ডিসেম্বর মাসের মধ্যভাগ যাচ্ছে।আগা গোড়া মোটা কাপড়ে আচ্ছাদিত হওয়ার বদলে অনেক আধুনিক ছেলেদেরকেই এখনও হাফহাতা শার্ট পড়ে,তার উপর বোতাম খোলে রাস্তায় হাটতে দেখা যায়।ষড়ঋতু যে এখন কত ঋতুতে পরিনত হয়েছে তা বুঝা মুশকিল।বিজ্ঞলোক দের চায়ের দোকানের আলোচনায় কান পাতলে শোনা যায় গ্লোবাল ওয়ার্মিং নামক একটা কালপ্রিট নাকি ঋতুর এই বারটা বাজিয়ে দিয়েছে।গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর জামানায় অপুর ব্রেইন ওয়ার্মিং হচ্ছে।এই ওয়ার্মিং এর জন্য কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মিং দ্বায়ী না,দ্বায়ী হচ্ছে এমন একজন মানুষ যার বিকল্প পাওয়া দায়,A+ যার কাছে কাক্কুর বাড়ির মুয়া, সেই গ্রেট পাবলিক ওয়ান এন অনলি দ্যা "ঘ্যাচাং মাস্টার"।গত সপ্তাহে শট সার্কিট পড়াতে গিয়ে অপু বেচারার মাথার সার্কিটের বারটা বাজিয়ে দিয়েছে।বারটা বাজানোতে সমস্যা ছিল না,সমস্যাটা হয়ে ট্রান্সফর্মার পড়াতে গিয়ে বেচারার মাথার সার্কিটের ব্যাটারিই খুলে ফেলেছে।।অপু আবার তপু ভাইয়ের শিষ্য, তাই নিজের সার্কিটের ব্যাটারি নিজেই লাগানো ভয়াবহ এক চেষ্টায় মগ্ন সে।।ব্যাটারি ছাড়া মাথায় প্রশ্ন একটাই ট্রান্সফরমার কেম্নে কি করে???
প্রশ্নের উত্তর খুজে না পেয়ে অবশেষে বিকেল বেলা হাজির হলো সকল মুশকিল আছান তপু ভাইয়ের বাড়ি।তপু ভাইকে আজকাল খুব ফুরফুরা মেজাজেই দেখা যায়।।গোপন সোর্স থেকে জানা গেছে তপু ভাই আজকাল কারো সাথে সারা দিন ফোনালাপে মগ্ন থাকে জানা গেছে ফোনের অপর পাশের মানবীও নাকি খুব বিজ্ঞান প্রেমী।যাই হোক কিছু সময় অপেক্ষার পর ঘরে আগমন ঘটল তপু ভাইয়ে।।ঘরে ঢুকেই মনোজ্জল একটা হাসি দিয়ে,
তপু ভাইয়াঃ কি??মাথা থেকে ধোয়া বের হওয়ার কারন কি?
অপুঃমাথার ব্যাটারি হারাই গেছে।।
তপু ভাইয়াঃ কী করলে ব্যাটারি বাবাজি ফিরে আসবে?
অপুঃট্রান্সফর্মারের গোষ্টী উদ্ধার করতে পারলেই আসার কথা।।
তপু ভাইয়াঃআসো বাইরে চাঙের উপর বসে উদ্ধার করি ট্রান্সফরমারের গোষ্ঠীকে।
অপুঃআচ্ছা, ভাইয়া ট্রান্সফরমার আসলে কি করে??কিভাবে কাজ করে??
তপু ভাইয়াঃএই মহান যন্ত্র উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে আর নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রুপান্তর করে।
অপুঃএ্য??কেম্নে কি??
তপু ভাইয়াঃএ্য না হ্যা।বলছি সব,তার আগে বলো বিভব বুঝো???
অপুঃইয়ে মানে মুখস্ত পারি ।তপু ভাইয়াঃশোন দুটো কথা বলি।বিভব হচ্ছে শক্তি।যার উপর যত কাজ করা হয় তাতে তত শক্তি জমে।।। এই কাজ তুমি যেখানে ইচ্ছে সেই খানে করো সমস্যা নেই,যার উপর ইচ্ছা তার উপর কর,কোন সমস্যা নাই।। মোট কথা হচ্ছে কোন কিছুর উপর কাজ করলেই তাতে শক্তি আসে, আর এইটাই বিভব।।এখন ধরো তোমার কাছে ১০০টা ইলেক্ট্রন আছে।আমরা জানি ইলেক্ট্রনের প্রবাহই তড়িৎ প্রবাহ।আর তড়িৎ প্রবাহের ফলেই লাইট ফ্যান গুলি চলে। এখন ধরো তোমার হাতে যে ১০০ টা ইলেকট্রন আছে তাদের কারোরই কোন শক্তি নাই আর কোন ভাবেই এরা শক্তি পাবে না (এইটুক কাল্পনিক),(৯,১০ ,এর ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই অংশটুকু জরুরি ৯,১০ এর ছেলে একটা শালীন উত্তর দিবা,সামনে প্রশ্ন আসছে মন দিয়ে পড়ো) তো তুমি এখন এই ইলেক্ট্রন গুলা দিয়ে একটা মালা বানালে আর প্রথমটার গলায় একটা দড়ি লাগিয়ে একটা পরিবাহীর মাঝখান দিয়ে লাইট ফ্যান সব ঘুরিয়ে আনা হলো।এইযে পরিবাহীর ভিতর দিয়ে তারা দৌড় দিল এতে তড়িৎ প্রবাহিত হলো।যেহেতু লাইটের ভিতর দিয়ে দৌড় দিয়েছে সেহেতু সেখানেও তড়িৎ প্রবাহিত হয়েছে।তো এইবার প্রশ্ন হচ্ছে এই প্রবাহের ফলে লাইট জ্বলবে কিনা?????
অপুঃহাল্কা মাথা চুল্কাতে চুকাতে বলল একটু ভাবতে হবে।
তপু ভাইয়াঃআচ্ছা,তাহ লে একটু ভাবো আমি একটু ওয়েদার ডিমান্ডটা একটু মিটানোর জন্য ফোনালাপ করি।পাঁচ মিনিটেই হয়ে যাবে,তুমি এই পাঁচ মিনিট একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবো।।।
পাঁচ মিনিটের জায়গায় তের মিনিট পর ভার মুখ নিয়ে ফিরে আসলেন তপু ভাই,এসে আপন মনেই বলতে লাগলেন,
তপু ভাইয়াঃএমন যদি কোন ফোন বানানো যেতো যেটাকে চার্জ করার জন্য দরকার হতো কথা বলার মানে কথা বললেই ফোন চার্জ হতো বা ফেসবুক,হোয়াটস এপ এ চ্যাট করলেও চার্জ হতো,তাহলে ব্যাপারটা একেবারে মন্দ হতো না।
এত ক্ষনে মুখ ভারের কারন বুজল অপু।তার ফোনের চার্জ শেষ। আমি কথা বলতে যাবো এমন সময় ভাই আবার বলতে শুরু করলেন...
তপু ভাইয়াঃআচ্ছা অপু দুইটা ছেলে মেয়ের মাঝে কিছু হয়ে যাওয়া কে তুমি কিভাবে দেখো??মানে তুমি এটাকে সাপোর্ট করো??
অপুঃভাই,একটু থামবেন??পাঁচ মিনিট ভাবতে বলে এসেছেন তের মিনিট পরে।।ভাবতে ভাবতে মাথার বারটা বেজে গেছে ভাই, এর মাঝে আপনি এই সব পিরিত নিয়া আসছেন??
তপু ভাইয়াঃবুজবা কি পিচ্চি পুলা।।লাভ মেইক্স এ ম্যান ইন্সেন।।
অপুঃধুর ভাই,আপনি লাভ ক্ষতি যা ইচ্ছা করেন সমস্যা নাই কিন্তু ভাই আমাকে উত্তরটা বইলা দিয়া বাচান ভাই,।
তপু ভাইয়াঃহাহাহা, আচ্ছা আচ্ছা।আচ্ছা প্রশ্নটা জানি কি ছিল?
অপুঃ ঐযে লাইট জ্বলবে কিনা??
তপু ভাইয়াঃ আচ্ছা, আগে একটু বুঝো লাইট জ্বলা মানে কি?লাইট জ্বলা মানে হচ্ছে লাইট থেকে তাপ আর আলোকশক্তি আসা।তো এইবার ভাবো লাইট যে তোমাকে শক্তি দিবে তো লাইট এই শক্তি কোথায় পাবে বা লাইটে শক্তি কে দিবে??
অপুঃলাইটে যে যাচ্ছে সে দিবে।।
তপু ভাইয়াঃ গুড আন্সার। এখন কথা হচ্ছে, যে লাইটে যাবে সে যদি শক্তি দিতে পারে তাহলে লাইট জ্বলবে অন্যথায় জ্বলবে না।।এখন ভাবো লাইটে যাবে কে???
অপুঃকে যাবে আবার ইলেকট্রন যাবে।
তপু ভাইয়াঃগুড,এই ইলেক্ট্রন লাইটে শক্তি নিয়ে যায় আর লাইট সে শক্তি থেকে আলো আর তাপ শক্তি দেয়।। আর ইলেক্ট্রনের নিয়ে যাওয়া শক্তিই হচ্ছে বিভব।তো এখন যদি ইলেক্ট্রনেই শক্তি না থাকে তাহলে লাইট শক্তি পাবে না,সুতরাং লাইটও জ্বলবে না।। কথা কি কিলিয়ার???
অপুঃহ্যা একদম।কিন্তু ট্রন্সফর্মার???
তপু ভাইয়াঃও হ্যা, এই যে বিভব বুজলা। এই বিভবের মান মাঝে মাঝে বাড়াতে হয় আবার কমাতে হয়।।এই কমানো বাড়ানোর কাজটা করে ট্রন্সফর্মার।। যেই ট্রান্সফরমার বাড়ায় তার নাম হচ্ছে স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার আর যে কমায় তার নাম স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার।।
অপুঃকিহ???বিভবে র মান বাড়ানো কমানোর কি দরকার??
তপু ভাইয়াঃভালো প্রশ্ন।আচ্ছা দেখো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলা নরমালী শহর থেকে অনেক দূরে হয়।।তো সেইখানে বিদুৎ উৎপাদন হওয়ার পর সেই বিদুৎকে অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়।এই পাড়ি দেয়ার জন্য সেইখানে উৎপন্ন হওয়া বিদুৎএর শক্তি বা ভোল্টেজ অনেক অনেক বাড়ানো হয়।।আবার এই বিদুৎ যখন শহরে এসে ঘরে ঘরে এসে পৌছে তখন এর উচ্চ বিভব কে আবার কমানো হয়, কারন আমাদের ঘরের ইলেক্ট্রিক যন্ত্রপাতি গুলা এত শক্তি সহ্য করতে পারে না।।।দরকারটা ক্লিয়ার হয়েছে?
অপুঃজি ভাইয়া হয়েছে।।কিন্তু এই কাজটা করে কিভাবে?
তপু ভাইয়াঃআচ্ছা এইটা জানতে গেলে জানতে হবে ফ্যারাডের সূত্র আর বুঝতে হবে চুম্বক ফ্লাক্স।এখন বুঝো, চুম্বক ক্ষেত্রের সাথে তড়িৎ ক্ষেত্র থাকে।।।এই চুম্বক ক্ষেত্র হচ্ছে একটা ভেক্টর রাশি।আর ভেক্টর রাশিকে উপাংশে ভাগ করা যায় তা তো জানোই।না জানলে বলতেছি, ধর তুমি একটা বস্তুকে একটা গ্রাফ পেপারে মুলবিন্দুতে রেখে x আর y অক্ষের মাঝখান দিয়ে যেকোন দিখে বল প্রয়োগ করলা।।তাহলে দেখবা বস্তুটা x অক্ষ y অক্ষ দুই অক্ষ বরাবরই কিছু পথ অতিক্রম করেছে।কিন্তু তুমি কিন্তু x বা y দুইটার কোনটার বরাবরই বল দাও নি কিন্তু এর পরও বস্তু x ও y অক্ষ বরাবর এগিয়ে গেছে এর মানে হচ্ছে বস্তুটা x ও y অক্ষ বরাবর বল পেয়েছে কিন্তু আমি দেই নি।না দেওয়ার পরও পেয়েছে এর কারন হয়েছে বল ভেক্টর রাশি।।।যদি একটা জায়গায় আমি কোন ভেক্টর রাশিকে রাখি তো এই রাশির মান সব দিকে ছড়িয়ে পড়ে।।আর এই ছড়িয়ে পড়া এক এক অংশকে উপাংশ বলি।।আর এই উপাংশোরও কিন্তু দিক আছে।কারন উপাংশ নিজেও ভেক্টর রাশি।আরো সহজ করে বলি, ধর তুমি উত্তর দিকে সরল পথে ১০ মিটার গেলা এইটা আমি কিন্তু বলতে পারি দক্ষিন দিকে মাইনাস ১০ মিটার গেছ।।দেখ তুমি কিন্তু উত্তর দিকে গেছ এর ফলে কিন্তু দক্ষিন দিকেও একটা মান পেয়েছো।।এই যে তোমার সরনের মানটা দক্ষিন দিকেও ছড়িয়ে পড়লো, এখন এই দক্ষিন দিকের অংশটাও একটা উপাংশ।।উপাংশ জিনিসটা ক্লিয়ার হয়েছে??
অপুঃ জ্বি ভাইয়া হয়েছে।
তপু ভাইয়াঃআচ্ছা দেখ চৌম্বক ক্ষেত্র যেহেতু ভেক্টর রাশি।।তাহলে কোন চোম্বক ক্ষেত্রেও উপাংশ থাকবে।কথা ঠিক কিনা??
অপুঃহুম্ম থাকবে।
তপু ভাইয়াঃতো এখন তুমি একটা চোম্বক ক্ষেত্র কল্পনা কর আর এর মাঝে একটা তল কল্পনা করো।তো এইবার তুমি যদি এই তলে লম্ব দিকে যাও তাহলে তুমি চোম্বক ক্ষেত্রটার একটা উপাংশ পাবে।।কারন চুম্বক ক্ষেত্রে ভেক্টর রাশি।এই লম্ব দিকে চোম্বক ক্ষেত্রের যে অংটা পাবে এইটা হচ্ছে চুম্বক ফ্লাক্স।এই চুম্বক ফাক্সের মান নির্ভর করে চুম্বক ক্ষেত্রের উপর।যেইখানে চুম্বকক্ষত্রের মান বেশি সেইখানে সেই খানে চুম্বক ফ্লাক্সের মান বেশি।।আর চুম্বক ক্ষেত্রে মান নির্ভর করে চুম্বক বল রেখার উপর।।যেইখানে বল রেখা বেশি সেইখানে চুম্বক ক্ষেত্রের মান বেশি।।সাধারনত চুম্বকের কাছে গেলে বল রেখা বাড়তে থাকে মানে বল রেখা গুলা অনেক ঘন থাকে আর দূরে গেলে কমতে শুরু করে।।।সুতরাং চুম্বকের কাছে চুম্বকক্ষেত্রের মান বেশি থাকবে আর দূরে গেলে কম্নতে থাকবে।।ক্লিয়ার এই অব্দি???
অপুঃ জি ভাইয়া ক্লিয়ার।।
তপু ভাইয়াঃফ্যারাডের সূত্র অনুযায়ী, ধরো তোমার কাছে একটা পরিবাহী তারের কুন্ডলী আছে।তো তুমি যদি এখন এই কুন্ডলির মাঝে চোম্বক ফাক্সের মান বা চুম্বক বল রেখার মান কমতে বাড়াতে থাকো মানে পরিবর্তন করতে থাকো তাহলে কুন্ডলীতে তড়িৎ চালক শক্তি বা ভোল্টেজের জন্ম হবে।।আর এই জন্ম নেয়া ভোল্টেজের মান নির্ভর করবে কুন্ডলীর উপর।কুন্ডলী যত প্যাচানো থাকবে তড়িৎ চালক শক্তির মান তত বেশি হবে আর যদি কম প্যাচানো থাকে তাহলে কম হবে।।বুঝেছো??
অপুঃজি ভাইয়া বুঝেছি।কিন্তু কুন্ডলী মাঝে বলরেখা বা ফাক্সের মান কিভাবে পরিবর্তন করবো???
তপু ভাইয়াঃএকদম সিম্পল ম্যান।ধর তোমার ডান হাতে একটা কুন্ডলী আছে আর বাম হাতে একটা চুম্বক আছে।তো মনে করে দেখো চুম্বকের কাছা কাছি বলরেখা বেশি থাকে।তো এখন যদি তুমি কুন্ডলীকে চুম্বকের কাছে নিয়ে আসো তাহলে কুন্ডলীর ভিতরে বলরেখা বাড়বে আর দূরে গেলে কমবে।এইভাবে পরিবর্তিত হতে থাকলে কুন্ডলীতে ভোল্টেজের জন্ম হবে।।বুঝেছো???
অপুঃবুঝেছি।কিন্তু চুম্বককে আনা নেয়া ছাড়া অন্য কোন ভাবে কি করা যায় ন??
তপু ভাইয়াঃযায়।শুধু যে চুম্বককেই কাছে বা দূরে নিতে হবে এমন না।।যাদের চুম্বকক্ষেত্র আছে এদের কাছে দূরে নিলেই হবে।।ধর এইবার তুমি বাম হাতে চুম্বের বদলে একটা সার্কিট নিলা যার তড়িৎ প্রবাহ পরিবর্তনশীল।,তা র মানে হচ্ছে এর তড়িৎক্ষেত্র পরিবর্তনশীল যার অর্থ এর চুম্বকক্ষেত্রের মানও পরিবর্তনশীল যার মানে বলরেখার মান পরিবর্তনশীল।।।। ঠিক আছে???
অপুঃ হ্যাঁ ভাইয়া ঠিক আছে...
তপু ভাইয়াঃতাহলে তুমি যদি এমন একটা সার্কিটকে তোমার ডান হাতের কুন্ডলীর কাছে ধরো তাহলে কুন্ডলীর ভেতরে বলরেখার মান পরিবর্তীত হতে থাকবে, আর এর ফলে তোমার কুন্ডলীতে ভোল্টেজের জন্ম হবে।।।বুঝেছেন স্যার.??
অপুঃ জি ভাই বুঝেছি।।কিন্তু এইটা ট্রন্সফর্মার এ কিভাবে কাজ করে??
তপু ভাইয়াঃবলতেছি দাঁড়াও, কারেন্ট এসেছে, ফোনটা একটু চার্জে দিয়ে আসি।।রাতে আবার চার্জ দেয়ার সময় পাবো না
তপু ভাইয়াঃএমন যদি কোন ফোন বানানো যেতো যেটাকে চার্জ করার জন্য দরকার হতো কথা বলার মানে কথা বললেই ফোন চার্জ হতো বা ফেসবুক,হোয়াটস এপ এ চ্যাট করলেও চার্জ হতো,তাহলে ব্যাপারটা একেবারে মন্দ হতো না।
এত ক্ষনে মুখ ভারের কারন বুজল অপু।তার ফোনের চার্জ শেষ। আমি কথা বলতে যাবো এমন সময় ভাই আবার বলতে শুরু করলেন...
তপু ভাইয়াঃআচ্ছা অপু দুইটা ছেলে মেয়ের মাঝে কিছু হয়ে যাওয়া কে তুমি কিভাবে দেখো??মানে তুমি এটাকে সাপোর্ট করো??
অপুঃভাই,একটু থামবেন??পাঁচ মিনিট ভাবতে বলে এসেছেন তের মিনিট পরে।।ভাবতে ভাবতে মাথার বারটা বেজে গেছে ভাই, এর মাঝে আপনি এই সব পিরিত নিয়া আসছেন??
তপু ভাইয়াঃবুজবা কি পিচ্চি পুলা।।লাভ মেইক্স এ ম্যান ইন্সেন।।
অপুঃধুর ভাই,আপনি লাভ ক্ষতি যা ইচ্ছা করেন সমস্যা নাই কিন্তু ভাই আমাকে উত্তরটা বইলা দিয়া বাচান ভাই,।
তপু ভাইয়াঃহাহাহা, আচ্ছা আচ্ছা।আচ্ছা প্রশ্নটা জানি কি ছিল?
অপুঃ ঐযে লাইট জ্বলবে কিনা??
তপু ভাইয়াঃ আচ্ছা, আগে একটু বুঝো লাইট জ্বলা মানে কি?লাইট জ্বলা মানে হচ্ছে লাইট থেকে তাপ আর আলোকশক্তি আসা।তো এইবার ভাবো লাইট যে তোমাকে শক্তি দিবে তো লাইট এই শক্তি কোথায় পাবে বা লাইটে শক্তি কে দিবে??
অপুঃলাইটে যে যাচ্ছে সে দিবে।।
তপু ভাইয়াঃ গুড আন্সার। এখন কথা হচ্ছে, যে লাইটে যাবে সে যদি শক্তি দিতে পারে তাহলে লাইট জ্বলবে অন্যথায় জ্বলবে না।।এখন ভাবো লাইটে যাবে কে???
অপুঃকে যাবে আবার ইলেকট্রন যাবে।
তপু ভাইয়াঃগুড,এই ইলেক্ট্রন লাইটে শক্তি নিয়ে যায় আর লাইট সে শক্তি থেকে আলো আর তাপ শক্তি দেয়।। আর ইলেক্ট্রনের নিয়ে যাওয়া শক্তিই হচ্ছে বিভব।তো এখন যদি ইলেক্ট্রনেই শক্তি না থাকে তাহলে লাইট শক্তি পাবে না,সুতরাং লাইটও জ্বলবে না।। কথা কি কিলিয়ার???
অপুঃহ্যা একদম।কিন্তু ট্রন্সফর্মার???
তপু ভাইয়াঃও হ্যা, এই যে বিভব বুজলা। এই বিভবের মান মাঝে মাঝে বাড়াতে হয় আবার কমাতে হয়।।এই কমানো বাড়ানোর কাজটা করে ট্রন্সফর্মার।। যেই ট্রান্সফরমার বাড়ায় তার নাম হচ্ছে স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার আর যে কমায় তার নাম স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার।।
অপুঃকিহ???বিভবে
তপু ভাইয়াঃভালো প্রশ্ন।আচ্ছা দেখো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলা নরমালী শহর থেকে অনেক দূরে হয়।।তো সেইখানে বিদুৎ উৎপাদন হওয়ার পর সেই বিদুৎকে অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়।এই পাড়ি দেয়ার জন্য সেইখানে উৎপন্ন হওয়া বিদুৎএর শক্তি বা ভোল্টেজ অনেক অনেক বাড়ানো হয়।।আবার এই বিদুৎ যখন শহরে এসে ঘরে ঘরে এসে পৌছে তখন এর উচ্চ বিভব কে আবার কমানো হয়, কারন আমাদের ঘরের ইলেক্ট্রিক যন্ত্রপাতি গুলা এত শক্তি সহ্য করতে পারে না।।।দরকারটা ক্লিয়ার হয়েছে?
অপুঃজি ভাইয়া হয়েছে।।কিন্তু এই কাজটা করে কিভাবে?
তপু ভাইয়াঃআচ্ছা এইটা জানতে গেলে জানতে হবে ফ্যারাডের সূত্র আর বুঝতে হবে চুম্বক ফ্লাক্স।এখন বুঝো, চুম্বক ক্ষেত্রের সাথে তড়িৎ ক্ষেত্র থাকে।।।এই চুম্বক ক্ষেত্র হচ্ছে একটা ভেক্টর রাশি।আর ভেক্টর রাশিকে উপাংশে ভাগ করা যায় তা তো জানোই।না জানলে বলতেছি, ধর তুমি একটা বস্তুকে একটা গ্রাফ পেপারে মুলবিন্দুতে রেখে x আর y অক্ষের মাঝখান দিয়ে যেকোন দিখে বল প্রয়োগ করলা।।তাহলে দেখবা বস্তুটা x অক্ষ y অক্ষ দুই অক্ষ বরাবরই কিছু পথ অতিক্রম করেছে।কিন্তু তুমি কিন্তু x বা y দুইটার কোনটার বরাবরই বল দাও নি কিন্তু এর পরও বস্তু x ও y অক্ষ বরাবর এগিয়ে গেছে এর মানে হচ্ছে বস্তুটা x ও y অক্ষ বরাবর বল পেয়েছে কিন্তু আমি দেই নি।না দেওয়ার পরও পেয়েছে এর কারন হয়েছে বল ভেক্টর রাশি।।।যদি একটা জায়গায় আমি কোন ভেক্টর রাশিকে রাখি তো এই রাশির মান সব দিকে ছড়িয়ে পড়ে।।আর এই ছড়িয়ে পড়া এক এক অংশকে উপাংশ বলি।।আর এই উপাংশোরও কিন্তু দিক আছে।কারন উপাংশ নিজেও ভেক্টর রাশি।আরো সহজ করে বলি, ধর তুমি উত্তর দিকে সরল পথে ১০ মিটার গেলা এইটা আমি কিন্তু বলতে পারি দক্ষিন দিকে মাইনাস ১০ মিটার গেছ।।দেখ তুমি কিন্তু উত্তর দিকে গেছ এর ফলে কিন্তু দক্ষিন দিকেও একটা মান পেয়েছো।।এই যে তোমার সরনের মানটা দক্ষিন দিকেও ছড়িয়ে পড়লো, এখন এই দক্ষিন দিকের অংশটাও একটা উপাংশ।।উপাংশ জিনিসটা ক্লিয়ার হয়েছে??
অপুঃ জ্বি ভাইয়া হয়েছে।
তপু ভাইয়াঃআচ্ছা দেখ চৌম্বক ক্ষেত্র যেহেতু ভেক্টর রাশি।।তাহলে কোন চোম্বক ক্ষেত্রেও উপাংশ থাকবে।কথা ঠিক কিনা??
অপুঃহুম্ম থাকবে।
তপু ভাইয়াঃতো এখন তুমি একটা চোম্বক ক্ষেত্র কল্পনা কর আর এর মাঝে একটা তল কল্পনা করো।তো এইবার তুমি যদি এই তলে লম্ব দিকে যাও তাহলে তুমি চোম্বক ক্ষেত্রটার একটা উপাংশ পাবে।।কারন চুম্বক ক্ষেত্রে ভেক্টর রাশি।এই লম্ব দিকে চোম্বক ক্ষেত্রের যে অংটা পাবে এইটা হচ্ছে চুম্বক ফ্লাক্স।এই চুম্বক ফাক্সের মান নির্ভর করে চুম্বক ক্ষেত্রের উপর।যেইখানে চুম্বকক্ষত্রের মান বেশি সেইখানে সেই খানে চুম্বক ফ্লাক্সের মান বেশি।।আর চুম্বক ক্ষেত্রে মান নির্ভর করে চুম্বক বল রেখার উপর।।যেইখানে বল রেখা বেশি সেইখানে চুম্বক ক্ষেত্রের মান বেশি।।সাধারনত চুম্বকের কাছে গেলে বল রেখা বাড়তে থাকে মানে বল রেখা গুলা অনেক ঘন থাকে আর দূরে গেলে কমতে শুরু করে।।।সুতরাং চুম্বকের কাছে চুম্বকক্ষেত্রের
অপুঃ জি ভাইয়া ক্লিয়ার।।
তপু ভাইয়াঃফ্যারাডের
অপুঃজি ভাইয়া বুঝেছি।কিন্তু কুন্ডলী মাঝে বলরেখা বা ফাক্সের মান কিভাবে পরিবর্তন করবো???
তপু ভাইয়াঃএকদম সিম্পল ম্যান।ধর তোমার ডান হাতে একটা কুন্ডলী আছে আর বাম হাতে একটা চুম্বক আছে।তো মনে করে দেখো চুম্বকের কাছা কাছি বলরেখা বেশি থাকে।তো এখন যদি তুমি কুন্ডলীকে চুম্বকের কাছে নিয়ে আসো তাহলে কুন্ডলীর ভিতরে বলরেখা বাড়বে আর দূরে গেলে কমবে।এইভাবে পরিবর্তিত হতে থাকলে কুন্ডলীতে ভোল্টেজের জন্ম হবে।।বুঝেছো???
অপুঃবুঝেছি।কিন্তু চুম্বককে আনা নেয়া ছাড়া অন্য কোন ভাবে কি করা যায় ন??
তপু ভাইয়াঃযায়।শুধু যে চুম্বককেই কাছে বা দূরে নিতে হবে এমন না।।যাদের চুম্বকক্ষেত্র আছে এদের কাছে দূরে নিলেই হবে।।ধর এইবার তুমি বাম হাতে চুম্বের বদলে একটা সার্কিট নিলা যার তড়িৎ প্রবাহ পরিবর্তনশীল।,তা
অপুঃ হ্যাঁ ভাইয়া ঠিক আছে...
তপু ভাইয়াঃতাহলে তুমি যদি এমন একটা সার্কিটকে তোমার ডান হাতের কুন্ডলীর কাছে ধরো তাহলে কুন্ডলীর ভেতরে বলরেখার মান পরিবর্তীত হতে থাকবে, আর এর ফলে তোমার কুন্ডলীতে ভোল্টেজের জন্ম হবে।।।বুঝেছেন স্যার.??
অপুঃ জি ভাই বুঝেছি।।কিন্তু এইটা ট্রন্সফর্মার এ কিভাবে কাজ করে??
তপু ভাইয়াঃবলতেছি দাঁড়াও, কারেন্ট এসেছে, ফোনটা একটু চার্জে দিয়ে আসি।।রাতে আবার চার্জ দেয়ার সময় পাবো না
ফোন চার্জে দিয়ে আসতে বেশি সময় লাগলো না তপুর।এসে দেখলো অপু বেচারা কেমন উদাস হয়ে গেছে ট্রান্সফরমার এর জন্য।উদাসীনতা দূর করার জন্য ট্রান্সফরমার এর কাহিনী খুলে বসলেন তপু।
তপু ভাইয়াঃট্রান্সফর্মার তেমন জটিল কিছু না।তবে জিনিসটা খুবই ইন্টারেস্টিং। ট্রান্সফর্মার বুজতে গেলে আগে ট্রান্সফর্মারের গঠন জানতে হবে।ট্রান্সফর্মার আসলে কাচা লোহার তৈরি একটা বর্গাকার বা আয়াতাকার ফ্রেম যার দুই বিপরীত বাহুতে পরিবাহী তার প্যাচানো থাকে।।তবে তফাৎ হচ্ছে একটা বাহুতে তার বেশি প্যাচানো থাকে আরেকটাতে কম।এই দুইবাহুর একটা রিসিভার এর মত আরেকটা ইমিটারের মত কাজ করে।।।মানে একটা আসে আরেকটা থেকে বের হয়ে যায়।।
অপুঃএই রিসিভার ইমিটার ব্যাপারটা বুজলাম না ঠিক।।
তপু ভাইয়াঃশোন,আগেই বলেছি ট্রান্সফর্মার দুই প্রকার একটা স্টেপ আপ আরেকটা স্টেপ ডাউন।।একটা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে আরেকটা নিম্ন বিভবে উচ্চ বিভবে রুপান্তর করে।।বুঝেছ??
অপুঃহ্যা ভাইয়া বুঝেছি।
তপু ভাইয়াঃস্টেপ আপ কিভাবে কাজ করে সেটা আগে বলি, একটু আগে বললাম একটা বাহুতে বেশি প্যাচানো থাকে আরেক্টাতে কম প্যাচানো থাকে।।।তো স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার এর যেই বাহুতে পরিবাহীর প্যাচ কম এই বাহুতে নিম্ন বিভব আসে বা এই কম প্যাচের বাহু এই নিম্ন বিভবকে রিসিভ করে।তো এখন বুঝ যেহেতু এই কম প্যাচানো বাহুর তারে বিভব পার্থক্য আছে তাহলে এইখানে ইলেকট্রন এর প্রবাহ ঘটবে।এইতারের মাঝে দিয়ে ইলেকট্রন যাওয়ার সময় ইলেক্টন প্রতিনিয়ত দিক পরিবর্তন করবে কারন তার বাহুতে গোল করে প্যাচানো থাকে, দিক পরিবর্তন করবে মানে চুম্বক ক্ষেত্রের দিক পরিবর্তন হবে সাথে সাথে ফ্লাক্সও পরিবর্তন হবে।।তো এইখানে ইলেকট্রন এর এই গতির জন্য এই কম প্যাচানো বাহুর বিপরীত বাহুতে যে তারের প্যাচ আছে ওইটার ভিতর চুম্বক ফাক্সের পরিবর্তন হবে।।আর চুম্বক ফ্লাক্সের পরিবর্তন হলে একুন্ডলীতে ভোল্টেজের জন্ম হবে।।যেহেতু এই কুন্ডলি বেশি প্যাচানো তাহলে এই কুন্ডলিতে ইলেকট্রন বেশি সংখ্যক প্যাচানো পথে ঘুরবে আর এর ফলে এতে বেশি টর্ক প্রয়োগ হবে।আর যত বেশি টর্ক প্রয়োগ হবে ভোল্টেজ তত বাড়তে থাকবে।।।আর এইভাবেই আমারা স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার দিয়ে নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভব পাই।বুঝেছো??
অপুঃজি ভাইয়া বুঝেছি।।কিন্তু স্টেপ ডাউন কিভাবে কাজ করে??
তপু ভাইয়াঃ সিম্পল, ঠিক এর উল্টা ভাবে।স্টেপ আপে ভোল্টেজ এসেছিল কম পাক সংখ্যার বাহুতে আর স্টেপ ডাউনে আসবে বেশি পেচানো বাহুতে।।এতে করে কম প্যাচানো বাহুতে ভোল্টেজের জন্ম হবে।।আর প্যাচ কম থাকার কারনে টর্ক কম প্রয়োগ হবে আর ভোল্টেজের মান কমে যাবে।। বুঝেছো???
অপুঃ জি ভাইয়া একদম।।
তপু ভাইয়াঃব্রিলিয়ান্ট ছেলে। আসায় যাও এবার, না ঘ্যাচাং সাহেব পিঠের চামড়া তুলবে
অপুঃহাহাহ আচ্ছা ভাইয়া ব্যাটারি ফিরে এসেছে, এইবার তুল্লেও সমস্যা নাই।।
তপু ভাইয়াঃহাহাহা আচ্ছা, দাঁড়াও ব্যাটারি আবার হাওয়া করে দেই।।শোন ট্রান্সফর্মার কিন্তু কম শক্তিকে বেশি শক্তিতে রূপ দেয়,ধরা ছোয়া ছাড়াই।তার মানে স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার এ শক্তির জন্ম হয়।।কিন্তু মহামতী নিউটন মশাই তো বলে গেছেন শক্তি জন্ম বা মৃত্যু নাই। তাহলে কি নিউটন ভুল নাকি ট্রান্সফরমার যার নীতিতে কাজ করে মাইকেল ফ্যারাডে তার নীতি ভুল ??
অপুঃএএএএ
তপু ভাইয়াঃট্রান্সফর্মার তেমন জটিল কিছু না।তবে জিনিসটা খুবই ইন্টারেস্টিং। ট্রান্সফর্মার বুজতে গেলে আগে ট্রান্সফর্মারের
অপুঃএই রিসিভার ইমিটার ব্যাপারটা বুজলাম না ঠিক।।
তপু ভাইয়াঃশোন,আগেই বলেছি ট্রান্সফর্মার দুই প্রকার একটা স্টেপ আপ আরেকটা স্টেপ ডাউন।।একটা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে আরেকটা নিম্ন বিভবে উচ্চ বিভবে রুপান্তর করে।।বুঝেছ??
অপুঃহ্যা ভাইয়া বুঝেছি।
তপু ভাইয়াঃস্টেপ আপ কিভাবে কাজ করে সেটা আগে বলি, একটু আগে বললাম একটা বাহুতে বেশি প্যাচানো থাকে আরেক্টাতে কম প্যাচানো থাকে।।।তো স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার এর যেই বাহুতে পরিবাহীর প্যাচ কম এই বাহুতে নিম্ন বিভব আসে বা এই কম প্যাচের বাহু এই নিম্ন বিভবকে রিসিভ করে।তো এখন বুঝ যেহেতু এই কম প্যাচানো বাহুর তারে বিভব পার্থক্য আছে তাহলে এইখানে ইলেকট্রন এর প্রবাহ ঘটবে।এইতারের মাঝে দিয়ে ইলেকট্রন যাওয়ার সময় ইলেক্টন প্রতিনিয়ত দিক পরিবর্তন করবে কারন তার বাহুতে গোল করে প্যাচানো থাকে, দিক পরিবর্তন করবে মানে চুম্বক ক্ষেত্রের দিক পরিবর্তন হবে সাথে সাথে ফ্লাক্সও পরিবর্তন হবে।।তো এইখানে ইলেকট্রন এর এই গতির জন্য এই কম প্যাচানো বাহুর বিপরীত বাহুতে যে তারের প্যাচ আছে ওইটার ভিতর চুম্বক ফাক্সের পরিবর্তন হবে।।আর চুম্বক ফ্লাক্সের পরিবর্তন হলে একুন্ডলীতে ভোল্টেজের জন্ম হবে।।যেহেতু এই কুন্ডলি বেশি প্যাচানো তাহলে এই কুন্ডলিতে ইলেকট্রন বেশি সংখ্যক প্যাচানো পথে ঘুরবে আর এর ফলে এতে বেশি টর্ক প্রয়োগ হবে।আর যত বেশি টর্ক প্রয়োগ হবে ভোল্টেজ তত বাড়তে থাকবে।।।আর এইভাবেই আমারা স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার দিয়ে নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভব পাই।বুঝেছো??
অপুঃজি ভাইয়া বুঝেছি।।কিন্তু স্টেপ ডাউন কিভাবে কাজ করে??
তপু ভাইয়াঃ সিম্পল, ঠিক এর উল্টা ভাবে।স্টেপ আপে ভোল্টেজ এসেছিল কম পাক সংখ্যার বাহুতে আর স্টেপ ডাউনে আসবে বেশি পেচানো বাহুতে।।এতে করে কম প্যাচানো বাহুতে ভোল্টেজের জন্ম হবে।।আর প্যাচ কম থাকার কারনে টর্ক কম প্রয়োগ হবে আর ভোল্টেজের মান কমে যাবে।। বুঝেছো???
অপুঃ জি ভাইয়া একদম।।
তপু ভাইয়াঃব্রিলিয়ান্ট ছেলে। আসায় যাও এবার, না ঘ্যাচাং সাহেব পিঠের চামড়া তুলবে
অপুঃহাহাহ আচ্ছা ভাইয়া ব্যাটারি ফিরে এসেছে, এইবার তুল্লেও সমস্যা নাই।।
তপু ভাইয়াঃহাহাহা আচ্ছা, দাঁড়াও ব্যাটারি আবার হাওয়া করে দেই।।শোন ট্রান্সফর্মার কিন্তু কম শক্তিকে বেশি শক্তিতে রূপ দেয়,ধরা ছোয়া ছাড়াই।তার মানে স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার এ শক্তির জন্ম হয়।।কিন্তু মহামতী নিউটন মশাই তো বলে গেছেন শক্তি জন্ম বা মৃত্যু নাই। তাহলে কি নিউটন ভুল নাকি ট্রান্সফরমার যার নীতিতে কাজ করে মাইকেল ফ্যারাডে তার নীতি ভুল ??
অপুঃএএএএ
[বিঃদ্রঃ আরো অনেক বিস্তারিত লিখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু কোন কারনে হয়তো লিখা হলো না, এইজন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত,লিখায় কোন ভুল থেকে থাকলে ছোট ভাই মনে করে ভুলটা দয়া করে ধরিয়ে দিবেন।এই আশা ব্যাক্ত করে বিদায় নিলাম]
Writer: Sabbir Rahman
সদস্য, ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান
Tags:
পদার্থবিজ্ঞান