গত পর্বে আমরা চক্রীয় ফটোফসফরাইলেশন নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজ কথা না বাড়িয়ে অচক্রীয় ফটোফসফরাইলেশনটা দেখে নেয়া যাক।
আমাদের গল্পের ভিলেন মফিজ আবার ধানাইপানাই শুরু করেছে। কিছু একটা করা দরকার।
ফটোসিস্টেম-২ এর উপর ৬৮০nm এর কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো পড়লে তা থেকে কিছু ফোটন শোষিত হয়ে বিক্রিয়া কেন্দ্রে স্থানান্তরিত হয়। ফলে দুটি ইলেকট্রন শক্তি পেয়ে বিক্রিয়াকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসে। আবার শুরু হয় ইলেকট্রন জোড়ার রোম্যান্টিক অথচ এডভেঞ্চারাস জার্ণি।
এবার ইলেক্ট্রনরা প্রথমেই চলে যায় "প্লাস্টোকুইনোন" গ্রামে। কিন্তু প্লাস্টোকুইনোন এ মফিজ আস্তানা গেড়ে বসেছে। সেখানে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না। ওরা পাড়ি জমালো "সাইটোক্রোম-এফ" এর দিকে। কিন্তু এবারো রাস্তায় মফিজের চ্যালা ADP এবং Pi ওদের চিনে ফেললো।
(গত পর্বে বলেছিলাম ADP এবং Pi টাকা খেয়ে চৌধুরী সাহেব (ATP) হয়ে গেছে। কিন্তু পড়ে একটা বিশেষ ব্যবসায় ওরা ওদের সব টাকা ইনভেস্ট করে আবার ফতুর হয়ে মফিজের টিমে চলে এসেছে।)
আবারো আমাদের ইলেক্ট্রনদ্বয় ADP আর Pi কে টাকাপয়সা দিয়ে ম্যানেজ করে "সাইটোক্রম-এফ" এ চলে গেলো। সেখান থেকে সোজা বন্ধুর বাড়ি "প্লাস্টোসায়ানিন" হয়ে ফটোসিস্টেম-১ এ এসে থিতু হলো।
আর চ্যালারা আবার চৌধুরী সাহেব(ATP) হয়ে ভাব মারতে লাগলো।
এদিকে ঘটেছে আরেক ঘটনা, ইলেক্ট্রনরা তাদের বাসা "ফটোসিস্টেম-২" থেকে চলে আসার পর খালি বাসা দখল করে নিয়েছে অন্য দুটো ইলেক্ট্রন।
আলোর উপস্থিতিতে পানির অণু ভেঙে দুটো হাইড্রোজেন আয়ন, অক্সিজেন ও দুটো ইলেক্ট্রন উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়াটিকে পানির ফটোলাইসিস বলে। উৎপন্ন ইলেকট্রনরাই আগের ইলেকট্রনদ্বয়ের শুন্যস্থান পূরণ করেছে। আর অক্সিজেন বায়ুতে উন্মুক্ত হয়। বাকী রইলো হাইড্রোজেন আয়ন, এদের হিল্লে সামনে করা হবে।
ফিরে আসি ফটোসিস্টেম-১ এ। এখানে অপেক্ষা করছে আগের ইলেকট্রন দুটো। কার জন্য? আমাদের? আরে নাহ; ওরা আলোর জন্যে অপেক্ষা করছে।
ফটোসিস্টেম -১ এ ৬৮০nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বেশি আলো পড়লে ইলেকট্রনদ্বয় আবার বেড়িয়ে পড়ে। তাদের আরো পথ পাড়ি দিতে হবে।
এই পর্যায়ে ওরা প্রথমে যায় ওদের ফ্রেন্ডের বাসা "ফেরিডক্সিন" এ। সেখান থেকে বেরোনোমাত্র মফিজের ডানহাত NADP এর সামনে পড়ে যায় । NADP ইতোমধ্যে ADP এবং Pi এর ঘটনা জানে। তাই ওদের পেয়েই টাকা চাইতে শুরু করে। এবার NADP এর মুখ বন্ধ করতে এগিয়ে আসে আমাদের দৃশ্যের আড়ালে রেখে আসা হাইড্রোজেন আয়ন দুটো। NADP হয়ে যায় NADPH+H+ আর ইলেক্ট্রনদ্বয় এই সুযোগে চলে যায় মফিজের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
আমাদের আলোক নির্ভর পর্যায়ের আলোচনা এখানেই শেষ। বেঁচে থাকলে আগামী পর্বে আলোক নিরপেক্ষ পর্যায় নিয়ে কথা হবে।
Writer: Jahidul Islam Riyad
আমাদের গল্পের ভিলেন মফিজ আবার ধানাইপানাই শুরু করেছে। কিছু একটা করা দরকার।
ফটোসিস্টেম-২ এর উপর ৬৮০nm এর কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো পড়লে তা থেকে কিছু ফোটন শোষিত হয়ে বিক্রিয়া কেন্দ্রে স্থানান্তরিত হয়। ফলে দুটি ইলেকট্রন শক্তি পেয়ে বিক্রিয়াকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসে। আবার শুরু হয় ইলেকট্রন জোড়ার রোম্যান্টিক অথচ এডভেঞ্চারাস জার্ণি।
এবার ইলেক্ট্রনরা প্রথমেই চলে যায় "প্লাস্টোকুইনোন" গ্রামে। কিন্তু প্লাস্টোকুইনোন এ মফিজ আস্তানা গেড়ে বসেছে। সেখানে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না। ওরা পাড়ি জমালো "সাইটোক্রোম-এফ" এর দিকে। কিন্তু এবারো রাস্তায় মফিজের চ্যালা ADP এবং Pi ওদের চিনে ফেললো।
(গত পর্বে বলেছিলাম ADP এবং Pi টাকা খেয়ে চৌধুরী সাহেব (ATP) হয়ে গেছে। কিন্তু পড়ে একটা বিশেষ ব্যবসায় ওরা ওদের সব টাকা ইনভেস্ট করে আবার ফতুর হয়ে মফিজের টিমে চলে এসেছে।)
আবারো আমাদের ইলেক্ট্রনদ্বয় ADP আর Pi কে টাকাপয়সা দিয়ে ম্যানেজ করে "সাইটোক্রম-এফ" এ চলে গেলো। সেখান থেকে সোজা বন্ধুর বাড়ি "প্লাস্টোসায়ানিন" হয়ে ফটোসিস্টেম-১ এ এসে থিতু হলো।
আর চ্যালারা আবার চৌধুরী সাহেব(ATP) হয়ে ভাব মারতে লাগলো।
এদিকে ঘটেছে আরেক ঘটনা, ইলেক্ট্রনরা তাদের বাসা "ফটোসিস্টেম-২" থেকে চলে আসার পর খালি বাসা দখল করে নিয়েছে অন্য দুটো ইলেক্ট্রন।
আলোর উপস্থিতিতে পানির অণু ভেঙে দুটো হাইড্রোজেন আয়ন, অক্সিজেন ও দুটো ইলেক্ট্রন উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়াটিকে পানির ফটোলাইসিস বলে। উৎপন্ন ইলেকট্রনরাই আগের ইলেকট্রনদ্বয়ের শুন্যস্থান পূরণ করেছে। আর অক্সিজেন বায়ুতে উন্মুক্ত হয়। বাকী রইলো হাইড্রোজেন আয়ন, এদের হিল্লে সামনে করা হবে।
ফিরে আসি ফটোসিস্টেম-১ এ। এখানে অপেক্ষা করছে আগের ইলেকট্রন দুটো। কার জন্য? আমাদের? আরে নাহ; ওরা আলোর জন্যে অপেক্ষা করছে।
ফটোসিস্টেম -১ এ ৬৮০nm তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বেশি আলো পড়লে ইলেকট্রনদ্বয় আবার বেড়িয়ে পড়ে। তাদের আরো পথ পাড়ি দিতে হবে।
এই পর্যায়ে ওরা প্রথমে যায় ওদের ফ্রেন্ডের বাসা "ফেরিডক্সিন" এ। সেখান থেকে বেরোনোমাত্র মফিজের ডানহাত NADP এর সামনে পড়ে যায় । NADP ইতোমধ্যে ADP এবং Pi এর ঘটনা জানে। তাই ওদের পেয়েই টাকা চাইতে শুরু করে। এবার NADP এর মুখ বন্ধ করতে এগিয়ে আসে আমাদের দৃশ্যের আড়ালে রেখে আসা হাইড্রোজেন আয়ন দুটো। NADP হয়ে যায় NADPH+H+ আর ইলেক্ট্রনদ্বয় এই সুযোগে চলে যায় মফিজের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
আমাদের আলোক নির্ভর পর্যায়ের আলোচনা এখানেই শেষ। বেঁচে থাকলে আগামী পর্বে আলোক নিরপেক্ষ পর্যায় নিয়ে কথা হবে।
Writer: Jahidul Islam Riyad