Hypocrisy of feminism


আমরা নারীবাদ ও নারীবাদীদের নিয়ে যতটা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করি; ব্যাপারটা এত সাধারণ নয়। জল অনেকদূর গড়িয়েছে। পৃথিবীর তাবৎ সাম্রাজ্যবাদী, বুনিয়াদি বানিজ্যবাদী, অর্থনৈতিক মাফিয়াদের অর্থনৈতিক শোষণের অস্ত্র হচ্ছে বর্তমানের এই বিবর্তিত নারীবাদ। Worldwide ৯৯% মিডিয়া, নিউজ পোর্টাল, বিনোদন মাধ্যম, Netflix, Hulu সহ প্রায় সকল TV channel সব বানিজ্যবাদের Breeding দাসী নারীবাদীদের দখলে। মাস্টারমাইন্ড ব্রেইন ওয়াশিং গেইম খেলছে ওরা।

নারীমুক্তির নাম *মুক্তিযুদ্ধের চেতনার " মত পেটেন্ট করে সবাইকে ব্ল্যাকমেইল করে করে বোকা বানাচ্ছে। নিত্য নতুন Lavish, Vulgar, unnecessary lifestyle; চিন্তা ও বিকৃত জীবনদর্শন আমদানি করে জনগণকে শিক্ষিত অনুগত দাস বানাচ্ছে। নারীকে ঘরের বাইরে নিয়ে এসে সেবাদাসী বানিয়ে নিত্যনতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ করছে!

আর সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়, খরচ এত লেভেলের বাড়িয়ে দিয়েছে যে সেটা সংকুলানের জন্য রাত দিন কাজ করা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ছে। আর সেই সুযোগে ধনী হচ্ছে মাল্টি বিলিয়ন কোম্পানি, Tatto ইন্ডাস্ট্রি, Beauty enhancement company, কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রি, Clothing কোম্পানি ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি, সেক্স toy industry; মোবাইল , গাড়ি জাতীয় বিলাসবহুল কোম্পানি।

উৎপাদক কৃষক মজুর শ্রমিক শ্রেণীর কাজকে স্বল্প মূল্য দিয়ে এক শ্রেণীর সুবিধাবাদী বুদ্ধিমান সম্প্রদায় লাভবান আছে। অর্থনীতির বিচারে যেসব কাজের বস্তুত কোনো অর্থনৈতিক মূল্য নেই;; যেমন- নাচ, গান করা আইটেম নর্তকী, মডেল নামক পতিতা, ভাড় অভিনেতা অভিনেত্রী, সুন্দরী প্রতিযোগী.....এইসব অনুৎপাদনশীল সেক্টরের কুশীলবদের মিডিয়ার মাধ্যমে এমন মর্যাদায় উঠিয়ে রেখেছে এদের দেখে সাধারণ মানুষ তাদের নিজস্ব কল্পনাশক্তি, ক্রিটিক্যাল এনালাইসিস ক্ষমতা, thought observation, সৃজনশীল মেধা, Creativity নষ্ট করছে ! সেই সাথে সাইকোলজিক্যাল প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

যারা এইসব অনুৎপাদনশীল কাজের মাধ্যমে ধনী হচ্ছে তাদের মাঝে আবার ভোগবাদ কে উস্কে দিয়ে বিলাসিতা অপব্যয় বৃদ্ধি করার হচ্ছে।

তাদের চাহিদা মেটাতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে নামতে হচ্ছে কল-কারখানায় গার্মেন্টসে পোশাক কারখানায় চারিদিকে।

চিন্তা করুন একজন গ্রামের মেয়ে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি করছে। স্বল্প মজুরিতে সুন্দর সুন্দর পোশাক তৈরি করছে; কিন্তু তার নিজের সেই পোশাক কেনা বা পরার ক্ষমতা নেই। কিন্তু অপর দিকে সেলিব্রেটিরা মাসে অর্ধশত ড্রেস পাল্টাচ্ছে। তার মানে এই এলিট শ্রেণীর মানুষের ভোগ বিলাসিতার জন্য আমাকে, আপনাকে রাত দিন পরিশ্রম করতে হচ্ছে!!!! এটাতে কি কোন আসলে কোন অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে???? নাকি ভোগবাদীদের ভোগ বিলাসিতার যোগান হচ্ছে??

সেই সাথে সমস্ত কলকারখানা সহ সকল উৎপাদনশীল সেক্টর সবকিছু রাজধানীমুখী করায় সেখানে এসে মোটা টাকার বাড়ি ভাড়া দিয়ে আমাকে, আপনাকে কাজ করতে হচ্ছে যার ফলে মাস শেষে আমাদের আসলে কোনো টাকাই থাকছে না!!

ধরুন; অধিকহারে নারীরা সেনাবাহিনী তে বা পুলিশে জব করছে। এর ফলে কি দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত হয়ে যাবে??? বরং যখন সরকার ও সাম্রাজ্যবাদীদের দুর্নীতি, অনিয়ম ,অর্থনৈতিক শোষণ এর বিরুদ্ধে জনগণের বিক্ষোভ, প্রতিবাদ শুরু হবে, তখন তাদের রুখে দেওয়ার জন্যই এই উর্দিধারী পুলিশ নারীরাই কাজ করবে সরকারের নির্দেশে। সম্প্রতি আমরা হংকং এ সেটা দেখেছি, ইসরাইলে দেখেছি। তাহলে, লাভবান হবে কারা????

তাছাড়া সব ধরনের সেক্টরে নারীর অংশগ্রহণ নারীর শক্তি, সক্ষমতা, নিরাপত্তা, কল্যাণকর জীবনের জন্য আসলে কতটুকু যৌক্তিক, জীবনবান্ধব, বৈজ্ঞানিক???
নারীবাদ কি সকল শ্রেণীর ( নিম্নবিত্ত হতদরিদ্র Vs বিত্তশালী পরিবারের নারী; লাস্যময়ী সাদা সুন্দরী Vs সেকুলার মানদণ্ডে রূপ সৌষ্ঠব বিবর্জিত অসুন্দরী নারী, মেধাবী Vs অশিক্ষিত) নারীদের জীবন বান্ধব কল্যাণকর জীবনের নিশ্চয়তা দিতে সক্ষম??? নারীবাদ কী মুষ্টিমেয় কয়েকটি কর্মক্ষেত্র ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারী আর পুরুষকে সহায়ক শক্তি হিসেবে Develop করে; নাকি নারীকে পুরুষ এর প্রতিযোগী হিসেবে দাঁড় করিয়ে বিভেদ তৈরি করে???

বর্তমান কর্পোরেট সাম্রাজ্যবাদীরা সবকিছুকে বাণিজ্যবাদের মোড়কে আবদ্ধ করতে চায়। তারা এমন এক আর্টিফিশিয়াল জটিল দারিদ্রের দুষ্ট চক্র create করে রেখেছে যার কারণে আমরা মাসে মাসে যতই মোটা টাকা ইনকাম করি না কেন .... দিন শেষে আমাদের হাতে কিছুই থাকবে না। সেই চাহিদা ও সংকট মেটাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সরকারি বেসরকারি অনুগত দাস হয়ে কাজ করতে হচ্ছে।

আর কর্পোরেট সেক্টরে কাজ করার সুবিধার্থে নারীর একটা আর্টিফিশিয়াল Value ও উচ্চাভিলাসী চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে! সেই সাথে পুরুষ বিরোধী প্রকল্প; নারীবাদীদের নারীর অবাধ ও স্বেচ্ছাচারী যৌন স্বাধীনতা Movement এর কবলে পুরুষরা নারীকে বিয়ে করার সাহস পাচ্ছে না। তারচেয়ে বরং বিবাহবহির্ভূত উপায় নারীকে Sexual Object হিসেবে ভোগ করাকেই নিরাপদ মনে করছে।

এছাড়াও অশ্লীল Cultural agression, moral, ethical deviation এর কারণে নারীবাদ বর্তমানে বিবর্তিত হয়ে এমন এক জায়গায় এসেছে যেখানে নাস্তিক্যবাদ, বানিজ্যবাদ সাম্রাজ্যবাদ, কর্পোরেটক্রেসি, অবাধ যৌনতা, হাইপার সেক্সুয়ালিটি, ট্রান্সজেন্ডার, জেন্ডার ইকুয়ালিটি মুভমেন্ট, উন্মুক্ত ও উদার যৌনতা, লিভ টুগেদার, gf bf breakup, crush & confession, সুন্দরী প্রতিযোগিতা ও Racism, তথাকথিত liberalism pluralism, নগ্নতাবাদ, সেলিব্রেটিজম, শো অফ ট্রেন্ড, লেট নাইট পার্টি , hook up culture সব একাকার হয়ে গিয়েছে।

নারীবাদ ও নারীবাদীরা সাম্রাজ্যবাদ পুঁজিবাদ, কর্পোরেটক্রেসি, যৌনতা কেন্দ্রিক শিল্পায়ন, শ্রম শোষণ, ধনী ও বিত্তশালীদের ভোগবাদ, বাণিজ্যবাদের বিরুদ্ধে না যতটা না সরব তার থেকে লক্ষ্য কোটি গুন সরব সামাজিক কিছু কল্যাণকর, জীবন বান্ধব প্রথা রীতিনীতি, ধর্মীয় বিধি-বিধান ও ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে!
কোনরকম wider social, political, ethical, cultural, context, Psycho Social analysis, social crime deviance বিবেচনা না করে তারা সামাজিক যত সমস্যা অসঙ্গতি বিশৃঙ্খলা আছে; তার সবগুলোকে নারীবাদীরা তাদের নিজস্ব কিছু ক্রাইটেরিয়ার উপর base করে Judge করে ও পশ্চিমাদের দেওয়া কিছু অবাস্তব সমাধান জপ করে!

নারী মুক্তি আর সাম্যতা প্রতিষ্ঠা সব ভুয়া!!
ওই জন্যই তো নারীবাদী country গুলোতে নারীদের সুইসাইড রেটের হার সবচেয়ে বেশি। জাপানের নারীদের কথা চিন্তা করুন!!!

লিখাঃ সৈকত-উজ-জামান

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form