ধর্ম-নাস্তিকতা



[ক]

আহসান ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট। আমার ক্লাসমেট। দেশের বাড়ি রংপুর। এখানে (কলেজের) হোষ্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। আগ্রহের বিষয় পদার্থবিজ্ঞান। সে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও সে এখন নাস্তিক।

কিছুদিন ধরেই ভাবছি; তার সাথে একটু আলোচনা করা প্রয়োজন। আমি বাসাতেই থাকি। একদিন চলে গেলাম কলেজের হোষ্টেলে। গেইটের সামনে দাড়িয়ে ভাবছি যাবো কি যাবো না। তাকে ফোন দিয়ে বললাম,
"তুই কি হোষ্টেলে? একটু আসতে চাচ্ছিলাম" সে বললো "জ্বি আস"

হোষ্টেলের (গেইটের) কেয়ারটেকার ঢুকতে দিচ্ছিলো না। অনেক কথায় ঢুকলাম শেষে।

[ হোষ্টেলের প্রতিজনের আলাদা আলদা ছোট রুম ]

আমি রুমের কাছে গিয়ে দরজায় নক করলাম। এমতাবস্থায় আহসান রুমের দরজা খুলে বললো, "আসছোস, এতো লেইট হলো কেনো?এখানে (বিছানায়) বস"

আমি বিছানাতে বসে তাকে সালাম (আসসালামু আলাইকুম) দিলাম যদিও আমি জানি সে ধর্মে বিশ্বাসী না।

সে মাথা নাড়িয়ে বললো, হুমম।

আরো ভাবছিলাম তাকে বলবো যে ইসলামে সালামের উত্তর দেয়া ওয়াজিব [১] কিন্তু আবারো মনে পড়ে গেলো যে সে ধর্মে বিশ্বাসী না।

- তো হঠাৎ দুপুরবেলাতে কি মনে করে?
- (আমি সোজা বলে দিলাম) তোর নাস্তিক হয়ে যাওয়া নিয়ে কিছু কথা বলার জন্যে এসেছি।
- প্রথমত তুই তো জানোস-ই যে আমি বিজ্ঞানমনোস্ক। আর এটা আমার কাছে সবচে' অথেনটিক মনে হয়। তাদের রিসার্চ-এনালাইসিস নতুন নতুন তথ্য এবং পুরো বিশ্ব কে যেভাবে এগিয়ে নিচ্ছে সেটা-ও তো তোর অজানা না।
- ভালো। তবে কোরআন-ও তো বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। আস্তিক হয়ে কি বিজ্ঞানমনোস্ক হওয়া যায় না? অনেক ভালো ভালো বিজ্ঞানীরা ঈশ্বরে বিশ্বাসী (আস্তিক) ছিল। এবংকি আইজাক নিউটন ১২ টি সূত্র [২] দিয়ে ঈশ্বর যে আছেন তার অস্তিত্ব প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যেটা কিনা কোরআনের একটি আয়াতের [৩] সাথে মিলে যায়।
- ওহহ আচ্ছা। এটি একটি লক্ষ্য করার মত বিষয় যে বেশিরভাগ বিজ্ঞানীরাই সাধারণত ঈশ্বরে অবিশ্বাসী হন। একটি জরিপে দেখা যায় ৯৩ ভাগ বিজ্ঞানীই ইশ্বরে বিশ্বাস করেন না, অন্যদিকে ৮৩ ভাগ সাধারণ আমেরিকান ইশ্বরে বিশ্বাসী। তেমনি ব্রিটিশদের মধ্যে ৪২ ভাগ ঈশ্বরে বিশ্বাস করলেও বিজ্ঞানীদের মধ্যে মাত্র ৫ ভাগ ইশ্বরে বিশ্বাস রাখেন। ১৯৯৮ সালে ন্যাচার ম্যাগাজিন শীর্ষ বিজ্ঞানীদের সংগঠন ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস এর সদস্যদের নিয়ে একটি জরিপ চালায়। সেই জরিপে দেখা যায় বিশ্বে মাত্র সাত ভাগ বিজ্ঞানী ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন। এবং আমার কাছে একটি তালিকা [৪] আছে যারা (বিজ্ঞানীরা) ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন না।
- আচ্ছা।
- হুমম, যুক্তরাজ্যের প্রধান রাব্বাই (ইহুদি নেতা) বলেন, বিজ্ঞান সব কিছুর ব্যখ্যা খোঁজে আর ধর্ম খোঁজে সবকিছুর অর্থ। এই বিশ্ব কীভাবে তৈরি হল সেটি নিয়ে আসলে ধর্মের মাথা ব্যাথা নেই। অন্যদিকে, স্টিফেন হকিং ধর্ম আর বিজ্ঞানের মধ্যে সবসময় বিজ্ঞানকেই এগিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, ধর্ম আর বিজ্ঞানের মধ্যে মূলগত পার্থক্য রয়েছে। ধর্ম দাঁড়িয়ে আছে কর্তৃত্বের উপর ভিত্তি করে। অন্যদিকে বিজ্ঞান দাঁড়িয়ে আছে পর্যবেক্ষণ আর যুক্তির উপর! শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানই জয়ী হবে। কারণ, এটি কার্যকর।
- আচ্ছা তুই বললি যে, "বিজ্ঞান সব কিছুর ব্যাখ্যা খোঁজে আর এই বিশ্ব কীভাবে তৈরি হল সেটি নিয়ে আসলে ধর্মের মাথা ব্যাথা নেই।" তো আমাকে তুই একটা প্রশ্নের উত্তর দে যে অনেকে বলে chemical evolution দ্বারা যে প্রান সৃষ্টি হওয়া সম্ভব তার প্রমান কি? সৃষ্টির শুরু কোন কার্য কারনে? সৃষ্ট বস্তু কোথা হতে এসেছিল কেন ও কিভাবে এসেছিল? দরকার কি? কি কারনেই বস্তু সৃষ্টি হল?
- আচ্ছা তাহলে তুই-ই বল যে এসবের উত্তর (কোরআনে) কি দেয়া আছে কেনো আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করলেন?
- জ্বি আছে তো। পবিত্র কোরআন সূরা মুলক (৬৭) এর ২ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, আমি জীবন ও মৃত্যু সৃষ্টি করেছি পরিক্ষা করার জন্যে এটা দেখার জন্যে কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম। তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়।" এবং সূরা যারিয়াত (৫১) এর ৫৬ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, "আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।"
- বিজ্ঞান বলছে বিগ ব্যাং থিওরির কথা কোরআন কি বলে?
- কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম।এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? (সূরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ৩০) সেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে নেব, যেমন গুটানো হয় লিখিত কাগজপত্র। যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। আমার ওয়াদা নিশ্চিত, আমাকে তা পূর্ণ করতেই হবে। (সূরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ১০৪)

> আয়াতটি আমাদেরকে একেবারে পরিস্কারভাবে বলছে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রেরা একসময় একজায়গায় পুঞ্জিভুত ছিল। এবং একটা নির্দিষ্ট সময়ে এদের জন্ম হয়। আর আজকের বিজ্ঞান কি বলে এ সম্বন্ধে? ষ্টিফেন হকিং এর বিগ ব্যাং থিওরী
আজ সর্বময় স্বীকৃত। এ থিওরী অনুযায়ী
মহাবিশ্বের সকল দৃশ্য অদৃশ্য গ্রহ নক্ষত্র সৃষ্টির
শুরুতে একটি বিন্দুতে পুঞ্জিভুত ছিল। এবং একটা বিশাল বিষ্ফোরণের মাধ্যমে এরা চারিদেকে ছড়িয়ে যেতে থাকে। কিভাবে মরুভুমির বুকে সংকলিত দেড় হাজার বছর আগের একটি বই এ এই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটা ধারণ করতে পারল?

- ওহহ আচ্ছা। বিজ্ঞান আরো বলছে ব্ল্যাক হোলের কথা কিন্তু কোরআন?
- তুই মনে হয় কোরআন টা পড়িস নি আর পড়লেও মনোযোগ দিয়ে না। দেখ আল্লাহ কি বলছেন, অতএব, আমি তারকারাজির অস্তাচলেরশপথ করছি,(সূরাঃ আল ওয়াক্বিয়া, আয়াতঃ ৭৫) নিশ্চয় এটা এক মহা শপথ-যদি তোমরা জানতে। (সূরাঃ আল ওয়াক্বিয়া, আয়াতঃ ৭৬) যা আছে এক গোপন কিতাবে, (সূরাঃ আল ওয়াক্বিয়া, আয়াতঃ ৭৮) আল্লাহ সুব. আরো বলেন, “আমি শপথ করছি সেই জায়গার যেখানেতারকারাজি পতিত হয়। নিশ্চই এটা একটামহাসত্য, যদি তোমরা তা জানতে।” (সূরাওয়াক্বিয়া : ৭৫, ৭৬) ৭৫ নং আয়াতটিস্পষ্টভাবে জানাচ্ছে, মহাবিশ্বে এমন জায়গাআছে, যেখানে তারকা পতিত হয়। ঠিক পরের আয়াতেই এটাকে, মহাসত্য বলে দাবি করা হয়েছে। মহাকাশে এরকম স্থান আছে, এটা মাত্র কিছুদিন আগে আবিষ্কার করা হয়েছে। এই জায়গাগুলোর নাম দেয়া হয়েছে ব্ল্যাকহোলস। এগুলোতে শুধু নক্ষত্র নয়, যে কোন কিছুই এর কাছাকাছি এলে, এখানে পতিত হতে বাধ্য।
- কি বেপার! কোরআন তো আমিও পড়েছিলাম কিন্তু এসব আমার চোখে পড়েনি কেনো?
- জানিনা তবে দেখ আল্লাহ কি বলছেন, اَفَلَا یَتَدَبَّرُوۡنَ الۡقُرۡاٰنَ اَمۡ عَلٰی قُلُوۡبٍ اَقۡفَالُہَا তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?(মুহাম্মাদ - ২৪)
- আচ্ছা কোরআনে প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান সম্পর্কে আর কি কি তথ্য তোর জানা আছে তা বল আমাকে আমি রিসার্চ করবো।
- মাশা-আল্লাহ। জ্বি বলছি (তখন আমি একটানা বলতে লাগলাম)

" মানুষ কি মনে করে যে আমি তার হাড়গোড় একত্রিত করব না?
(সূরাঃ আল ক্বেয়ামাহ, আয়াতঃ ৩)

পরন্ত আমি তার আঙুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম।
(সূরাঃ আল ক্বেয়ামাহ, আয়াতঃ ৪)

> ১৮৮০ সাল হতেই আঙুল ছাপ একটি বৈজ্ঞানিক শনাক্তকরণ সংকেতরূপে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হতে শুরু করে। পৃথিবীতে এমন কোন লোক পাওয়া যাবে না যার আঙুলের ছাপ অন্য আরেক লোকের আঙুলের সাথে মিলবে। এমনকি হুবহু জমজ সন্তানেরও আঙুলের ছাপ একজন-আরেকজনের সাথে মিলে না। কোরআন ১৪০০ বছর আগেই বলছে হাতের অগ্রভাগ(ছাপ) আলাদা করা যায়। চিন্তা করুন কোরআন যদি নবী মুহাম্মদ সাঃ এর বানানো হতো তবে তিনি এই নব্য আবিষ্কার হওয়া তথ্য কী করে জানলেন ১৪০০ বছর আগে?

সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।
(সূরাঃ ইয়াসীন, আয়াতঃ ৩৮)

তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারিত করেছেন এর জন্য মনযিল সমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ এই সমস্ত কিছু এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণসমূহ সে সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে। (সূরাঃ ইউনুস, আয়াতঃ ৫)

> এই আয়াতটা নিয়ে একটু চিন্তা কর। কী করে একজন মানুষ ১৪০০ বছর আগে মরুভূমির দেশে বসবাস করে বলতে পারে সূর্য তার নিদিষ্ট অক্ষে আবর্তন করে? এটা কী কোন মানব রচিত বই হতে পারে?

তারা কি তাদের উপরস্থিত আকাশের পানে দৃষ্টিপাত করে না আমি কিভাবে তা নির্মাণ করেছি এবং সুশোভিত করেছি? তাতে কোন ছিদ্রও নেই।
(সূরাঃ ক্বাফ, আয়াতঃ ৬)

যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে। অতএব, আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাকেও সমকক্ষ করো না। বস্তুতঃ এসব তোমরা জান।
(সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ২২)

বিজ্ঞানী স্যার ভ্যান অ্যালন( Venn Allen) তার দীর্ঘ গবেষনার ফলাফল প্রকাশ করে বলেন, আমাদের পৃথিবী পৃষ্ঠের নিচে একতি অত্যন্ত শক্তিশালী Magnetic Filed আছে, যা আমাদের বায়ুমন্ডলের চারপাশে একটি বেল্টের মতো বলয় সৃষ্টি করেছেন। জীব জগতের অবিরাম গতিধারা বজায় রাখতে এ পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বায়ুমন্ডল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন বড়, ছোট বহু উল্কা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, তখন বায়ুমন্ডল এদের বেশীরভাগকেই ভূপৃষ্ঠে পতিত হতে দেয় না। এভাবে পৃথিবীর জীব জগৎকে উল্কাপতনের ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষা করে বায়ুমন্ডল। তা ছাড়া মহাশুন্য থেকে জীবিত বস্থুসমূহের জন্য ক্ষতিকর যে রশ্মি নির্গত হয় বায়ুমন্ডল তা ফিল্টার করে বা ছেঁকে নেয়। যদি Van Allaen Belt টি না থাকতো তবে সূর্যের ভেতরে ঘন-ঘন সংঘটিত বিশাল বিস্ফোরণের শক্তি যা Solar Flare নামে পরিচিত তা, পৃথিবীর সমস্ত প্রাণিজগৎকে ধব্বংস করে দিতো। একবার তুই তোর বিবেক বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা কর ১৪০০ আগে নাযিল হওয়া কোরআন Van Alleen Belt যা বলেছে তা ১৪০০ বছর আগে বলে দিয়েছে। যদি এটা স্রষ্টার বই না হতো তবে তা কী করে একজন সাধারণ মানুষ যিনি মরুভূমিতে মেষ চড়াতো সে কী করে জানলো? অবশ্যই স্রষ্টা তাকে অবগত করেছে।

নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকেতারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি।
(সূরাঃ আস-সাফফাত, আয়াতঃ ৬)

> এটা নিয়ে আর নতুন কী বলবো !

আমি আকাশ নির্মান করিয়াছি আমার
ক্ষমতাবলে এবং আমি অবশ্যই মহা-
সম্প্রসারণকারী” (সূরা যারিয়াত : ৪৭)

> মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল এটা এই কিছুদিন আগে প্রমাতি হয়েছে। বিজ্ঞানী আরভিন সর্বপ্রথম আলোর লোহিত অপসারন পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রমাণ করেন এ বিশ্বজগত সম্প্রসারিত হচ্ছে,
গ্যালাক্সিগুলো একটার থেকে আরেকটা দূরে সরে যাচ্ছে। মহানবী সাঃ এ তথ্য থেকে জানলেন?
এরকম অন্য তথ্য কোরআনে আরো অনেক রয়েছে। এবং কি কোরআনে এক হাজারের মতো আয়াত রয়েছে যা বিজ্ঞান নিয়ে বলে। "

- সত্যিই ভাবার বিষয়।
- জ্বি ভাই। তোকে আমি রিকুয়েস্ট করবো তুই আরো গবেষণা কর। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ আসমান ও জমিন এবং এ দুয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুই যথাযথভাবে ও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সৃষ্টি করেছেন। (সূরা রুম, আয়াত ৮)
- ঠিকাছে।

[খ]

আমি আমার বন্ধু আহসান কে একটি বাংলা কোরআন ও তাফসীর উপহার দিয়ে আসলাম। এবং কিছুদিন পর যখন তাকে কল দিলাম;

- ভাই আমি কোরআনের অনেকটা অংশ নতুন ভাবে পড়তে শুরু করে দিয়েছি এখন আমি কোরআনকে আগের চেয়ে অন্যভাব দেখি।
- মাশা-আল্লাহ ভাই। আল্লাহ তোকে হিদায়াত দিক।

==========================

[১] সহিহ মুসলিম: ৫৫৪৩।

[২] Issac Newton, Keynes Ms. 8, king's college, Cambridge, UK

[৩] সূরা নিসা আয়াত ১৭১।

[৪] https://bn.m.wikipedia.org/wiki/বিজ্ঞান_ও_প্রযুক্তিতে_নাস্তিকদের_তালিকা


Writer: Raad Maan

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম