ইসরায়েলের হঠাৎ অতর্কিত আক্রমণে 1967 সালে আরব(মিশর,সিরিয়া,জর্ডান) ও ইসরায়েলের যুদ্ধকে 6 day war. বলা হয়। কারণ এই যুদ্ধটি এতটাই সংক্ষিপ্ত ছিলে যে এটি ৭ দিন বা ১ সপ্তাহও স্থায়ী ছিল না। তবে এই যুদ্ধের পরিনতি ছিল আশ্চর্যজনক। কারণ এই ৬দিনে মধ্যপ্রাচ্যের ভৌগোলিক মানচিত্র পাল্টে যায়। আরবদের শোচনীয় পরাজয় হয় ও সাথে হাজার হাজার নাগরিকের মৃত্যু এবং অন্যদিকে ইসরায়েলের জয় সাথে সাথে তাদের দেশের আকার ৩গুণ বৃদ্ধি পায়। মিশরের সিনাই অঞ্চল ও সিরিয়ার গোলান মালভূমি ও জর্ডানের কিছু অঞ্চল দখলে চলে যায় ইসরায়েলের।ফিলিস্তিনিদের গাজা ও west bank অংশসহ জেরুজালেমে দখলে নিয়ে বসে ইসরায়েল। জর্ডান শাসন আমলে যতটুকু স্বাধীনতা ছিল ফিলিস্তিনিরা একেবারে তাদের স্বাধীনতা ততটুকুও হারিয়ে ফেলে এবং এখনো ধুকতে হচ্ছে।
◾কেন এই যুদ্ধ সংগঠিত হল -
ইসরায়েল গঠিত হবার পরই ১৯৪৮ সালে আরব দেশগুলোর সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ জড়িয়ে পড়েছিল। তাই তখন থেকেই ইসরায়েলের সাথে তাদের সর্ম্পক খারাপই ছিল সেটা বলে দিতে হয় না। এইসময় আরবদেশগুলো সোভিয়েত রাশিয়ার পক্ষে ও ইসরায়েল আমেরিকানদের পক্ষের শক্তি হিসেবে কাজ করছিল। সময়টা তখন শীতল স্নায়ু যুদ্ধের। মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আসেন জামাল আবদেল নাসের ১৯৫৬ সালে। তিনি প্রসিডেন্ট হয়ে এসেই মিশরের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়ে বসেন। তিনি এসেই সুয়েজ খাল(Suez Canal) কে সরকারি বা জাতীয়করণ করে ফেলেন। তার এই ঘোষণার আগে সুয়েজ খাল(Suez Canal) ব্রিটিশ ও ফ্রান্সের শেয়ারভিত্তিক কোম্পানি " Suez Canal company দ্বারা পরিচালিত হত। এতে স্বাভাবিকভাবেই ব্রিটিশ ও ফ্রান্স খুশি হয় নি। তারা ইসরায়েলকে সামরিক অস্ত্র (বিমান,ট্যাংক)দেয়া শুরু করে। প্রেসিডেন্ট জামাল আবদেল নাসের এখানেই থেমে থাকেন না। তিনি ব্রিটিশ, ইসরায়েল ও ফ্রান্সের জন্য সুয়েজ খাল বন্ধ করে দেন। অথচ সুয়েজ খাল মেরিটেরিয়ান সমুদ্রের সাথে রেড সমুদ্রের (red sea) সংযোগ ঘটায়। যেটি আরো এগিয়ে আরব সাগরে মিলিত হয় (Arabian sea).।মানে সুয়েজ খাল(Suez canal) ইউরোপ থেকে এশিয়ার জাহাজ নিয়ে আসার সবচেয়ে সস্তা ও সহজ জাহাজ চলাচল পথ।
ইসরায়েলের নতুন বন্দর ই-ইলাত একদম অচল হয়ে যায়। যদিও ইসরায়েলের সুয়েজ খালে ২% বানিজ্যের জন্য ব্যবহার করতো।কিন্তু ইসরায়েল আশঙ্কা করে যে ইসরায়েল আরবদের মধ্যে যুদ্ধ বাধতে পারে। তাই তারা গোপনে গোপনে সামরিক প্রস্তুতি ও মিশরের সেনাদের আচরণের প্রতি নজর রাখতে থাকে। তারা মিশর সিরিয়ানদের সামরিক অনেক গোপন তথ্য সংগ্রহ করে ছিল।
১৯৬৭ সাল ৩ জুন ইসরায়েলের গোয়েন্দা প্রধান "মিইর আমিত " ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন আদায় করতে ও যুদ্ধের ব্যাপারে আমেরিকার মনোভাব বুজতে যান।
আমেরিকার এই ব্যাপারে মনোভাব ইতিবাচক দেখে ইসরায়েল ৫ জুন ১৯৬৭ সালে মিশরের উপর হামলা শুরু করে ।মিশর এই যুদ্ধের জন্য একদমই প্রস্তুত ছিল না। ইসরায়েলের বিমান বাহিনী যখন তান্ডব চালাচ্ছে তখন মিশরের বিমান বাহিনী এটা কোন সেনা বিদ্রোহ কিনা,না অন্য কিছু সেটাই বুজে উঠতে সময় নেয়। মিশর আক্রমণ হয়েছে শুনে সিরিয়া ও জর্ডান না বুজেই ইসরায়েলে হামলা করে বসে ।অথচ তাদের সেভাবে কোন প্রস্তুতি ছিল না।
এভাবেই ৩ আরব দেশ ও ১ ইসরায়েলের সাথে ৬ দিনের যুদ্ধ লেগে যায়।যুদ্ধে ইসরায়েল জয়ী হয়ে মিশরর বিশাল সিনাই অঞ্চল ও সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং West bank দখল করে বসে । আমেরিকা সার্বিকভাবে ইসরায়েলকে কূটনীতিক সাহায্য ও সমর্থন দেয়। অবশ্য ১৯৭৩ সালে মিশর প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল হামলা করলে এবং শেষে মিশর- ইসরায়েল শান্তিচুক্তি হলে সিনাই আবার মিশরকে হস্তান্তর করে ইসরায়েল। বিনিময়ে প্রচুর ক্ষতি হয় মিশরের। কিন্তু সিরিয়া আর গোলান মালভূমি উদ্ধার করতে পারে নি।
◼️১৯৭৩ সালের যুদ্ধের ইতিবৃত্তঃ
১৯৭৩ সালে ৪র্থ বারের মত ইসরায়েল সাথে সিরিয়া ও মিশরের মধ্যে যুদ্ধ সংগঠিত হয়। এই যুদ্ধকে "ইওম কিপুর" / "অক্টোবর ওয়ার" বলা হয়ে থাকে।১৯৬৫ সালে ৬ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের দখল করা মিশরের " সিনাই " এবং সিরিয়ার " গোলান মালভূমি " কে উভয় দেশ পুনরুদ্ধারের জন্য ১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাসের ৬ তারিখ যুদ্ধ বিরতি রেখা অতিক্রম করে।
উক্তযুদ্ধটি যে মাসে শুরু হয় সেটি ছিল রমজান মাস ও যে দিন ইসরায়েল হামলা হয়েছে সে দিনটি ছিল ইহুদিদের সবচেয়ে পবিত্রদিন ইওম কিপুর।এই যুদ্ধে মিশর ও সিরিয়াকে অস্ত্র সাহায্য করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ইসরায়েলকে সরাসরি সাহায্য করেছে আমেরিকা। ইসরায়েল বাহিনী আগেই বুজতে পেরেছিল যে আরেকটি যুদ্ধ আসন্ন। কারণ মিশরীয় বাহিনী সুরেজ খাল তীরবর্তী অঞ্চলে সামরিক বাহিনীদের সংখ্যা বাড়াচ্ছিল ক্রমশ। তার উপর অনেক সোভিয়েত পরিবার হঠাৎ মিশর ছেড়ে যাচ্ছিল নিরবে যা ইসরায়েলের নজর কাড়ে। এতে তারা বুজে যান কি হবে ভবিষ্যতে।প্রথম দিকে মিশর ও সিরিয়া নিজ নিজ ভূখন্ড থেকে নিজেদের বেদখলে যাওয়া এলাকায় আক্রমণ করে এবং প্রথম দিকে খুব সফল হয়। সিরিয়ান সেনারা গোলানের কিছু ইসরায়েলের অবস্থান কবজা করে বসে।মিশরের সুয়েজ খাল বরাবর ইসরায়েল নিরাপত্তার জন্য অনেক উচু উচু একাধিক বালির দেয়াল তৈরী করে রেখেছিল। যাতে মিশরীয় সেনারা সরাসরি ট্যাংক,সাজোয়া যান নিয়ে কখনই সিনাই পেন্নেসুলাতে( Sinai peninsula) প্রবেশ করতে না পারে সহজে। কিন্তু মিশরীয়রা চতুরতার সাথে এই বিশাল প্রাচীরকে ভেঙ্গে ফেলে।তারা বিভিন্ন জল-কামানকে গাড়ির উপর লাগিয়ে সেটা বালির কাছাকাছি নিয়ে গিয়ে বালি বরাবর চালিয়ে সেখানে যান চলাচলের রাস্তা বের করে।
ইসরায়েল মিশরের সেনাবাহিনীর এত দ্রুততার সাথে সিনাই উপদ্বীপে প্রবেশে অবাক হয়ে যায়।
ইসরায়েল তার সৈন্য পাঠিয়ে উভয় ফ্রন্টেই সিনাইয়ে ও গোলান মালভূমিতে ৩ দিন পর প্রতিরোধী হামলা শুরু করে । এর আগে ইসরায়েল তার মিত্র রাষ্ট্র আমেরিকার কাছে যোগাযোগ করলে আমেরিকা প্রেসিডেন্ট Richard Nixon সাথে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় । সেই সময় আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডভাইজার ছিল Henry kissinger।
◾আমেরিকা ইসরায়েলকে যে সাহায্যসমূহ করেছিলঃ
ইসরায়েল হাইটেক অস্ত্র পৌছানোর জন্য Operation Nickel grass নামের একটি বিশেষ মিশন সম্পন্ন করেছিল। এর আওতায়
১/ আমেরিকার মিলিটারি এয়ার লিফট কমান্ড ২২,৩২৫ টন ট্যাংক, আর্টিলারি ও গোলাবারুদ (ammunition) ইসরায়েলে পাঠিয়ে ছিল।C-141 Star lifter, C-5 Galaxy নামের অত্যাধুনিক ট্রান্সপোর্ট বিমানে এগুলো পাঠানো হয় ১৪ অক্টোবর থেকে নভেম্বর এর মাঝের সময়ে।
২/ AIM-9 sidewinder নামের একটি আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপণ যোগ্য অত্যাধুনিক মিসাইল পাঠানো হয়।
৩/ কমপক্ষে ১০০ টি F-4 phantom II Fighters পাঠানো হয় ইসরায়েল যার কিছু বিমান ইসরায়েল হতে ৫০০ মাইল দূরে বিমানতরীতে অবস্থান করছিল।
৪/ ১২ টি C-130 E Hercules ট্রান্সপোর্ট বিমান পাঠিয়েছিল যেগুলো ইসরায়েলী বিমান বাহিনীর রিফিউলিং এর কাজে নিয়োজিত ছিল।
৫/ ১৯৭৩ অক্টোবর ২০ তারিখ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের জন্য ২.২ বিলিয়ন ডলার জরুরি সাহায্যে ঘোষণা করে।
৬ / আমেরিকা এতটাই উদ্বিগ্ন ছিল যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আদেশ দেন ৯ ঘন্টার মধ্যে যাই উড়ে যেতে পারে ইসরায়েল তাই যেন পাঠানো হয়।
অন্যদিকে আমেরিকার সাহায্যের পরিবর্তে সোভিয়েত ও থেমে ছিল না। তারা সিরিয়া ও মিশরকে সাহায্য করতে থাকে সেগুলো হলঃ
১. সোভিয়েত ৬০০ টির মত অত্যাধুনিক ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণ যোগ্য মিসাইল সরবরাহ করে।
২.৩০০ টি মিগ-২১ দেয় সিরিয়া ও মিশরকে।
৩. ১২০০ টির মত ট্যাংক ও বিভিন্ন যুদ্ধ সরঞ্জাম।
আমেরিকার শক্তভাবে ইসরায়েলের পাশে দাড়ালে ইসরায়েল শক্ত মনোবলের সাথে মিশর ও সিরিয়া আক্রমণের তিন দিন পর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। এসময় সিরিয়ান সেনাবাহিনীর ইসরায়েলের যে অংশটুকুতে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল তা আবার দখল করে এবং সিরিয়ান সেনাদের আগের অবস্থানে নিয়ে যেতে সমর্থ্য হয়। ইরাক থেকে একটি ট্যাংক বহর আসে সিরিয়ার পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করতে। কিন্তু তারাও সফল হয় নি। অনেক ইরাকি সেনা সেখানে মারা যায়। ভেজাল হয় মিশরীয় অংশে। এখানে ইসরায়েল আমেরিকার বিমানবাহিনীর সাহায্যে মিশরীয় বাহিনীকে পেছনে যেতে সামর্থ্য হলেও সেটা পুরোপুরি নয়। কিছু জায়গাতে মিশরীয় শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়। ইসরায়েল সুয়েজ খালকে অতিক্রম করে মিশরীয় দিকে পৌছাতে পারলেও মিশরীয় সেনাবাহিনীও কিছু সেনাই অঞ্চলে অবস্থান করে যুদ্ধ চালাতে থাকে । যুদ্ধে উভয়েরই প্রচুর সৈন্য মারা যায়। আমেরিকা সোভিয়েত থেকে সৌদি বাদশাহ সবার সাথেই যুদ্ধ বিরতিতে উভয় পক্ষকে রাজী করাতে জোড়ালো কূটনীতিক চালাতে থাকে। অবশেষে সোভিয়েত ও আমেরিকার মধ্যস্থতায় ২৫ শে অক্টোবর ১৯৭৩ সালে এই যুদ্ধের ইতি টানা হয়। যুদ্ধের পর সৌদি বাদশাহ মিশর সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক উন্নয়নে সমর্থন দিয়েছিল।
উভয় পক্ষেরই অনেক ক্ষতি হয়ঃ
◼️মিশর ও সিরিয়াঃ
◾মোট > ৮-১৫ হাজার কাছাকাছি সেনা নিহত হয়।(প্রায়)
◾ ১৮-৩৫ হাজার কাছাকাছি সেনা আহত(প্রায়)
◾ ২০০০ কাছাকাছি ট্যাংক ধ্বংস।
◾ ৩০০-৫০০ কাছাকাছি বিমান ধ্বংস।
◼️ইসরায়েলঃ
◾মোট > ৩ হাজারের কাছাকাছি সেনা নিহত (প্রায়)
◾ ৭-৯হাজার কাছাকাছি সেনা আহত (প্রায়)
◾১০০০+ মত ট্যাংক ধ্বংস
◾ ৩০০+ বিমান ধ্বংস
ফলাফলঃ
◾ সিরিয়া যুদ্ধে সম্পূর্ণরুপে হেরে যায়।
◾ মিশর প্রথম দিকে সফলতা পেলেও শেষমেশ সিনাই কে সম্পূর্ণ দখলে নিতে ব্যর্থ হয়।
◾ আমেরিকার প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় উভয়পক্ষই UN নীতি মুতাবেক যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয়।
◾ প্রথম দিকে সফলতার জন্য মিশরের শাসক আনোয়ার সাদাত মিশরে খুব জনপ্রিয় হন।
◾ মিশর এই যুদ্ধশেষে সোভিয়েত বলয় থেকে বের হয় আসে এবং ১৯৭৮ সালে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তিতে স্বাক্ষরে ইসরায়েলকে প্রথম মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত দেয়।[7]
◾ ইসরায়েল যুদ্ধে নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি থেকে শিক্ষা নেয় ও ভবিষ্যৎ যুদ্ধের আশংকার কথা চিন্তা করে ১৯৭৮ সালে মিশরের সাথে বিরোধ মিমাংসার লক্ষ্যে সিনাই অঞ্চলটি মিশরের কাছে হস্তান্তর করে।
◾ এই যুদ্ধে আরব দেশগুলোর সেনাবাহিনীর যে কতটা অদক্ষ সেটা সবার নজর কাড়ে।
◾ আমেরিকা ইসরায়েলের সর্ম্পক এতটাই মজবুত যে ইসরায়েলে হামলা করা মানে আমেরিকায় হামলা করা এমন একটি বার্তা সারা বিশ্বের কাছে অঘোষিতভাবে পৌঁছে যায়।
এই যুদ্ধের পর থেকেই আরব বিশ্বের অধ্বঃপতন হয়।মুসলিমদের সাহায্য বাদ দিয়ে স্বার্থটাই প্রাধান্য পায়।ইসরায়েল তর তর করে এগিয়ে যেতে থাকে।আরব বিশ্ব চুপচাপ দেখে এবং মুসলমানরা আরো নির্যাতিত হতে থাকে এবং এখনো হচ্ছে
◼️সোর্স-
1.https://www.google.com.bd/amp/itibritto.com/amp/suez-canal
2.https://banglainfotube.com/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%AC-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%9B%E0%A7%9F-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7/
4.https://en.m.wikipedia.org/wiki/Operation_Badr_(1973)
5.https://roar.media/bangla/main/world/yom-kippur-war
6.https://en.wataninet.com/news-2/occasions/october-war/architect-of-the-october-war/21487/
7.https://www.nytimes.com/1973/10/20/archives/nixon-asks-22billion-in-emergency-aid-for-israel.html
8.https://bangla.dhakatribune.com/international/2018/06/05/322/%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%AC:-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%A5%E0%A6%BF
Writer: Michael Wittmann