আমি একটা বাস্তব উদাহরন দিয়ে শুরু করবো আমার এম ফিল প্রথম পর্বের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে, আমি পাশ করেছি, আমি আমার ওয়ালে একটা পোষ্ট দিলাম, Congratulations ! Depon Chandra Sarker you passes your MPhil (part-1) successfully. এই পোষ্টটা দেখে আমার এক বন্ধু আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছে, দিপন তুই এসব কি পোষ্ট করেছিস, তোর স্ট্যাটাস নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করছে। আমি বললাম এটা নিয়ে হাসাহাসি করার কি আছে? আমি আমাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারবো না? আমি কি আমাকে অভিনন্দন জানাতে পারবো? এখানে আমার বন্ধুর কোন দোষ নেই, তার কাছে হয়তো বিষয়টা অস্বাভাবিক লেগেছে। কিন্তু আমার এই স্ট্যাটাসের পেছনে অনেক বড় একটা সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট রয়েছে। এটাকে সাইকোলজির ভাষায় বলা হয়, "Gratitude Journal."
Gratitude Journal বলতে বোঝায় আমরা আমাদের নিজেকে থেকে শুরু করে আমাদের আশেপাশের মানুষজন, এবং এমনকি আমাদের চারপাশে পড়ে থাকা জড় বস্তুগুলোর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি। Gratitude Journal দারুন একটা পাওয়ারফুল টুলস। এটা আমাদের জীবনে একটা পজেটিভ ভাইভস নিয়ে আসে। এটা নিজের আত্ম-মর্যদা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও দারুন ভাবে সাহায্য করে থাকে।
আমাদের সমাজের একটা ট্যাবু আছে, নিজের ভালো নিজে বলা যাবে না, এর মানে হচ্ছে আমরা নিজের ঢোল নিজে পেটাচ্ছি। আমি মনে করি নিজের ঢোল সবার আগে নিজেরই পেটানো উচিত, তা না হলে নিজের ঢোল অন্যের হাতে দিলে সে ঢোল ফাটার সম্ভাবনা সব চেয়ে বেশি থাকে। কারন ঢোল আমার, এবং আমার ঢোলের সম্পর্কে আমিই সব চেয়ে বেশি জানি আমার ঢোল আমিই সবচেয়ে ভালো বাজাতে পারবো। আমি আমার ঢোলের সম্পর্কে জানি সোন সুরে কোন তাল বাজাতে হবে। অন্যের হাতে ঢোল দিলে সম্ভাবনা আছে তালে নাও মিলতে পারে।
এভাবে ধীরে ধীরে আমরা আমাদের নিজের সফলতাগুলোকে প্রাধান্য না দিতে দিতে আমরা হীন্যমন্যতায় ভুগতে থাকি। আমরা নিজেকে অযোগ্য মনে করতে থাকি। আমাকে কেউ কিছু করতে বললে আমরা ভাবতে থাকি, আমি পারবো না, আমার যোগ্যতা নেই। দেখুন এখানে আপনি নিজের প্রতি ধারনাটাই শুরু করেছেন নেগেটিভ দিয়ে যা আপনাকে আরও বেশি নেগেটিভের দিকে নিয়ে যাবে। তাই এজন্য আমাদেরকে শুরুতে আমাদের আগে আমার নিজের মধ্যে কি কি গুনাবলী আছে সেটা জানতে হবে এবং সেগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। এর জন্য আমরা চাইলে আমরা আমাদের নিজেদেরকে প্রশাংসাও করতে পারি। এখানে আমাদের শুরু মাত্র আমাদের গুনগুলো জানার পাশাপাশি আমাদের দুবর্লতাগুলোকেও জানতে হবে। কারন সব সময় আমি যে সব কিছু করতে পারবো তা তো নয় আমি কোনটা পারি না তাও আমার জানতে হবে।
আমরা প্রতিদিন নানা ধরনের মানুষের সাথে যোগাযোগ হয়, প্রতিদিন নানা ধরনের বস্তুর সংস্পর্শে আসি। এই মানুষগুলো এই বস্তুগুলো নানা ভাবে আমাদেরকে জীবনে চলার পথে সাহায্য করে থাকেন। এই মানুষগুলো বা এই বস্তুগুলোর উপকারের কৃতজ্ঞতা স্বরুপ আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি। এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মানে এই নয় যে আপনি তার কাছে ছোট হয়ে গেলেন। বরং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনের ভালো জিনিস গুলোর প্রতি মনোনিবেশ করলেন। এভাবে আমি প্রতিদিন আমার ভালো কাজগুলো, বা ভালো জিনিসগুলোকে জার্নাল আকারে লিখে রাখতে পারি।
এই কাজটি খুবই সহজ একটা কাজ, আপনি একটা কাগজ কলম নিয়ে অথবা আপনি আপনার সাথে একটা ডায়রি রাখতে পারেন, যেখানে আপনি প্রতিদিন লিখে রাখবেন আপনার সাথে আজকে ভালো কি কি হয়েছে, কোন কোন মানুষ গুলোর সাথে মিশেছেন তাদের কাছ থেকে আপনি কি কি পেয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন, যেমন আপনি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আপনার বিছানাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারেন, কারন সে আপনাকে একটা সুন্দর ঘুম উপহার দিয়েছে। আপনি আপনার নাস্তাটাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারেন, কারন সে অনেক সুস্বাদু ছিলো এবং আপনি এটার উপরে নির্ভর করে বেচে আছেন। আপনি আপনার বন্ধুকে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারেন কারন সে আপনার মনটা ভালো করে দিয়েছে। এগুলো আপনি কয়েকটা ভাবে করতে পারেন।
১। আপনি আপনার ডায়রিতে প্রতিদিন কি কি ভালো কাজ করেছেন এরকম অন্তত ৫ টা ভালো কাজের লিস্ট করুন।
২। আপনি প্রতিদিন অন্তন ৫ জন ভালো মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা লিখে রাখুন, অথবা আপনি তাকেও জানাতে পারেন।
৩। আপনি আপনার নিত্যপ্রয়োজনীয় কি কি জিনিসের প্রতি কৃতজ্ঞ এরকম ৫ টি জিনিসের প্রতি কৃতজ্ঞতা লিখে রাখুন।
৪। নিজের কোন সফলাতার জন্য নিজেকে ধন্যবাদ দিন এবং চাইলে নিজের প্রতি ধন্যবাদস্বরুপ কৃতজ্ঞতা পত্র লিখতে পারেন।
Gratitude Journal বলতে বোঝায় আমরা আমাদের নিজেকে থেকে শুরু করে আমাদের আশেপাশের মানুষজন, এবং এমনকি আমাদের চারপাশে পড়ে থাকা জড় বস্তুগুলোর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি। Gratitude Journal দারুন একটা পাওয়ারফুল টুলস। এটা আমাদের জীবনে একটা পজেটিভ ভাইভস নিয়ে আসে। এটা নিজের আত্ম-মর্যদা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও দারুন ভাবে সাহায্য করে থাকে।
আমাদের সমাজের একটা ট্যাবু আছে, নিজের ভালো নিজে বলা যাবে না, এর মানে হচ্ছে আমরা নিজের ঢোল নিজে পেটাচ্ছি। আমি মনে করি নিজের ঢোল সবার আগে নিজেরই পেটানো উচিত, তা না হলে নিজের ঢোল অন্যের হাতে দিলে সে ঢোল ফাটার সম্ভাবনা সব চেয়ে বেশি থাকে। কারন ঢোল আমার, এবং আমার ঢোলের সম্পর্কে আমিই সব চেয়ে বেশি জানি আমার ঢোল আমিই সবচেয়ে ভালো বাজাতে পারবো। আমি আমার ঢোলের সম্পর্কে জানি সোন সুরে কোন তাল বাজাতে হবে। অন্যের হাতে ঢোল দিলে সম্ভাবনা আছে তালে নাও মিলতে পারে।
এভাবে ধীরে ধীরে আমরা আমাদের নিজের সফলতাগুলোকে প্রাধান্য না দিতে দিতে আমরা হীন্যমন্যতায় ভুগতে থাকি। আমরা নিজেকে অযোগ্য মনে করতে থাকি। আমাকে কেউ কিছু করতে বললে আমরা ভাবতে থাকি, আমি পারবো না, আমার যোগ্যতা নেই। দেখুন এখানে আপনি নিজের প্রতি ধারনাটাই শুরু করেছেন নেগেটিভ দিয়ে যা আপনাকে আরও বেশি নেগেটিভের দিকে নিয়ে যাবে। তাই এজন্য আমাদেরকে শুরুতে আমাদের আগে আমার নিজের মধ্যে কি কি গুনাবলী আছে সেটা জানতে হবে এবং সেগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। এর জন্য আমরা চাইলে আমরা আমাদের নিজেদেরকে প্রশাংসাও করতে পারি। এখানে আমাদের শুরু মাত্র আমাদের গুনগুলো জানার পাশাপাশি আমাদের দুবর্লতাগুলোকেও
আমরা প্রতিদিন নানা ধরনের মানুষের সাথে যোগাযোগ হয়, প্রতিদিন নানা ধরনের বস্তুর সংস্পর্শে আসি। এই মানুষগুলো এই বস্তুগুলো নানা ভাবে আমাদেরকে জীবনে চলার পথে সাহায্য করে থাকেন। এই মানুষগুলো বা এই বস্তুগুলোর উপকারের কৃতজ্ঞতা স্বরুপ আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি। এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মানে এই নয় যে আপনি তার কাছে ছোট হয়ে গেলেন। বরং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনের ভালো জিনিস গুলোর প্রতি মনোনিবেশ করলেন। এভাবে আমি প্রতিদিন আমার ভালো কাজগুলো, বা ভালো জিনিসগুলোকে জার্নাল আকারে লিখে রাখতে পারি।
এই কাজটি খুবই সহজ একটা কাজ, আপনি একটা কাগজ কলম নিয়ে অথবা আপনি আপনার সাথে একটা ডায়রি রাখতে পারেন, যেখানে আপনি প্রতিদিন লিখে রাখবেন আপনার সাথে আজকে ভালো কি কি হয়েছে, কোন কোন মানুষ গুলোর সাথে মিশেছেন তাদের কাছ থেকে আপনি কি কি পেয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন, যেমন আপনি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আপনার বিছানাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারেন, কারন সে আপনাকে একটা সুন্দর ঘুম উপহার দিয়েছে। আপনি আপনার নাস্তাটাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারেন, কারন সে অনেক সুস্বাদু ছিলো এবং আপনি এটার উপরে নির্ভর করে বেচে আছেন। আপনি আপনার বন্ধুকে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারেন কারন সে আপনার মনটা ভালো করে দিয়েছে। এগুলো আপনি কয়েকটা ভাবে করতে পারেন।
১। আপনি আপনার ডায়রিতে প্রতিদিন কি কি ভালো কাজ করেছেন এরকম অন্তত ৫ টা ভালো কাজের লিস্ট করুন।
২। আপনি প্রতিদিন অন্তন ৫ জন ভালো মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা লিখে রাখুন, অথবা আপনি তাকেও জানাতে পারেন।
৩। আপনি আপনার নিত্যপ্রয়োজনীয় কি কি জিনিসের প্রতি কৃতজ্ঞ এরকম ৫ টি জিনিসের প্রতি কৃতজ্ঞতা লিখে রাখুন।
৪। নিজের কোন সফলাতার জন্য নিজেকে ধন্যবাদ দিন এবং চাইলে নিজের প্রতি ধন্যবাদস্বরুপ কৃতজ্ঞতা পত্র লিখতে পারেন।
Gratitude Journal এর উপকারিতা
১। কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ফলে আমাদের মানসিক চাপ অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
২। এটা আপনার মনকে শান্ত রাখবে এবং মনকে স্থির করার পাশাপাশি মনকে রিলাক্স করবে।
৩। এর ফলে আপনি আপনার জীবনকে ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে পারবেন, নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলো দেখতে সাহয্য করবে। এবং ভালো বিষয়গুলোকে প্রশংসা করতে সাহায্য করবে।
৪। এর ফলে আপনি আপনার জীবনে কি করতে চান এবং কি হতে চান সেগুলোকে বুঝতে সাহায্য করবে
৫। এর ফলে আপনার জীবনে কোন কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব বহন করে সেগুলোকে বুঝতে সাহায্য করবে এবং এগুলোর প্রতি ফোকাস করতে সাহায্য করবে।
৬। এর ফলে আপনি আপনার নিজেকে অনেক বেশি বুঝতে সাহায্য করবে এবং আপনি নিজের প্রতি আরও বেশি সতর্ক হবেন।
৭। আপনার কৃতজ্ঞতা জার্নাল এটা শুধুমাত্র আপনার জন্যই, এখানে আপনি যেভাবে ফিল করেন সেভাবে লিখে রাখতে পারেন, এখানে অন্যে কি ভাবলো অন্যে কি বিচার করলো সেটার কোন ভয় নেই।
৮। সর্বোপরি এটি আপনার জীবনের ভালো দিক গুলো খুজে বের করতে সাহায্য করবে এবং নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
২। এটা আপনার মনকে শান্ত রাখবে এবং মনকে স্থির করার পাশাপাশি মনকে রিলাক্স করবে।
৩। এর ফলে আপনি আপনার জীবনকে ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে পারবেন, নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলো দেখতে সাহয্য করবে। এবং ভালো বিষয়গুলোকে প্রশংসা করতে সাহায্য করবে।
৪। এর ফলে আপনি আপনার জীবনে কি করতে চান এবং কি হতে চান সেগুলোকে বুঝতে সাহায্য করবে
৫। এর ফলে আপনার জীবনে কোন কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব বহন করে সেগুলোকে বুঝতে সাহায্য করবে এবং এগুলোর প্রতি ফোকাস করতে সাহায্য করবে।
৬। এর ফলে আপনি আপনার নিজেকে অনেক বেশি বুঝতে সাহায্য করবে এবং আপনি নিজের প্রতি আরও বেশি সতর্ক হবেন।
৭। আপনার কৃতজ্ঞতা জার্নাল এটা শুধুমাত্র আপনার জন্যই, এখানে আপনি যেভাবে ফিল করেন সেভাবে লিখে রাখতে পারেন, এখানে অন্যে কি ভাবলো অন্যে কি বিচার করলো সেটার কোন ভয় নেই।
৮। সর্বোপরি এটি আপনার জীবনের ভালো দিক গুলো খুজে বের করতে সাহায্য করবে এবং নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
Writer:Depon Chandra Sarker
Tags:
শিক্ষামূলক