যানবাহনে দুটো কারনে বমি হতে পারে।
•দুর্গন্ধ এর কারণে আমাদের মস্তিষ্ক বুঝতে পারে সেখানে হজম অনুপযোগী কোনো বস্তু পাঠানো হয়েছে। তখন মস্তিষ্ক পাকস্থলী পরিষ্কার করার সিগন্যাল পাঠায় যার ফলে বমি হয়ে থাকে।
•দ্বিতীয়টি হলো মোশন সিকনেস। যানবাহনে মূলত এটির কারণেই বেশি বমি হয়ে থাকে। আমাদের অন্তঃকর্ণে গতি এবং জড়তা শনাক্তকারী বিশেষ ধরনের স্নায়ু কোষ থাকে। আমরা যখন যানবাহনে চলাচল করি তখন এটি গাড়ি স্টার্ট এবং ব্রেক নেওয়ার সময় গতির অবস্থা আমাদের মস্তিষ্ককে জানায়। কিন্তু আমাদের চোখ সেটা বুঝে উঠতে পারে না সে মস্তিষ্ককে সিগন্যাল দেয় যে আমরা স্থির আছি। দুই রকম সিগন্যাল পেয়ে স্নায়ুবিক গরমিল দেখা দেয়। মস্তিষ্ক ব্যাটা চিন্তায় পড়ে যায় আর ভাবে হয়তো শরীরে বিষক্রিয়া কাজ করছে। তাই সে পেট থেকে সব বের করে দেওয়ার আদেশ দেয়। এর কারণে বমি হয়।
এর থেকে পরিত্রাণ কী?
আমি ব্যক্তিগতভাবে যা করি সেটা হলো আমি চেষ্টা করি গাড়ির সামনের দিকে বসার এবং গাড়ির সামনের চিত্র দেখার। যাতে আমার চোখ বুঝতে পারে আমি গতিশীল। জানালার দিকে তাকালেও কাজ করে তবে এতে জড়তা শনাক্ত করতে একটু কঠিনই হয়।