এখনো হয়তো অনেকে ডিটারমাইন ই করতে পারতেছো না আন্দাজে দাগাবো কি না।
তাই ভাবলাম ব্যাপারটা একটু ক্লিয়ার করা উচিত।
তোমরা খুব ভালোও করেই জানো যে ঢাবি এডমিশনে ক,খ,গ ইউনিটে ০.২৫ এবং ঘ ইউনিটে ০.৩০ নেগেটিভ মার্কস।
আমরা জানি যে,সাধারনত ক ইউনিটে ১৫৫-৬০ স্কোর পেলে একটা মোটামুটি একটা ভালো সিরিয়ালের মধ্যে থাকা যায়।
খ ইউনিটে ১৩৫-৪০-৪৫ স্কোর থাকলে মাননসই একটা সিরিয়ালের মধ্যে থাকা যায়।
গ ইউনিটেও মনে করো এরকম ১৫০-৫৫ কিংবা ৫৫ আপ পেলে মোটামুটি একটা সিরিয়ালে থাকা যায়।
ঘ ইউনিটে যেহেতু নিজ নিজ গ্রুপের স্টুডেন্টদের সাথেই কম্পিটিশন হয় তাই এখানে নিজ নিজ ইউনিটের মত মার্কস পেলেই হয় অবশ্য এখানে আরেকটু বেশি মার্কস উঠালে শঙ্কামুক্ত থাকা যায় আরকি।
তবে সকল ইউনিটের জন্যই একটা কথা তা হচ্ছে
আমি যে মার্কসের হিসেবটা দিলাম আগের বছরগুলোর স্টাটিক্স দেখে তবে কথা হচ্ছে প্রশ্নের মান অনুযায়ী এটা কিছুটা কমবেশি হতে পারে।
যাইহোক আমরা কিন্তু আমাদের মূল আলোচনায় এখনো আসতেই পারিনি।
আমাদের টপিক ছিলো আন্দাজে দাগানো যাবে কিনা।
এটার জন্য তোমাকে আমি প্রথমেই বলবো তুমি যে ইউনিটেরই হওনা কেনো আগে তুমি নিজে নিজে একটা হিসেব করে নিবা যে আমার জিপিএ মার্কস এতো তাহলে এডমিশনে কয়টা আমার সঠিক দাগালে আমি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।
এখানে আমি প্রতিটা ইউনিটের জন্যই একটা হিসেব দেই।
মনে করো, কারো জিপিএ মার্কস ৭২ এখন ও যদি ক ইউনিটে এক্সাম দেয় তাহলে ওর অবজেক্টিভ এ ৬০ টার মধ্যে কমপক্ষে ৪৫ টা সিওর হয়ে দাগাতে হবে সাথে আর ৫-৭ টা আন্দাজে(৮০%সিওর) এবং রিটেনে ২৫ আপ পেলে হবে।
যদি খ ইউনিটে দেয় তাহলে ওর অবজেক্টিভে মিনিমাম ৪০ টার মত সিওর হয়ে দাগাতে হবে (আন্দাজে ৪-৫ টা দাগানো যেতে পারে ৭০-৮০% সিওর)এবং রিটেনে ২০-২৫ পায় টোটাল মিলিয়ে চান্স হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
যদি গ ইউনিটে এক্সাম দেয় তাহলে অবজেক্টিভ এ ৬০ টার মধ্যে কমপক্ষে ৪৫ টা সিওর হয়ে দাগাতে হবে সাথে আর ৫-৭ টা আন্দাজে(৮০%সিওর) এবং রিটেনে ২৫ আপ পেলে হবে।
ঘ ইউনিটেও এরকম হিসেব করে নিবা।
তবে একটা কথা যে ইউনিটের যেমন নিয়ম তেমনিভাবে কিন্তু ভালো সাবজেক্ট পেতে হলে সাবজেক্টওয়াইজ ভালো মার্কস তুলতে হবে।
সে যাইহোক ভালো সাবজেক্ট পাওয়ার আগেও আমাদের
ইম্পরট্যান্ট হলো চান্সটা নিশ্চিত করা।
এবার শোনো তোমাদের প্রত্যেককে বলবো তুমি তোমার জিপিএ এর মার্কস অনুসারে নিজের মতো একটা হিসেব করে রাখো।
মনে করো তোমার যে কয়টা দাগালে চান্স হয়ে যায় সে কয়টা যদি তুমি সিওর দাগাতে পারো আমি সিরিয়াসলি বলছি এরপরও আন্দাজে দাগিয়ে তোমার নিজের বিপদ ডেকে আনাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই হবেনা।
তাই বলেছি যেসব প্রশ্ন ৭০- ৮০% এর মতো সিওর এরকম হলে হাইয়েস্ট ৫-৬ টা দাগাতে পারো এর বেশি না। আন্দাজে যদি ৫-৬ টা দাগিয়ে ভাগ্যক্রমে ১-২ টা হয়ে যায় তাহলে কিন্তু লাভ ই হবে কারন নিজ ইউনিটগুলোয় ৫ টা ভুলে ১ টা সঠিক আন্সার কাটা যাবে।
আবার মনে করো তুমি দেখতেছো তোমার যে কয়টা সিওর দাগাতে হবে সে কয়টা হচ্ছে না।তখন তো আর কিছু করার নাই বাধ্য হয়ে কিছু আন্দাজে দাগাতে হবেই।
অনেকের এমনও হতে পারে যে দেখা যাচ্ছে কমনই আসেনি। তখন আল্লাহর দিক তাকিয়ে আন্দাজে দাগানো ছাড়া তো আর কোনো উপায়ান্তর থাকবে না।
একটা ব্যাপারে একটু সিরিয়াস হতে বলবো,আমি এটা আগেও বলেছি এখনো বলছি। এডমিশন টাইমে তোমাকে অনেকে অনেক ফ্রি জ্ঞান দিবে কিন্তু তা থেকে যেটা তুমি ভালো মনে করবা সেটাই নিতে হবে।
অনেকে দেখবা তোমাকে হিসেব দেখাবে যে সবগুলো আন্দাজে দাগানোর এই সুবিধা ওই সুবিধা। অনেকে আন্দাজে দাগিয়েও চান্স ও পেয়ে যেতে পারো ব্লা ব্লা ব্লা।
আমি কি বলবো ভাইরে,আন্দাজে দাগিয়ে প্রতিবার ১ জন বা নাও পেতে পারে।
তুমি কিভাবে ভাবলা যে ৫০০০ স্টুডেন্টের মধ্যে মনে করো ১ জন পেলো আন্দাজে দাগিয়ে ওই একজন তুমি!!!
তবে হ্যাঁ, আমি যে একেবারে না করছি এমনটা না।আমি কিন্তু ক্যালকুলেশনটা দেখিয়েছি তোমাদের।
সবশেষে একটা কথাই বলবো তখন তোমার উপস্থিত বুদ্ধি-ই খাটাতে হবে।যাকে বলে "অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা"।
আজ এ পর্যন্তই।
শুভকামনা সবার জন্য।
HM Mahiuddin
IER,DU,3rd year.
Tags:
Education