পুকুরের ঢেউতো সবাই দেখেছেন।ঢেউ মানে তরঙ্গ।তবে পদার্থবিজ্ঞানে এই তরঙ্গ আরো কিছু।পদার্থবিজ্ঞানের ঝুড়িতে আছে মজার মজার তরঙ্গ হতে কোয়ান্টাম জগৎের ভয়ঙ্গর তরঙ্গ।মানুষ ক্রমেই অবাক হয়েছে যখন দেখেছে প্রকৃতি এই তরঙ্গকে অসম্ভব ভালোবাসে।তা না হলে প্রকৃতির মৌলিক জিনিসগুলোর সাথে তরঙ্গের এত সম্পর্ক হতে যাবে কেন?
মহাবিশ্ব তৈরি হয়েছে তিনটি জিনিস দিয়ে। ভর, শক্তি আর ফিল্ড।এই শক্তি প্রবাহিত হয় তরঙ্গাকারে।ফিল্ ড সৃস্টি করে তরঙ্গ।কি এই তরঙ্গ?কিভাবে বা তৈরি হয়? কিভাবেই বা তা শক্তি বহন করে?
তবে আজকের আলোচনা এসব নিয়ে নয়।আজকে চলবে শব্দতরঙ্গ।সাধার ণ জিনিস; চলুন একবার দেখে আসি।
তবে আজকের আলোচনা এসব নিয়ে নয়।আজকে চলবে শব্দতরঙ্গ।সাধার
(এক)
পুকুরে যখন কোনো ঢিল মারেন তখন কি হয়?দেখবেন যে জায়গায় ঢিল পড়বে সেখানে একটা গর্ত সৃস্টি হবে।ওয়েট, ওয়েট।
তাহলে গর্তের পানিগুলো যায় কোথায়?
পুকুরে যখন কোনো ঢিল মারেন তখন কি হয়?দেখবেন যে জায়গায় ঢিল পড়বে সেখানে একটা গর্ত সৃস্টি হবে।ওয়েট, ওয়েট।
তাহলে গর্তের পানিগুলো যায় কোথায়?
ঢিলের চাপে পানিগুলো তার আশেপাশের পানিগুলোকে নিচে দিয়ে ঠেলে উপরে তুলে তাদের জায়গা দখল করে।গ্রাভিটি উপরের পানিগুলোকে আবার টেনে নামাবে।বেশীই নামাবে।বলতে পারেন সাম্যবস্থা থেকে যতটুকু উঠেছে ততটুকু বেশী নামাবে।মানে ওই জায়গাতেই এবার গর্ত সৃস্টি হবে।যতটুকু পানি উপরে উঠেছে তা যখন গ্র্যাভিটির টানে যখন নামবে তখন আগের পানিগুলো আগের জায়গায় চলে যাবে।মানে আগের গর্তটা পূর্ন হবে।আর যেটুকু পানি বেশী নেমেছে তা তার পাশের পানিকে ঠেলে উপরে তুলে তার জায়গা দখল করবে।মানে আগের পানিগুলোর মতো।এভাবে উপরে উঠা আর নিচে নামা চলতে থাকবে এবং এক পর্যায়ে তরঙ্গটা মিলিয়ে যাবে।মিলিয়ে যায় কেন?কারন প্রথমবার পানিগুলো যতটুকু উপরে উঠে পরেরবার একটু কম উঠে।এভাবে কমতে কমতে তরঙ্গ শেষ হয়ে যায়।কমে কেন?কারন গ্র্যাভিটির বিরুদ্ধে উঠা নামা কাজ করছে।তাই প্রতিবার একটু একটু শক্তি হারাবে।যতশক্তি দিবেন পানিগুলো তত বেশী উপরে উঠবে।তাই মিলিয়ে যেতেও তত বেশী সময় লাগবে।মানে তরঙ্গের বিস্তার নির্ভর করে শক্তির উপর।যত শক্তি তত বিস্তার।
এখন একটা জিনিস খেয়াল করেন।পানি গুলো বা পানির কনা গুলো কিন্তু বেশী দূরে যায়নি। সেগুলো অপর পানিকে ঠেলে উপরে তুলেছে আবার নিজের জায়গায় নেমে এসেছে।এই ধরনের গতিকে বলে সরল স্পন্দন গতি।পুকুরে তরঙ্গে এরকম সবগুলো পানির কনার সরল স্পন্দন ঘটে।এই গতির মাধ্যমেই কিন্তু শক্তিটা প্রবাহিত হচ্ছে।কিসের শক্তি? যে শক্তি ঢিলটা পানির কনাদের উপর প্রয়োগ করেছে।সেই শক্তির মাধ্যমে কনাগুলোর আন্দোলন চলবে বহুদূর পর্যন্ত।আমরা বলি কনাগুলোর দ্বারা যে আন্দোলন বা তরঙ্গ সৃস্টি হয়েছে তা শক্তি বয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
মানে কোনো মাধ্যমের কনাগুলো যখন সরল স্পন্দন গতির মাধ্যমে শক্তি বয়ে নিয়ে যায় তা তরঙ্গ।
এখন একটা জিনিস খেয়াল করেন।পানি গুলো বা পানির কনা গুলো কিন্তু বেশী দূরে যায়নি। সেগুলো অপর পানিকে ঠেলে উপরে তুলেছে আবার নিজের জায়গায় নেমে এসেছে।এই ধরনের গতিকে বলে সরল স্পন্দন গতি।পুকুরে তরঙ্গে এরকম সবগুলো পানির কনার সরল স্পন্দন ঘটে।এই গতির মাধ্যমেই কিন্তু শক্তিটা প্রবাহিত হচ্ছে।কিসের শক্তি? যে শক্তি ঢিলটা পানির কনাদের উপর প্রয়োগ করেছে।সেই শক্তির মাধ্যমে কনাগুলোর আন্দোলন চলবে বহুদূর পর্যন্ত।আমরা বলি কনাগুলোর দ্বারা যে আন্দোলন বা তরঙ্গ সৃস্টি হয়েছে তা শক্তি বয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
মানে কোনো মাধ্যমের কনাগুলো যখন সরল স্পন্দন গতির মাধ্যমে শক্তি বয়ে নিয়ে যায় তা তরঙ্গ।
(দুই)
তরঙ্গ ২ ধরনের। নিচের ছবিতে যেমন দেখছেন।
১ নং ছবির তরঙ্গটাকে বলে অনুপ্রস্থ তরঙ্গ।বুঝতেই পারছেন পানির তরঙ্গ এরকম। ধরেন ঢিল ছুড়লাম।তরঙ্গ সামনের দিকে যাচ্ছে।কিন্তু সেখানের কনাগুলোর কথা মনে অাছে তো?সেগুলো উপরে নিছে উঠা নামা করে।কিন্তু তরঙ্গের গতিটা সামনের দিকে। মানে তরঙ্গের গতির দিকের সাথে উঠা নামাটা লম্ব!
অনুপ্রস্থ তরঙ্গ ২ নং ছবির মতো।স্প্রিংকে উঠানামা করালে যেরকম। অনেক ঠিক সেরকম। সেখানে কনাদের উঠানামাটা হবে তরঙ্গের গতির দিকে।শব্দতরঙ্গ এরকম।
তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ অনুপ্রস্থ তরঙ্গের মতো।
(তিন)
নিচের ১ নং ছবিটির দিকে তাকান। এটা অনুপ্রস্থ তরঙ্গ। এর এক শীর্ষ হতে আরেক শীর্ষ পর্যন্ত দুরত্ব হচ্ছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য।শীর্য বুঝেনতো?অথবা বলতে পারেন A থেকে C পর্যন্ত দুরত্বটা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কিংবা C থেকে E।এর প্রতিক হচ্ছে £(ল্যামড়া)।
আমাদের তরঙ্গটা আসলে অলস।এক্কেবারে স্লো।সে একটা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অতিক্রম করতে. ৫ সেকেন্ড সময় নেয়।এই. ৫০ সেকেন্ড সময় টা হচ্ছে পর্যায় কাল।পর্যায় কালকে বলি T।তাহলে ১ সেকেন্ডে কতটা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অতিক্রম করবে?
এটা আমরা মুখে মুখেই বলতে পারি।
২ টা।
আমরা বলি তার কম্পাঙ্ক হচ্ছে ২Hz। কম্পাঙ্গের প্রতীক f।
তাহলে আমরা ১কে যদি T দিয়ে ভাগ দিই তাহলে কম্পাঙ্ক পাবো(১÷.৫০=২)।
তাহলে সূত্র হচ্ছে:কম্পাঙ্ক,
এবার আসি বেগের ক্ষেত্রে।বেগ মানে কি?১ সেকেন্ডে যকটুকু যায়।১ সেকেন্ড না হয়ে অন্য কিছু হতে পারত। কিন্তু আমরা ১ সেকেন্ড কে একক ধরি।
তার মানে আমাদের তরঙ্গটা ১ সেকেন্ডে যতটুকু যাবে সেটাই হচ্ছে বেগ। তাই তো?
আমাদের তরঙ্গটা ১ সেকেন্ডে গেছে ২টা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অতিক্রম করেছে।তাহলে ২ টা তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের দুরত্বটাইতো বেগ।তাই না?
মানে কম্পাঙ্কের সাথে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য গুন দিলেই বেগ পাবো।
তাহলে বলতে পারি:বেগ,v=f£।
তরঙ্গ যখন বিভিন্ন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যায় তখন কিন্তু পর্যায়কাল পরিবর্তিত হয় না।বেগ আর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য পরিবর্তিত হয়।
শব্দ তরঙ্গ দ্বিতীয় ছবির মতো।দেখেই বুঝতে পারছেন এটি ১ নাম্বার চবির সাথে যায়না।কিন্তু ১ নাম্বার তরঙ্গ দিয়ে আমরা যে কাজগুলো করেছি এই তরঙ্গ নিয়েও কাজগুলো করা যায়। আমাদের ফুসফুস দিয়ে বাতাস বের হওয়ার সময় ভোকাল কর্ডগুলো কাঁপতে থাকে। এটি কত দ্রুত কাঁপে তার উপর নির্ভর করে আপনার আর আমার কথার কম্পাঙ্ক বা তীক্ষ্ণতা।দ্রুত কাঁপলে শব্দ তীক্ষ্ণ হবে।আস্তে কাঁপলে মোটা হবে।আমরা নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের শব্দই শুনতে পারি। ২০Hz থেকে ২০,০০০Hz।তার বেশীও না কমও না। মুখ থেকে বাতাস বের হওয়ার সময় আমরা ইচ্ছেমত বাতাস আটকাই, ছাড়ি।যা আমাদের কাছে আলাদা আলাদ ধ্বনি হিসেবে ধরা দেয়।
বাতাস গুলো যখন আমাদের মুখ থেকে বের হয় তখন তা বাইরের বাতাসগুলোকে সংকুচিত করে। একটু পরে সেগুলো প্রসারিত হয়ে তার পাশের বাতাসকে সংকুচিত করে।এভাবে অনেকটা সরল স্পন্দন গতির মাধ্যমে শব্দ ছড়িয়ে পড়ে। সংকোচন, প্রসারন নির্ভর করে আপনার ভোকাল কর্ড আর বাকযন্ত্রের উপর।বাতাসের এই অান্দোলন যখন আমাদের কানে আসে তখন তা আমাদের স্নায়ুগুলো বহন করে মস্তিস্কে নিয়ে যায়।বাতাস আসার সময় প্রতিবার সংকোচন, প্রসারনের হার কমে যার কারনে এই আন্দোলন মিলিয়ে যায়।
আমরা ১ নং চিত্র থেকে তরঙ্গের বেগ আর কম্পাঙ্ক কিভাবে মাপব তা বের করেছি।২ নং চিত্রটা ওরকম না হলে কাজ চলবে।এর জন্য আমরা একটা পূর্ন সংকোচন থেকে প্রসারণের শেষ পর্যন্ত জায়গাটাকে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ধরব(চিত্রে দেখেন)।মানে Aথেকে B পর্যন্ত যায়গাটা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য।
তাহলে বাকি কাজ গুলো এখন আমরা করতে পারি।
তার মানে এখন আমরা শব্দের কম্পাঙ্ক, বেগ ইত্যাদি বের করতে পারব।
তবে শব্দের বেগের উপর ঘনত্বের প্রভাব আছে।যেখানে ঘনত্ব বেশী সেখানে শব্দের বেগ কম।যেখানে ঘনত্ব কম সেখানে বেগ বেশী।
বাতাস গুলো যখন আমাদের মুখ থেকে বের হয় তখন তা বাইরের বাতাসগুলোকে সংকুচিত করে। একটু পরে সেগুলো প্রসারিত হয়ে তার পাশের বাতাসকে সংকুচিত করে।এভাবে অনেকটা সরল স্পন্দন গতির মাধ্যমে শব্দ ছড়িয়ে পড়ে। সংকোচন, প্রসারন নির্ভর করে আপনার ভোকাল কর্ড আর বাকযন্ত্রের উপর।বাতাসের এই অান্দোলন যখন আমাদের কানে আসে তখন তা আমাদের স্নায়ুগুলো বহন করে মস্তিস্কে নিয়ে যায়।বাতাস আসার সময় প্রতিবার সংকোচন, প্রসারনের হার কমে যার কারনে এই আন্দোলন মিলিয়ে যায়।
আমরা ১ নং চিত্র থেকে তরঙ্গের বেগ আর কম্পাঙ্ক কিভাবে মাপব তা বের করেছি।২ নং চিত্রটা ওরকম না হলে কাজ চলবে।এর জন্য আমরা একটা পূর্ন সংকোচন থেকে প্রসারণের শেষ পর্যন্ত জায়গাটাকে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ধরব(চিত্রে দেখেন)।মানে Aথেকে B পর্যন্ত যায়গাটা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য।
তাহলে বাকি কাজ গুলো এখন আমরা করতে পারি।
তার মানে এখন আমরা শব্দের কম্পাঙ্ক, বেগ ইত্যাদি বের করতে পারব।
তবে শব্দের বেগের উপর ঘনত্বের প্রভাব আছে।যেখানে ঘনত্ব বেশী সেখানে শব্দের বেগ কম।যেখানে ঘনত্ব কম সেখানে বেগ বেশী।
সাধারনত শব্দেরর বেগ মাধ্যমের ঘনত্বের সাথে বাড়তে থাকে।একে বরং কাঠিন্যতা বলাই ভালো।কঠিন পদার্থে অনুসমূহ খুব কাছাকাছি অবস্থান করে।আপনি যখন সেখানে টোকা দেন তখন কনাগুলো কম্পিত হয় এবং ওই কম্পিত কনা তার পাশের কনাকে কম্পিত করে।এভাবে কম্পন খুব সহজে প্রবাহিতত হয়।তাই কোনো পদার্থের কনাগুলো যত কাছাকাছি অবস্থান করে অর্থাৎ যত ঘন সেই পদার্থ তত দ্রুত শব্দ বহন করে।
আরেকটা বিষয় হচ্ছে তাপমাত্রা। পদার্থের তাপমাত্রা যত বেশী থাকে সেই পদার্থ তত দ্রুত শব্দ পরিবহন করে।কারন তাপমাত্রা হচ্ছে পদার্থের অনুদের ছোটাছুটির গড় মান।তাই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া মানে অনুদের গতিশক্তি বৃদ্ধি পাওয়া।ফলে ওই পদার্থ পূর্বের তুলনায় দ্রুত শব্দ বহন করে।
আরেকটা বিষয় হচ্ছে তাপমাত্রা। পদার্থের তাপমাত্রা যত বেশী থাকে সেই পদার্থ তত দ্রুত শব্দ পরিবহন করে।কারন তাপমাত্রা হচ্ছে পদার্থের অনুদের ছোটাছুটির গড় মান।তাই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া মানে অনুদের গতিশক্তি বৃদ্ধি পাওয়া।ফলে ওই পদার্থ পূর্বের তুলনায় দ্রুত শব্দ বহন করে।
বাতাসের ক্ষেত্রেও ঠিক এমন কিছু ঘটে।বাতাসে অনুদের তাপমাত্রা যখন বৃদ্ধি পায় তখন কাদের ছোটাছুটির কারনে ঘনত্ব কমে ঠিকই কিন্তু পদার্থের দ্রুত ছোটাছুটি টাই দ্রুত শব্দতরঙ্গের বেগ বৃদ্ধি করে।কারন এই অনুগুলোতো শব্দ তরঙ্গ।যেটা একটু আগেও বলেছি।আরেকটা বিষয় হচ্ছে আদ্রতা।বাতাসে আদ্রতা বৃদ্ধি ফেলে শব্দের বেগ বৃদ্ধি পায়।বাতাসের আদ্রতা বৃদ্ধি ফেলেও ঘনত্ব কমে।কিন্তু এখানে তাপমাত্রার কোনো ব্যাপার নেই।কারন আদ্রতা তাপমাত্রার কারনে সৃস্টি হয় না।আদ্রতা মূলত বাতাসের জলিয় বাষ্পের পরিমান বৃদ্ধি পাওয়া।বাতাসে সাধারনত অক্সিজেন আর নাইট্রোজেন থাকে। এই অক্সিজেন আর নাইট্রোজেনের আনবিক ভর পানির চেয়ে বেশী।ফলে পানি বৃদ্ধি ফেলে ঘনত্ব কমে। কিন্তু এভাবে ঘনত্ব কমলে বেগ বৃদ্ধি পায় কেন?তার আগে কিছু বিষয় ক্লিয়ার করতে হবে।
আমরা আগে বলে ছিলাম যে বস্তুর অনুগুলো যত কাছাকাছি অবস্থান করে শব্দ তত দ্রুত অবস্থান করে।মানে মূল বিষয়টা হচ্চে বেশী পরিমান বস্তু থাকা এবং সেগুলো কাছাকাছি থাকা।হোক তাদের ভর কমকি বেশী।সেটা কোনো বিষয় না।অর্থাৎ শব্দের বেগ মূলদ ঘনত্বের উপর নয় বরং কাঠিন্যর উপর নির্ভর করে।আমরা ঘনত্ব এবং কাঠিন্যকে সুবিধার জন্য এক হিসেবে দেখি।
আসলে এরা এক নয়।
আমরা আগে বলে ছিলাম যে বস্তুর অনুগুলো যত কাছাকাছি অবস্থান করে শব্দ তত দ্রুত অবস্থান করে।মানে মূল বিষয়টা হচ্চে বেশী পরিমান বস্তু থাকা এবং সেগুলো কাছাকাছি থাকা।হোক তাদের ভর কমকি বেশী।সেটা কোনো বিষয় না।অর্থাৎ শব্দের বেগ মূলদ ঘনত্বের উপর নয় বরং কাঠিন্যর উপর নির্ভর করে।আমরা ঘনত্ব এবং কাঠিন্যকে সুবিধার জন্য এক হিসেবে দেখি।
আসলে এরা এক নয়।
কারন ঘনত্ব হলো নির্দিষ্ট জায়গায় যে পরিমান ভর আছে।নির্দিষ্ট জায়গায় ভর বেশী হলে ঘনত্ব বেশী ভর কম হলে ঘনত্ব কম।আর কাঠিন্যতা হচ্ছে অনুগুলো একে অপরের সাথে কত কাছাকাছি থাকে।
ধরেন একটা জায়গায় ৩জন পেটমোটা মোডা ভাই আছে।তাদের ভর ১০০ কেজি করে ৩০০ কেজি।আরেক জায়গায় ছোট ছোট ১০০ টা বাচ্চা অাছে।তাদের ভর ১ কেজি করে ১০০ কেজি।আপনি দেখবেন মোডা ভাইদের জায়গায় তাদের দেখাই যায় না।কিন্তু ঘনত্ব বেশী।আর বাচ্ছাদের জায়গায় মাটি দেখা যায়না কিন্তু তবুও ঘনত্ব কম।তাহলে শব্দ তরঙ্গ কোন মাধ্যমে জোরে ছুটবে?বুঝতেই পারছেন শব্দতরঙ্গ দ্রত ছুটবে বাচ্ছাদের এলাকায়।ঠিক একইভাবে বাতাসে আদ্রতা বাড়লে ঘনত্ব কম হয়েছে তো কি হয়েছে,অনুর সংখ্যা বেশী থাকে এবং কাছাকাছিই থাকে।তাই শব্দের বেগও বেড়ে যায়।
ধরেন একটা জায়গায় ৩জন পেটমোটা মোডা ভাই আছে।তাদের ভর ১০০ কেজি করে ৩০০ কেজি।আরেক জায়গায় ছোট ছোট ১০০ টা বাচ্চা অাছে।তাদের ভর ১ কেজি করে ১০০ কেজি।আপনি দেখবেন মোডা ভাইদের জায়গায় তাদের দেখাই যায় না।কিন্তু ঘনত্ব বেশী।আর বাচ্ছাদের জায়গায় মাটি দেখা যায়না কিন্তু তবুও ঘনত্ব কম।তাহলে শব্দ তরঙ্গ কোন মাধ্যমে জোরে ছুটবে?বুঝতেই পারছেন শব্দতরঙ্গ দ্রত ছুটবে বাচ্ছাদের এলাকায়।ঠিক একইভাবে বাতাসে আদ্রতা বাড়লে ঘনত্ব কম হয়েছে তো কি হয়েছে,অনুর সংখ্যা বেশী থাকে এবং কাছাকাছিই থাকে।তাই শব্দের বেগও বেড়ে যায়।
এবার আসি বিস্তারের ক্ষত্রে।আগে বলেছিলাম যে তরঙ্গের বিস্তার নির্ভর করে তার শক্তির উপর।পুকুরের তরঙ্গটার কথা মনে আছে?তাই আপনি ফুসফুস থেকে যত বেশি শক্তি দিয়ে বাতাস বের করাবেন বিস্তার তত বেশী হবে।যত বেশি শক্তি দিবেন ফুসফুস থেকে তত বেশী বাতাস বের হবে,যার কারনে আপনার শব্দতরঙ্গও বড় হবে। এ জিনিসটাকে তীব্রতা বলা হয়।
বড় তরঙ্গ হওয়ায় অর্থাৎ তরঙ্গে শক্তি বেশি হওয়ার তা মিলিয়ে যেতে সময় লাগে।মানে শব্দ তরঙ্গের বিস্তার নির্ভর করে তীব্রতার উপর।
অন্যান্য তরঙ্গের মতে শব্দের প্রতিফলন, প্রতিসরন উপরিপাতন আছে।অনেক প্রানী প্রতিফলনকে অনেক কাজে ব্যবহার করে।অন্যান্য
প্রানীর কথা বাদ দেন।আমরা মানুষরাও একে নানা কাজে ব্যবহার করি।বলতে পারেন মানুষ এদিক দিয়ে অনেক এগিয়ে গেছে।এই প্রতিফলন ব্যবহার করে আমরা দুরুত্ব নির্নয় করতে পারি।মাটির নিচে কিংবা সাগরের তলের জিনিসের।শুধু দুরুত্ব কেন ছবিও তুলতে পারি।
আপনার কথা শব্দতরঙ্গ, আমার কথাও।আপনার প্রিয় গায়কের গান কিংবা আমার গান।কিন্তু গায়কের গান শুনতে ভালো লাগে।আমার গান না।কেন কেন?মূলেতো সব শব্দ তরঙ্গ।গন্ডোগোল কিসে।গন্ডোগোল আমাদের মস্তিস্কে।মস্তি স্ক কিছু তরঙ্গ কে ভালো মনে করে।আর কিছু তরঙ্গকে দেখতে পারেনা।
আসলে আমার গান সুন্দর। দোষ মানুষের কাছে।
বড় তরঙ্গ হওয়ায় অর্থাৎ তরঙ্গে শক্তি বেশি হওয়ার তা মিলিয়ে যেতে সময় লাগে।মানে শব্দ তরঙ্গের বিস্তার নির্ভর করে তীব্রতার উপর।
অন্যান্য তরঙ্গের মতে শব্দের প্রতিফলন, প্রতিসরন উপরিপাতন আছে।অনেক প্রানী প্রতিফলনকে অনেক কাজে ব্যবহার করে।অন্যান্য
প্রানীর কথা বাদ দেন।আমরা মানুষরাও একে নানা কাজে ব্যবহার করি।বলতে পারেন মানুষ এদিক দিয়ে অনেক এগিয়ে গেছে।এই প্রতিফলন ব্যবহার করে আমরা দুরুত্ব নির্নয় করতে পারি।মাটির নিচে কিংবা সাগরের তলের জিনিসের।শুধু দুরুত্ব কেন ছবিও তুলতে পারি।
আপনার কথা শব্দতরঙ্গ, আমার কথাও।আপনার প্রিয় গায়কের গান কিংবা আমার গান।কিন্তু গায়কের গান শুনতে ভালো লাগে।আমার গান না।কেন কেন?মূলেতো সব শব্দ তরঙ্গ।গন্ডোগোল কিসে।গন্ডোগোল আমাদের মস্তিস্কে।মস্তি
আসলে আমার গান সুন্দর। দোষ মানুষের কাছে।
চিত্রঃ ১
চিত্রঃ ২
Author: Mohammad Jobayer Hossain
সদস্য, ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান
সদস্য, ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান
Tags:
পদার্থবিজ্ঞান