গ্রানাডা বিদ্রোহ - আন্দালুসিয়ার শেষ মুসলিম শহরের রক্তাক্ত ইতিহাস

🎯পটভূমি:

আন্দালুসিয়ার শেষ মুসলিম সম্রাজ্য আমিরাত অফ গ্রানাডার শেষ বাওবদিল(দ্বাদশ মুহাম্মদ) এর আত্মসমর্পণ এর চুক্তি অনুসারে আরাগনের রাজা দ্বিতীয় ফার্ডিনান্ড ও কাস্তিল এর রানী ইসাবেলা গ্রানাডার যৌথ শাসক হন। তারা মুসলিমদের ধর্ম, পোষাক, রীতিনীতি, মসজিদ ও মিনারের নিরাপত্তার অঙ্গীকার করেন।এবং সেই সাথে আমিরাত অফ গ্রানাডার শেষ শাসক বাওবদীল (দ্বাদশ মোহাম্মদ) এর সেনাপতি, বিচারক, মুফতি, নিকটভাজনদের সুরক্ষা প্রধানের অঙ্গীকার করা হয়। যায় ফলে বাওবদীল উদার শর্তে চুক্তি করতে রাজি হন।

ধর্মের প্রশ্নে ক্যাথলিক শাসকগণ ঘোষণা করেন,"বর্তমান শাসক ও তাঁদের উত্তরসূরিরা বাওবডিল ও তার মুফতি, বিচারক, সেনাপতি, নিকটজন,সাধারণ মানুষকে তাদের নিজেদের ধর্ম পালনের অনুমতি প্রদান করবেন এবং তাদের মসজিদ ও মিনার তদের থেকে কেড়ে নেওয়া হবেনা। তাদের ধর্মীয় কাজে বাধা প্রদান করা হবেনা এবং পোশাকের ক্ষেত্রে কোনো হস্তক্ষেপ করা হবেনা"।

তবে বেশিরভাগ ধনী মুসলিম সেই সাথে ১৪৯৩ এর শরতে বাওবদিল(দ্বাদশ মুহাম্মদ) সপরিবারে উত্তর আফ্রিকায় চলে যান। মুসলীম জনসংখ্যাকে নেতৃত্বহীন করে যার ফল ভোগ করতে হয়েছিল আন্দালাসিয়ার মুর মুসলিমদের।

এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এর জন্য গ্রানাডায় একটি পৌরসভা স্থাপিত হয় যেখানে মুসলিমরা ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারতো। তবে এই বেপারে ক্যাথলিক শাসকেরা খুশি ছিলনা। ষোড়শ শতাব্দীর গ্রানাডান ঐতিহাসিক লুইস ডি কার্ভাহাল এর মতে আরাগণের দ্বিতীয় ফার্দিনান্দকে তৎকালীন ক্যাথলিক শাসকেরা চাপ দিচ্ছিলেন যাতে মুসলিমদেরও ইহুদীদের মত দুইটি অপশন দেওয়া হয়।"ব্যাপটাইজড হও নয়তো দেশ ত্যাগ করো"। ফার্ডিনান্দ জানতেন মুসলীমদের উপর এইধরনের শর্ত চাপানো মানে যুদ্ধ। তাছাড়া তিনি স্পেনের বাইরে সম্রাজ্য বিস্তারে ব্যাস্ত ছিলেন তাই তিনি শাসনের প্রথম ১০ বছরে উদার ও মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতিশীল প্রশাসক নিযুক্ত করে গ্রানাডাকে অন্যতম করের উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। তাছাড়া ক্যাথলিক জনগোষ্ঠীকে উচ্চ মাত্রায় গ্রানাডাতে অভিবাসনের মাধ্যমে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা কমিয়ে আনতে থাকেন সাধারণ কৃষক ও মধ্যবিত্ত গ্রামীণ খ্রিস্টানেরা ঢলের মত আসতে শুরু করে শহরে।। তবে তখনও মুসলিমরাই ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ।

১৪৯৪-১৪৯৫ সালে একজন অস্ট্রিয়ান শল্যচিকিৎসক হিরনিমাস মুনযার তার স্পেন ভ্রমণের এক পর্যায়ে সাবেক আমিরাতে ভ্রমণ করেন। তিনি তার বিবরনে লিখেছেন কিভাবে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে মুসলিম সমাজ পুনর্গঠিত হচ্ছিল। তিনি বলেন গ্রানাডার কিছু শহরে মুসলিম জনসংখ্যাকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে এবং মসজিদ গুলোকে গির্জায় পরিণত করে হয়েছে। তবে তিনি অবাক হয়েছেন বাকি এলাকাগুলোকে পুরাপুরি ইসলামীক দেখে। গ্রানাডা শহরকে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ বলেছেন। তার বর্ণনায় দুই শতাধিক মসজিদ ও মিনারের বর্ণনা পাওয়া যায়। একটি মসজিদের নামাজরত মুসল্লিতে এতটাই পরিপূর্ণ ছিল যে রাস্তায় নামাজ পড়ছে অনেকে। উচু মিনার থেকে ভেসে আসা সকাল সন্ধার আযান তাকে মুগ্ধ করেছে। সংকীর্ণ গলিপথ দিয়ে পায়চারি করতে করতে বিত্তশালী মুসলিমদের ছোট ছোট বাগান দেখে তিনিই মুগ্ধ হয়েছেন। সেই সাথে ব্যাথিত হয়েছেন সদ্য ধ্বংস হওয়া ইহুদীদের এলাকা দেখে। সেখানকার খ্রিস্টান সিপাহসালা তে মুসলিমদের মেরামতির কাজ করতে দেখেছেন তিনি।

🎯যেভাবে দানা বাঁধে বিদ্রোহ:

গ্রানাডায় সেন্ট জেরোম অর্ডার এর প্রধান চার্চ এর আর্চবিশপ নিয়োগ করা হয় হার্নান্দো ডি তালাভেরা কে যিনি রানী ইসাবেলার সাবেক রাজদূত ও মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি শুরুতে মুসলিমদের সাথে সহানুভূতি আচরন করেন ১৪৯৮ সালে মুরদের মত জামা পরিধান, মুসলিমদের বাড়ি ভাড়া দেওয়া, গোসলখানায় যাওয়া, মুসলিম কসাই থেকে মাংস কেনা ইত্যাদিকে নিষিদ্ধ করেন। সেই সাথে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জন্য শহরকে দুইভাগে ভাগ করেন। তাছাড়া খৃষ্টানদের হস্তগত হবার শুরু ছোটখাটো সহিংসতা ও চলতে থাকে মুরদের অনুগত রাখার নামে। আরবীতে খ্রীষ্টের বাণী অনুবাদ, আরবী কাস্তিল গ্রামার রচনা করা হয় খ্রীষ্টের বাণী প্রচারে। তার ভেবেছিল ইসলাম ধর্মের ভুল বের করে দেখাতে পারলেই মুর মুসলমানেরা খ্রিস্টান হয়ে যাবে যেমনটা হয়েছে অন্যান্য বর্বর জাতির ক্ষেত্রে। তাছাড়া খ্রিস্টানদের মত পোষাকপরিধান, টেবিলে বসে খ্রিস্টান খাবার আয়োজন, যীশুর মাহাত্ম বর্ণনা, তাদের বাৎসরিক নাচের অনুষ্ঠান জামোরা তে অংশগ্রহণ করানো হয় সম্ভ্রান্ত মুসলিমদের আধুনিকতার নামে। এসকল কিছুর প্রভাবে কিছু মুর খ্রিস্টান হয়। ঠিক তখনই ইসাবেলা ও ফার্ডিনান্ড এর সাথে আরেকজন আর্চবিশপ আসেন গ্রানাডায় নামে ফ্রান্সিসকো হিমিনেজ ডি সিছনেরোস। তালাভেরা এর এই সহকর্মী এর জীবন সম্পর্কখানিকটা জেনে নেওয়াদরকার । তার কেটেছে ধর্মীয় অনুশাসনের কঠোর পালনে ও নিতান্ত অনাড়ম্বরভাবে।১৪৩৬ এ জন্মানো এই কার্ডিনাল আইনশাস্ত্রে পড়াশোনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ সালামাংকাতে। এরপর যোগদেন চার্চে। অত্যন্ত ধীরস্থির ও সূক্ষবুদ্ধি সম্পন্ন সিছনেরোস খুব দ্রুতই গুরুত্বপূর্ন পদ অধিকার করে বসেন তবে অগ্রজদের চক্ষুশূলে পরিণত হন। কারণ তাঁরা অন্ন কাউকে সেই স্থান প্রতিজ্ঞা করেছিল। এরফলে তাকে এক বছর জেল খাটতে হয়। জেল থেকে মুক্ত হয়ে তিনি এক জঙ্গলে ছোট্ট কটেজ তৈরী করে থাকতেন যেখানে শুধু শোয়ার মত জায়গা ছিল।এই সময়ে তিনিই প্রার্থনা, ধ্যান ও দেহের মর্টিফিকেশন(দেহের বিভিন্ন অংশের কষ্টদায়ক বস্তু বিধিয়ে রাখা/বেধে রাখা। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সাধু রা এ কাজটি করেন পাপ মোচনের জন্য) করে কাটাতেন। তার এইধরনের ধার্মিক জীবনযাপন কাস্টিল এর রানী ইসাবেলাকে আকৃষ্ট করে। তিনি সিছনেরোসকে ১৪৯২ সালে তার কনফেসর হবার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি এ প্রস্তাব গ্রহণ করেন। তবে তার নারীভীতি এতটাই প্রবল ছিল যে তিনিই প্রাসাদে নারীদের সাথে এক ছাদের নিচে থাকতে অস্বীকৃতি জানান (খ্রিস্ট ধর্মের অনুসারী ধর্মযাজকদের জন্যে যৌণ মিলন নিষিদ্ধ)। তিনি তালাভেরার সহকর্মী হয়ে প্রথমে যাবতীয় অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। সেই সাথে সিল্কের কাপড় ও অন্যান্য সম্পদের লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তর এর চেষ্টা করেন। এঁটে কিছুটা সফল হলেও তার মনের ভরছিল না। খ্রীষ্টের বাণী আরবীতে শুনানোকে সিছনেরোস **শুয়োরকে মুক্তার মূল্য বোঝানোর** সাথে তুলনা করেন ।১৪৯৯ e তিনি অধৈর্য হয়ে পড়েন ।ধর্মান্তরের হার না বাড়ায় তিনি নির্মমতার আশ্রয় নেন। প্রধান সম্ভ্রান্ত মুসলিম দেরকে কারাগারে পাঠিয়ে তাদের উপর অত্যাচার শুরু করেন অত্যাচার এর মধ্যে the rack, waterboarding,the pulley অন্যতম (নিচে প্রত্যেকটার ছবি দেওয়া আছে নাম লিখে গুগল করলেও পাবেন)। ধর্মযাজক লিয়ন এর প্রচন্ড অত্যাচারের ফলে এক সম্ভ্রান্তমুর মুসলিম জেগরি আযাতরকে (Zegri Azaator) বলতে বাধ্য করা হয় যে আল্লাহ তাকে বলেছে খ্রিস্টান হতে। কার্ডিনাল সিছনেরোস তাকে গোসল করিয়ে নতুন কাপড় পরিয়ে জনসম্মুখে নিয়ে যায়। তার খ্রিস্টান নাম হয় গনজালো ফার্নান্দেজ জেগ্রি। এই ঘটনার পর সিছনেরোস পোপ ষষ্ঠ আলেকজান্ডার কে একদিন হাজার মুর ধর্মান্তর হবার খবর জানিয়ে চিঠি লিখেন। হার বাড়তে থাকে এমনকি দিনে তিন হাজার মুর খ্রিস্টান হবার মত ঘটনা ঘটে। ব্যাপটিজম প্রক্রিয়ার অন্যতম একটি আচার হচ্ছে ব্যাপটিস্মল ট্যাংক এ সর্বাঙ্গ ডুবিয়ে গোসল। ধর্মান্তরের হার মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় পানির সংকট দেখা দেয় তখন চার্চে শুধু পানি ছিটিয়ে দেওয়া হতো।

তবে এইধরনের ঘটনা থেকে গ্রানাডার আলবাইসিন (Albaicín ) জেলায় প্রথম বিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটায় দর্জি, কারিগর, সিল্ক তাতিদের মাঝে। পপ্রধান সমস্যা ছিল এলচেদের নিয়ে (elche এসেছে আরবী শব্দ ilj- ভিনদেশী থেকে। খ্রিস্টান থেকে মুসলিম হওয়া কনভার্টদের এলচে বলা হতো)। এদের প্রতি খৃষ্টানদের রাগ ছিল সবচেয়ে বেশী। মালাগা অবরোধের সময় একদল এলচে কে দড়ি দিয়ে বেচে শুলবিদ্ধ করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তবে তাত্ত্বিকভাবে এলচেরা সুরক্ষিত ছিল চুক্তির জন্যে। চুক্তিতে উল্লেখ ছিল যেসব এলচে মুরদের মত হয়ে গেছে তাদেরকে জোর জবরদস্তি করে খ্রিস্টান বানানো যাবেনা। তবে সিছনেরোস এলচেদের প্রশ্ন করার নামে চার্চে ডেকে এনে আগের ধর্মে ফেরত যেতে বলেন নয়ত তাদেরও জেলে বন্দি করেন। তিনি এলচেদের মহিলা যারা মুসমানদেরকে বিয়ে করেছে তাদের টার্গেট করেন। যাতে মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এইরকম এক প্রশ্ন করার সময় সিছনেরোস এর এক সহকারী বেরিওনুয়েভো এক এলচে তরুণীকে জোর করে খ্রিস্টান বানানোর চেষ্টা করলে একবন্দি চেঁচিয়ে উঠে এ একথা বলে ও খুব তাড়াতাড়ি বিক্ষুব্ধ জনতা জমায়েত হয়। চার্চের উপরের জানলা দিয়ে ফেলা পাথরের আঘাতে বেরিওনুয়েভো মারা যায়। তার আরেক সহযোগী এক মুসলিম মহিলার খাটের নিচে আশ্রয় নিয়ে রেহাই পায়। দুই মাসের অত্যাচার ও নির্মমতা বিদ্রোহে রূপ নেয়। তার রাস্তায় নেমে বেরিক্যাড দেয় ও অস্ত্র তৈরি করতে থাকে গোপন উৎস থেকে। শহরের খৃষ্টান জনগন ও ছোট সেনা ছাউনি খুবই আতঙ্কিত হয়ে পরে।সিছনেরোস এর বাড়ি ঘিরে রাখে বিক্ষুদ্ধ জনতা। তাকে বারবার পালানোর কথা বলা হলেও তিনি বলেন তিনি জনতার গণধোলাই এ শহীদ হতে চান। তিনি ও তার সাগরেদরা সারারাত আক্রমণের অপেক্ষা করলেও জনতা আক্রমন করেনি। তার সেখান থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে আলবাইসিন শহরের জনতা তাদেরও নিজেদের নেতা ও প্রশাসক নির্বাচন করে। নন্দিত আর্চ বিশপ তালাভেরা নিজে ব্যারিকেড এর ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু ব্যার্থ হন। তবে অদম্য সাহস নিয়ে হাতে ক্রুশ ধরে ব্যারিকেড এর দিকে এগিয়ে যান তিনি এবং মুসলিমরা তাকে বরণ করে নেয়। তাছারা বিদ্রোহীদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে সেই দাবিকে শক্ত করতে আলবাইসিন শহরের প্রধান মসজিদের পাশে ক্যাপ্টেন জেনারেল তার বউ ও সন্তানদের রেখে আসনে। দশ দিন পর বিদ্রোহীরা অস্ত্র জমা দিতে শুরু করে। তারা সিছনেরোস এর কনস্টেবলদের মৃতদেহ ফেরত দেয় যাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে খ্রিস্টানরা তাদের কথা রাখেনি। সেভিয়ায় যখন বিদ্রোহের খবর পৌঁছায় সেটা ছিল ঘোলাটে।সিছনেরোস ঘোষণা করেন বিদ্রোহীদের ক্ষমা করে হবে যদি ও কেবল যদিতারা খ্রিস্টান হয়। খৃষ্টান বাহিনী নরক নামিয়ে আনে গ্রানাডায় প্রত্যেকটা মসজিদ কে গির্জায় পরিণত করা হয়। যারা খ্রিস্টান হয় তারা বেচে যায়। যারা অস্বীকার করে তাদের সাথে কি হয়েছিল নাইবা বললাম। আপনারাই কল্পনা করে নিন। এত নির্মমতা লিখা যায়না। লাখ লাখ মানুষকে অস্ত্রের মুখে ধর্মান্তরিতকরন করা হয়। সেইসাথে চলে গণহত্যা। ফার্ডিনান্ড তার স্ত্রীকে বলেন, " যা আমরা এত বছরে পারিনি তোমার আর্চ বিশপ কয়েক মাসে করে দেখালো"।সিছনেরোস ১৫০০ সালের জানুয়ারিতে ঘোষণা করেন গ্রানাডা এখন একটি খ্রিস্টান শহর প্রত্যেকটা মসজিদ কে গির্জায় পরিণত করা হয়েছে। শহর মুসলিমমুক্ত হয়েছে। একইভাবে প্রত্যেকটা গ্রামে এই একই স্রোত বইয়ে দিতে হবে। তার সহকর্মী মুসলিমরা যাকে এত বিশ্বাস করত সেই হার্নান্দো ডি তালাভেরা একে ইসাবেলা ও ফার্ডিনান্ড এর বিজয় থেকে বড়ো বিজয় হিসেবে অভিহিত করেন। তবে এই শেষ না গ্রানাডার গির্জায় ঘণ্টা বাজিয়ে উদযাপন করা হলেও এই বিদ্রোহ শেষ হয়ে যায়নি। আবার জেগে উঠে এই বিদ্রোহ গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পরে তবে সেটা আরও এক শতাব্দী পরের কথা। এই বিদ্রোহ নিয়ে আরেকদিন লেখা যাবে আজ থাকুক।

গ্রানাডাতে তথা আন্দালুসিয়ায় শহীদ আত্মাদের মাগফিরাত কামনা করে শেষ করছি.............





তথ্যসূত্র:
১/উইকিপিডিয়া
২/Blood and Faith:The Purging of Muslim in Spain by Matthew Carr


Writer: Joseph Goebbles

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম