথায়?
'এখানেই আছে'
কাঁধে ভারী একটা অস্ত্র ফেলে বনের ভিতর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ইগা। এই এলাকায় আগেও এসেছে সে। গ্রুনের মহাকাশযানের অবস্থান জানা আছে তার। পেছন পেছন আসছে রিকি, বিলু। ওদের হাতেও অস্ত্র ধরিয়ে দিয়েছে টুকি আর ঝা। নিজেরা থেকে গেছে বাই-ভার্বালে, ব্যাকআপ হিসেবে। বাকি তিন জনের শরীরে লাগিয়ে দিয়েছে এক ধরনের ট্র্যাকার। কোনো কারণে কারো ট্র্যাকারের সিগন্যাল বন্ধ হয়ে গেলেই ওরা খুঁজতে বেরিয়ে পড়বে। বিলুকে নিশ্চিত করেছে টুকুনজিল, ওর মহাকাশযানেও ক্ষেপনাস্ত্র আছে এবার। সুতরাং ভয় নেই। এখানেও অবাক লাগছে বিলুর। টুকুনজিল চাইলেই তো এক নিমেষে গ্রুণের মহাকাশযানে ঢুকে ওকে অচল করে দিয়ে আসতে পারে। তা করছেনা কেনো? কিংবা এতোক্ষণেও করেনি কেনো?
'টুকুনজিল, তুমি কি লুকাচ্ছো আমার কাছ থেকে?'
'না'
'তাহলে বলো, পৃথিবীর মহাবিপদ তুমি জানলে কিভাবে?'
উত্তর নেই।
'টুকুনজিল'
'আছি'
'উত্তরটা দাও।
'আমি...জানিনা। কেউ একজন খবর পাঠিয়েছে'
'কে সে? শ্যালক্স গ্রুন?'
'জানিনা'
'আচ্ছা তাহলে বলো, শ্যালক্স গ্রুন এখন কোথায়?
'এখানেই আছে'
টুকুনজিলের কথা শেষ হবার আগেই বনের ভিতর বিরাট একটা মহাকাশযান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো ওরা। ইগা দ্রুত পায়ে এগিয়ে গেলো খানিকটা, তারপর ইশারায় বাকিদের সামনে এগুনোর নির্দেশ দিলো।
'টুকুনজিল'
সাড়া নেই। কই যে গেছে কে জানে!
সাড়া নেই। কই যে গেছে কে জানে!
অগত্যা কপালে যা আছে ভেবে রিকিদের সাথে
গোল মতোন একটা দরজা দিয়ে খুব সাবধানে ঢুকে পড়ল বিলু। ভেতরটা অন্ধকার। চার জনের দলটা খুব সন্তর্পণে এগুচ্ছে। সতর্ক। ঠিক কোন ধরনের বিপদ অপেক্ষা করছে, কেউ জানেনা। হঠাৎ খুট করে শব্দ হলো কোথাও।আলোর বন্যায় ভেসে গেলো চারিদিক।টুকুনজি লের আর্তচিৎকার শুনতে পেলো বিলু।
গোল মতোন একটা দরজা দিয়ে খুব সাবধানে ঢুকে পড়ল বিলু। ভেতরটা অন্ধকার। চার জনের দলটা খুব সন্তর্পণে এগুচ্ছে। সতর্ক। ঠিক কোন ধরনের বিপদ অপেক্ষা করছে, কেউ জানেনা। হঠাৎ খুট করে শব্দ হলো কোথাও।আলোর বন্যায় ভেসে গেলো চারিদিক।টুকুনজি
(পাঁচ)
বিলু নিজেও আটকা পড়ে গেছে। চারপাশে অদৃশ্য জালের মতো কিছু একটা ঘিরে ধরেছে তাকে। নড়তে পারছেনা।
'টুকুনজিল'
চিৎকার করে ডাকলো বিলু। সাড়া নেই। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো রিকিও ওর মতো আটকে গেছে। কিন্তু ইগা?
বিলু নিজেও আটকা পড়ে গেছে। চারপাশে অদৃশ্য জালের মতো কিছু একটা ঘিরে ধরেছে তাকে। নড়তে পারছেনা।
'টুকুনজিল'
চিৎকার করে ডাকলো বিলু। সাড়া নেই। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো রিকিও ওর মতো আটকে গেছে। কিন্তু ইগা?
দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে ইগা। অদ্ভুত হাসি খেলা করছে চেহারায়। মুখের উপর থেকে হ্যাচকা টানে আবরণের মতো কিছু একটা তুলে আনলো। বীভৎস একটা মুখ দেখা গেলো সেখানে।
'শ্যালক্স গ্রুন।'
কোনমতে শব্দ দুটো উচ্চারন করলো রিকি।বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে গেছে।
'কি...কিন্তু, ইগার কী করেছো তুমি?’
'অপ্রয়োজনীয় মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই।', শান্ত কন্ঠে জবাব দিলো গ্রুন।
'লোকটা আমাকে মারতে এসেছিলো। নির্বোধ! অবশ্য আমার অনেক উপকার হয়েছে তাতে।তোমাদেরকে বিশেষ করে এলিয়েনটাকে ধরে আনতে পেরেছি। এখন ওর প্রযুক্তিটা আমার দরকার। ওটা পেয়ে গেলেই আবারো ভবিষ্যতে পাড়ি জমাতে পারবো।', কুৎসিত একটা হাসি হাসলো গ্রুন।
'শ্যালক্স গ্রুন।'
কোনমতে শব্দ দুটো উচ্চারন করলো রিকি।বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে গেছে।
'কি...কিন্তু, ইগার কী করেছো তুমি?’
'অপ্রয়োজনীয় মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই।', শান্ত কন্ঠে জবাব দিলো গ্রুন।
'লোকটা আমাকে মারতে এসেছিলো। নির্বোধ! অবশ্য আমার অনেক উপকার হয়েছে তাতে।তোমাদেরকে বিশেষ করে এলিয়েনটাকে ধরে আনতে পেরেছি। এখন ওর প্রযুক্তিটা আমার দরকার। ওটা পেয়ে গেলেই আবারো ভবিষ্যতে পাড়ি জমাতে পারবো।', কুৎসিত একটা হাসি হাসলো গ্রুন।
রিকির প্রতিক্রিয়া কেমন কৃত্রিম মনে হলো বিলুর কাছে। মাথায় চিন্তার ঝড় চলছে।কোথাও যেন মিলছেনা কিছু একটা। রিকিকে দেখে সাধারন কোনো মানুষ মনে হয়নি। সে কেনো বুঝলোনা, শ্যালক্স গ্রুন ইগার ছদ্মবেশ নিয়ে আছে। তারপর চট করে ওর কাছে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেলো।
'তুমি জানতে তাইনা? প্রথম থেকেই সব বুঝতে পেরেছিলে। পৃথিবী ধ্বংসের কথা বলে টুকুনজিলকে নিয়ে এসেছো এখানে, তাইনা?কেনো? কেনো করেছো এই কাজ?'
মাথা নিচু করে ফেললো রিকি, 'হ্যাঁ,আমি জানতাম। গ্রুন কী চাইছে সেটাও ধরতে পেরেছিলাম। আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হতো। ভবিষ্যৎ পৃথিবী গ্রুনের জন্য প্রস্তুত। ও সেখানে টিকতে পারবেনা। আমার কাছে টুকুনজিলের চেয়ে পৃথিবীর মূল্য অনেক বেশী।আমাকে ক্ষমা করে দিও বিলু। তবে টুকুনজিলকে আমি খবর পাঠাইনি। ওর অস্তিত্ব আছে জানার পরেই মূলত প্ল্যানটা সাজাই। কিন্তু সে নিজে কোন মহাবিপদের কথা বলে আমার তা সত্যিই জান নেই'
রিকির শেষ কথা গুলো কানে গেলোনা বিলুর। ও শুধু ভাবছে টুকুনজিলের কথা। ওকে বাঁচাতে এসে মারা যেতে বসেছে ওর বন্ধু। ও নিজেও হয়তো মরে যাবে এখন। কিন্তু টুকুনজিলের জন্য খারাপ লাগছে অনেক বেশী।
'আহ! নির্বোধ মানুষ! তোমাদের হত্যা করার মাঝেও কোনো আনন্দ নেই। তবুও বার বার সেই কাজটাই করতে হয়।', বিলুর চোখেমুখে বিষাদ ফুটতে দেখে বিতৃষ্ণা নিয়ে বললো শ্যালক্স গ্রুন।
'তবে মরার আগে আমার আবিষ্কার থেকে তোমাদের বঞ্চিত করবোনা।'
'তবে মরার আগে আমার আবিষ্কার থেকে তোমাদের বঞ্চিত করবোনা।'
কোথাও একটা সুইচ টিপে দিলো সে। ঘরের এক দিকের দেয়াল সরে গিয়ে সেখানে একটা ল্যাবরেটরি বেরিয়ে পড়লো।
এক রকম স্বচ্ছ পদার্থের তৈরী খাঁচায় ডানাওয়ালা এক ছেলেকে পড়ে থাকতে দেখলো সেখানে।
'কে ও?',জানতে চাইলো রিকি।
গ্রুন প্রশ্নটার জবাব না দিয়ে ল্যাবরেটরির ভিতরে চলে গেলো। ফিরে এলো একটা সিরিঞ্জ নিয়ে।
'আমার আবিষ্কার', গর্ব করলো গ্রুন।
'ডানাওয়ালা ছেলেটার মতো আরো একটাকে খুঁজে পেয়েছিলাম আমি। ওটা ছিলো সরীসৃপ আর মানুষের মিশ্রন। দুজনের ডি.এন.এ সংগ্রহ করে এই সিরামটা তৈরী করেছি। এখন এই সিরাম আমাকে মানুষের চেয়ে উন্নত করে তুলবে। সবদিক থেকেই.....’
'কে ও?',জানতে চাইলো রিকি।
গ্রুন প্রশ্নটার জবাব না দিয়ে ল্যাবরেটরির ভিতরে চলে গেলো। ফিরে এলো একটা সিরিঞ্জ নিয়ে।
'আমার আবিষ্কার', গর্ব করলো গ্রুন।
'ডানাওয়ালা ছেলেটার মতো আরো একটাকে খুঁজে পেয়েছিলাম আমি। ওটা ছিলো সরীসৃপ আর মানুষের মিশ্রন। দুজনের ডি.এন.এ সংগ্রহ করে এই সিরামটা তৈরী করেছি। এখন এই সিরাম আমাকে মানুষের চেয়ে উন্নত করে তুলবে। সবদিক থেকেই.....’
কথা শেষ করতে পারলোনা গ্রুন। প্রচন্ড বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো চারিদিক। এক দিকের দেয়াল ধ্বসে পড়েছে। ধুলায় ছেয়ে গেছে চারিদিক। রিকি আর বিলু টের পেলো, ওর চারপাশে ঘিরে থাকা বলয়টা আর নেই। মুক্ত হয়ে গেছে ওরা।
ধুলা সরে গেলে দেখা গেলো,গ্রুনের মহাকাশযানে প্রবেশ করেছে ধারালো চেহারার এক মধ্যবয়স্ক মানুষ। ভয়ংকর অস্ত্র শোভা পাচ্ছে হাতে। বিস্ফোরনের ধাক্কায় একদিকে ছিটকে পড়েছিলো গ্রুন।কোনোরকমে উঠে দাড়িয়ে প্রশ্ন করলো,'কে তুমি?'
গাম্ভীর্যপূর্ণ কন্ঠে ভেসে এলো উত্তরটা,'আমি হারুন হাকশী।'
(ছয়)
হাতের অস্ত্রটা দেখিয়ে সবাইকে নড়তে মানা করে দিলো হাকশী।
'এলিয়েনটাকে আমার হাতে দিয়ে দাও। ওটাকে মিথ্যে সিগন্যাল পাঠিয়ে আমিই ডেকে এনেছি পৃথিবীতে। ওটা আমার'
হাতের অস্ত্রটা দেখিয়ে সবাইকে নড়তে মানা করে দিলো হাকশী।
'এলিয়েনটাকে আমার হাতে দিয়ে দাও। ওটাকে মিথ্যে সিগন্যাল পাঠিয়ে আমিই ডেকে এনেছি পৃথিবীতে। ওটা আমার'
অবশেষে ধাঁধাঁ কাটলো বিলুর। কিন্তু হাকশীর কথা শুনে থামেনি গ্রুন। নিজের কাছে থাকা অস্ত্র তুলে গুলি করে বসলো। অবিশ্বাস্য দ্রুততায় পাশ কাটালো হাকশী। এক পাক ঘুরে পাল্টা গুলি চালালো। ভয়ংকর বিস্ফারণে আবার কেঁপে উঠলো চারিদিক। বিলু আর রিকি দেখলো, শ্যালক্স গ্রুনের ছিন্ন ভিন্ন শরীরটা মহাকাশ যানের মেঝেতে পড়ে আছে।
যেন কিছুই হয়নি এমন ভঙ্গিতে ধীরে ধীরে ঘুরে বিলুর দিকে অস্ত্রটা তাক করলো হাকশী।
'এলিয়েনটা কোথায়?'
জবাব দিলোনা বিলু। এমন সময় দূর্বল কন্ঠে টুকুনজিলের কথা শুনতে পেলো,
'যে শক্তি বলয়ে আটকে গিয়েছিলাম, বিস্ফোরনের আঘাতে সেটা দূর্বল হয়ে গেছে।আরেকটু অপেক্ষা করো বিলু। একটা শয়তান মরেছে, এটাও মরবে।'
'এলিয়েনটা কোথায়?'
জবাব দিলোনা বিলু। এমন সময় দূর্বল কন্ঠে টুকুনজিলের কথা শুনতে পেলো,
'যে শক্তি বলয়ে আটকে গিয়েছিলাম, বিস্ফোরনের আঘাতে সেটা দূর্বল হয়ে গেছে।আরেকটু অপেক্ষা করো বিলু। একটা শয়তান মরেছে, এটাও মরবে।'
বিলুর মুখে হাসি ফুটতে দেখে ভ্রু কুঁচকে কী যেনো ভাবলো হাকশী। বিলু আর রিকিকে দেখলো একবার। তারপর ধীর পায়ে হেটে এসে গ্রুনের সিরিঞ্জটা তুলে নিয়ে নিজের শরীরে পুশ করে দিলো!
হাকশীর শরীরে পরিবর্তন শুরু হলো দ্রুত।দেখতে দেখতে বিশাল আকৃতি ধারন করলো শরীরটা। মুখটা ঠেলে বেরিয়ে এসেছে সামনে, পিঠের উপর গজিয়েছে ডানা। সবুজাভ একটা আভা দেখা যাচ্ছে শরীরজুড়ে।
অনেকগুলো আলোর ঝলকানি খেলে গেলো একসাথে। গুলি করেছে রিকি। বলয় ভেদ করে টুকুনজিল বেরিয়ে এসে ছুঁড়েছে ক্ষেপনাস্ত্র। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে আরো দুটো লেজার বীম এসে আঘাত করলো হাকশীর দেহে। শক্তি বলয়ে আটকা পড়ায় বিলু আর রিকির ট্র্যাকার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই খুঁজতে খুঁজতে চলে এসেছে টুকি আর ঝা!
'ওরে বাবা! এ তো দেখি, পাখা লাগানো টিকটিকি। তয় এখন ফিনিশ!', মজা করার চেষ্টা করলো ঝা।
কিন্তু ওর কথায় কান দেবার মতো সময় নেই কারো। হাকশীকে অক্ষতই দেখা যাচ্ছে।এতোগুলো গুলি ওর কোনো ক্ষতিই করতে পারেনি।
কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দ্রুত এগিয়ে এসে খপ করে বিলুকে ধরে ফেললো হাকশী। ভয়ংকর দর্শন অস্ত্রটা সরাসরি তাক করলো বিলুর মাথায়।
(সাত)
বিলুকে আটকে রেখে নিজের দাবি আদায় করে নিয়েছে হাকশী। টুকুনজিলকে দিয়ে গ্রুনের মহাকাশযানটা ঠিক করিয়ে নিয়েছে। বুলবুলও সাথে আছে ওদের। তবে এখনো অচেতন। মারাত্নক আঘাত পেয়েছিলো শরীরে। টুকুনজিল সারিয়ে দিয়েছে সেগুলো।
বিলুকে আটকে রেখে নিজের দাবি আদায় করে নিয়েছে হাকশী। টুকুনজিলকে দিয়ে গ্রুনের মহাকাশযানটা ঠিক করিয়ে নিয়েছে। বুলবুলও সাথে আছে ওদের। তবে এখনো অচেতন। মারাত্নক আঘাত পেয়েছিলো শরীরে। টুকুনজিল সারিয়ে দিয়েছে সেগুলো।
গ্রুনের কন্ট্রোল প্যানেলে টুকুনজিলের দেওয়া প্রোগ্রামটা আপলোড করে মহাকাশ যান থেকে বেরিয়ে এলো টুকি। এটাতে করেই ভবিষ্যতে পাড়ি দেবে হাকশী। গ্রুন যা করতে চেয়েছিলো, হাকশীও ঠিক তাই করতে চলেছে।
টুকি বেরিয়ে যাবার কিছুক্ষন পর বেরোলো ঝা।কেউ ভালো করে লক্ষ করলে বুঝবে তার মুখে ফিচলে একটা হাসি ফুটে আছে।
(আট)
মহাকাশযানটা উপরে উঠে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। অন্যদের সাথে দাঁড়িয়ে আছে বিলু। দাবি আদায়ের পর ওকে ছেড়ে দিয়েছে হাকশী। সে নাকি বর্তমান সময়ের নির্বোধ মানুষদের দেখতে দেখতে ক্লান্ত। তাই যা প্রতিশোধ নেয়ার, সব ভবিষ্যতের মানুষদের উপর নিবে।
মহাকাশযানটা উপরে উঠে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। অন্যদের সাথে দাঁড়িয়ে আছে বিলু। দাবি আদায়ের পর ওকে ছেড়ে দিয়েছে হাকশী। সে নাকি বর্তমান সময়ের নির্বোধ মানুষদের দেখতে দেখতে ক্লান্ত। তাই যা প্রতিশোধ নেয়ার, সব ভবিষ্যতের মানুষদের উপর নিবে।
গ্রুনের কিংবা এখন বলা যায় হাকশীর মহাকাশযানটা গতি বাড়িয়ে দিলো। কিছুক্ষনের মধ্যে দৃষ্টি সীমা থেকে মিলিয়ে গেলো ওটা।
'ভবিষ্যত পৃথিবী তোমার জন্য অপেক্ষা করছে হাকশী। সর্বশক্তি দিয়ে হলেও তোমাকে ধ্বংস করে ছাড়বে।', আপন মনেই বললো রিকি।
হঠাৎ গা দুলিয়ে হো হো করে হেসে উঠলো ঝা।
'তুমি ভাবছো, ভবিষ্যতে চলে গেছে ওই টিকটিকি? হা হা...হো হো।'
'কী বলতে চাও?’, বিভ্রান্ত স্বরে জানতে চাইলো রিকি।
অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে উত্তর দিলো ঝা, ' টিকটিকি ব্যাটাকে ওর বাবা মানে ডায়নোসরের যুগে পাঠিয়ে দিয়েছি আমি'
'কীভাবে?', বিস্ময় কাটছেনা রিকির।
'সহজ ব্যাপার। কন্ট্রোল প্যানেলে দুই থাবা মারতেই সিস্টেমটা রিভার্সে চলে গেলো।ভবিষ্যতে না গিয়ে এখন যাবে অতীতে। আরো দুই থাবা মেরে দেখলাম, কিছু হয় কিনা! ওমা! দেখি সময় কালটা বদলে গিয়ে কয়েক লক্ষ বছর হয়ে গেছে! আর হাকশী না পাকশী, ঐ গর্দভটার সাধ্য কি এসব টেকনোলজি বোঝার! প্রতিশোধ না ছাই, টি-রেক্সের পেটে পচে মরবে এখন শয়তানটা। হুহ, আগেই বলেছিলাম, উড়ন্ত টিকটিকি ফিনিশ!', যথা সম্ভব কন্ঠস্বর গম্ভীর রেখে জবাব দিলো ঝা।
'তুমি ভাবছো, ভবিষ্যতে চলে গেছে ওই টিকটিকি? হা হা...হো হো।'
'কী বলতে চাও?’, বিভ্রান্ত স্বরে জানতে চাইলো রিকি।
অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে উত্তর দিলো ঝা, ' টিকটিকি ব্যাটাকে ওর বাবা মানে ডায়নোসরের যুগে পাঠিয়ে দিয়েছি আমি'
'কীভাবে?', বিস্ময় কাটছেনা রিকির।
'সহজ ব্যাপার। কন্ট্রোল প্যানেলে দুই থাবা মারতেই সিস্টেমটা রিভার্সে চলে গেলো।ভবিষ্যতে না গিয়ে এখন যাবে অতীতে। আরো দুই থাবা মেরে দেখলাম, কিছু হয় কিনা! ওমা! দেখি সময় কালটা বদলে গিয়ে কয়েক লক্ষ বছর হয়ে গেছে! আর হাকশী না পাকশী, ঐ গর্দভটার সাধ্য কি এসব টেকনোলজি বোঝার! প্রতিশোধ না ছাই, টি-রেক্সের পেটে পচে মরবে এখন শয়তানটা। হুহ, আগেই বলেছিলাম, উড়ন্ত টিকটিকি ফিনিশ!', যথা সম্ভব কন্ঠস্বর গম্ভীর রেখে জবাব দিলো ঝা।
[বলে রাখা ভালো, গল্পটা বছর পাঁচেক আগে জাফর ইকবাল স্যারের ফ্যান ফিকশন হিসাবে লেখা। রকমারির একটা প্রতিযোগীতায় দ্বিতীয় হয়েছিলাম এই গল্প নিয়ে। যদি কখনো সময় সুযোগ হয়, গল্পটাকে উপন্যাসে রুপ দেয়ার ইচ্ছে আছে]
লিখাঃ বর্ষণ হাসান অয়ন
Tags:
Thriller