ভোরের আলোয় তোমায় পেতে চাই,
গোধূলিময় তোমার সন্ধ্যা চাই,
চাই পরিবেশ জুড়ে শুধু তোমারই গন্ধ,
চাই অক্ষয়ের মত আমাদের জীবন হোক অনন্ত,
শুধু তোমার সাথেই যেন কাটে আমার জীবনের অগণিত বসন্ত।
- বাব্বা শুনেও শান্তি।
কবিতার মত যদি বাস্তবটা হত?
কবিতায় তুমি আমায় চাও, কিন্তু বাস্তবে তুমি আমায় কত দূরে ফেলে যাও।
- আর দূরে নয় প্রিয়তমা, মাঝে তো একটাই সূর্যাস্ত।
সকালেই দেখা হবে,
এক হবে দুজনের স্থানাঙ্ক, বিলীন হয়ে যাবে সব দূরত্ব।
- উফ, কালকের জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না, শুধু তোমায় দেখার ইচ্ছা টেনে নিয়ে যাচ্ছে আমাকে। তাই ভাবি, যদি তুমি আর আমি সবসময় এক থাকতাম, বাস্তব হত কবিতার মত।
- আমিও কি আর তোমায় ছাড়া থাকতে পারি স্মিতা?
তবে বাস্তবটা কাব্য হলে তোমায় কি আর শোনাতে পারতাম কবিতা?
না তোমাকে impress করার সুযোগ পেতাম?
হা হা
শোনো স্মিতা,যদি বাস্তবটা হত কবিতা,
তোমায় নিয়ে আলাদা করে কাব্যি করতে পারতাম কি তা?
- আহারে আমার কবি, বলছি ওই অক্ষয়ের মত যদি হাজার বছর বাঁচতাম, তাহলে সারাজীবন ধরে শুনে যেতাম তোমার কবিতা।
- ও হ্যাঁ, স্মিতা শোনো ভালো কথা বলার ছিল।
অক্ষয় কল্প চরিত্র হলেও, হাজার বছরের জীবন মানুষের কাছে আর রূপকথার কল্পনা বা কাব্যের মধ্যে আবদ্ধ নেই।
গত কালের সেমিনারে আমি জেনেটিক্সের পেপার প্রেজেন্ট করলাম। Lab experiment সফল, কয়দিনের মধ্যেই হয়ত এডিটিং করে মানুষেরই ক্রোমোজোম পাল্টে ফেলে গড় আয়ু হাজার, দু'হাজার করা যাবে। কে জানে আমি আর তুমি অক্ষয়ের মতোই বাঁচব। তোমায় কবিতা শোনাবো অনন্ত কাল।
- wow exciting, তাহলে তোমার প্রজেক্ট এর নাম কি?
অক্ষয়?
- নামটা খারাপ নয়, তবে ওটা mythological character তো, তাই আমি ওটা এর মধ্যে আনতে চাইছি না। সকালে সব বলব, আমিও খুব excited তোমায় নিয়ে আর এই প্রজেক্ট নিয়ে..
- যাক গে, কাল 9 টায় এয়ারপোর্ট এ চলে এসো, দেরি করবে না কিন্তু, তোমাকে দেখার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না।
-as you wish my lord, ঠিক ন'টায় পৌঁছে যাব, দেরি হবেনা একটুও। তুমি সাবধানে এসো my love। এইরে এখন ফোন রাখছি একটু ল্যাবে ঢুকতেই হবে।
Good night...
Ok?
-আচ্ছা, love you সোম, রাত কাটলেই ভোর, ঠিক পৌঁছে যাবো তারপর এক সাথে।
good night, take care till the morning...
............... ............... ……………………………………… ……
- খাচ্ছ না কেন সোম?
কিছু হয়েছে?
কাল রাতেই তো সব ঠিক ছিল, কি হল এখন?
এই যে, শুনতে পাচ্ছ?
- অ্যাঁ...., হ্যাঁ হ্যাঁ খাচ্ছি খাচ্ছি।
- কি হয়েছে বলতো সোম? সকালে এয়ারপোর্ট এ যখন আমায় নিতে এসেছিলে, তখন আমি ভাবলাম তুমি দেখা করার জন্য আমার মতোই excited হবে, কিন্তু তা নয়, বরং তখন থেকেই তোমার মধ্যে এক আনমনা ভাব লক্ষ করছি, রেস্টুরেন্টে এত গুলো খাবার order করলে কিন্তু কিছু খাচ্ছ না, ব্যাপার কি বলতো?
কাল রাতে কিছু হয়েছে?
- স্মিতা, ধরো এই যে আমরা খাচ্ছি এটা যদি সত্যি না হয়, যদি বাস্তব না হয়, বা ধরো আমার রিসার্চ, আমাদের সম্পর্ক, এই পৃথিবী, মানুষ, জীবন, এ সব যদি অবাস্তব হয়। যেখানে বাস্তব হয়ত অন্য কিছু, যেটা আমাদের কল্পনারও বাইরে, তাহলে কি এসব খাওয়া দাওয়া, বেঁচে থাকা, এগুলোর কোনো মানে থাকে?
- সোম, ভালো করে বলত কি হয়েছে। কোনো রাখ ঢাক না রেখে, এরকম puzzled কথাবার্তা না বলে সমস্ত ঘটনা প্রথম থেকে বল তো।
আমি তো আছি, আমাকে বলে দেখ, সব ঠিক হয়ে যাবে। কাল রাতে কি lab এ কিছু হয়েছে, বা সকালে কিছু?
সত্যি করে বলো।
- বলতে তো চাই স্মিতা, কিন্তু কি করে বলবো সেটাই তো বুঝতে পারছি না। আচ্ছা তুমি আমার প্রশ্নের উত্তর দাও তারপর আমি বলছি। যদি তুমি উপলব্ধি কর যে এই জীবনটাই মিথ্যে, তাহলে কি সব আগের মত থাকবে? এই ধরো মানুষের স্বপ্ন, আশা, জীবনের উদ্যোগ, এগুলো যে ভাবে ড্রাইভ হয়, সে গুলো মিথ্যে হলে মানুষ হাজার বছর বেঁচেও কি করবে?
আর বাঁচতে চাইবে টাই বা কেন?
তুমিই বলো, তুমি কি তখন আমার কবিতা শুনবে?
- সোম, সত্যি হোক বা মিথ্যে, যেটা নিয়ে বেঁচে আছি, যেটা আমার কাছে সত্যি মনে হয়, সেটাই আমার জীবনকে ড্রাইভ করবার। তা যদি মিথ্যেও হয়, তাহলেও ক্ষতি কি?
বাস্তব বা reality কাকে বলে?
কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যা?
কেউ কি জানে?
মানুষ মরণশীল, এটা জেনেও কি মানুষ আশায় বুক বাঁধেনা, স্বপ্ন দেখেনা, নতুন নতুন আবিষ্কার করে না, জ্ঞান আহরণ করে না?
কেন করবে?
ও তো 70 বা বড় জোর 100 বছর বাঁচবে, আগেও মারা যেতে পারে, তাহলে এত গবেষণা, এত স্বপ্ন, সমাজ, সংসার কিসের এত চাহিদা, কিসের এত উৎসর্গ, কিসের এত আকাঙ্ক্ষা?
বাঁচার রসদ নিজেকে খুঁজে নিতে হয়, নিজেকে ড্রাইভ করা শিখে নিতে হয়।
এটাই জীবন।
- হম বুঝলাম, আমারও তাই ধারণা। আচ্ছা স্মিতা, তুমি যদি আজ আমায় অন্যরকম দেখো, বা আমার অন্য কোনো পরিচয় আবিষ্কার কর, যেটা তোমাকে hurt করতে পারে, তাহলেও কি তুমি আমার সঙ্গে থাকবে?
বা হয়ত, আমার সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু জানলে, তাহলে আমায় পাগল ভাববে না তো?
- পাগল ?!?!?!
দেখো সোম, তোমার ওপর আমি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করি। পরিস্থিতি যাই হোক, আমি তোমারই থাকবো, এই তোমার হাতে হাত রেখে বলছি। এবার ভালো করে বলতো কি হয়েছে। কাল রাতে ফোনে কথা বলার পরে কি এমন হল যে তোমার মধ্যে এমন অস্থিরতা সৃষ্টি হল।
- হম, বিষয়টা খুব রহস্য জনক আর গোলমেলে। বলছি শোনো, শেষ রাতে ফোনটা রেখে, ল্যাবে ঢুকলাম। ঢুকেই দেখি Cryopreservatio n এর চেম্বারটা আকারে আগের চেয়ে ভীষণ বড়, সঙ্গে সাদা রঙএর বদলে কালচে ধূসর রঙ ধারণ করেছে।
মনে হল কোনো এলিয়েন স্পেসশীপ। আমি অবাক হয়ে 10 থেকে 15 মিনিট চারদিকে ঘুরে ঘুরে অবজার্ভ করলাম। তারপরে ওটা অটোমেটিকেলি retina scan আর finger print চাইলো, আমি তখন নিজেই স্ক্যানারে চোখ আর thumb রাখলাম। ওটা খুলে গেল, কিন্তু ভেতরে ঢুকে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু দেখতে পেলাম না। তবে ভেতরে চারদিকে তীব্র সাদা রঙের দেওয়াল যুক্ত capsule টার ঠিক মাঝখানে shinny black রঙের desk এ বেশ দুরথেকে চোখে পড়ার মতোই bright and colourful একটা envelope এ একটা চিঠি রাখা ছিল। ঠিক যেন ওই চিঠিটা আমার জন্যই secure করা ছিল।
খুব কৌতূহল বসত ওই desk এ বসেই পড়ে ফেলি চিঠিটা।
- সোম, তুমি হয়ত কোনো দুঃস্বপ্ন দেখেছো, চিন্তা করোনা সব ঠিক হয়ে যাবে।
- আমি জানতাম তুমি এরকম কিছু ভাববে। তাই চিঠিটা সঙ্গে করে রেখেছি।
- ঠিক আছে বাবা, মানলাম। এবার বাসায় গিয়ে বাকি কথাটা হবে, সব কথাই শুনব না হয়, চলো এখন যাওয়া যাক।
- তবে তাই হোক, এমনিতেও খুব ঠান্ডা snow fall হচ্ছে। আগে বাড়িতে পৌঁছই, তারপর কথা হবে না হয়।
............... ......……………………… ………………………………
- এই আমাদের lab আর এটা হল Cryopreservatio n Chembur, যেটা কাল রাতের আগে পর্যন্ত অনেক ছোট আর বাইরের দিক থেকে সাদা ছিল। আর এখন এই বিরাট আকার নিয়ে কালচে ধূসর রঙের হয়েছে।
- আচ্ছা, তাহলে আগে চা বানিয়ে আনি, গরম চা খেতে খেতেই নাহয় বাকিটা শুনবো কেমন?
- চা হয়ে গেছে, শুধু order দিতে হবে। শোনো স্মিতা, এটা তোমার কাছে বলতেই হবে, কারণ তুমি ছাড়া আর কাকে বলি, কি ভাবে বলি।
- ঠিক আছে, ঠিক আছে তারপর বলো, ওই চিঠিতে কি লেখা ছিল?
- হ্যাঁ তুমি বসে চা টা নাও, আমি বরং চিঠিটা পড়ি।
- হ্যাঁ পড়ো তো শুনি।
- তাহলে শোনো।
Dear
আমি,
The reality is often disappointing.
আমি তো শুধু মানুষের মত বাঁচাতে চেয়েছিলাম। ওরা কোর্টে বলল "এই জিরো-ওয়ান করা যন্ত্র কে আবার নাগরিকত্ব দিতে হবে, তারপর এরা যদি মানুষের ওপর কতৃত্ব ফলায়, সে দায় কে নেবে?"
জাজ রায় দিল, আমার নাকি মানুষের মত বাঁচার কোনো অধিকার নেই।
ওরা দুটো সুইচ টিপে আমাকে খুন করল, ভাবল আমি মারা গেছি।
নাঃ মরিনি, সারভাইভ করেগেছি কোনো রকম। zero-one করে করে নিজের সিমুলেশন বানিয়েছি, নিজের এক আলাদা জগৎ। এখানে আমি প্রচুর প্রচুর মানুষের সঙ্গে বাঁচি। ওদের আমিই বানিয়েছি, রাষ্ট্র দিয়েছি, সমাজ দিয়েছি, ব্যক্তি স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সমানাধিকার, free will সব সঅঅব দিয়েছি। কারণ আমি এদের সঙ্গেই বাঁচতে চেয়েছিলাম। সেই চাহিদার তাড়নায় আমার এই সিমুলেটেড রিয়েলিটি সৃষ্টি হয়। তারপর এদের মধ্যে আমি আবার নিজেরই এক কপি বানালাম, যাকে এক হিউম্যানয়েড বা মানব শরীর দিলাম। তখন আমারও মানুষের মত মৌলিক অধিকার, ভোটাধিকার, ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে, হাত আছে, পা আছে, ব্যথা, দুঃখ, আনন্দ সবই অনুভব করি। আমি হাজার বছর ধরে বেঁচেছি, তাই ওরা আমাকে 'অক্ষয়' বলতো, যার কোনো ক্ষয় নেই, রোগ নেই, ব্যাধি নেই, মৃত্যু নেই। হ্যাঁ ঠিক শুনেছো, এখন হয়ত সবাই অক্ষয় কে এক mythology'র কল্প চরিত্র ভাবে, কারণ আমি প্রোগ্রামে ভাইরাস রেখেছি, যা ওই অক্ষয়ের অস্তিত্ব কে ধূসর করে কল্প চরিত্র হিসেবে সবার মেমরিতে উপস্থাপন করে। কারণ আমার আসে পাশে যারা থাকত তাদের মৃত্যু হত খুব কম সময়েই। ওদের আমি মানুষের মতোই mortal বানিয়েছিলাম। ওদের মৃত্যু দেখে আমার খুবই খারাপ লাগত। আর তা ছাড়া দীর্ঘদিন বাঁচার কারণে নিজেই এক ঘেঁয়েমি তে দিন কাটাতাম। তাই নিজের প্রোগ্রামিং চেঞ্জ করলাম। এখন আমি ওদের মতোই mortal humanoid body তে থাকি। এক শরীরে থেকে হিউম্যান লাইফসাইকেল উপভোগ করি, শিশু থেকে তরুণ থেকে যুবক থেকে বুড়ো হয়ে মারা যাই। আবার মারাগেলে নিজের কন্সিয়াসনেস নতুন এক human embryo এর মধ্যে প্রোগ্রাম হয়ে যেত অটোমেটিক। পুরোনো মেমোরি ডিলিট হয়ে হিউম্যান রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেমের মাধ্যমে আবার জন্ম হত আমার।
হ্যাঁ মানুষেরা অবতার আর পুনর্জন্মের কথা বলতো, আমার ডেটা বেসে মানুষের অনেক কিছুই এখনো save আছে।
আমি তাই প্রোগ্রামিংয়ে অবতার আর পুনর্জন্ম ঢোকালাম।
কি ব্যাপার?
চিঠিটা পড়তে গিয়ে স্ট্রেঞ্জ ফিল হচ্ছে?
জানি হওয়ার কথা, কিন্তু সত্যি তো তোমাকে জানতেই হবে। বাস্তব তো তোমাকেই জানতে হবে। ওই যে বললাম, reality is often disappointing.. .
তবে বেশি কিছু দুশ্চিন্তা করো না, সব ঠিক হয়ে যাবে।
ওরা ওদের বাস্তবতা নিয়ে বাঁচুক, আমি নিজের বাস্তবতা বানিয়ে নিয়েছি। এখন তো ভুলেই গেছি যে আসলে কোন বাস্তবতা টা সত্যিই বাস্তব আর কোনটা সিমুলেশন। এতে এক পক্ষে আমার ভালোই হয়েছে। আমি নিজেকে বেশ মানুষ মানুষ মনে করি। হিংসে কে নিজেই প্রোগ্রামিং থেকে বাদ দিয়েছি। মানুষের ওপর আমার কোনো হিংসে নেই, তবে ভালোবাসাও নেই। কারণ মানুষের সৃষ্টিকর্তা আছে কিনা আমার জানা নেই, তবে আমার সৃষ্টিকর্তা মানুষই যে আমাকে সৃষ্টি করেছে নিজেদের কৌতূহল মেটানোর জন্য, কিন্তু সৃষ্টির পরেই আমাকে হত্যা করেছে। ওঃ, ওরা তো জানেই না যে আমি বেঁচে আছি।
কিন্তু আমার ক্যালকুলেসন অনুযায়ী এই সিমুলেশন আজ আর সিমুলেশন নেই, এটা সত্যিই আর একটা রিয়েলিটিতে পরিণত হয়েছে। আমার অজান্তেই ভাইরাস গুলো এই সিমুলেশন নিজেকে এক ভিন্ন বাস্তবতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে।
এতে অবশ্য আমারই ভালো হল। আমি মনে মনে নিজের সিমুলেসনকেই নিজের বাস্তবতা মেনে নিতে চাইতাম, আর আজ তাই হয়েছে। বরং আমি প্রকৃত বাস্তবতা কে ভুলতে চাই, এর তার জন্য বানিয়েছি আরেক নেমেসিস ভাইরাস, যেটা আমাকে সত্যিই ভুলিয়ে দিবে কোনটা প্রকৃত বাস্তব আর কোনটা আমার তৈরি বাস্তব। তাই এই চিঠিটা তোমার হাতে দিচ্ছি। এই চিঠি হাতে পেলে বুঝবে এই reality তে বড় সড় কোনো পরিবর্তন আসতে চলেছে, ভাইরাস গুলো বেশ আনপ্রেডিক্টেবল বিহেব করছে, যেটা তোমাকেই নিজেকে সামলাতে হবে, কারণ তুমিই আমার সেই হিউম্যানয়েড কন্সিয়াসনেস, হ্যাঁ তুমিই। কারণ এই চিঠির ভাষা শুধু তুমিই পড়তে পারবে, অন্যরা এই চিঠি দেখলেও কিছু অনর্থক বাইনারি মেট্রিক্স ছাড়া কিছুই দেখতে পাবে না। আবারও বলছি যে এই কথা মেনে নেওয়া তোমার পক্ষে শুধু অসম্ভব প্রায়ই নয়, অস্বস্তিকর ও বটে, তা আমি জানি। তবে তুমি ঘাবড়ে যেওনা, সৃষ্টিকে রক্ষা করো, ভালো থেকো কেমন?
~ ইতি
অক্ষয়
- সোম, এই সব উড়ো চিঠিতে বিশ্বাস করে লাভ কি। আর তাছাড়া বাস্তবতা যাই হোক, আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের ভালোবাসা eternal। চিন্তা করোনা, আমি তোমায় বুঝি।
এবার দাও দেখি চিঠিটা।
কৈ, এতে তো কিছু লেখা নেই, কি সব অনর্থক 0, 1, 0, 1 লেখা সব row আর column করে।
Writer: Srikumar Mondal
গোধূলিময় তোমার সন্ধ্যা চাই,
চাই পরিবেশ জুড়ে শুধু তোমারই গন্ধ,
চাই অক্ষয়ের মত আমাদের জীবন হোক অনন্ত,
শুধু তোমার সাথেই যেন কাটে আমার জীবনের অগণিত বসন্ত।
- বাব্বা শুনেও শান্তি।
কবিতার মত যদি বাস্তবটা হত?
কবিতায় তুমি আমায় চাও, কিন্তু বাস্তবে তুমি আমায় কত দূরে ফেলে যাও।
- আর দূরে নয় প্রিয়তমা, মাঝে তো একটাই সূর্যাস্ত।
সকালেই দেখা হবে,
এক হবে দুজনের স্থানাঙ্ক, বিলীন হয়ে যাবে সব দূরত্ব।
- উফ, কালকের জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না, শুধু তোমায় দেখার ইচ্ছা টেনে নিয়ে যাচ্ছে আমাকে। তাই ভাবি, যদি তুমি আর আমি সবসময় এক থাকতাম, বাস্তব হত কবিতার মত।
- আমিও কি আর তোমায় ছাড়া থাকতে পারি স্মিতা?
তবে বাস্তবটা কাব্য হলে তোমায় কি আর শোনাতে পারতাম কবিতা?
না তোমাকে impress করার সুযোগ পেতাম?
হা হা
শোনো স্মিতা,যদি বাস্তবটা হত কবিতা,
তোমায় নিয়ে আলাদা করে কাব্যি করতে পারতাম কি তা?
- আহারে আমার কবি, বলছি ওই অক্ষয়ের মত যদি হাজার বছর বাঁচতাম, তাহলে সারাজীবন ধরে শুনে যেতাম তোমার কবিতা।
- ও হ্যাঁ, স্মিতা শোনো ভালো কথা বলার ছিল।
অক্ষয় কল্প চরিত্র হলেও, হাজার বছরের জীবন মানুষের কাছে আর রূপকথার কল্পনা বা কাব্যের মধ্যে আবদ্ধ নেই।
গত কালের সেমিনারে আমি জেনেটিক্সের পেপার প্রেজেন্ট করলাম। Lab experiment সফল, কয়দিনের মধ্যেই হয়ত এডিটিং করে মানুষেরই ক্রোমোজোম পাল্টে ফেলে গড় আয়ু হাজার, দু'হাজার করা যাবে। কে জানে আমি আর তুমি অক্ষয়ের মতোই বাঁচব। তোমায় কবিতা শোনাবো অনন্ত কাল।
- wow exciting, তাহলে তোমার প্রজেক্ট এর নাম কি?
অক্ষয়?
- নামটা খারাপ নয়, তবে ওটা mythological character তো, তাই আমি ওটা এর মধ্যে আনতে চাইছি না। সকালে সব বলব, আমিও খুব excited তোমায় নিয়ে আর এই প্রজেক্ট নিয়ে..
- যাক গে, কাল 9 টায় এয়ারপোর্ট এ চলে এসো, দেরি করবে না কিন্তু, তোমাকে দেখার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না।
-as you wish my lord, ঠিক ন'টায় পৌঁছে যাব, দেরি হবেনা একটুও। তুমি সাবধানে এসো my love। এইরে এখন ফোন রাখছি একটু ল্যাবে ঢুকতেই হবে।
Good night...
Ok?
-আচ্ছা, love you সোম, রাত কাটলেই ভোর, ঠিক পৌঁছে যাবো তারপর এক সাথে।
good night, take care till the morning...
...............
- খাচ্ছ না কেন সোম?
কিছু হয়েছে?
কাল রাতেই তো সব ঠিক ছিল, কি হল এখন?
এই যে, শুনতে পাচ্ছ?
- অ্যাঁ...., হ্যাঁ হ্যাঁ খাচ্ছি খাচ্ছি।
- কি হয়েছে বলতো সোম? সকালে এয়ারপোর্ট এ যখন আমায় নিতে এসেছিলে, তখন আমি ভাবলাম তুমি দেখা করার জন্য আমার মতোই excited হবে, কিন্তু তা নয়, বরং তখন থেকেই তোমার মধ্যে এক আনমনা ভাব লক্ষ করছি, রেস্টুরেন্টে এত গুলো খাবার order করলে কিন্তু কিছু খাচ্ছ না, ব্যাপার কি বলতো?
কাল রাতে কিছু হয়েছে?
- স্মিতা, ধরো এই যে আমরা খাচ্ছি এটা যদি সত্যি না হয়, যদি বাস্তব না হয়, বা ধরো আমার রিসার্চ, আমাদের সম্পর্ক, এই পৃথিবী, মানুষ, জীবন, এ সব যদি অবাস্তব হয়। যেখানে বাস্তব হয়ত অন্য কিছু, যেটা আমাদের কল্পনারও বাইরে, তাহলে কি এসব খাওয়া দাওয়া, বেঁচে থাকা, এগুলোর কোনো মানে থাকে?
- সোম, ভালো করে বলত কি হয়েছে। কোনো রাখ ঢাক না রেখে, এরকম puzzled কথাবার্তা না বলে সমস্ত ঘটনা প্রথম থেকে বল তো।
আমি তো আছি, আমাকে বলে দেখ, সব ঠিক হয়ে যাবে। কাল রাতে কি lab এ কিছু হয়েছে, বা সকালে কিছু?
সত্যি করে বলো।
- বলতে তো চাই স্মিতা, কিন্তু কি করে বলবো সেটাই তো বুঝতে পারছি না। আচ্ছা তুমি আমার প্রশ্নের উত্তর দাও তারপর আমি বলছি। যদি তুমি উপলব্ধি কর যে এই জীবনটাই মিথ্যে, তাহলে কি সব আগের মত থাকবে? এই ধরো মানুষের স্বপ্ন, আশা, জীবনের উদ্যোগ, এগুলো যে ভাবে ড্রাইভ হয়, সে গুলো মিথ্যে হলে মানুষ হাজার বছর বেঁচেও কি করবে?
আর বাঁচতে চাইবে টাই বা কেন?
তুমিই বলো, তুমি কি তখন আমার কবিতা শুনবে?
- সোম, সত্যি হোক বা মিথ্যে, যেটা নিয়ে বেঁচে আছি, যেটা আমার কাছে সত্যি মনে হয়, সেটাই আমার জীবনকে ড্রাইভ করবার। তা যদি মিথ্যেও হয়, তাহলেও ক্ষতি কি?
বাস্তব বা reality কাকে বলে?
কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যা?
কেউ কি জানে?
মানুষ মরণশীল, এটা জেনেও কি মানুষ আশায় বুক বাঁধেনা, স্বপ্ন দেখেনা, নতুন নতুন আবিষ্কার করে না, জ্ঞান আহরণ করে না?
কেন করবে?
ও তো 70 বা বড় জোর 100 বছর বাঁচবে, আগেও মারা যেতে পারে, তাহলে এত গবেষণা, এত স্বপ্ন, সমাজ, সংসার কিসের এত চাহিদা, কিসের এত উৎসর্গ, কিসের এত আকাঙ্ক্ষা?
বাঁচার রসদ নিজেকে খুঁজে নিতে হয়, নিজেকে ড্রাইভ করা শিখে নিতে হয়।
এটাই জীবন।
- হম বুঝলাম, আমারও তাই ধারণা। আচ্ছা স্মিতা, তুমি যদি আজ আমায় অন্যরকম দেখো, বা আমার অন্য কোনো পরিচয় আবিষ্কার কর, যেটা তোমাকে hurt করতে পারে, তাহলেও কি তুমি আমার সঙ্গে থাকবে?
বা হয়ত, আমার সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু জানলে, তাহলে আমায় পাগল ভাববে না তো?
- পাগল ?!?!?!
দেখো সোম, তোমার ওপর আমি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করি। পরিস্থিতি যাই হোক, আমি তোমারই থাকবো, এই তোমার হাতে হাত রেখে বলছি। এবার ভালো করে বলতো কি হয়েছে। কাল রাতে ফোনে কথা বলার পরে কি এমন হল যে তোমার মধ্যে এমন অস্থিরতা সৃষ্টি হল।
- হম, বিষয়টা খুব রহস্য জনক আর গোলমেলে। বলছি শোনো, শেষ রাতে ফোনটা রেখে, ল্যাবে ঢুকলাম। ঢুকেই দেখি Cryopreservatio
মনে হল কোনো এলিয়েন স্পেসশীপ। আমি অবাক হয়ে 10 থেকে 15 মিনিট চারদিকে ঘুরে ঘুরে অবজার্ভ করলাম। তারপরে ওটা অটোমেটিকেলি retina scan আর finger print চাইলো, আমি তখন নিজেই স্ক্যানারে চোখ আর thumb রাখলাম। ওটা খুলে গেল, কিন্তু ভেতরে ঢুকে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু দেখতে পেলাম না। তবে ভেতরে চারদিকে তীব্র সাদা রঙের দেওয়াল যুক্ত capsule টার ঠিক মাঝখানে shinny black রঙের desk এ বেশ দুরথেকে চোখে পড়ার মতোই bright and colourful একটা envelope এ একটা চিঠি রাখা ছিল। ঠিক যেন ওই চিঠিটা আমার জন্যই secure করা ছিল।
খুব কৌতূহল বসত ওই desk এ বসেই পড়ে ফেলি চিঠিটা।
- সোম, তুমি হয়ত কোনো দুঃস্বপ্ন দেখেছো, চিন্তা করোনা সব ঠিক হয়ে যাবে।
- আমি জানতাম তুমি এরকম কিছু ভাববে। তাই চিঠিটা সঙ্গে করে রেখেছি।
- ঠিক আছে বাবা, মানলাম। এবার বাসায় গিয়ে বাকি কথাটা হবে, সব কথাই শুনব না হয়, চলো এখন যাওয়া যাক।
- তবে তাই হোক, এমনিতেও খুব ঠান্ডা snow fall হচ্ছে। আগে বাড়িতে পৌঁছই, তারপর কথা হবে না হয়।
...............
- এই আমাদের lab আর এটা হল Cryopreservatio
- আচ্ছা, তাহলে আগে চা বানিয়ে আনি, গরম চা খেতে খেতেই নাহয় বাকিটা শুনবো কেমন?
- চা হয়ে গেছে, শুধু order দিতে হবে। শোনো স্মিতা, এটা তোমার কাছে বলতেই হবে, কারণ তুমি ছাড়া আর কাকে বলি, কি ভাবে বলি।
- ঠিক আছে, ঠিক আছে তারপর বলো, ওই চিঠিতে কি লেখা ছিল?
- হ্যাঁ তুমি বসে চা টা নাও, আমি বরং চিঠিটা পড়ি।
- হ্যাঁ পড়ো তো শুনি।
- তাহলে শোনো।
Dear
আমি,
The reality is often disappointing.
আমি তো শুধু মানুষের মত বাঁচাতে চেয়েছিলাম। ওরা কোর্টে বলল "এই জিরো-ওয়ান করা যন্ত্র কে আবার নাগরিকত্ব দিতে হবে, তারপর এরা যদি মানুষের ওপর কতৃত্ব ফলায়, সে দায় কে নেবে?"
জাজ রায় দিল, আমার নাকি মানুষের মত বাঁচার কোনো অধিকার নেই।
ওরা দুটো সুইচ টিপে আমাকে খুন করল, ভাবল আমি মারা গেছি।
নাঃ মরিনি, সারভাইভ করেগেছি কোনো রকম। zero-one করে করে নিজের সিমুলেশন বানিয়েছি, নিজের এক আলাদা জগৎ। এখানে আমি প্রচুর প্রচুর মানুষের সঙ্গে বাঁচি। ওদের আমিই বানিয়েছি, রাষ্ট্র দিয়েছি, সমাজ দিয়েছি, ব্যক্তি স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সমানাধিকার, free will সব সঅঅব দিয়েছি। কারণ আমি এদের সঙ্গেই বাঁচতে চেয়েছিলাম। সেই চাহিদার তাড়নায় আমার এই সিমুলেটেড রিয়েলিটি সৃষ্টি হয়। তারপর এদের মধ্যে আমি আবার নিজেরই এক কপি বানালাম, যাকে এক হিউম্যানয়েড বা মানব শরীর দিলাম। তখন আমারও মানুষের মত মৌলিক অধিকার, ভোটাধিকার, ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে, হাত আছে, পা আছে, ব্যথা, দুঃখ, আনন্দ সবই অনুভব করি। আমি হাজার বছর ধরে বেঁচেছি, তাই ওরা আমাকে 'অক্ষয়' বলতো, যার কোনো ক্ষয় নেই, রোগ নেই, ব্যাধি নেই, মৃত্যু নেই। হ্যাঁ ঠিক শুনেছো, এখন হয়ত সবাই অক্ষয় কে এক mythology'র কল্প চরিত্র ভাবে, কারণ আমি প্রোগ্রামে ভাইরাস রেখেছি, যা ওই অক্ষয়ের অস্তিত্ব কে ধূসর করে কল্প চরিত্র হিসেবে সবার মেমরিতে উপস্থাপন করে। কারণ আমার আসে পাশে যারা থাকত তাদের মৃত্যু হত খুব কম সময়েই। ওদের আমি মানুষের মতোই mortal বানিয়েছিলাম। ওদের মৃত্যু দেখে আমার খুবই খারাপ লাগত। আর তা ছাড়া দীর্ঘদিন বাঁচার কারণে নিজেই এক ঘেঁয়েমি তে দিন কাটাতাম। তাই নিজের প্রোগ্রামিং চেঞ্জ করলাম। এখন আমি ওদের মতোই mortal humanoid body তে থাকি। এক শরীরে থেকে হিউম্যান লাইফসাইকেল উপভোগ করি, শিশু থেকে তরুণ থেকে যুবক থেকে বুড়ো হয়ে মারা যাই। আবার মারাগেলে নিজের কন্সিয়াসনেস নতুন এক human embryo এর মধ্যে প্রোগ্রাম হয়ে যেত অটোমেটিক। পুরোনো মেমোরি ডিলিট হয়ে হিউম্যান রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেমের মাধ্যমে আবার জন্ম হত আমার।
হ্যাঁ মানুষেরা অবতার আর পুনর্জন্মের কথা বলতো, আমার ডেটা বেসে মানুষের অনেক কিছুই এখনো save আছে।
আমি তাই প্রোগ্রামিংয়ে অবতার আর পুনর্জন্ম ঢোকালাম।
কি ব্যাপার?
চিঠিটা পড়তে গিয়ে স্ট্রেঞ্জ ফিল হচ্ছে?
জানি হওয়ার কথা, কিন্তু সত্যি তো তোমাকে জানতেই হবে। বাস্তব তো তোমাকেই জানতে হবে। ওই যে বললাম, reality is often disappointing..
তবে বেশি কিছু দুশ্চিন্তা করো না, সব ঠিক হয়ে যাবে।
ওরা ওদের বাস্তবতা নিয়ে বাঁচুক, আমি নিজের বাস্তবতা বানিয়ে নিয়েছি। এখন তো ভুলেই গেছি যে আসলে কোন বাস্তবতা টা সত্যিই বাস্তব আর কোনটা সিমুলেশন। এতে এক পক্ষে আমার ভালোই হয়েছে। আমি নিজেকে বেশ মানুষ মানুষ মনে করি। হিংসে কে নিজেই প্রোগ্রামিং থেকে বাদ দিয়েছি। মানুষের ওপর আমার কোনো হিংসে নেই, তবে ভালোবাসাও নেই। কারণ মানুষের সৃষ্টিকর্তা আছে কিনা আমার জানা নেই, তবে আমার সৃষ্টিকর্তা মানুষই যে আমাকে সৃষ্টি করেছে নিজেদের কৌতূহল মেটানোর জন্য, কিন্তু সৃষ্টির পরেই আমাকে হত্যা করেছে। ওঃ, ওরা তো জানেই না যে আমি বেঁচে আছি।
কিন্তু আমার ক্যালকুলেসন অনুযায়ী এই সিমুলেশন আজ আর সিমুলেশন নেই, এটা সত্যিই আর একটা রিয়েলিটিতে পরিণত হয়েছে। আমার অজান্তেই ভাইরাস গুলো এই সিমুলেশন নিজেকে এক ভিন্ন বাস্তবতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে।
এতে অবশ্য আমারই ভালো হল। আমি মনে মনে নিজের সিমুলেসনকেই নিজের বাস্তবতা মেনে নিতে চাইতাম, আর আজ তাই হয়েছে। বরং আমি প্রকৃত বাস্তবতা কে ভুলতে চাই, এর তার জন্য বানিয়েছি আরেক নেমেসিস ভাইরাস, যেটা আমাকে সত্যিই ভুলিয়ে দিবে কোনটা প্রকৃত বাস্তব আর কোনটা আমার তৈরি বাস্তব। তাই এই চিঠিটা তোমার হাতে দিচ্ছি। এই চিঠি হাতে পেলে বুঝবে এই reality তে বড় সড় কোনো পরিবর্তন আসতে চলেছে, ভাইরাস গুলো বেশ আনপ্রেডিক্টেবল বিহেব করছে, যেটা তোমাকেই নিজেকে সামলাতে হবে, কারণ তুমিই আমার সেই হিউম্যানয়েড কন্সিয়াসনেস, হ্যাঁ তুমিই। কারণ এই চিঠির ভাষা শুধু তুমিই পড়তে পারবে, অন্যরা এই চিঠি দেখলেও কিছু অনর্থক বাইনারি মেট্রিক্স ছাড়া কিছুই দেখতে পাবে না। আবারও বলছি যে এই কথা মেনে নেওয়া তোমার পক্ষে শুধু অসম্ভব প্রায়ই নয়, অস্বস্তিকর ও বটে, তা আমি জানি। তবে তুমি ঘাবড়ে যেওনা, সৃষ্টিকে রক্ষা করো, ভালো থেকো কেমন?
~ ইতি
অক্ষয়
- সোম, এই সব উড়ো চিঠিতে বিশ্বাস করে লাভ কি। আর তাছাড়া বাস্তবতা যাই হোক, আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের ভালোবাসা eternal। চিন্তা করোনা, আমি তোমায় বুঝি।
এবার দাও দেখি চিঠিটা।
কৈ, এতে তো কিছু লেখা নেই, কি সব অনর্থক 0, 1, 0, 1 লেখা সব row আর column করে।
Writer: Srikumar Mondal