◼সাধারণ খতিয়ানে সংরক্ষিত বিভিন্ন হিসাবসমূহের নাম ও জের নিয়ে হিসাবের গানিতিক শুদ্ধতা যাচাই করার জন্য যে তালিকা প্রস্তুত করা হয় তাই রেওয়ামিল।
আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয়।
◾নির্দিষ্ট তারিখ বা সময় বিন্দুর জন্য রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয়।
◼যে সকল ভুল থাকা সত্বেও রেওয়ামিল মিলে যায়ঃ
১. একটি লেনদেন যদি জাবেদাভুক্ত করা না হয়।
২. একটি সঠিক জাবেদা দাখিলা যদি পোস্টিং না করা হয়।
৩. একটি জাবেদা দাখিলা যদি দুবার পোস্টিং করা হয়।
৪. পোস্টিং এ যদি ভুল হিসাব ব্যবহার করা হয়।
৫. লেনদেনের টাকার পরিমান যদি কম বা বেশি হয়।
৬. এছাড়া, ডেবিট-ক্রেডিট জের সমান রেখে যেকোন ভুল।
এইসব ভুল যা রেওয়ামিলে ধরা পরে না বা যার জন্য রেওয়ামিল মিলে যায় সেগুলোকে ব্রিটিশ হিসাববিজ্ঞানে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। যেমনঃ
◼ নীতিগত ভুলঃ
হিসাববিজ্ঞান সংক্রান্ত যথাযথ জ্ঞান না থাকার কারণে যেসব ভুল হয় তাই নীতিগত ভুল। যেমনঃ মূলধন জাতীয় হিসাবকে মুনাফা জাতীয় হিসেবে লিপিবদ্ধ করা।
◼ বাদ পড়ার ভুলঃ
যদি কোন একটি লেনদেন সম্পুর্ন বাদ পড়ে যায়।যেমনঃ ৫,০০০ টাকার পন্য বিক্রয় যা সম্পুর্ন বাদ পড়েছে হিসাব থেকে।
◼বে-দাখিলার ভুলঃ
কোন একটি হিসাবকে ডেবিট বা ক্রেডিট করার পরিবর্তে সমজাতীয় অন্য একটি হিসাবকে ডেবিট বা ক্রেডিট করা। যেমনঃ কবির নামক দেনাদারের নিকট থেকে পাওনা আদায় করে কবিরকে ক্রেডিট না করে শাহিন নামের আরেক দেনাদারকে ক্রেডিট করে দেয়া হয়েছে।
◼পরিপূরক ভুলঃ
একটি ভুলের দ্বারা আরেকটি ভুল পূরণ হয়ে গেলে তাই পরিপূরক ভুল। যেমনঃ বেতন হিসাবের ডেবিট দিকে ৫০০ টাকা কম লেখা হয়েছে এবং ক্রয় হিসাবের ডেবিট দিকে ৫০০ টাকা বেশি লেখা হয়েছে।
◼লেখার ভুলঃ
প্রাথমিক ভাবে লেনদেন লিপিবদ্ধ করার সময়েই যদি লেনদেনের পরিমান ভুল লেখা হয়। যেমনঃ ৪০,০০০ টাকার লেনদেন ভুলে ৪,০০০ টাকায় লিপিবদ্ধ করা।
রেওয়ামিল থেকে তেমন বেশি প্রশ্ন আসলে এই ভুলের অংশ থেকেই বেশি আসে। তাই ভুল গুলো ভালো করে বুঝে নিতে হবে।
◾রেওয়ামিলের প্রধান উদ্দেশ্য - গানিতিক শুদ্ধতা যাচাই করা।
◾রেওয়ামিলের ছকে ঘর থাকে— ৫ টি।
◾ডেবিট-ক্রেডিট জের সর্বদা সমান হয়।
এছাড়া আর তেমন কিছু নেই রেওয়ামিলে। সুন্দর করে পড়ে নাও।
যেকোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে বা কোন প্রকার প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দাও।
সবার জন্য শুভকামনা রইলো।
মারুফ হোসেন মুন্না
মার্কেটিং বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয়।
◾নির্দিষ্ট তারিখ বা সময় বিন্দুর জন্য রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয়।
◼যে সকল ভুল থাকা সত্বেও রেওয়ামিল মিলে যায়ঃ
১. একটি লেনদেন যদি জাবেদাভুক্ত করা না হয়।
২. একটি সঠিক জাবেদা দাখিলা যদি পোস্টিং না করা হয়।
৩. একটি জাবেদা দাখিলা যদি দুবার পোস্টিং করা হয়।
৪. পোস্টিং এ যদি ভুল হিসাব ব্যবহার করা হয়।
৫. লেনদেনের টাকার পরিমান যদি কম বা বেশি হয়।
৬. এছাড়া, ডেবিট-ক্রেডিট জের সমান রেখে যেকোন ভুল।
এইসব ভুল যা রেওয়ামিলে ধরা পরে না বা যার জন্য রেওয়ামিল মিলে যায় সেগুলোকে ব্রিটিশ হিসাববিজ্ঞানে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। যেমনঃ
◼ নীতিগত ভুলঃ
হিসাববিজ্ঞান সংক্রান্ত যথাযথ জ্ঞান না থাকার কারণে যেসব ভুল হয় তাই নীতিগত ভুল। যেমনঃ মূলধন জাতীয় হিসাবকে মুনাফা জাতীয় হিসেবে লিপিবদ্ধ করা।
◼ বাদ পড়ার ভুলঃ
যদি কোন একটি লেনদেন সম্পুর্ন বাদ পড়ে যায়।যেমনঃ ৫,০০০ টাকার পন্য বিক্রয় যা সম্পুর্ন বাদ পড়েছে হিসাব থেকে।
◼বে-দাখিলার ভুলঃ
কোন একটি হিসাবকে ডেবিট বা ক্রেডিট করার পরিবর্তে সমজাতীয় অন্য একটি হিসাবকে ডেবিট বা ক্রেডিট করা। যেমনঃ কবির নামক দেনাদারের নিকট থেকে পাওনা আদায় করে কবিরকে ক্রেডিট না করে শাহিন নামের আরেক দেনাদারকে ক্রেডিট করে দেয়া হয়েছে।
◼পরিপূরক ভুলঃ
একটি ভুলের দ্বারা আরেকটি ভুল পূরণ হয়ে গেলে তাই পরিপূরক ভুল। যেমনঃ বেতন হিসাবের ডেবিট দিকে ৫০০ টাকা কম লেখা হয়েছে এবং ক্রয় হিসাবের ডেবিট দিকে ৫০০ টাকা বেশি লেখা হয়েছে।
◼লেখার ভুলঃ
প্রাথমিক ভাবে লেনদেন লিপিবদ্ধ করার সময়েই যদি লেনদেনের পরিমান ভুল লেখা হয়। যেমনঃ ৪০,০০০ টাকার লেনদেন ভুলে ৪,০০০ টাকায় লিপিবদ্ধ করা।
রেওয়ামিল থেকে তেমন বেশি প্রশ্ন আসলে এই ভুলের অংশ থেকেই বেশি আসে। তাই ভুল গুলো ভালো করে বুঝে নিতে হবে।
◾রেওয়ামিলের প্রধান উদ্দেশ্য - গানিতিক শুদ্ধতা যাচাই করা।
◾রেওয়ামিলের ছকে ঘর থাকে— ৫ টি।
◾ডেবিট-ক্রেডিট জের সর্বদা সমান হয়।
এছাড়া আর তেমন কিছু নেই রেওয়ামিলে। সুন্দর করে পড়ে নাও।
যেকোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে বা কোন প্রকার প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দাও।
সবার জন্য শুভকামনা রইলো।
মারুফ হোসেন মুন্না
মার্কেটিং বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়