RNA কী? কাজ ও প্রকারভেদ

RNA means Ribonucleic Acid.
বাংলায় রাইবোনিক্লিক এসিড।

Physical structure of RNA :
আগের লেখায় আমি বলেছি Polynucleotide কি। তাও একটু বলে নিই। অনেকগুলো নিউক্লিওটাইড একত্রে যুক্ত হয়ে পলিনিউক্লিওটাইড গঠন করে। আর নিউক্লিওসাইডের মধ্যে থাকে নিউক্লিওসাইড আর ফসফরিক এসিড। নিউক্লিওসাইডে থাকে Deoxyribose Sugar আর Nitrogenous Base এর একটি অণু। এটি হলো DNA এর গঠনপ্রণালী। আর RNA এর গঠনপ্রণালীও একই রকম এখানে শুধু Deoxyribose Sugar এর স্থানে Ribose Sugar যুক্ত হবে আর Nitrogenous Base এর যেখানে Thymine থাকবে সেখানে ইউরাসিল বা Uracil যুক্ত হবে।
ওহ একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা ত বলতে ভুলেই গেছি কোষের প্রায় সকল DNA দ্বিসূত্রকগুলো নিউক্লিয়াসে থাকে আর অল্প কিছুপরিমাণ রাইবোজোম, মাইটোকন্ড্রিয়া ও প্লাস্টিড ইত্যাদিতে পাওয়া যায়।
Cell এর প্রায় সকল RNA বা 90% RNA সাইটোপ্লাজমে থাকে আর বাকি 10% থাকে নিউক্লিয়াসের মধ্যে।
তাহলে বুঝলেন ত DNA হলো নিউক্লিয়াসের রাজা। আর RNA হলো সাইটোপ্লাজমের রাজা।

RNA সূত্রকগুলো দেখতে চেইনের মতো। রাস্তা যেমন স্থানে স্থানে U টার থাকে তেমনি RNA এর সূত্রকেও U অকৃতির ফাঁস থাকে। একে Hairpin loop বলা হয়। এর সূত্রকে C বেস G বেসের সাথে বা ক্ষারের সাথে তিনটি হাইড্রোজেন বন্ড দিয়ে যুক্ত থাকে। আর একটি A বেস আরেকটি T না না আমি আগেই বলেছি যে RNA থাইমিনের জায়গায় ইউরাসিল হবে। তাই এখানে আরেকটি U এর সাথে দুইটি হাইড্রোজেন বন্ড দিয়ে যুক্ত থাকে।

এবার আপনারা নিজেরাই চিন্তা করে দেখুন ত RNA এ তে কি কি উপাদান থাকে। আশা করি আপনি বুঝতে পারবেন যে এখানে কি কি উপাদান থাকে।
যাক তাহলে DNA ও RNA এর গঠনের গোষ্টির ষষ্টী করে দিয়েছি।
ওহ হ্যাঁ। কাজের ওপর ভিত্তি করে RNA ৫ প্রকার। এই পাঁচ প্রকার RNA এ সম্পর্কে আপনাকে একটু আদটু ধারণা রাখতে হবে নইলে আপনি পরে সমস্যায় পড়তে পারেন।
১| mRNA
২| tRNA
৩| rRNA
৪| gRNA
৫| Minor RNA

Describe on this five point.
mRNA :
এটি হলো বার্তাবাহ RNA বা Messenger RNA
বার্তাবহ মানেই ত বুঝে যাবার কথা এটার কাজ কি। এটি নিউক্লিয়াস থেকে DNA এর কাছ থেক প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য সংকেত নিয়ে আসে সাইটোপ্লাজমে কাছে। আবার tRNA এর কর্তৃক নিয়ে আসা অ্যামানো এসিডকে প্রোটিনে রুপান্তরিত করে। এটি মূলত রাইবোজোমে ষটে থাকে।

tRNA :
Transfer RNA বা প্রেরণ করার RNA
এর কাজ হলো কোষের বিভিন্ন স্থান থেকে অ্যামানো এসিড সংগ্রহ করে রাইবোজোমে নিয়ে যাওয়া। এছাড়াও এটি কিছু পরিমাণ অ্যামানো এসিড mRNA এও নিয়ে যায়। এর গঠনে আমরা পাঁচটি বাহু দেখতে পাই। একটি বহুকে বলা হয় অ্যামানো এসিড বাহু আর বিপরীত বাহুকে বলা হয় অ্যান্টিকোডন বাহু। তৃতীয় বাহুটির নাম T বাহু আর এর বিপরীত বাহুর নাম D বাহু৷ আর অবশেষে যে বাহুটি বেঁচে গেল তার নাম অতিরিক্ত বাহু।

rRNA :
Ribosmal RNA. এক কথায় কোষের রাইবোজোমে যে RNA সূত্রক থাকে সেগুলোকে বলা হয় rRNA অণু।

gRNA :
Genetic RNA
যেসব জীবদেহে DNA পাওয়া যায় না সেখানে gRNA অণু অবস্থান করে। সেই জীবের DNA এর প্রায় সকল কাজ gRNA এর দ্বারা সম্পাদিত হয়।

Minor RNA :
কিছু কিছু RNA প্রোটিনের সাথে মিশে বিভিন্ন ধরনের এনজাইম গঠন করে। এসকল RNA এ কে Minor RNA বলা হয়।








লেখকঃ Asraful Islam 
সদস্য, ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম