সব মানুষেরই কিছু ইচ্ছা থাকে যা পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার আগে পূরণ করতে ইচ্ছা করে। তেমন কাশ্মীর আমার জন্য ছিল স্বপ্নের। অনেক ছবি, ভিডিও দেখার সুযোগ হয়েছে কিন্তু সামনে থেকে দেখার শখ কখনো পূরন হয়নি। ট্রাভেল পার্টনার হিসাবে কখনো কাউকে পাইও নাই। যারা যেত তারা প্রায় সকলেই কাপল। সুযোগ চলে এলো হঠাৎই। অফিসের কলিগের সাথে ঘুরে আসলাম দুনিয়ার জান্নাত-কাশ্মীরে। গত ১৩-১৯ তারিখ ছিল পুরো ট্যুরটা। এর মাঝে কাশ্মীরে পুরো সময় থেকেছি ১৫-১৯ তারিখ সকাল পর্যন্ত। বাকিটা দিল্লী ও কলকাতায়। এই ট্যুরে আমাদের এডভান্স প্লেনের টিকেট কাটা ছাড়া আর কিছুই ঠিক করা ছিল না। সব কিছুই নিজেরা ঘুরে ঘুরে করেছি। এজন্য হয়তো খরচ কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু মজা কমেনি এতটুকু।
প্রথম দিনঃ কাশ্মীরে আমরা পৌছাই ১৫ই আগস্ট সকালে। ভারতের স্বাধীনতা দিবসের জন্য বিমান বন্দরে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকল ফরমালিটি শেষ করে আমরা দুইজন ক্যাব খুঁজতে শুরু করি। এর মাঝে বিমান বন্দরেই পরিচয় হয় সুলতান নামের এক কাশ্মীরি ভাইয়ের সাথে। যিনি কাশ্মীরের ট্যুরিসম এসোসিয়েশনের সাথে জড়িত। বিভিন্ন যায়গায় দামাদামি করে তার কাছে গিয়ে পুরো ট্যুর প্ল্যানটা সাজাই। বেশ কিছুক্ষন কথা বার্তার পর আমাদের প্যাকেজ নির্ধারিত হয় হাউজবোটে ৩ রাত, পেহেলগামে ১ রাত, সকালের নাস্তা, রাতের খাবার, এয়ারপোর্ট পিক-আপ থেকে শুরু করে শেষদিন এয়ারপোর্ট ড্রপ সবসময়ের জন্য গাড়ী, বিখ্যাত ডাল লেকে নৌকা ভ্রমন। অনেকেই ডাল লেকে হাউজ বোটে থাকেন ১রাত/বেশী। আমাদের হাউজ বোটটা সরাসরি ডাললেকে ছিল না, তবে ডাল লেকের একটু পাশেই জিরো ব্রিজের পাশে ছিল। ডাল লেকের হাউজ বোট গুলো সাধারন একটার সাথে আরেকটা লাগানো থাকে। লেকের ভেতরে থাকে। তাই একদিকে যেমন যাতায়াত করতে নৌকার প্রয়োজন হয়, অন্যদিন মানুষের আনাগোনা অনেক বেশী থাকে। এদিক থেকে আমাদের হাউজবোটটা অনেক ভালো ছিল। জিরো ব্রিজের পাশের ওই হাউজ বোটের চারিপাশে আর তেমন কোন হাউজবোট ছিল না+ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা+ সরকারী পানি, বিদ্যুৎ সহ সকল সুবিধা + খুব সহজেই বাইরে যাওয়া আসা করা যায়। আমরা প্রথম দিন সময় দিয়েছি শ্রীনগের ভেতরেই। এর মাঝে ছিল ডাল লেকে নৌকা ভ্রমন, নেহেরু পার্কে ঘুরা, কাশ্মীরী জামা পরে ছবি তোলা আরো অনেক কিছু। শ্রীনগরের সবচেয়ে বড় আকর্ষন এই ডাল লেক।
ডাল লেকে নৌকা ভ্রমনঃ
অপূর্ব সৌন্দর্য্যের অধিকারীনি এই ডাল লেক। বহু ছবি দেখেছি কিন্তু এর থেকে হাজার গুনে সুন্দর এই ডাল লেক। সন্ধ্যা পর্যন্ত ডাল লেকে থেকে আমরা চলে যাই ডাল লেকের পাশেই এক মার্কেটে। ভাসমান এই মার্কেট সরকারী অনুমোদন প্রাপ্ত। এখানে প্রায় সব কিছুর দাম নির্দিস্ট। আপনি যেকোন কিছু কিনলেই ওরা রশিদ দিবে। ডলার, রুপি, মাস্টারকার্ড, ভিসা কার্ড যেকোন ভাবেই আপনি বিল পরিশোধ করতে পারবেন। এখানে শাল, জ্যাকেট, জাফরান, বাদাম, আখরোট, কিসমিসসহ নানান আইটেম পাবেন। নিজেকে কন্ট্রোল না করলে শুধু কিনতেই থাকবেন। রাত ১০টায় আমরা ফেরত আসি হাউজবোটে। তারপর ঘুম।
দ্বিতীয় দিনঃ আজকের প্ল্যান শুধুই গুলমার্গ। সকাল ৯টার মধ্যেই আমরা নাস্তা খেয়ে তৈরি হয়ে গেলাম। হাউজবোটের মালিক খুবই ভাল ছিলেন। উনি আমাদের জন্য সিম সংগ্রহ করে দিলেন, তাতে ডাটা প্যাকেজ, টক টাইম নিজেই রিচার্জ করে এনে দিলেন। সব কিছু নিয়ে আমরা শুরু করলাম গুল্মার্গের দিকে যাত্রা। শ্রীনগর থেকে গুল্মার্গ প্রায় দেড় ঘন্টার যাত্রা। রাস্তার আঁকাবাঁকা পথ বেঁয়ে কয়েক হাজার ফিট উপরে উঠে গেলাম। যাত্রা পথের সৌন্দর্যই অনেক সুন্দর। আমরা চিন্তা করছিলাম এর চেয়েও সুন্দর না জানি কি অপেক্ষা করছে উপরে। উপরে উঠতেই অনেক গুলো লোক আমাদের জোঁকের মতো ধরে বসলো। তারা আসলে ঘোড়ার মালিক। এখন পর্যটকের সংখ্যা কম তাই যাকেই পাচ্ছে সবাই ধরে বসছে। আমরা প্রথমে সবাইকে এড়িয়ে চলে হাঁটতে থাকলাম। বেশ কিছু দূর আসার পর ২জন ছাড়া বাকি সবাই পিছু ছাড়লো। এর মাঝে তাদের সাথে দামাদামী করে দুটি ঘোড়া নিলাম। উদ্দেশ্য পুরো গুল্মার্গের এলাকাটা ঘুরে দেখবো ঘোড়ায় চড়ে। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো, ঘোড়ার দামাদামীর ব্যাপারে আপনাকে অবশ্যই অনেক বেশী পারদর্শী হতে হবে।
যা চাইবে কখনই তার ৫০% এর বেশী দামে উঠবেন না। এছাড়াও তারা আপনাকে বোর্ড দেখাবে যেখানে ভাড়া লেখা ওটার দিকে তাকাবেনও না। তারা এই সুযোগই খুঁজে। আমরা গুল্মার্গের প্রায় প্রতিটা জায়গা অনেক সময় নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছি। বিভিন্ন যায়গায় থেমে থেকে ছবি তুলেছি। গুল্মার্গ দারুন সুন্দর একটি যায়গা। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথের সাথে ছবির মতো লাগানো পাইন ট্রি গুলো অপূর্ব করে তুলে ধরেছে গুল্মার্গের সৌন্দর্যকে। ঘোড়ার রাইড শেষে আমরা পাশেই এক হোটেলে বসে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই।
গুল্মার্গঃ
কাশ্মীরি ওয়াজওয়ান, সিভেইন, কাশ্মীরি বিরিয়ানী দিয়ে ভরপেট খাই। ইচ্ছা ছিল দুপুরের পরপরই ক্যাবল কারে চড়বো। কিন্তু বাধ সাধলো বৃষ্টি। গুল্মার্গে এই বৃষ্টির কোন টাইম টেবিল নাই। প্রচন্ড বাতাসের সাথে বৃষ্টি পরতে লাগলো। হঠাত করেই মনে শীত জেঁকে বসেছে। আমরা আর ক্যাবল কারে উঠতে পারলাম না। মন কিছুটা খারাপ করেই ফেরত আসলাম। ফিরতি পথে গেলাম এক আপেল বাগানে। কাশ্মীরে প্রচুর আপেল ধরে। তাদের এই আপেল ব্যবসাই অনেক বড় ব্যবসা। কিছুক্ষন আপেল বাগানে ঘুরে চলে আসলাম হাউজবোটে। একটু ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম জিরো ব্রিজে। সম্পূর্ন কাঠের তৈরি এই ব্রিজটি অপূর্ব কারুকাজের তৈরি। সন্ধ্যায় অনেক মানুষ এখানে আসে সময় কাটাতে। রাতের ১৬-১৭ ডিগ্রির হাল্কা ঠান্ডা বাতাসে এখানে বসে থাকতে যে কারো ভালো লাগবে। সবশেষে খেয়ে ঘুম।
তৃতীয় দিনঃ এদিন আমাদের প্রধান গন্তব্য সনমার্গ। আগের দিন বরফ পাইনি, ক্যাবল কারও মিস হয়েছে। তাই এদিন ইচ্ছা ছিল সব ঘুরবো যেভাবেই হোক। সোনমার্গে যাওয়ার পথে হযরত বাল মসজিদ ঘুরে যাই। ডাল লেকের পেছনের সাইডে এই মসজিদটি অনেক বড় যায়গার উপর উঠেছে। বেশ কিছু ছবি তুলে আমরা আবারো সোনমার্গের দিকে যাত্রা শুরু করি। সোনমার্গের যাওয়ার রাস্তাটি চোখ জুড়ানো। বিভিন্ন যায়গায় থেমে আমরা ছবি তুলেছি, দাঁড়িয়ে দেখেছি। সোনমার্গে পৌঁছানোর পর আবারো সেই ঘোড়ার মালিকরা ছুটে আসলো। এখানেও একই অবস্থা। পর্যটক কম। তাই সবাই ধরে। অনেক দামদামীর পর আমরা দুটি ঘোড়া নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম। আমাদের যাত্রা ছিল শেষ পয়েন্ট পর্যন্ত। গ্ল্যাসিয়ের পয়েন্টে বরফ আছে তাই ওখানে কোনভাবেই মিস করা যাবে না এভাবেই গেলাম। এখানেও পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে ঘোড়া উঠে অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে গেল। মাঝে অনেক সুন্দর কিছু স্পটে দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম। এখানে কয়েকটি পিকনিক স্পট আছে যেখানে অনেকেই পিকনিক করে। কেউ কেউ ক্যাম্পিং করে। গ্ল্যাসিয়ের পয়েন্টের নিচে যখন পৌঁছাই তখন আমাদের দুইজনেরই খুব শ্বাস কষ্ট হতে থাকে। পানি কিনে নিচের ক্যাম্পে আমরা বসি। ক্যাম্পে নুডুলস সহ নানান খাবার পাওয়া যায়।
একটু জিরিয়ে আমরা উপরে ওঠা শুরু করি। যতটুকু কষ্ট হবে মনে করেছিলাম বাস্তবে তার অনেক বেশী কষ্ট হয়েছে। এবং তার যতটা না দূরত্বের জন্য, তার চেয়ে বড় সমস্যা ছিল উচ্চতা জনিত। আমরা একটু দূর পরপরই পানি খেয়ে বসে তারপর উঠেছি। উপরে উঠে বরফ হাতে ধরার পর সব কষ্ট পানি হয়ে গিয়েছিল। কিছুক্ষন থেকেই আবার নামা শুরু করি। এবার চ্যালেঞ্জ পাথরের অসংখ্য টুকরোর মাঝে দেখে দেখে পা ফেলে খাড়া পাহাড় থেকে নামা। ঘোড়ায় করে যাওয়া, পাহাড়ে ওঠা, নামা, ফেরত আসা সহ এই পুরো ভ্রমনটি ছিল প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টার। আমরা ফেরত আসার পথে যাই বিখ্যাত নিশাত গার্ডেনে। আমার জীবনে দেখা এটাই সবচেয়ে সুন্দর বাগান। চারিদিকে শুধু ফুল আর ফুল। খুবই যত্নের সাথে এই ফুল গুলো লাগানো। একপাশে পাহাড়, আরেক পাশে ডাল লেক থাকার কারনে এই বাগানটির সৌন্দর্য্য আরো অনেক গুনে বেড়ে গিয়েছে।
আমরা নিশাত বাগান থেকে সন্ধ্যার আগ দিয়ে বের হয়েই আবার নৌকা ভ্রমনে বের হই ডাল লেকে। ডাল লেকে কেউ যদি ৭দিনও নৌকা নিয়ে ঘুরে তাও শখ মিটবে না। এতোটাই সুন্দর।
৪র্থ দিনঃ এদিন আমরা সকাল সকাল রওনা দেই পেহেলগামের দিকে। পেহেলগাম শ্রীনগর থেকে একটু দূরে। প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘন্টার রাস্তা।পেহেলগামে পৌছেই আমরা হোটেলে আগে উঠি।
পেহেলগামে হোটেল হাইল্যান্ড। এই হোটেলেই ছিলাম। প্যাকেজের আওতায় থাকা এই হোটেলটি অনেকটা ৩ স্টার হোটেলের মতোই এই যায়গার কথা চিন্তা করলে। দ্রুত ফ্রেশ হয়ে আমরা চলে যাই আবারো ঘোড়ায় করে বিভিন্ন যায়গা ঘুরার জন্য। এই রাস্তাটা অন্যান্য রাস্তার চেয়ে বেশী দুর্গম। অনেক আঁকাবাঁকা পথ বেঁয়ে স্পট গুলোতে যেতে হয়। বাইসারান যাকে পেহেলগামে মিনি সুইজারল্যান্ড বলা হয় সেটি হচ্ছে শেষ স্পট। গলফ কোর্সের মতো বিশাল এই ভুমি।
চারিপাশ সারিসারি পাহাড়ে ঘেড়া। যেন ছবি। বেশ কিছুক্ষন আমরা বাইসারানে থেকে অন্য পথে নিচে নেমে আসলাম। যাওয়া এবং আসার পথেই অনেক গুলো স্পট আছে যেখানে আপনি ছবি তুলতে পারবেন। এখানে ঘোড়ায় চড়ার ব্যাপারে যথেষ্ট সাবধান থাকতে হয়। রাস্তা খুব উঁচু নিচু। তাই আস্তে আস্তে যাওয়া আসাই উত্তম।নিচে নেমেই আমরা প্রথমে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। তারপর একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে বেরিয়ে যাই আরু ভ্যালি এবং বেতাভ ভ্যালির উদ্দেশ্যে। বলে রাখা দরকার পেহেলগামে শ্রীনগর থেকে আনা কোন ট্যাক্সি চলে না। এখানে নিজস্ব পরিবহন আছে। তাদের ভাড়াও ফিক্সড। দামাদামি করতে পারবেন না। নির্দিস্ট ভাড়াতেই চলে তারা। প্রাইস রিজনেবল। প্রথমেই যাই আরু ভ্যালি। প্রায় ১৪-১৫ কিঃমিঃ দূরে থাকা আরু ভ্যালি মুলত পাহাড়ের উপর থেকে অপূর্ব সৌন্দর্য্য দেখার জন্য বিখ্যাত। সাথে যোগ হয় আরু ভ্যালি যাওয়ার সময় রাস্তায় পাহাড়ি ঝরনা গুলো। একটার চেয়ে আরেকটা সুন্দর। কোনটা রেখে কোনটা দেখবেন এটাই একসময় ধাঁধাঁ লেগে যায়। আমরা প্রায় দেড় ঘন্টা ছিলাম আরু ভ্যালিতে। ওখান থেকে কাছেই বেতাভ ভ্যালি।
এই ভ্যালিটি প্রাকৃতিক + মানুষের সাজানোর এক অপূর্ব সমন্বয়। পাহাড়ি ঢল দিয়ে বেঁয়ে পরা পানি সাথে চতুর্দিকে ঘেরা পাহাড়। সারিসারি গাছ, মাঝে পার্কের মতো যায়গা, ছোট ব্রিজ। অনেক বেশী সুন্দর।
এজন্যই অনেকে পেহেলগামকে কুইন অফ কাশ্মীরও বলে। পরিবার নিয়ে ঘুরে আসার জন্য সব চেয়ে ভালো যায়গা। এখানে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেয়া কোন ব্যাপারই না। আমাদের দুর্ভাগ্য যে সময় কম ছিল। সন্ধ্যা পর্যন্ত থেকে মাগরিবের পর ফেরত আসি।
৫ম দিনঃ এদিক সকাল ৫টার পরপরই আমরা শ্রীনগরের দিকে যাত্রা শুরু করি। ১০ঃ৪৫ এর ফ্লাইট ধরি।
পুরো ট্যুরটাই ছিল আমার জন্য স্বপ্নের মতো। খরচ হয়েছে ভালোই।কিন্তু যা দেখেছি তার কাছে খরচ কিছুই মনে হয় না। অমূল্য।
নিচে খরচের একটা হিসাব তুলে ধরছিঃ (জন প্রতি)
ভিসাঃ ৬০০
টিকেটঃ
ঢাকা-বেনাপল (সোহাগ এলিট) = ১৮২০/-
কলকাতা-দিল্লী-শ্রীনগর (রিটার্ন)= ১৫,৩০০/- (এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো)
কলকাতা-বাংলাদেশ= ৫৬০০/- (বাংলাদেশ বিমান)
প্যাকেজ খরচ= ১১,৫০০ রুপি (১৫,৫২৫/-)
প্যাকেজের বাইরে অতিরিক্ত একদিন নৌকা ভ্রমন= ৪০০ রুপি (৫৫০/-)
গুল্মার্গ ঘোড়া= ৩০০ রুপি (৪০০/-)
সোনমার্গ ঘোড়া= ৮০০ রুপি (১১০০/-)
পেহেলগাম ঘোড়া= ৮০০ রুপি (১১০০/-)
পেহেলগাম গাড়ী= ১১৫০ রুপি (১৫৫০/-)
বেতাভ ভ্যালি এন্ট্রি= ১০০ রুপি (১৩৫/-)
খাবার= দুপুরের খাবার+ আনুসাঙ্গিক নানান খাবার ৩০০০ রুপি (৪০০০/-)
অন্যান্য= ৪০০০/-
-----------------------------------
হাউজবোট শ্রীনগর জুলেখা ডিলাক্স (মালিকঃ মঞ্জুর ভাই= +৯১৯৪১৯৪৭৮১৫৫)
ড্রাইভারঃ সাব্বির (+৯১৭০০৬২৫৯৪০০)
নৌকার মাঝিঃ নজিবর (+৯১৯৬২২৮৭৬৭৭১)
এছাড়াও আমরা কলকাতা, দিল্লীতে অনেক কিছু খরচ করেছি যা এখানের হিসাবের মধ্যে আনলাম না। আশা করি অনেক তথ্য দিতে পারলাম। আরো লাগলে অবশ্যই বলবেন। চেষ্টা করবো।
সিয়াম
Tags:
ভ্রমণ