লেটুস পাতার ঔষধি গুন



পরিচিতি:   লেটুস পাতা সাধারণত সালাদে খাওয়া হয়। এর পাতায় রয়েছে নানা রকম ভিটামিন। রয়েছে কিছু ক্যালরিও। এ পর্বে জেনে নিই লেটুস পাতার কয়েকটি গুণ সম্পর্কে। লেটুস পাতা আঁশযুক্ত সবজি বলে এটি হজমও হয় দ্রুত। লেটুসে অতি অল্প পরিমাণে কোলেস্টরেল রয়েছে যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। কিডনির সমস্যার জন্য যেসব রোগীদের প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় তাদের জন্য লেটুসপাতা ভীষণ উপকারী। এই পাতার সোডিয়াম ভিটামিন ‘বি’ ওয়ান, ‘বি’ টু, ‘বি’ থ্রি শরীরের যেকোনো অঙ্গে পানি জমে যাওয়া রোধ করে। 


 লেটুস পাতার গুনাগুন গুলি হলোঃ

 ➢ সব ধরনের সবুজ পাতার সবজিতে কিছু না কিছু আয়রন রয়েছে। নারীদের ঋতু চলাকালে যে রক্ত বের হয়ে যায়, সে সময় আয়রনের প্রয়োজন হয়। গর্ভবতী অবস্থাতেও আয়রনের প্রয়োজন পড়ে। তাই খাবারের সঙ্গে পছন্দমতো উপায়ে লেটুস খাওয়া যেতে পারে।

 ➢ লেটুস পাতা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ পটাসিয়াম পাওয়া যায়। পটাসিয়াম রক্তের জন্য উপকারী। রক্তে পটাসিয়ামের পরিমাণ অতিমাত্রায় কমে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে এক্ষেত্রে লেটুস পাতা খেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে না।

 ➢ প্রোটিন দেহের পেশী গঠনে মূল ভূমিকা রাখে। খুব অল্প পরিমাণ প্রোটিন থাকলেও প্রতিদিন পেতে লেটুস একটি উপায় হতে পারে। তাই সালাদে শিমের বীচির সঙ্গে লেটুস ব্যবহার করলে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যাবে। 

 ➢ লেটুস পাতায় কিছু পরিমাণে ক্যালসিয়ামও থাকে। নিয়মিত ক্যালসিয়াম পাওয়া যেতে পারে লেটুস থেকে। হাড় এবং দাঁতের গঠনে ক্যালসিয়ামের বিকল্প নেই। অন্যান্য ক্যালসিয়ামপূর্ণ খাবারের সঙ্গে লেটুস মেশানো যেতে পারে। 

 ➢ লেটুস পাতায় কয়েক ধরনের ভিটামিন বি রয়েছে। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। 

 ➢ খুশকির বিরুদ্ধেও কাজ করে এই পাতা। অনেক শ্যাম্পুতে লেটুসপাতার গুঁড়া ব্যবহার করা হয়। 

 ➢ দীর্ঘ সময় রৌদ্রে থাকলে ত্বকে কালচে পোড়া ভাব হয়। লেটুসপাতা থেঁতলে ত্বকে দিলে ত্বকের উপকার হয়। 

 ➢ গর্ভবতী মায়েরা কাঁচা লেটুসপাতা খেলে মা ও শিশু উভয়ের শরীরেই রক্তের মাত্রা বাড়ে। 

 ➢ যারা লেটুসপাতা নিয়মিত খান তাদের পেট ভার হয়ে থাকা, গ্যাস হওয়া, ক্ষুধা না লাগা, অ্যাসিডিটি—এই সমস্যাগুলো দূর হয়। বার্ধক্য আসে দেরিতে, ত্বকে বলিরেখাও পড়ে দেরিতে। 

 ➢ চোখের ইনফেকশনজনিত সমস্যায় (যেমন—চোখ ওঠা) এক বা দুই লিটার পানিতে সামান্য লেটুসপাতা (৫০ গ্রাম) প্রায় ছয় মিনিট ফুটিয়ে সেই পানিতে চোখ ধুলে চোখ ওঠা দ্রুত ভালো হয়। চোখের অতিরিক্ত পরিশ্রমের পরও এই ফুটানো পানি ঠাণ্ডা করে ব্যবহার করলে চোখের ক্লান্তি দূর হয়। 

 ➢ লেটুসপাতা হাড় ক্ষয় হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে। কাঁচা বা ভাজা লেটুসপাতার সালাদ রক্ত পরিষ্কার করে, হৃৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম