bandwidth ও latency এর মধ্যে পার্থক্য কী?
বর্তমানে অনলাইনভিত্তিক ভিডিয়ো গেমস বেশ
জনপ্রিয়। এদেশেও Pubg ও Cod এর মতো মাল্টিপ্লেয়ার গেমসের জন্য মোটামুটি সবাই ping এর সাথে পরিচিত। এটা প্রতিটা গান ফায়ার, প্লেয়ার মুভমেন্ট বা আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে এটা বিশেষ ভুমিকা রাখে। আসুন পিং বা লেটেন্সী আসলেই কতটা গুরত্বপূর্ণ বা এর কাজ কী তা জেনে নেওয়া যাক।
Latency কী?
Latency হলো নেটওয়ার্ক বিলম্বের সময়।
অর্থাৎ ইউজার রিকোয়েস্টের পর সার্ভার থেকে ডেটা প্রেরণ করার রিসপন্স টাইম।
Latency -কে পরিমাপ এবং রিপোর্ট করা হয় ping হিসেবে। লেটেন্সী পরিমাপের একক হলো Millisecond (ms) বা ১ সেকেন্ডের ১ হাজার ভাগের এক ভাগ। পিং যদি '100 ms' হয়, তবে ইউজারের ক্লিক করার সার্ভার থেকে রিসপন্স আসতে 100 মিলিসেকেন্ড সময় নিবে বা ওয়েবপেজে ক্লিক করার পর সাইটটি কতটা ফাস্ট রিসপন্স করে সেটা দেখাবে।
আর ইউজার রিকোয়েস্ট করার পর ডেটা প্যাকেট ইউজার ডিভাইসে পৌঁছাতে যতটা সময় লাগে, তাকে Round trip time (RTT) বলে।
📷
যদিও ইন্টারনেটে ডেটা প্রায় আলোর বেগে চলে, তাও পিং ওঠা নামা লক্ষ্য করা যায়। এর মূল কারণ দূরত্ব ও রিসপন্স টাইমের প্রভাব যা ইন্টারনেটের অবকাঠামগত কারণে হয় এবং এটি পুরোপুরি নির্মুল করা সম্ভব নয়। কিন্তু বিভিন্ন উপায়ে একে কম করা যায়।
পিং বেশি হওয়ার কয়েকটি কারণ-
Connection Type:
কী ধরণের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর পিং নির্ভর করে।
মোবাইল নেটওয়ার্ক ভিত্তিক ইন্টারনেটে পিং বেশি হয়, ব্রডব্যান্ডে কম হয়। আবার তারবিহীন সব মাধ্যমের চেয়ে তারযুক্ত মাধ্যমে গতি বেশি হয়।
আবার স্টেবল কানেকশনের জন্য নেটওয়ার্ক সরঞ্জামাদি (রাউটার, isp তে প্যাকেট লস) জন্য কিছুটা পিং বেশি হয়।
Distances:
পিং বৃদ্ধির মূল কারণ সার্ভারের দূরত্ব। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত দূরত্ব ২০০০ কি.মি. এবং 50 ms সময় লাগে রিসপন্স পেতে।
Congestion:
এটি ব্যান্ডইউথের ওপর নির্ভর করে। যদি ব্যান্ডইউথ কম হয় এবং পিং ও কম তবে ডেটা তাড়াতাড়ি আসলেও স্পিড অনেক কম হবে। অধিক ডেটার তাড়াতাড়ি আসতে পারলেও, ব্যান্ডইউথ কমের জন্য কানেকশন স্লো মনে হবে।
বিভিন্ন কানেকশনে আনুমানিক লেটেন্সীর মান-
স্যাটেলাইট- 800 ms (star link এ 50 ms এ পাওয়া যায়)
৩জি তে 120 ms.
৪জি তে 60 ms.
bdix বা দেশীয় সার্ভার 10 ms
সাধারণ ব্রডব্যান্ড এ 50 ms.
ভালো পিং:
পিং যদি 20-40 ms এর মধ্যে থাকে তবে কানেকশন গেমারদের জন্য ভালো, এদেশে 50 ms এর মধ্যে। কারণ গান ফায়ার বা মুভমেন্টের সময় পিং বেশি হলে বিপরীত প্লেয়ারের চোখে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আবার সেম টাইমে গান ফায়ার করলেও বিপক্ষের পিং কম হলে, ফলাফল তার দিকে যাবে। সেজন্য বেশি পিং গেমারদের জন্য বড়ো বাঁধা।
পিং পরিমাপের উপায়-
fast.com এ নেটফ্লিক্স ব্যান্ডইউথ ও পিং দেখা যায়। অনেক isp ক্যাশ ব্যবহার করাই মূল ব্যান্ডইউথ দেখা যায় না।
https:// www.speedtest.ne t/ এ bdix স্প্রিড দেখাই। তবে সার্ভার সিঙ্গাপুরের new media express করে নিলে আসল পিং দেখাবে।
http:// www.speedtest.co m.sg/ এদেশের পিং ও ব্যান্ডইউথ দেখার জন্য ভালো।
https:// www.meter.net/ ping-test/ রিয়েল টাইম শো করলেও, সার্ভার চেন্জ করে নেওয়া দরকার।
http:// speedtest.google fiber.net/ গুগল সার্ভিসের পিং দেখার জন্য।
এছাড়াও ম্যাক ও লিনাক্সের টার্মিনাল থেকে দেখা সম্ভব।
bandwidth কী?
ব্যান্ডইউথ হলো প্রতি মুহুর্তে কী পরিমাণ ডেটা ইন্টারনেট কানেকশন ডাউনলোড বা আপলোড করতে সক্ষম। একে mbps (mega bits per second) এ প্রকাশ করা হয়।
ব্যান্ডইউথের সাথে লেটেন্সীর সম্পর্ক আছে। বিষয়টাকে এভাবে বলা যায়, একটা ছোটো পাইপের মধ্যে অল্প পানি অপর প্রান্তে পাঠানো যায়। কিন্তু বড়ো পাইপে বেশি পানি পাঠানো সম্ভব। তেমনই ব্যান্ডইউথ বেশি হলে আর পিং কম হলে স্বল্প সময়ে বেশি ডেটা ট্রান্সফার ও রিসিভ করা সম্ভব।
তবে অনেক সার্ভিস লেটেন্সীর ওপর তেমন নির্ভর করে না। নেটফ্লিক্স, ইউটিউব বা যে-কোনো ভিডিয়ো স্ট্রিমিং সাইট ও ডাউনলোড করতে ব্যান্ডইউথের দরকার হয় শুধু। এখানে 500 ms পিং হলেও কোনো সমস্যা হয় না।
মূলত গেমিং বা ফাস্ট রিসপন্সের জন্য লেটেন্সীর গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু সাধারণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যান্ডইউথ সবচেয়ে বেশি কার্যকর। তাই নেটওয়ার্ক সিলেকশনের সময় এগুলোর খেয়াল রাখার প্রয়োজন।
সোর্সঃ
Writer: Rownok Shahriar
Tags:
Technology