কোন ঐতিহাসিক ‘নায়ক’-কে আপনি মুখ বরাবর ঘুষি মারতে চান?


[১] মাদার তেরেসা। জি, সত্যিকার অর্থেই সে ছিল একজন ভয়ঙ্কর দানব।

তার নাম মাত্র হাসপাতাল গুলো? সেগুলো মানুষের চিকিৎসা করতো না, অসুস্থদের রেখে দিত কষ্ট ভোগ করার জন্য। এইটা ছিল আসল উদ্দেশ্য। হাসপাতাল গুলো ছিল ধার্মিক স্বেচ্ছাকর্মী দিয়ে ভর্তি এবং প্রশিক্ষিত প্রফেশনাল চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফেরত পাঠানো হত। অধিকাংশ সময় কোন রোগীর জীবন মৃত্যুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেন এমন সব লোক যাদের চিকিৎসা বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই।

ওহ, তারা ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে দিত আর সবকিছু পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতো। কিন্তু কষ্ট-ব্যথা উপশম করার জন্য কিচ্ছুই করতো না। কষ্ট ছিল প্রধান উদ্দেশ্য। কষ্ট ছিল ঐশ্বরিক।

সে (তেরেসা) কষ্টের পূজা করতো এবং নিশ্চিত করতো তার আশেপাশের সবাই যেন দুর্ভোগ পোহায়। সবই হতো সৃষ্টিকর্তার নামে।
---------------------

-আরেকটা বিষয়, মাদার তেরেসা তার "অসুস্থদের ঘর" (নির্মল হৃদয়) এর ফান্ডের সাহায্যের জন্য মিলিওন মিলিওন ডলার উঠিয়েছিলেন। তবুও জায়গাগুলো ছিল জীর্ণ, সেখানে বিছানা ছিল না। রুগীরা মেঝেতেই মৃত্যুবরণ করতো, নার্সরা সুইগুলো শুধু পানিতে ফুটিয়ে পুনরায় ব্যবহার করতো। সেই লাখ লাখ ডলারের কি হল? কেউই মনে হয় জানেনা। কিন্তু এতো টাকা নিশ্চিতভাবেই মানুষের সেবার কাজে ব্যয় হয়নি, অথচ যেখানে খরচ করার কথা ছিল।

—আমি মনে করি, এই টাকা তার জীবন বাঁচানোর চিকিৎসার কাজে ব্যয় করা হয়েছিল। টাকা দিয়ে পাওয়া যায় সবচেয়ে সেরা সেবার জন্য তাকে যখন অ্যামেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয়। নিজের সুস্থতার ব্যাপারে সৃষ্টিকর্তার প্রতি তার বিশ্বাস খুব বেশি জোরালো ছিল না।
-কোন প্রমান আছে কি?
—আমার বাবা তার সাথে সরাসরি কাজ করতেন।

[Camden Weck answered this question on Quora]



[২]

• তিনি রোগী দের বিশ্বাস দেওয়াতেন যে তাদের পীড়া আসলে ভগবানের নেওয়া পরীক্ষা। পরীক্ষায় পাস করলে স্বর্গাবাস।ক্যান্সার ও অন্যান্য ভয়ঙ্কর রোগের ভুক্তভোগীদের পেইন কিলার দিতেন না, এস্পিরিন দিয়ে আর গরম জলের স্যাক দিয়ে রাখতেন।

• টিবি রুগীদের অন্য রুগীদের সাথেই রাখতেন।

• একই ছুঁচ ও অন্যান্য সরঞ্জাম ধুয়ে, স্টেরিলাইজ না করেই ব্যবহার করা হতো তার হাসপাতালে।

• মৃতপ্রায় রুগী দের স্বর্গের স্বপ্ন দেখিয়ে, চুপি চুপি তাদের ব্যাপ্টাইজড করতেন। নার্সরা মরমপট্টির নামে মাথায় ভিজে কাপড় রেখে, মুখে আস্তে করে মন্ত্র বলে তাদের ধর্মান্তরিত করত।

• গোটা বিশ্ব থেকে মিলিয়ন ডলারের যা ফান্ড পেতেন তার মাত্র ৭-১০% ভারতে হাসপাতালে ব্যবহার করছিলেন, বাকি যেত বিদেশে ক্যাথলিক চার্চে ও নানান মিশনারি কাজে, ধর্মান্তরিতকরন ইত্যাদি তে। ফোর্বস এটা বলেছে।

• এইডস রুগী দের উনি চরমতম পাপী ভাবতেন ও ইমপিওর কপুলেশন এর ফল বলে চালাতেন।

• নিজে অসুস্থ হলে, তৎকালীন সেরা পাশ্চাত্য চিকিৎসা গ্রহণ করতেন। নম্বয়ের দশকে এসি ভ্যান, ফার্স্ট ক্লাস ট্রাভেল ছাড়া কোথাও যেতেন না।

• এছাড়া টাকার বিনিময়ে অভিজাত খ্রিস্টান পরিবারের ব্যক্তিদের হয়ে কোর্টে টেস্টিফাই করতেন। হাইতি, গুয়েতমাল, নিকারগুয়া ইত্যাদি দেশের ডিকটেটর দের সাপোর্ট করতেন।

• পরবর্তী কালে উনি sainthood পান, যা পাওয়ার জন্য দুটি মিরাকল স্থাপন করতে হয়। প্রথম ক্ষেত্রে ওনার জীবদ্দশায়, এক বন্ধ্যা সাঁওতাল মহিলার বন্ধ্যত্ব দূর করে দেন শুধু যীশুর ছবি দেখিয়ে, মন্ত্র পরে। পরবর্তীতে এক ডাক্তার জানান, ওনার পেটে সিস্ট হয়েছিল, ওষুধ খেয়ে সারে।

Loudon নামক সেচ্ছাসেবী এবং পশ্চিমা ডাক্তার Robin fox of the Lancet লিখেছেন তারা মাদার তেরেসার ক্লিনিকের অবস্থা দেখে প্রচন্ড শকড হয়েছেন।
রোগীদের রোগ নির্ণয়ের জন্য কোনো ধরনের পরীক্ষা করা হতো না । এমনকি ক্যান্সারের রোগী যারা প্রচন্ড কষ্ট পেতো তাদের অ্যাসপিরিন ছাড়া অন্য কোনো পেইন কিলার দেওয়া হতো না । ক্লিনিকে কোনো আধুনিক যন্ত্রপাতি ছিল না । এমনকি যেসব রোগীর জরুরী অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতো তাদেরকে পর্যন্ত হসপিটাল এ পাঠানো হতো না।

অনেকে হয়তো অবাক হচ্ছেন এই পোস্ট দেখে যে, একজন মানুষ কিভাবে এরকম হতে পারে আপনারা মনে হয় খ্রিস্টিয়ান পাদ্রী বা সেইন্ট দের ইতিহাস জানেন না। এরা সাফারিং বা কষ্টকে কি পরিমাণ গ্লোরিফাই করত সেটা জানার জন্য মুসলিমদের পতনের বিশ্ব কি হারালো বইটা পড়ুন।মাদার তেরেসা ও সেরকম একজন খ্রিস্টান।



Writer: Farhan Shakib Chowdhury

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম