হোমিও নিয়ে খাপছাড়া প্যাচাল!



হোমিওতে রোগ সারাতে প্লাসিবো ইফেক্ট কাজ করে - এটা একটা ভুল হাইপোথিসিস।
আমি এক বাচ্চার সাথে কথা বলি নাই । সে ঔষধও খাইতে চায় নাই। ঘুমের মধ্যে মুখে মিষ্টি গ্লোবিউলসে দেয়া ঔষধ দেয়া হয়েছিলো। প্রতিবারই অব্যর্থ। তবে ভুল ঔষধ দিলে তো সারার প্রশ্নই উঠে না। প্লাসিবো কেমনে হল?
হোমিওতে অনেক রকম ঔষধ আছে - প্লাসিবো হইলে যে কোনো রোগেই সকলকে একই পুরিয়া খাওয়ায় দিলে হত।

মানুষের দেহ এবং এর ক্রিয়াকলাপ নিয়ে গবেষণা কিন্তু এখনও চলছে। কাজেই একজন সব বিদ্যা সব জেনে ফেলেছে আর হোমিও কিচ্ছু জানেনা এমন ভাবনা মনে কেন আসে সেটাই একটা কৌতুহলী বিষয়। (আমি মহাজ্ঞানী শমসের - আর সবাই মুর্খ : এটা সর্বজ্ঞানী রোগ হতে পারে) অন্যেরাও কিছু জানে কিংবা অন্যের জ্ঞানকে শ্রদ্ধা করা - একটা ভাল দিক।
উচ্চতর ক্ষমতার ঔষধে সুক্ষ্ণতর পরিমান মূল উপাদান থাকে। পুরা ন্যানো টেকনোলজি ।
(দূর্বল জীবানু শরীরে ঢুকিয়ে সেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জাগিয়ে তুলতে টিকা জানি কীভাবে কাজ করে? -- ভাই, ভূয়া হোমিওর মত এত ডাইলিউটেড দূর্বল জীবানু না ঢুকিয়ে শক্তিশালী জীবানু ঢুকান। জানেন না, দূর্বল জিনিষ ভাল না)
যারা প্লাসিবো বলে নিশ্চিত তাঁরা নিজেরাই চেম্বার খুলে বসেন না কেন; কোনো রোগী আসলে মনোযোগ দিয়ে ৩০ মিনিট না, বরং ১০০ মিনিট কথা শুনুন (বুঝেন বা না-ই বুঝেন তাতে কি!), তারপর লেবুর শরবত কিংবা রুহ আফজা কিংবা অদ্ভুদ কোনো পানীয় বা খাবার ঔষধ বলে খাইয়ে ভিজিট নিয়ে বিদায় করেন। ও .... সাথে পরবর্তীতে খাওয়ার জন্য ডালের বড়া/সিভিট কিংবা অন্য কিছু নিরীহ পদার্থ উচ্চমূল্যে দিতে ভুলবেন না। আশা করি প্লাসিবো তত্বের কল্যানে কিছুদিনেই অন্য সব অ্যালো, হোমিও, আয়ুর্বেদী ডাক্তারের বিদ্যাকে কাঁচকলা দেখিয়ে আপনি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাবেন। সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: তত্ব ভুল হইলেও ফুলে কলাগাছ হবেন, তবে সেটা হবে পাবলিকের মাইরের কল্যাণে।

এলার্জি সকলের নাই। একই জিনিষের উপস্থিতিতে দবিরের খাউজানি হয়, কবিরের কিস্যূ হয় না। কাজেই চুলকানী হলে দবিরের জন্য সমাধাণ হল তমুক জিনিষ থেকে দুরে থাকুন, আর কবিরকে ঔষধ দেয়া হল। ইহাই ঠিক আছে কারণ এটা এ্যালোপ্যাথি বিদ্যা -- এটা সায়েন্টেফিক। কিন্তু হোমিওতে দবির আর কবিরকে একই লক্ষণে দুই ঔষধ দিলে সেটা ভুয়া হয়ে যায়; রোগ নয় রোগীর চিকিৎসা কর বললে - শমসেরগণ হেসে কুটিকুটি হয় অ্যাঁ ! কেন ভাই দবির আর কবিরের বডি কেমিস্ট্রি যে ভিন্ন - এ্যালোপাথির আগে হোমিওবিদ্যা কি এটা জানার আর বুঝার অধিকার রাখে না?

চারটা ঔষধের কথা বলি যা সকলের বাসায় থাকা প্রয়োজনঃ
১। Calendula Q - ক্যালেন্ডুলা হল গাঁদা ফুলের নাম; Q হল পাওয়ার - এটা মাদার টিংচার বা শূণ্য পাওয়ার (অর্থাৎ ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি)। হোমিওপ্যাথিতে সাধারণত সকল ঔষধেরই Q (মাদার), 6, 30, 200, 1M (M=১০০০), 10M, 50M, CM পাওয়া যায়।
নাম শুনে নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন এটা কিসের ঔষধ হতে পারে .... ... জ্বি এটা কেটে ছিড়ে গেলে সেখানে দেয়া হয় (খাওয়া না কিন্তু, সরাসরি চামড়ায় প্রয়োগ)। গাঁদা ফুলের পাতার রস দিয়ে কাঁটা ছেড়া সারানোর ব্যাপারটা অনেক আগে থেকেই জানতাম। তবে স্পিরিট মেশানো বলে একটু জ্বলবে। কিন্তু এটা একটা ম্যাজিক ঔষধ।
আমার আত্মিয় এর নাক দিয়ে রক্ত পড়তো। নাকে সুড়সুড়ি অনুভুতি হলে টিসু পেপার দিয়ে নাকের ভেতর পরিষ্কার করলে সেটাতে দুই-এক ফোটা রক্ত লেগে থাকতো। নিয়মিত ENT বিশেষজ্ঞের চেম্বারে যেতে হয়, উনি বিভিন্ন ঔষধ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ডোজ কমিয়ে বাড়িয়ে দিলেন। দেড় মাস পরেও এতে রক্ত পড়া বন্ধ হয়নি তবে ঐ ঔষধ খেলে ঘুম পেত। এরপর ফাইনাল পদ্ধতি হিসেবে নাকের ভেতরে ওয়েল্ডিং করে রক্তনালীর ফুটা বন্ধ করলেন -- ওয়েল্ডিং মানে একটা প্লায়ার্সের মত যন্ত্র দিয়ে ঐ ক্ষতটা চিপে বন্ধ করে দিলেন। চিপা দিয়ে বন্ধ করার সময় চামড়া পোড়ার গন্ধ পেয়েছিলাম। যা হোক সেই চিকিৎসাতে সম্ভবত ৩ কি ৪ দিন, বড়জোর এক সপ্তাহ রক্ত পড়া বন্ধ ছিল। তারপর আরেকদিন হাঁচি দেয়ার পর আবার সেই রক্ত পড়া। এবার আমি একটু বিরক্তই হলাম। বললাম নাকে ক্যালেন্ডুলা দাও। আঙ্গুলের ডগায় এক ফোটা দিয়ে ভিজিয়ে সেটা নাকের ভেতরে লাগানো হল। পরদিন থেকেই সমস্যা ভাল ---- নাকের রক্ত পড়ার সমস্যা এরপর গত ৭ বছরে এখনও হয়নি।
বাসায় কেটে গেলে, ছড়ে গেলে ক্যালেন্ডুলা ছাড়া কিছুই ব্যবহার করতে হয় না। বেশি বড় কাটা হলে, সেটাকে ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে, সেই ব্যান্ডেজের উপরে এক-দুই ফোটা করে ক্যালেন্ডুলা দেয়া হয় -- এতে ব্যান্ডেজ ভিজে সোক করে একটু একটু করে ক্যালেন্ডুলা জায়গাতে লাগে --- একটু জ্বলে, কিন্তু দ্রুত এবং কোনো রকম ইনফেকশন না হয়ে ক্ষত শুকিয়ে যায়।
হোমিও ওষুধের দোকানে গিয়ে বলতে হবে ক্যালেন্ডুলা মাদার টিংচার দেন। আমি সাধারণত বাসায় এক আউন্সের বোতলে কিনে রাখি -- সর্বোচ্চ ৪০ টাকা দাম। বেশি কিনে রেখে লাভ নাই -- কারন বিশেষত ঠিকভাবে টাইট করে না লাগালে স্পিরিট উড়ে যায় - শুকিয়ে যায়।
কিছু ক্ষত আছে, যেমন চুলকাতে চুলকাতে পায়ের কিছু জায়গা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় -- তখন কিছু পরিমান পমেডের (জেলি) মধ্যে কয়েক ফোটা ক্যালেন্ডুলা দিয়ে সেটা আঙ্গুল দিয়ে ভালভাবে খচাখচি করে মিশিয়ে তারপর সেই ক্রিম বা পমেড ক্ষতস্থানে দেই। এতে জ্বলেও কম, কিন্তু দারুন কাজ হয়। গরমে বেশি হাঁটাহাঁটি করলে এমন এমন জায়গায় ছড়ে যায় যা কাউকে বলা যায় না, ক্যালেন্ডুলা জিন্দাবাদ।
একবার এক পিচ্ছি মেয়ে ডায়াপারে টয়লেট করে ফেলেছিলো একবার ঘুমের মধ্যে -- তার মা টের পেতে পেতে অন্তত আধাঘন্টা পার হয়ে গেছে। ডাক্তার বলেছিলো পায়খানা একটু এসিডিক হওয়াতে ওগুলো লাগলে চামড়া ছড়ে যায়, জ্বলে। গামলায় হালকা গরম পানিতে ১৫-২০ ফোঁটা ক্যালেন্ডুলা দিয়ে মেয়েকে দুয়েকবার বসিয়ে রাখি -- এতেই দ্রুত সেরে যায়।

২। Arnica Mont. Q, 30 - আর্নিকা মাদার টিংচার এবং থার্টি - মাদার টিংচার সলুশন আকারে এক আউন্সের বোতলে, আর পাওয়ারেরটা গ্লোবিউলসে (সাদা সাদা চিনির গুল্লিতে) এক ড্রাম (ড্রাম = কড়ে আঙ্গুল সাইজের বোতল)। দাম এক আউন্সের ৩০ টাকার মত, এক ড্রামের দাম ম্যাক্সিমাম ২০ টাকা হতে পারে (সব দেশী)। বিদেশি কোম্পানির ঔষধ কেনা জরুরী না -- ওগুলোর দাম বেশি। শ্রীলংকা, ভারত, পাকিস্থান, জার্মানি, আমেরিকা -- এরকম বিভিন্ন দেশের প্রস্তুতকৃত ঔষধ আছে
আর্নিকা হল আঘাতের ঔষধ। ব্যাথা পেয়ে ফুলে নীল হয়ে গেছে -- দিনে ৩/৪ বার ওখানে আর্নিকা লাগাই (এক্সটার্নাল, মানে চামড়াতে ... খাওয়া নহে)। কিছু জায়গায় ব্যান্ডেজ বা তুলা দিয়ে ব্যান্ড এইড লাগিয়ে সেই তুলাতে মাঝে মাঝে দুই এক ফোটা আর্নিকা মাদার টিংচার ঢালি। বেশ কার্যকর ঔষধ। অন্তত জাপান থেকে আনা স্পোর্টসম্যানদের জন্য আঘাতে লাগানো প্যাড-ব্যান্ডেজের চাইতে দ্রুত কাজ করে।

৩। Cantharis Q -- পুড়ে গেলে ক্ষতস্থানে দেয়ার জন্য।

৪। Ipecac - 6, 30 --আমার পিচ্চির একবার ভীষন জ্বর + স্টোমাক আপসেট হল। শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এন্টিবায়োটিক দিয়েছেন -- বাচ্চাদের এন্টিবায়োটিক সিরাপ। কিন্তু সেই জিনিষ ওর মুখের কাছে নেয়া যায় না। গন্ধ নাকে গেলেই ওয়াক ওয়াক করে বমি, এ কথা শুনে ব্র্যান্ড পাল্টিয়ে দিয়েছে - তাতেও লাভ হয় নাই। তাই সকলে মিলে ওকে চেপে ধরে খাওয়াই -- খুবই মর্মস্পর্শী ব্যাপার। রাতে পেটে গ্যাস, ঢেকুর ইত্যাদি। এরকম ঘটনা কয়েক মাসের ব্যবধানে আরেকবার হল। সেবার একরাতে ওর এই কান্না, বিশেষত বার বার ঔষধ বমি করে করে বিছানা, আমার কোল, শরীর ভাসানো সহ্য করতে না পেরে হোমিও ঔষধ (ইপিকাক ৬) খাওয়ানোর ১০ মিনিটের মধ্যে বাচ্চা শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। পরদিন খাওয়ার রুচি আসলো, ঘ্যান ঘ্যান প্যান প্যান বন্ধ -- শরীর দূর্বল, কিন্তু দুষ্টামী আগের মতই - অর্থাৎ শরীরে হিলিং প্রসেস শুরু।
মজার ব্যাপারটা হল কিছুদিন আগে। আমার বাচ্চা গাড়িতে উঠলেই বমি করে - যথারীতি প্রিয় বাবার
গা-কাপড় ভাসায়। গাড়িতে সেজন্য সবসময় কাঁথা মজুদ রাখা হয় - বমি ভাব আসলেই মুখের সামনে কাঁথা বিছিয়ে ধরা হয়। ওতে বমি করলে সোক করে নেয়, ফলে অন্য জায়গাগুলো রক্ষা পায়। ব্যাপার হল, একদিন এরকম বমি করার সময় খেয়াল করলাম, ওর এক পর্যায়ে গ্যাস ঢেকুর উঠে। এটা দেখে মাথায় ঝিলিক দিল যে ও যখন অসুস্থ ছিল তখন এন্টিবায়োটিক খাওয়ানোর সময়েও এরকম গন্ধ ঢেকুর উঠতো। এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে পরদিন আরেক জায়গায় যাওয়ার সময় ওকে ইপিকাক ৬ খাওয়ায় রওনা দিলাম --- ম্যাজিক, ভাই ম্যাজিক। পুরা রাস্তায় কোনো বমি ভাব হয়নি।
পরবর্তী ঘটনা হল, তখন বাসায় আমার আমার এক আত্মিয় বেড়াতে গিয়েছিল। ওর তিন পিচ্চি'রও গাড়িতে উঠলেই বমির অভ্যাস। আসার সময় ওদের তিনজনকেই ইপিকাক খাওয়ানো হয়েছে কয়েক ঘন্টা পর পর -- বরিশাল টু ঢাকা - পুরা রাস্তায় কেউই বমি করেনি।
অনেক লম্বা লেখা হয়ে গেল। আমি এখানে ৪টা ঔষধের নাম লিখেছি। ইংরেজি নামগুলো দিয়ে গুগল করলে আরো অনেক তথ্য জানতে পারবেন।
হ্যানিম্যান মানুষের পীড়ার কষ্ট দুর করার জন্যে সমস্ত জীবন গবেষনা করে ব্যায় করেছেন। অভাব অনাটনে দিনাতিপাত করেছেন তবুও পিছপা হননি। আর আপনি দুই দিনে তার উপর দুইপাতা পড়ে তার সারা জীবনের গবেষনাকে মিথ্যা প্রমান করতে চাইছেন? যা ৩০০ বছর টিকে আছে।
আমাদের দেশে কিছু একটা লিখলেই বাহবা পাওয়া যায় কারন এটা নিয়ে কেউ ভাবেনা, লাইক দিয়ে দেয়।
যাহোক বেশী কথা লিখবোনা বা সে সময়ও আমার হাতে নেই শুধু একটি বিষয় বলবো হ্যানিম্যান তার মৃত্যুর কয়েক বছর আগে নতুন একটি পদ্ধতি আবিস্কার করেছিলেন যাকে বাংলায় বলা হয় [পঞ্চাশ সহস্রতম পদ্ধতি]এখানে পঞ্চাশ হাজার থেকে ঔষধের শক্তি শুরু হবে অর্থাৎ এই ওষুধের মধ্যে মূল পদার্থের কোন অস্তিত্ব থাকবেনা থাকবে শুধু তার শক্তি। এই পদ্ধতি চালু হওয়াই হলো হোমিওপ্যাথির কাল, ঔষধ নির্মাতারা চিন্তা করলেন কোন গাছের পাতার এক ফোটা রস দ্বারা তৈরী ঔষধ লক্ষ গুন শক্তিশালী করে যদি হাজার হাজার মানুষের চিকিৎসা সম্ভব হয় তাহলে তো ঔষধ শিল্পের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে,তাদের ব্যাবসা লাটে উঠবে।
অতএব নিরুৎসাহিত করো অথবা ঠেকাও।
সেকারনে হ্যানিম্যানের মৃত্যুর পর বিচ্ছিন্ন কিছু গবেষনা ছাড়া বিষেশ কিছুই হয়নি। আর হোমিওপ্যাথিরও মৃত্যু হবে এ্যান্টিবায়টিক বিষের ছোবলে। যতদুর জানা যায় যে আধুনিক গুটি বসন্তের টিকা হোমিওপ্যাথির সুত্র অনুযায়ী আবিস্কৃত।
বর্তমানে ভালো চিকিৎসকের খুব অভাব অ-মেধাবীদের হতে হোমিওপ্যাথি এখন বন্দী।
এক রোগীর বুকের উপর একটি টিউমার হওয়ায় এবং দুই দুই বার একজন বড় ডাক্তার দ্বারা[এফ সি পি এস] অপারেশন করিয়েও যখন সমাধান হলোনা তখন হোমিও চিকিৎসায় তিনি সেরে উঠেছে এখন বুকের ঠিক কোথায় টিউমারটি ছিলো এখন আর খুজে পাওয়া যায়না,সম্পূ্র্ন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাহলে এটা কোন প্লাসিবোতে গেলো ?

আপনাদের কাছে অনুরোধ এই পৃথিবীতে যারা মানুষের কল্যানে ব্যাক্তিগত সুখ সাচ্ছন্দ বিসর্যন দিয়ে কাজ করে গেছে তাদেরকে হেয় করবেন না তাদের একটি গুন থাকলেও ধন্যবাদ দিন এবং প্রচার করুন। ধন্যবাদ।
( নিজের অভিজ্ঞতা ও অন্যদের অভিজ্ঞতার আলোকে একটি সম্পাদিত লেখা )

Dr. Md Faijul Huq

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম