পিঁপড়ারা অত্যন্ত সামাজিক এক প্রাণী, তারা সংখ্যায় লক্ষাধিক হলেও কলোনিতে নিজেদের কাজগুলো অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দলবদ্ধভাবে সম্পাদন করে। এই ভালো যোগাযোগ করতে পারা তাদের সফলতার এক বড়ো কারণ। তারা ‘pheromones’ নামের ক্যামিকেলের গন্ধের ওপর নির্ভর করে অধিকৃত এলাকা সুরক্ষা এবং জটিল তথ্য আদান প্রদানের কাজ সম্পাদন করে। এমনকি খাদ্যের উৎস সন্ধান, কিংবা বাসা চেনার পথ বা শিকারির আর্বিভাব সহ সব ক্ষেত্রে ‘ফেরোমোন’ এর ভুমিকা অপরিসীম। প্রতিটা পিঁপড়ার প্রজাতির নিজস্ব ক্যামিকেলের মানদন্ড আছে, যা প্রজাতিভেদে ২০টা ভিন্ন ভিন্ন ধরণের ফেরোমোনও হতে পারে। পিঁপড়া যাওয়ার সময় নির্দিষ্ট একপ্রকার গন্ধ গন্তব্যের পথে তৈরী করে থাকে। পিঁপড়ার এন্টেনাগুলো এই ক্যামিকেলের গন্ধকে ‘শব্দ’ এ রুপান্তরিত করে, যা পিঁপড়াদের সারিবদ্ধ করে সেই এক লাইনে নিয়ে আসে, নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে বা ফিরে আসতে।
অনুবাদঃ sciencefocus.com