লাইফের ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

মানুষের লাইফে যদি তিনটি জিনিস থাকে সে তার লক্ষ্যে কোনো না কোনো দিন পৌঁছাতে পারবেই।


১. Self - Motivation :
একটা ব্যাপারে খেয়াল করো এই যে আমরা নানানরকম মোটিভেশনাল কথাবার্তা শুনি এর কতটুকু আমরা বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারি? 
হুম শুনতে এগুলো আমাদের একেবারে খারাপ লাগেনা।
তবে আমাদের নিজেকে নিজে মোটিভেট করা শিখতে হবে।
সত্যি কথা বলি ভাই, আসলে এইসব মোটিভেশনাল পোস্ট পড়ে আমার মনে হয়না কোনো ইমপ্রুভমেন্ট হয় আমাদের।
হুম যখন তুমি এটা পড়বা অনেক ভালো লাগবে বাট দেখা যাবে একটু পরে তুমি অন্য আরেকটা পোস্ট পড়ে ওইটায় মত্ত হয়ে যাবে।
এই হলো আসল ব্যাপার।
তাই যেটা বলতে চাচ্ছি আরকি এসব হাজারো মোটিভেশনাল পোস্ট পড়ে তোমার কিচ্ছুই হবেনা।
নিজের মোটিভেটর নিজে হও।
নিজের গোলটা নিজে সেট করো আর সেভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাও নিজেকে।


২. Self -Control :
নিজেকে নিয়ন্ত্রন
করা কিন্তু অনেক বড় একটা কাজ জানোতো!!!
অনেক বড় কাজ।
লাইফে হুজুগের ঠেলায়,ভাল্লাগুনির ঠেলায়,ঘোরার ঠেলায় নিজের ওপর থেকে দূরে সরে যেওনা।
আমার আমির ওপর কনক্রিট থাকো।
লাইফে কখনোই খুব বেশি ইমোশনাল হওয়া যাবেনা যদিও কিছু জায়গা থাকে ইমোশনের তারপরও বলবো সেটাও একটা সীমার মধ্যে রাখো।
সবাইকেই বলছি এন্ড ফ্রাঙ্কলিই বলছি লাইফে প্রেম-ভালোবাসার একটা চ্যাপ্টার থাকতেই পারে। সমস্যা কি থাকুকইনা।
বাট এমন কিছু কইরো না ভাই যেটা তোমার লাইফের বাতি নিভিয়ে দিবে।
বিলিভ মি,
তুমি যদি ভালো কোন জায়গায় না যেতে পারো তুমি বা সে একে অন্যকে যতই ভালোবাসোনা কেন কেউ কাউকে পাবা না এটাই নির্মম সত্য রে ভাই।
তাই বলছি নিজের ওপর কখনো কন্ট্রোল হারিয়ো না।
সত্যটা,বাস্তবতাটা বুঝার ট্রাই করো।


৩.Self-Realization:
আত্মোপলদ্ধি।
ওই যে একটা কথা আছেনা!!! যে নিজের বিবেক হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আদালত।
আসলেই কিন্তু তাই।
তুমি এখন ইন্টার বা অনার্স লেভেলের স্টুডেন্ট। যদিও অনেকে নিজেকে বাচ্চা ভাবতেই বেটার ফিল করো বাট ভাবখানা এমন যেন কিছু বুঝোনা ।
যাইহোক যতই বলো না কেন আমি কিন্তু তোমাকে একেবারে বাচ্চা বলতে পারবো না।
যথেষ্ট ম্যাচুউর্ড তুমি।
অ্যাট লিস্ট নিজের ভালোটাতো বুঝো নাকি!!!
কারণ আপন ভালো নাকি পাগলেও বুঝে।
নিজেই রিয়ালাইজ করো কোনটা করলে তোমার লাভ আর কোনটা করলে তোমার বাঁশ।
মনে করো তোমার এক্সাম সামনে। তোমার এক ফ্রেন্ড বললো দোস্ত চল,অমুক জায়গায় যাইয়া একটু পাঙ্খামী কইরা আসি।
এখন তোমার ভাবতে হবে রিয়ালাইজ করতে হবে তোমার ওখানে গেলে নিজের কি লাভ হবে বা কি ক্ষতি হবে।
এখানে সেল্ফ কন্ট্রোলিংয়ের ব্যাপারটাও কাজ করে।
তখন তোমাকে পজিটিভ, নেগেটিভ দুটো ভেবেই কাজটা করতে হবে।
আই থিংক বুঝতে পেরেছো।
যাইহোক অনেক কথা বলে
ফেললাম। আজ আর না বাড়াই।
শুধু একটা কথাই বলবো লাইফে অন্যের উদাহরণ, মোটিভেশনাল কথা নিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎটাকে মরতে দিওনা।
আমার আমিটাতো ঘুমিয়ে আছে পানি ছিটিয়ে ওটার ঘুম ভাঙাও তারপর নার্সারিং করো ওটাকে নিয়ে।
দেখবে
তুমি তোমাকে এমন জায়গায় দেখবে তখন তুমিই অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ ।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form