আজ আমরা আলোচনা করবো কার্যপত্র নিয়ে। এটা এডমিশনের জন্য একটু কম গুরুত্বপূর্ণ টপিক, তাই বলে skip করার মতো নয়। কারণ কখন কোন টপিক থেকে প্রশ্ন করে বসে তা বুঝা যায় না, এজন্য আমাদের সবগুলাই পড়ে যেতে হবে। চলো তাহলে শুরু করি,
💠কার্যপত্র, এটার নাম শুনেই বুঝত পারি এটি একটি খসরা কাজ যাকে আমরা সহজ ভাষায় "রাফ" বলি। মানে আমরা আর্থিক যতগুলো বিবরণী প্রস্তুত করি সেগুলো যেন সময়মতো সুন্দর করে করা যায় এজন্য একটা খসড়া আগেই করে নেয় আরকি। আসলে কার্যপত্র স্থায়ী হিসাবনিকাশের কোন রেকর্ড নয়, এটি জাবেদা কিংবা খতিয়ানেরও অংশ নয়। এটি মূলত হিসাবচক্রের একটি "ঐচ্ছিক ধাপ"।
কার্যপত্র কখনই আনুষ্ঠানিক আর্থিক বিবরণী হিসেবে উপযুক্ত নয়। এটি মূলত একটি সহায়ক হাতিয়ার যা ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য পক্ষের নিকটও প্রদান করা হয় না।
তার মানে, এটা প্রস্তুতের একটাই উদ্দেশ্য আর তা হলো সমন্বয় দাখিলা প্রদান ও আর্থিক বিবরণীসমূহ প্রস্তুতে সহায়তা করা।
💠কার্যপত্র মোট ৩ প্রকার।
১. আট (৮) ঘরা কার্যপত্র
২. দশ (১০) ঘরা কার্যপত্র
৩. বারো (১২) ঘরা কার্যপত্র
◾৮ ঘরা কার্যপত্রের সাথে "সমন্বিত রেওয়ামিলের ডেবিট ও ক্রেডিট" কলাম সংযুক্ত করে ১০ ঘরা কার্যপত্র তৈরি করা হয়।
◾১০ ঘরা কার্যপত্রের সাথে "রক্ষিত আয় বিবরণীর ডেবিট ও ক্রেডিট" কলাম সংযুক্ত করে ১২ ঘরা কার্যপত্র তৈরি করা হয়।
💠 কার্যপত্রের উপাদানঃ
১. শিরোনামঃ
একটি কার্যপত্র তৈরি করতে হলে অবশ্যই শিরোনামে প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা এবং হিসাবকাল উল্লেখ থাকতে হবে।
২. বিবরণঃ
কার্যপত্রের সর্ব বামের কলামে হিসাবের নাম উল্লেখ করতে হবে। প্রশ্নে যে রেওয়ামিল দিবে তার সবগুলো হিসাব এই কলামে বসবে। বৃহৎ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বিবরণ কলামের বামে আরো একটি "ক্রমিক নং" কলাম যুক্ত করে।
৩. অসমন্বিত রেওয়ামিলঃ
প্রশ্নে দেয়া রেওয়ামিলের হিসাবগুলো কোন পরিবর্তন ছাড়াই সরাসরি এই কলামে বসাতে হয়।
৪. সমন্বয়ঃ
প্রদত্ত রেওয়ামিলের সাথে অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মনীতি অনুসরণ করে এই কলামে সমন্বয় দাখিলা দিতে হয়।
৫. সমন্বিত রেওয়ামিলঃ
প্রদত্ত রেওয়ামিলের সাথে সমন্বয়ের টাকা যোগ-বিয়োগ করে নতুন টাকার অংক এই কলামে বসাতে হয়।
৬. বিশদ আয় বিবরণীঃ
এই কার্যপত্রের একটি অন্যতম অংশ। সমন্বিত রেওয়ামিল কলামের শুধু মুনাফা জাতীয় দফাগুলো নিয়ে এই বিবরণী ব্যবসায়ী করতে হয়। সব আয়গুলো ক্রেডিট পাশে আর সব ব্যয়গুলো ডেবিট পাশে। উভয় পাশের পার্থক্যই নিট লাভ/ নিট ক্ষতি।
৭. সংরক্ষিত আয় বিবরণীঃ
এখানে চলতি বছরের নিট লাভ, লভ্যাংশ প্রদান ও সংরক্ষিত আয় দেখানো হয়।
৮. আর্থিক অবস্থার বিবরণীঃ
সমন্বিত রেওয়ামিল কলামের সব সম্পদ দেখানো হয় ডেবিট পাশে আর সকল দায় ও কন্ট্রা সম্পদগুলো দেখানো হয় ক্রেডিট পাশে।
💠গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
◾কার্যপত্র তৈরির প্রথম ধাপ— রেওয়ামিল প্রস্তুত।
◾কার্যপত্র তৈরির শেষ ধাপ— আর্থিক অবস্থার বিবরণী।
◾হিসাবচক্রের ঐচ্ছিক ধাপ — কার্যপত্র।
◾কার্যপত্র প্রস্তুত করা হয় — একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর।
◾কার্যপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয় — কম্পিউটার স্প্রেডশিট।
◾১০ ঘরা কার্যপত্রের অতিরিক্ত ধাপ — সমন্বিত রেওয়ামিল।
◾ ১২ ঘরা কার্যপত্রের অতিরিক্ত ধাপ — সংরক্ষিত আয় বিবরণী।
◾বিজ্ঞানসম্মত হিসাব পদ্ধতি হলো — বকেয়াভিত্তিক পদ্ধতি।
◾সমন্বয় দাখিলা দেয়া হয় — আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতের পূর্বে।
◾বিপরীত দাখিলা দেয়া হয় — পরবর্তী হিসাবকালের শুরুতে।
◾হিসাবচক্রের সর্বশেষ ধাপ — বিপরীত দাখিলা।
◾লিপিবদ্ধকৃত খরচ মেয়াদ উত্তীর্ণ না হলে — সমন্বয় দাখিলার প্রয়োজন হয়।
◾অবচয় ও অনাদায়ী পাওনা সঞ্চিতি ধার্যের জন্য — সমন্বয় দাখিলা দিতে হয়।
◾রেওয়ামিল বহির্ভূত বিষয়ের জন্যই দেয়া হয় সমন্বয় দাখিলা।
◾সমাপনী দাখিলা দেয়া হয় — হিসাবকাল শেষে।
এই ছিল এই অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব আলোচনা।
কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে না জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাও।
"সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো"
Maruf Hossain Munna
Instructor of Accounting
Executive of SILSWA
Department of Marketing
University of Dhaka
💠কার্যপত্র, এটার নাম শুনেই বুঝত পারি এটি একটি খসরা কাজ যাকে আমরা সহজ ভাষায় "রাফ" বলি। মানে আমরা আর্থিক যতগুলো বিবরণী প্রস্তুত করি সেগুলো যেন সময়মতো সুন্দর করে করা যায় এজন্য একটা খসড়া আগেই করে নেয় আরকি। আসলে কার্যপত্র স্থায়ী হিসাবনিকাশের কোন রেকর্ড নয়, এটি জাবেদা কিংবা খতিয়ানেরও অংশ নয়। এটি মূলত হিসাবচক্রের একটি "ঐচ্ছিক ধাপ"।
কার্যপত্র কখনই আনুষ্ঠানিক আর্থিক বিবরণী হিসেবে উপযুক্ত নয়। এটি মূলত একটি সহায়ক হাতিয়ার যা ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য পক্ষের নিকটও প্রদান করা হয় না।
তার মানে, এটা প্রস্তুতের একটাই উদ্দেশ্য আর তা হলো সমন্বয় দাখিলা প্রদান ও আর্থিক বিবরণীসমূহ প্রস্তুতে সহায়তা করা।
💠কার্যপত্র মোট ৩ প্রকার।
১. আট (৮) ঘরা কার্যপত্র
২. দশ (১০) ঘরা কার্যপত্র
৩. বারো (১২) ঘরা কার্যপত্র
◾৮ ঘরা কার্যপত্রের সাথে "সমন্বিত রেওয়ামিলের ডেবিট ও ক্রেডিট" কলাম সংযুক্ত করে ১০ ঘরা কার্যপত্র তৈরি করা হয়।
◾১০ ঘরা কার্যপত্রের সাথে "রক্ষিত আয় বিবরণীর ডেবিট ও ক্রেডিট" কলাম সংযুক্ত করে ১২ ঘরা কার্যপত্র তৈরি করা হয়।
💠 কার্যপত্রের উপাদানঃ
১. শিরোনামঃ
একটি কার্যপত্র তৈরি করতে হলে অবশ্যই শিরোনামে প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা এবং হিসাবকাল উল্লেখ থাকতে হবে।
২. বিবরণঃ
কার্যপত্রের সর্ব বামের কলামে হিসাবের নাম উল্লেখ করতে হবে। প্রশ্নে যে রেওয়ামিল দিবে তার সবগুলো হিসাব এই কলামে বসবে। বৃহৎ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বিবরণ কলামের বামে আরো একটি "ক্রমিক নং" কলাম যুক্ত করে।
৩. অসমন্বিত রেওয়ামিলঃ
প্রশ্নে দেয়া রেওয়ামিলের হিসাবগুলো কোন পরিবর্তন ছাড়াই সরাসরি এই কলামে বসাতে হয়।
৪. সমন্বয়ঃ
প্রদত্ত রেওয়ামিলের সাথে অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মনীতি অনুসরণ করে এই কলামে সমন্বয় দাখিলা দিতে হয়।
৫. সমন্বিত রেওয়ামিলঃ
প্রদত্ত রেওয়ামিলের সাথে সমন্বয়ের টাকা যোগ-বিয়োগ করে নতুন টাকার অংক এই কলামে বসাতে হয়।
৬. বিশদ আয় বিবরণীঃ
এই কার্যপত্রের একটি অন্যতম অংশ। সমন্বিত রেওয়ামিল কলামের শুধু মুনাফা জাতীয় দফাগুলো নিয়ে এই বিবরণী ব্যবসায়ী করতে হয়। সব আয়গুলো ক্রেডিট পাশে আর সব ব্যয়গুলো ডেবিট পাশে। উভয় পাশের পার্থক্যই নিট লাভ/ নিট ক্ষতি।
৭. সংরক্ষিত আয় বিবরণীঃ
এখানে চলতি বছরের নিট লাভ, লভ্যাংশ প্রদান ও সংরক্ষিত আয় দেখানো হয়।
৮. আর্থিক অবস্থার বিবরণীঃ
সমন্বিত রেওয়ামিল কলামের সব সম্পদ দেখানো হয় ডেবিট পাশে আর সকল দায় ও কন্ট্রা সম্পদগুলো দেখানো হয় ক্রেডিট পাশে।
💠গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
◾কার্যপত্র তৈরির প্রথম ধাপ— রেওয়ামিল প্রস্তুত।
◾কার্যপত্র তৈরির শেষ ধাপ— আর্থিক অবস্থার বিবরণী।
◾হিসাবচক্রের ঐচ্ছিক ধাপ — কার্যপত্র।
◾কার্যপত্র প্রস্তুত করা হয় — একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর।
◾কার্যপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয় — কম্পিউটার স্প্রেডশিট।
◾১০ ঘরা কার্যপত্রের অতিরিক্ত ধাপ — সমন্বিত রেওয়ামিল।
◾ ১২ ঘরা কার্যপত্রের অতিরিক্ত ধাপ — সংরক্ষিত আয় বিবরণী।
◾বিজ্ঞানসম্মত হিসাব পদ্ধতি হলো — বকেয়াভিত্তিক পদ্ধতি।
◾সমন্বয় দাখিলা দেয়া হয় — আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতের পূর্বে।
◾বিপরীত দাখিলা দেয়া হয় — পরবর্তী হিসাবকালের শুরুতে।
◾হিসাবচক্রের সর্বশেষ ধাপ — বিপরীত দাখিলা।
◾লিপিবদ্ধকৃত খরচ মেয়াদ উত্তীর্ণ না হলে — সমন্বয় দাখিলার প্রয়োজন হয়।
◾অবচয় ও অনাদায়ী পাওনা সঞ্চিতি ধার্যের জন্য — সমন্বয় দাখিলা দিতে হয়।
◾রেওয়ামিল বহির্ভূত বিষয়ের জন্যই দেয়া হয় সমন্বয় দাখিলা।
◾সমাপনী দাখিলা দেয়া হয় — হিসাবকাল শেষে।
এই ছিল এই অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সব আলোচনা।
কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে না জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাও।
"সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো"
Maruf Hossain Munna
Instructor of Accounting
Executive of SILSWA
Department of Marketing
University of Dhaka