Subject Review:
Genetic Engineering
বিজ্ঞান চর্চার প্রাথমিক যুগের সূচনা ঘটেছিল গণিত চর্চার মধ্য দিয়ে। মধ্যযুগে তা পদার্থবিদ্যার বিকাশে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে। ধীরে ধীরে নিউটন, গ্যালিলিও, আইনস্টাইন, বোরের তত্ত্ব একে আধুনিক যুগে নিয়ে আসে। কিন্তু, 1920 এর আবিষ্কারের ধারা কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। তখন, বিজ্ঞানীরা ঝুকতে থাকে পরিবেশ, পৃথিবী, মানুষ, জীবজগৎ নিয়ে গবেষণার দিকে। বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীকে তাই নিঃসন্দেহে বলা হচ্ছে The Century of Biological Science. এর কারণ 1972 সালে পল বার্গের রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ টেকনোলজি বা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর আবিষ্কার।
প্রাণ রসায়ণের সবচেয়ে আধুনিক এ শাখায় জীবনকে সংজ্ঞায়িত করা হয় অণু-পরমাণু পর্যায়ে, একে বলা হয় "The Molecular Logic Of Life"। A-T-C-G এই মাত্র চারটি হরফে লেখা এ বিষয়কে বলা হয় Language of GOD. জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত ট্রান্সজেনিক (উন্নত বৈশিষ্টধারী) উদ্ভিদ ও প্রাণী সৃষ্টিতে কাজ করে। নামের শেষে ইঞ্জিনিয়ারিং যোগ করার কারণ হচ্ছে, জীববিজ্ঞানের কেবলমাত্র এ শাখাটিতেই নিজের ইচ্ছামত ডিজাইন করে একটি প্রাণী সৃষ্টি করা যায়, ডিজাইন করা যায় নিজের পছন্দের ই.কোলাই যে কিনা নিজের কথামত উঠবে বসবে। কাজটা অনেকটা একটা কম্পউটার প্রোগ্রাম ডিজাইন করার মত, যা তোমার আদেশ সম্পূর্ণ মেনে চলে। চিন্তা করে দেখ, ব্যাপারটা একজন আবিষ্কারকের জন্য কতটা রোমাঞ্চকর যখন সম্পূর্ণ জীবন্ত কিছু একটা নিজের ডিজাইন মত কাজ করছে?
খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই এ বিষয়টির সাথে জুড়ে দেয়া হয় বায়োটেকনোলজিকে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি ক্ষুদ্র অংশ। বায়োটেকনলজির অন্যান্য শাখা গুলো হল মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োস্ট্যাটিসটিক, ইমিউনোলজি, ওর্গানিক কেমিস্ট্রি, এনজাইমোলজি, ইনসিলিকো (কম্পিউটেশনাল) বায়োলজি, টিস্যু কালচার ইত্যাদি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিভাগটিতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে সাথে এ সবগুলো বিষয়ই প্রথম থেকেই পড়ানো হয়। একারণেই একজন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ায় একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট কারণ, নিজের ব্যাকটেরিয়াগুলো তাকে পেটরি ডিসে জন্মাতে হয়; সে একজন বায়োকেমিস্ট কারণ নিজের সৃষ্টি জীব থেকে সংগৃহীত প্রোটিন তাকে বিশ্লেষণ করতে হয়; সে একজন পরিসংখ্যানবিদ কারণ 3.2 বিলিয়ন বেস পেয়ারের মাঝে তাকে ধারণা করে কাজ করতে হয়; সে একজন অর্গানিক কেমিস্ট কারণ নিজের আবিষ্কৃত ওষুধের মলিকিউলার গঠন তাকে বের করতে হয় এবং পরিশেষে একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী কারণ বিশাল ডিএনএ এনালাইসিসের জন্য তাকে সফট ওয়ার ডিজাইন করতে হয়। এ সবই শিখানো হয়ে কার্জন হলের পাশে সাদা বিল্ডিংটার ৬ তলায়। তুমি সত্যিই হয়ে উঠবে “Jack of all traits, master of SOME".
কি কি গুণ লাগবে বিশ্বের আধুনিকতম এ বিষয়ে পড়তে?
তোমাকে হতে হবে খুবই অভূতপূর্ব চিন্তাবিদ, কঠোর পরিশ্রমী, মানবিক গুণসম্পন্ন বিশেষ করে দেশপ্রেমিক। পাশাপাশি ঝানু হতে হবে জীববিজ্ঞান, জৈব রসায়ন এবং প্রোগ্রমিং এ। চিন্তা করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখানে এমন কিছু করা সম্ভব যা কেউ ভাবতেও পারে না। যেমন, একবার এক বিজ্ঞানী ঠিক করলেন ছাগলের দুধের মধ্যে তিনি মাকড়সার জালের সূতা তৈরি করবেন যা হবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সূতা। তিনি সফল হয়েছিলেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে এবং সৃষ্টি করেছিলেন বায়োস্টিল! সুতরাং, আজগুবি চিন্তা করতে জানতে হবে।
এত অবিশ্বাস্য জিনিস একদিনে আবিষ্কার হয় না। তাই, তোমাকে হতে হবে কঠোর পরিশ্রমী। ল্যাবে দৈনিক 15 ঘন্টাও কাজ করতে হতে পারে! আরাম প্রিয়, ঘুমকাতর হলে এখানে চলবে না। চাকরী থেকে এখানে গবেষণার ক্ষেত্র অনেক বেশী। চাকরীর ক্ষেত্র এ দেশে বেশী না থাকলেও (ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানির কথা বাদ দিলে) বিদেশে প্রচুর, সেখানে বেতনটাও অনেক অনেক চড়া। তবে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ সরকার সবচেয়ে বেশী টাকাটা এই 15 জনের পেছনে খরচ করবে। তাই, অনেক ভালো রেজাল্ট করে বিদেশী ডিগ্রি নিয়ে সেখানেই থাকার ইচ্ছা থাকলে বলে রাখছি, খবরদার! এ দাড় তোমাদের জন্য না। মানবিকতা এখানে অনেক বড় ব্যাপার। কারণ, মোরাল দিকগুলো আজকাল জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাড়াচ্ছে। (তাই, ইথিক্যাল ইস্যু নিয়েও কোর্স পড়ানো হয় এখানে)।
বাংলাদেশের এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হিসেবে ধরা হয়, পাটের এবং এর পরজীবী ছত্রাকের জিন নকশা আবিষ্কারকে। এই নকশা কাজে লাগানোটা এ দেশের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারদেরই দায়িত্ব। এবিভাগের অনেক ছাত্রই এটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কয়েকজনের লেখা টেক্সবই এখন দেশ বিদেশের পাঠ্য । নেচার ম্যাগাজিনের কভারের প্রতিদিনিই জায়গা করে নিচ্ছে জাপান, আমেরিকার জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার রা। টিস্যু কালচার টেকনোলজি নোবেল পেল 2012 সালে! বায়োকেমিস্টরা তো কেমিস্ট্রির সবগুলো নোবেলই প্রতি বছর পকেটে পুড়ছে। আমাদের সরকার বর্তমানে এ বিষয়ে গবেষণাতে বাজেট বরাদ্দ দিচ্ছে। দেশের গবেষণাগার গুলো উন্নত হয়ে উঠছে দিন দিন। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ-কৌতুহলও গগণচুম্বী।
Subject Review:
Software Engineering (Information technology)
- বন্ধু, কি করিস?
- মোবাইল এ গেমস খেলি ।
- কি গেমস দেখি ? মজার তো । কোন ওয়েবসাইট থেকে নামাইসিস ?
- আমি বানাইসি ।
- কি ? সত্যি ?
- হুম , আর কত অন্যের বানানো গেমস খেলবো । এখন আমার গেমস সবাই খেলবে ।
হ্যা। ঘটনাটি সত্যি। এরকম চমৎকার অনুভুতি জন্ম দিতে পারে একমাত্র যে সাবজেক্টটি তা হল আইটি।
আমাদের পাশের দেশ ভারত বর্তমানে এশিয়ায় সফটওয়্যার রপ্তানিতে শীর্ষে । আমাদের দেশ এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। আমাদের দেশকেও এই ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য যে প্লাটফর্ম দরকার ছিল তা দেশে সর্বপ্রথম চালু করল IIT(Institute of Information Technology ) DU. IIT থেকেই প্রথম দেশের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সার্টিফিকেটধারি (BSc in Software Engineering-BSSE ) মানে তুমি পাশ করলে তোমার প্রথম পরিচয় হবে তুমি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার । আইটি পড়তে হলে অবশ্যই কিছু জিনিস তোমার মাঝে লালন করতে হবে । সৃজনশীল মানসিকতা, ধৈর্য, সাধনা, চেষ্টা এবং চিন্তাশক্তি ।
প্রথম ভালবাসা হোক প্রোগ্রামিং । প্রোগ্রামার যেভাবে বলবে কম্পিউটার সেভাবেই কাজ করতে বাধ্য । শুধু ঘরে বসে আউটসোর্সিং করে বড়লোক হওয়াই তোমার উদ্দেশ্য নয়। তোমার চিন্তা থাকবে তুমি প্রোগ্রামিং শিখতে চাচ্ছো কারণ বাংলাদেশ যখন চন্দ্রযান পাঠাবে তার নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম লিখবে তুমি, অথবা তুমি ছোট্ট একটা রোবট বানাতে চাও যেটা তোমার টুকিটাকি কাজ করে দেবে। তুমি চাও লক্ষকোটি টাকা দামে বিদেশ থেকে আনা জীবন রক্ষাকারী মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট কম খরচে দেশে বসেই তৈরি করতে । তুমি এমন একজন এক্সপার্ট হতে চাও যে বিভিন্ন কল কারখানা অটোমেটেড করে ফেলতে পারে। অথবা তুমি চাও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা করতে… (এই তালিকা অনেক বড় হতে পারে)
অনেক ভাইয়ারা আছেন যারা হয়তবা এসব মটিভেশন থেকেই এক বসায় সারারাত code করে কাটিয়ে দেন । ল্যাব থেকে বের হতে হতে রাত ৬টা – ৭ টা বেজে গেলেও এটাই স্বাভাবিক – এমন প্রস্তুতি নিও । পুরো বছরধরেই কোনো না কোনো প্রোগ্রামিং কনটেস্ট চলতে থাকে । বিভিন্ন ভার্সিটি এর স্টুডেন্টদের সমন্বয় এবং নিজেকে যাচাই করা, অন্য কোনো সাবজেক্ট এ পড়লে এভাবে সম্ভবপর হয়না ।
আমি যদি তোমাকে প্রশ্ন করি গুগল কিভাবে লাখ লাখ ওয়েবসাইট থেকে চোখের পলকে দরকারি ডাটা খুজে এনে তোমাকে দেয় ? তুমি কি উত্তর দেবে ??? উত্তর দেবার জন্য তোমার ভাবতে হবে, ভাবার ইচ্ছা থাকতে হবে , তোমার ধৈর্য থাকতে হবে । হা এটা যদি তোমার থাকে , তোমাকে আইটি তে স্বাগতম । এরকম অনেক এলগরিদম নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটা কাজ নিয়ে পরে থাকার মত প্যাশন থাকতে হবে । নতুন নতুন আইডিয়া মাথার মধ্যে সবসময় ঘুরপাক খাওয়াতে হবে । বের করে নিয়ে আসতে হবে বেস্ট এর মধ্যে বেস্ট আইডিয়া টা । একটা আইডিয়া তোমার লাইফ এর জন্য মাইলফলক হয়ে থাকতে পারে । Microsoft imagine cup, Banglalink grandmaster, Robi challenge এরকম কিছু আইডিয়া seeking campaign.
মুখস্ত বিদ্যা নিয়ে এই সাবজেক্ট এ খুব বেশি দূর যাওয়া যায়না । স্টেপ স্টেপ এ logic and innovation অ্যাপ্লাই করতে হবে । কারো যদি গণিত , পদার্থ ভালো লাগে তার জন্য আইটিতে ভালো করা সহজ হয়ে যায় । তোমার রেজাল্ট যদি খারাপও থাকে কিন্তু তুমি যদি creative and passionate হও তোমাকে কেউ আটকাতে পারবেনা , এটা যেকোনো আইটি স্টুডেন্ট এর কাছ থেকে গ্যারান্টি পাবা । এ জন্যই মনে হয় ভার্সিটি লাইফ এ গিয়ে বড় ভাইদের কাছ থেকে প্রথম Bill Gates এর কথাটাই শুনেছিলাম “I failed in some subjects in exam, but my friend passed in all. Now he is an engineer in Microsoft and I am the owner of Microsoft.' ”
ফেসবুক কিভাবে এত মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে? এলোমেলো ভাবে সংরক্ষণ করলে তাড়াতাড়ি খুজে পাওয়া সমস্যা, তাই তথ্য সংরক্ষণ করার নির্দিষ্ট কিছু টেকনিক আছে। এজন্য রয়েছে ডাটাস্ট্রাকচার ও ডাটাবেস । অ্যানিমেটেড মুভিতে বা গেমসে আমরা যে এত সুন্দর ছবি দেখি তার জন্য রয়েছে গ্রাফিক্স । কিভাবে মোবাইলে communication ,computer communication, মেইল আদানপ্রদান , facebook এ মেসেজ চালাচালি এসবের জন্য নেটওয়ার্কিং ।
বিভিন্ন co-curricular activities অংশ নিতে পারো । Microsoft Bangladesh এর নানা কার্যক্রমে তুমি অংশগ্রহন করতে পারবে Microsoft student partner হবার মধ্যদিয়ে । BASIS সফটওয়্যার মেলার আয়োজন করে, ওখানে volunteer হতে পারবে । বিভিন্ন international journal এ তোমার research paper পাঠাতে পার । accepted হলে ওরা তোমাকে তাদের দেশে আমন্ত্রন জানাবে । Google apps e তোমার বানানো apps store করতে পারো ।
দেশে প্রথম Microsoft তাদের windows phone এর জন্য apps তৈরির আয়োজন করেছিলো apathon , যেখানে একদিনে ৮০ টির বেশি app তৈরি হয়েছিল এবং এর venue ছিল IIT DU । বাংলাদেশি বংশভুত অস্কার বিজয়ে নাফিস সে কিন্তু একজন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার । অনেকের প্রশ্ন থাকে ভাইয়া আইটি সেক্টরে জব কেমন ? এখন আইটি এর যুগ । সবার মুখে মুখেই এই কথা শোনা যায় । তুমি কাজ জানলে তোমার জব খোজাঁ লাগবেনা, জব তোমাকে খুজঁবে । Giant organization যেমন Microsoft, Google আমাদের দেশের ভাইয়ারা গর্বের সাথে জব করছেন । Google, Samsung এরা প্রায়ই campus এ এসে recruitment এর আয়োজন করে থাকে । বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠিত আইটি ফার্ম রয়েছে , অনেক মোবাইল কম্পানি , অনেক multinational IT firm আছে ।
তোমার আগ্রহ থাকলে ফ্রীল্যানসার হতে পারবা । প্রতিষ্ঠিত এরকম অনেক ফ্রীল্যানসার উদাহারন তোমার আশে পাশেই আছে । নিজের আইটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পার । গাজিপুর এ আইটি ভিলেজ হতে চলেছে । দেশের বাইরে চাইলে চলে যেতে পারবা ।
নিজের আগ্রহের বিষয়ে ( programming, , web design, networking, database developer, freelancing…. ) দক্ষতা অর্জন করা প্রথম কাজ ।
So , জব নিয়ে পরে চিন্তা করলেও হবে । ইন্টারমিডিয়েটে আইটি সাবজেক্ট পড়ানো শুরু হয়েছে অনেকেই তোমরা জানো ।
কিছু প্রশ্ন অনেকের মনে চলে আসে । ভাইয়া IT আর ICT কি এক ? এক কথায় উত্তর দিলে এক । JU তে বর্তমানে IIT আছে । RU তে ICT । তবে degree কি রকম দেয়া হয় তা জানা নেই ।
মুল প্রশ্ন হল এটা : ভাইয়া IT আর CSE এর মধ্যে পার্থক্য কি ? বিদেশে অনেক আগে থেকেই কম্পিউটার সাইন্স আর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং দুটি আলাদা শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত । আমাদের দেশে ধারনাটি নতুন । CSE এর কাজ হচ্ছে CS tools গুলোকে ডেভেলপ করা আর IT এর কাজ হচ্ছে CS tools গুলোকে প্রপারলি utilize করা (একটু কঠিন মনে হচ্ছে !! ) IT is a specialized stream of CSE। আমার মতে IT আর CSE জমজ ভাই । একজনের জন্ম আগে, একজনের পরে ।
আমি IIT DU আর CSE DU দিয়ে
হাল্কা ধারনা দিচ্ছি :
IIT এর বিশেষত্ত হচ্ছে এখানে তোমাকে নরমাল course গুলোর সাথে আলাদা কিছু specialized course করতে হবে যেখানে সফটওয়্যার প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করতে হবে, simply সফটওয়্যার বানাতে হবে ( পুরো ৬ মাস + ৬ মাস = ১২ মাস ) । IIT এর আর একটি বিশেষ দিক ( যেটার কথাও CSE এর অনেকেই বলবে ) হচ্ছে তোমাকে ৬ মাস industry তে জব ( interne ) করতে হবে ( with salary ). এটা course এর অংশ । কিছু ভাইয়ারা ওখানেই join করে ফেলে , ফলে ৪র্থ বর্ষ এর ক্লাস করতে আসতে চাননা । তাদের স্যাররা জোর করে ধরে নিয়ে আসে ।:p
IT আর CSE এর course গুলো অধিকাংশই মিল আছে । ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কে বিস্তারিত দেয়া আছে। IT তে অন্যান্য কোর্স এর পাশাপাশি SE কে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে ।
গত বছর DU ক list এ IT 2nd e fill up হয়ে গিয়েছিল। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাসরুম এবং ল্যাব তো আছেই (multimedia, document camera system and Internet facilities) আমরা IT আর CSE এর বন্ধুরা একসাথে বসেই চা খাই, আড্ডা দেই , আইডিয়া শেয়ার করি । ল্যাব এ download speed পাওয়া যায় ৪-৫ এমবিপিএস যেটা অনেকের কল্পনার বাইরে । আমরা যারা দুষ্টু তারা LAN এ বসে বসে FIFA, Need For Speed খেলি। আমরা কিন্তু গতবারের DU ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন আর বাস্কেট বল রানার্স আপ অনেক কম্পানি প্রায় এখানে সেমিনার এর আয়োজন করে থাকে ।
যারা ঢাকায় থাক তারা চাইলে DU তে মুকাররম ভবনে এসে আমাদের সাথে এমনকি স্যারদের সাথেও কথা বলে যেতে পারো। u r welcome.
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং অনেকের কাছেই অজানা একটা বিষয়, বিশেষ করে আমাদের দেশে ।আমরা কম্পিউটার বা আইটি রিলেটেড কিছু শুনলেই সেটা কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর কথা ভাবতে শুরু করি । এক্ষেত্রে প্রথমে একটা জিনিস পরিষ্কার করে বলে দেই কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং হার্ডওইয়্যার এবং সফটওয়্যার দুটো জিনিস নিয়েই কাজ করে আর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং শুধু সফটওয়্যার নিয়েই কাজ করে ।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছেঃ গবেষণা, নকশা, বিকাশ, এবং অপারেটিং সিস্টেম-ভিত্তিক সফটওয়্যার পরীক্ষা, কম্পাইলার, এবং নেটওয়ার্ক বণ্টন সফটওয়্যার, যা চিকিৎসা, শিল্প, সেনাবাহিনী, যোগাযোগ, বিমান চালনা, বাণিজ্যিক, বৈজ্ঞানিক, এবং সাধারণ কম্পিউটিং অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যবহার করা।(উইকিপিডিয়া)
আপনার মাথাটাকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তবে আপনার পুরা দেহটাকেই নিয়ন্ত্রন করা যাবে । তেমনি আপনি যদি কম্পিউটারে বস হতে চান তাহলে এর অভ্যন্ত্ররীন প্রোগ্রামগুলো নিয়ন্ত্রন করুন তাহলে সব আপনার দখলে।
কি কি শেখানো হয় এখানেঃ
একটা সফটওয়্যারের শুরু থেকে শেষ মানে আধি-নক্ষত্র বলে যা থাকে সবই সেখানো হবে আপনাকে। প্রোগ্রামিং,নেটওয়ার্কিং, ডিজাইনিং, ডাটাবেজ,ডাটা-স্টাকচার, টেস্টিং, সিকিউরিটি ইত্যাদির এর সাথেও গণিত, পদার্থ, ব্যাবসা সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয় এখানে।
কারা আসবেন এই বিভাগেঃ
আপনার যদি খুব ধৈর্য থাকে তবে এইখানে আপনাকে স্বাগতম। কারণ আপনাকে হয়ত এক প্রোগ্রাম লিখে সারা রাত কাটিয়ে দিতে হতে পারে বা একটা সফটওয়্যারের ডিজাইন আর ডাটাবেজ বানাতে বানাতে কয়েক দিনও কেটে যেতে পারে । তবে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই যখন আপনি দেখবেন যে আপনার প্রোগ্রামটি ঠিকভাবে রান করছে বা আপনার কম্পিউটারটি আপনার দেওয়া নির্দেশনাগুলো ঠিকমত মেনে চলছে সেসময় আপনার থেকে আপনাতেই কাজের প্রতি মন এসে যাবে।এর মানে এই না যে আপনাকে প্রোগ্রামিং এই করতে হবে শুধু প্রোগ্রামিং ছাড়াও আরও অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো আপনার উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের জন্য যথেষ্ট ।
অন্যদের থেকে আলাদা কেনঃ
আপনি অন্য যেকোনো ডিপার্ট্মেন্টের দিকে তাকান আপনার কাজের নিয়ম বেধে দেওয়া হচ্ছে, সামাজিকতা আর পোশাকের বেড়াজালে বন্ধী করে রাখা হচ্ছে আপনাকে। কিন্তু এখানে আপনার কাজে কোনো বাধা থাকবে না। আপনাকে অফিস নামক ঘরটাতে বন্ধী করে রাখা হবে না, আপনি আপনার মন মত কাজ করে ঠিক সময়ের মাঝে জমা দিলেই হল। তাছাড়া অন্যান্য সেক্টরে যেটা হয় অনেক কিছু নিয়ে নাড়াচাড়া করা লাগে এক্ষেত্রে আপনাকে কম্পিউটার নামক ছোট যন্ত্রটাই আপনার একমাত্র নাড়াচাড়ার সঙ্গী।
কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে এই বিষয়ঃ
আমাদের দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ড্যাফোডিল আর্ন্তজাতিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং এ আই ইউ বি তে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালু আছে ।
চাকরির বাজারঃ
বর্তমানে চাকরির বাজার যে কতটা চড়া সেটা কল্পনাও করা যায় না। তবে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন আপনি যদি ভাল কাজ পারেন তাহলে সুজুগ মিলতে পারে গুগোল, ফেসবুক , মাইক্রোসফটের মত বড় বড় কোম্পানিতে। আমাদের দেশে সরকারিভাবে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য আলাদা ক্ষেত্র না থাকলেও যখন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর একুভেলেন্ট চায় তখন আপনারা আবেদন করতে পারবেন। তবে বিভিন্ন সফটওয়্যার ডেভেলপার কোম্পানিতে বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে নিয়মিত কাজ করলে গড়ে মাসিক পনের হাজার থেকে দুই লাখ টাকা সম্মানী পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।এছাড়াও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চুক্তিভিত্তিক কাজ বা নিজস্ব সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে আপনার কার্যক্ষমতা অনুযায়ী আনলিমিটেড আয়ের সুযোগ রয়েছে.......
Subject Review:
Computer Science and Engineering (CSE)
সাবজেক্ট চয়েজের ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকবে, কারণ একটা ভূল সিদ্ধান্ত তুমাকে সারা জীবনের জন্য হতাশ করে দিতে পারে!হয়ত নাম শুনে মনে হচ্ছে অনেক ভালো সাবজেক্ট বা আসলেই অনেক ডিমান্ডেবল সাবজেক্ট, কিন্তু এসব দেখে হুজুকে সাবজেক্ট না নিয়ে আগে ভাবো তুমার কি ভালো লাগে! ওমুক ফ্রেন্ড এটা নিলো, ফ্যামিলি এটা নিতে বলছে বলে সাবজেক্ট নিও না!তাহলে পরে সারা জীবন পস্তাবে!! তোমার যেটা করতে ভালো লাগে বা যেটা প্যাশন সেটা নিয়েই তুমি পড়ো তবেই তুমি ফিউচারে ভালো করতে পারবে!!কোন সাবজেক্ট এর ডিমান্ড বেশি এটা দেখে নিলে না!
এবার আসি সি এস ই তে
.
দেখে দেখে, হুজুকে কিংবা সাস্ট সিএসই ভালো বলে যদি তুমি সিএসই নেয়ার সিন্ধান্ত নিয়ে থাকো, তাহলে বলবো এটা কখনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়!! সিএসই তে পড়তে চাইলে আগে দেখো এখানে কি পড়ানো হয়!এইচএসই তে তুমরা আইসিটি নামে একটা সাবজেক্ট পড়েছো!তোমার কাছে কেমন লেগেছে? প্রোগ্রামিং নামে কিছু জিনিষ ছিলো সেখানে, কেমন টেনেছে সেগুলা তুমাকে? কিছুক্ষণ ভাবো ! তারপর ভাবো তুমি ম্যাথ কেমন পারো!!ম্যাথের বেসিক কেমন তুমার!তারপর দেখো কেমন ধৈর্য্য আছে তোমার!সারা দিন পিসির সামনে বসে থাকার মতো মন মানুষিকতা আছে কিনা!
.
আসো এখন কথা বলি প্রোগ্রামিং, ম্যাথ আর ধৈর্য এই তিনটি বিষয়ে!!প্রথমতো, তুমি কি জানো প্রোগ্রামিং কি?যদি জানো তাহলে সেটা তোমার কেমন লাগে?আর যদি না জানো তাহলে গুগলে সার্চ দাও! দেন দেখো! প্রোগ্রামিং এর কথা কেন বলছি!
সি এস ই তে পড়তে হলে তুমাকে এই জিনিসটা করতেই হবে!! না হলে তুমার সিএসই পড়া আর বাংলাতে অনার্স করা একই কথা হবে!!আচ্ছা এখানে তাহলে ম্যাথের কি প্রয়োজন?আসলে তুমাকে ম্যাথম্যাটিকালল জিনিসগুলাকেই কোড আকারে লিখতে হবে!!তাই ম্যাথে দুর্বল থাকলে পরে পেইন খাবে!! আর সি এস ই পড়ার জন্য যে জিনিসটা বেশি প্রয়োজন সেটা হলো ধৈর্য!! এমনও হতে পারে তুমাকে একটা প্রবলেম সলভ করার জন্য দুই তিন দিন পিসির সামনে বসে থাকতে হতে পারে!!
.
সিএসইতে পড়ার জন্য আর একটা বড় জিনিস হচ্ছে ক্রিয়েটিভিটি!!
তোমাকে অবশ্যয় ক্রিয়েটিভ হতে হবে!
আর প্যাশন থাকতে হবে!আর সাবজেক্টটার প্রতি অবশ্যয় ভালোবাসা থাকতে হবে!সাবজেক্ট এর প্রতি ভালবাসা না
থাকলে কোন সাবজেক্ট এই ভাল করা সম্ভব না।
.
এখন আসি জব মার্কেট নিয়ে! সি এস ইর জব ডিপেন্ড করে তুমি কি শিখেছো! কি জানো! যদি তুমি কাজ পারো তবে জবইই তোমার পেছনে ছুটবে আর যদি আজ না পারো তবে সাস্ট
বুয়েট সিএসই যাই হও তুমার ভ্যালু শূন্য!!এখানে চাচা মামা
থাকলেও কোন কাজে আসবে না!!যদি তুমি কাজ পারো তবে সার্টিফিকেট ও এই সাবজেক্ট এ মূখ্য কিছু না
একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই একজন বড়ভাইয়ের। উনি সাস্টের ৯৭/৯৮ ব্যাচের মনির ভাই। পাগল টাইপের মানুষ। ক্লাশ করতেননা। দিনরাত নতুন নতুন সফটওয়ার বানাতেন। অনেক ড্রপ কোর্স ছিলো। রেজাল্ট ৩ এর নীচে। উনার ব্যাচের ৪/২পরীক্ষার পরে উনার অনেক কোর্স বাকী ছিলো। সার্টিফিকেট ছাড়াই উনি চাকরী পেয়ে গেলেন মাইক্রোসফট এ। জাফর স্যার উনাকে আমেরিকা থেকে আনিয়ে কোর্সগুলা কমপ্লিট করিয়েছিলেন। কথায় কথায় স্যার একবার মনির ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে তোমার রেজাল্ট, সার্টিফিকেট নিয়ে এরা কিছু বলেনা? মনির ভাই উত্তর দিলেন, "না। ওরা ভয় পায়! যদি আমি জব টা ছেড়ে দিই!!
.
হোপ তোমরা বুঝতে পেরেছো!! এখন সিদ্ধান্ত তোমাদের!!
কারো দেখাদেখি না!! নিজে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নাও!
একটা ভূল সিদ্ধান্ত যেন সারা জীবন হতাশার কারন না হয়!
কারন তুমি চাইলেও পরে সেটা চেঞ্জ করতে পারবে না!!
Subject Review:
Pharmacy
ফার্মেসী বিষয়ে কিছু কথা, কিছু কনফিউশন,.. সাবজেক্ট রিভিউ.
স্টেথেসকোপ গলায় না ঝুলিয়েও মানুষের সেবা করা যায় নাকি?? অসুস্থ মানুষের সেবা, উন্নয়নের জন্য গবেষনা, সম্মান ও টাকা। কে না চায় এমন পেশা?? ডাক্তারি ব্যাতীত এই কম্বো কে দিবে?? কি হতে পারে সেটা?? জ্বী হ্যা ফার্মেসীর কথাই বলছি আমি।
উন্নত দেশগুলোতে একজন ফার্মাসিস্ট সম্মান ও মর্যাদায় কোন অংশেই ডাক্তারদের চেয়ে কম নাহ। কোন ওষুধ পেসক্রাইব করার জন্য ফার্মাসিস্ট দের মতামত নিতে হয়। যদিও বাংলাদেশে ডাক্তার রাই ওষুধ পেসক্রাইব করে "একের ভেতর দুই" নামক প্যাকেজ তৈরী করে রেখেছেন তবুও প্রথম সারির সাবজেক্ট গুলোর মাঝে ফার্মেসী উপরের দিকেই থাকে।
“Study in pharmacy and fly to America’’ – এমনই একরকম স্লোগান চালু হয়ে যায় ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসী বিভাগ প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে।
সময়ের পরিক্রমায় এটি এখন ৩ টি বিভাগ নিয়ে গঠিত ফার্মেসী অনুষদ। প্রথম দিককার বেশীরভাগ ফার্মাসিস্টরাই পাড়ি জমান আমেরিকায় ও মধ্যপ্রাচ্যে। আবার কেউ কেউ কানাডা, ইউকে বা অস্ট্রেলিয়ায়। বাকিরা যারা দেশে আছেন তাদের হাত ধরেই সামনের দিকে এগুতে থাকে আমাদের ওষুধ শিল্প।
পরবর্তীতে ফার্মেসী বিষয়টি খোলা হয় জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে বাংলাদেশের ওষুধের চাহিদার ৯৭ ভাগই বাংলাদেশে তৈরি হয় আর রপ্তানি করা হয় বিশ্বের প্রায় ৮৭ টি দেশে। আগামী ১০ বছরে মধ্যে ওষুধ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য বা পথ্য। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের এই উৎকর্ষ যাদের হাত ধরে সাধিত হয়েছে তারা হচ্ছেন ফার্মাসিস্টরা।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ফার্মেসী পড়ানো হয় ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, খুলনা, জগন্নাথ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (আরও ২/১ টা থাকতে পারে!)
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিক, স্টেট, ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, সাউথ ইস্ট, ব্র্যাকসহ আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কি পড়ানো হয় ফার্মেসীতে?
উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার লক্ষ্যে সর্বপ্রথম ১৯৬৪-১৯৬৫ সালে প্রথম ঢাবি তে ফার্মেসী বিভাগ খোলা হয়। পরবর্তীতে ঔষধশিল্পে ক্রমাগত উন্নতি ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরনের জন্য অন্যান্য ভার্সিটিতে ফার্মেসী খোলা হয়।
বাংলাদেশে ফার্মেসীর উপর দুই ধরনের ডিগ্রী দেওয়া হয়।
১) ৪ বছরের কোর্স (বি.ফার্ম)
২) ৫ বছরের কোর্স (ফার্ম. ডি/ প্রফেশনাল)
B.Pharm= Bachelor of Pharmacy
Pharm.D= Doctor of Pharmacy
এখন আসি টাকা পয়সার ব্যাপারে
দুই হাত ভরে ডলার, ডুপ্লেক্স বাড়ি, ভিনটেজ কার কে না চায়??? ফার্মেসী পড়ে পেশাগত ভাবে মাইগ্রেট হতে পারবেন উন্নত দেশগুলোয়। দেশেও কাজ করার অবারিত সুযোগ রয়েছে।
কোথায় কোথায় কাজ করার সুযোগ আছে:
Community pharmacist
Hospital pharmacist
Research scientist (life sciences)
Clinical research associate
Higher education lecturer
Pharmacologist
Product/process development scientist
Regulatory affairs officer
Science writer
Toxicologist
ফার্মেসীতে যা পড়ানো হয় তার মধ্যে রয়েছে রসায়ন (inorganic/organic/
physical/Analytical/Medicinal chemistry), মানবদেহ (Physiology/Anatomy), ওষুধবিদ্যা(Pharmacognosy / Pharmacology / Pharmaceutical technology / Quality control / Pharmaceutical Engg / Biopharmaceutics), লাইফ সাইন্স এর অন্যান্য বিষয় (Microbiology / Biochemistry / Biotechnology) ও Hospital pharmacy / Clinical pharmacy, Statistics সহ আরও কিছু বিষয়।
এত বিষয় দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে এসব বিষয় পড়তে হলে জীববিজ্ঞান (মানবদেহ) ও রসায়নে ভাল হতে হবে।
সবাই যেটা জানতে চাই, আসলে চাকরীর অবস্থা কি ? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করে খুব একটা কেউ বেকার থাকে না। তবে ফার্মা ফিল্ডে চাকরী বেশ saturated হয়ে যাচ্ছে। দেশের অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসী পড়ানো হয়,তাই অনেকেই শিক্ষকতা পেশাকে বেছে নেয়। মোটামুটি ভাল রেজাল্ট নিয়ে ভাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বের হতে পারলে শিক্ষকতায় ঢোকা ব্যাপার না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রছাত্রী ফার্মা ফিল্ডে কাজ করছেন। তবে অনেক বেশী ছাত্র যেহেতু বের হচ্ছে তাই ভাল/প্রথম দিকের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসীতে চান্স না পেলে ফার্মেসী পড়ার আগে একবার চিন্তা করে দেখা উচিত।
দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কেমন?
একসময় প্রচুর ফার্মাসিস্ট বাইরে যেতেন। ২০০৩ সালের পর আমেরিকায় ৪ বছরের অনার্স ডিগ্রীধারীদের ফার্মাসিস্ট নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে দিচ্ছে না। অর্থাৎ কেউ যদি আমেরিকায় ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করতে চান তার ৫ বছরের অনার্স লাগবে বা ফার্ম ডি লাগবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০১০-১১ সেশন থেকে ৫ বছরের অনার্স চালু হয়েছে।তাহলে ব্যাপার টা কি দাড়ালো?? Pharm.D হলো ডক্টর অফ ফার্মেসী। এটি কিছু দেশে ফার্মেসীর উপর প্রথম প্রফেশনাল ডিগ্রী এবং লাইসেন্স প্রাপ্তি ও অনুশীলনের জন্য অত্যাবশ্যকীয়।
এখানে একটা ব্যাপার ক্লিয়ার করা উচিত। আমাদের দেশে বেশিরভাগ ফার্মাসিস্ট যেমন ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করেন তেমনি বাইরের দেশে বেশিরভাগ ফার্মাসিস্ট কমিউনিটি, রিটেইল, ক্লিনিক বা হসপিটাল ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করেন আর তার জন্য লাইসেন্সধারী ফার্মাসিস্ট হতে হয়। আর ৪ বছরের অনার্স নিয়ে আমেরিকা ছাড়া অন্য যে কোন দেশে গিয়ে নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করে ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারবেন। তবে আপনি পিএইচডি করতে চাইলে আমেরিকা যেতে পারেন। আমেরিকায় ফার্মেসী পড়ায় এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা অন্যান্য বিষয়গুলোর তুলনায় কম হলেও প্রচুর ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষার্থে (মাস্টার্স/পিএইচডি) করতে আমেরিকা, ইউকে সহ অন্যান্য দেশে যাচ্ছেন।
অনেকেই বিসিএস দিয়ে আবার সরকারী চাকরীতেও যাচ্ছেন। কেউ হয়ত খেয়াল করে থাকতে পারেন এবার ৩৩ তম বিসিএস এ সারা বাংলাদেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন একজন ফার্মেসী গ্র্যাজুয়েট!
ফার্মেসী পড়ার একটা সুবিধা হল এ বিষয়ে পড়ে আপনি উচ্চশিক্ষার্থে লাইফ সাইন্স এর যেকোনো দিকে সুইচ করতে পারবেন। তাই আমার মতে যারা লাইফ সাইন্স পড়তে চান তাদের ফার্মেসী প্রথম চয়েজ হওয়া উচিত।
ওষুধবিজ্ঞান উপভোগ করতে পারলে ভাল লাগবে অন্যথায় হতাশ হতে হবে। তবে পড়লে ভাল করে পড়তে হবে।
**********************************
সব শেষে একটা কথা বলব । যে সাবজেক্ট নিয়েই পড় না কেন , তা সম্পর্কে আগে খোজঁ নেও কি কি পড়ানো হয় এবং যদি সত্যি সেগুলো তোমার ভাল লেগে থাকে তাহলেই সেই সাবজেক্ট এ ভর্তি হও । কোনটা ১ নাম্বার সাবজেক্ট , কোনটা ২ নাম্বার , এটার চেয়ে ওটা ভাল এভাবে বিচার না করে , সেটাই ভাল সাবজেক্ট যেটা তোমার কাছে ভাল এভাবে চিন্তা কর । মানুষের তৈরি এই বিভাজন অনুসরন করে নিজের সাথে প্রতারনা করোনা ।
**********************************
Shahriyar Hridoy
Software Engineering ( IIT )
University of Dhaka
Tags:
রিভিউ