শীতের দিনে গরম থাকার টিপস


১. মধু দুই চামচ খেলে শরীর গরম থাকবে । ( বহুমূত্র রোগের সমস্যা হলে খাওয়া যাবে না ।
২. সিগারেট টানলে শরীর গরম হয় এটা ভুয়া কথা । এর চেয়ে একটা কাঁচা সুপারি খাবেন একটুপর টের পাবেন কতো গরম লাগছে । ( High pressure থাকলে কাঁচা সুপারি না খাওয়াই ভালো )
৩. ফ্লাস্কের গরম পানি একটু পর পর খাবেন । শরীর গরম হবে ।
৪. পা গরম রাখার জন্য এক গামলা গরম জলে পা চুবিয়ে রাখবেন । পা যেন আবার ঝলসে না যায় সেটা বুঝে তাপমাত্রা ঠিক রাখবেন । পরিবহন পদ্ধতিতে সমস্ত শরীরে তাপ প্রবাহিত হবে । পায়ের ময়লা থাকলে পরিষ্কার হবে ।
৫. মুখের অনেক ময়েস্টার ক্রিম লাগালেও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মুখের চামড়া আবার রুক্ষ হয়ে যায় । সে জন্য আগে মুখে কিছুটা ওলিভ ওয়েল মাখিয়ে এরপর ময়েস্টার ক্রিম মাখলে সেটার প্রভাব অনেক সময় পর্যন্ত স্থায়ী হবে ।
৬. বাসায় বাথ টাব না থাকলে কিনে নেন । অথবা থাকলে লাগিয়ে নেন এরপর এতে গরম পানির সাথে bathing salt মিশিয়ে তাতে গা ডুবিয়ে রাখুন । আরামসে একটা গান শুনোন । সব stress চলে যাবে । এরপর হালকা ভাবে টাওয়েলে গা মুছে ওলিভ ওয়েলে সমস্ত গায়ে মেখে সাথে সাথেই আস সাট গরম কালো কাপড় পড়ে লেপের নিচে শোয়ে পড়ুন ।
৭. বাসায় বড় সাইজের মাইক্রোওয়েভ গ্রিল ওভেন থাকলে আলতো করে সেটার হুড খুলে ওভেন একটু medium temperature এ চালিয়ে দিন । ঘর গরম হয়ে যাবে । তবে বেশি ক্ষন নয় ।
৮. পানির আপেক্ষিক তাপ ধারণা ক্ষমতা অনেক বেশি তাই বাসায় বউ বা আম্মু না থাকলে চার পাঁচটা বালতিতে ১০০°c গরম জল ঢেলে সেটা রূমে রেখে দিন । রুম গরম হবেই । সাথে সাথে আদ্রতাও বাড়বে যা আপনার চামড়ার রুক্ষতা দূর করে আরামদায়ক অনুভূতি তৈরি করবে ।
৯. বাসা বাড়ি বানানোর সময় অবশ্যই একটা ফায়ার প্লেস BUET এর একজন আর্কিটেকচার ইন্জিনিয়ারের ডিজাইন মোতাবেক বানাবেন । এরপর শীতের দিনে গরম গরম ঘর । আহ শান্তি ।
১০. খুব ঠান্ডা লাগলে ১০০°c গরম পানি ভর্তি চারটে বোতল লেপের নিচে নিয়ে অথবা গরম ওয়াটার ব্যাগ চারটা নিয়ে শুয়ে পড়ুন । ভালো গরম লাগবে ।
১১. বাসায় ভেন্টিলেটর থাকলে ঐটা দিয়ে গরম বাতাস বের হয়ে যায় । কারণ ঘরের বাতাস গরম হয়ে সেটা ওপরে চলে যায় এবং ওটা দিয়ে বাইরে বের হয়ে আসে । তাই শীতকালে ভেন্টিলেটর গুলো কাগজ দিয়ে বন্ধ করে দিন ।
১২. সকাল বেলার চা খোর হন । ফ্লাকসে চা রাখবেন । অ্যালকোহল খাইয়ে না ।
১৩. একটা আট সাট কালো কাপড়ের পোষাক পড়ুন । এর উপরে যা খুশি যত খুশি পড়ুন । শীত চলে যাবে ।
১৪. নাক বন্ধ হয়ে গেলো । এটা থেকে নিস্তার পাওয়া জন্য কুসুম গরম পানি নিয়ে এক নাকের ছিদ্র দিয়ে ঢেলে অন্য নাকের ছিদ্র দিয়ে বের করবেন । পানির সাথে দুই তিন চিমটি লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিবেন । যত পঁচা সর্দি আছে সব বের হয়ে যাবে । নাকে পানি ঢালার জন্য ছোট কেটলি ব্যবহার করূন । YouTube tutorial দেখুন ।
১৫. ঘর বাড়ির নকশা করার সময় অবশ্যই একটি ঘরকে বড় জানালা সহ পূর্ব মুখী করতে পারেন । এতে করে শীতকালে ঐ ঘরটি বেশি গরম থাকবে ।
১৬. গোসল করতে মন চাইলে করবেন । তবে bath tub থাকলে regular করবেন । আগের বলা পদ্ধতি অনুসরণ করে ।
১৭. এক সাথে ঘুমানো ভালো । এতে উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় । তবে গ্যাসের সমস্যা হলে আলাদা থাকাই শ্রেয় ।
১৮. ইস্ত্রি মেশিন থাকলে ঘুমানোর আগে বিছানা কয়েকবার ইস্ত্রি করে নিন । এরপর এর ওপর লেপ বিছিয়ে দিন । বেশ গরম হবে ।
১৯. বাড়ির পাশে মস্ত খালি জায়গা থাকলে একটা বড় আয়না লাগিয়ে দিন । সেটা বাড়ির জানালার দিকে তাক করে দিবেন । সূর্যের আলো সেই আয়নায় পড়ে বাড়িতে আসবে । বাড়ি গরম থাকবে । তবে সমতল আয়না ব্যবহার করূন । অবতল নয় ।
২০. Room heater থাকলে ভালো । না থাকলে একটা বড় সাইজের coil কিনে ঐটায় একটা transformer লাগিয়ে কয়েলের পিছনে একটা ফ্যান চালিয়ে একটা হিটার বানিয়ে ফেলুন । এতো ঝামেলায় না গিয়ে একটা রুম হিটার কিনলেই হয় ।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form