ডার্ক ইবোলা (শেষ পর্ব)


প্রথমে চিনতে না পারলেও ধীরে ধীরে বুঝতে পারল যে তার পাশে পড়ে আছে অ্যানার মৃত পচতে থাকা দেহটা।দেহে এতটাই পচন ধরেছে যে মৃতদেহ পাচন রস আর পোকার দখলে চলে গেছে।চারপাশটা আরেকটু ভাল ভাবে দেখতেই ইরিনার গায়ের লোম শিউরে উঠল।শিরদারা দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল।অ্যানার পাশেই রয়েছে একটা অদ্ভুত জীব।উচ্চতা প্রায় তিনফুটের মতো। শরীরে কোনধরনের লোম নেই।বড় বড় চোখ এবং কৃশকার শরীর।আর দেহ ছেদ করে হৃৎপিন্ডের বদলে দেখা যাচ্ছে একটি বিশালাকৃতির পতঙ্গ।

আর কিছু দেখতে পেল না ইরিনা।হঠাৎ একটা আলোর ঝলকানিতে ইরিনার চোখ ঝাপসা হয়ে উঠল। তিব্র আলোর রশ্মি ইরিনা চোখ ধাধিয়ে দিল। আর তারপরই ঘটল এক অদ্ভুত ঘটনা। অ্যানার শরীর থেকে পচা মাংসগুলো খুবলে খুবলে উঠে গিয়ে সেই অদ্ভুত জীবের শরীরে গিয়ে জোড়া লাগতে শুুরু করল। পচা রক্ত আর পচা মাংস গুলোর রস ছিটকে পরতে লাগল ইরিনার শরীরে। আর ওদিকে ধীরে ধীরে গড়ে উঠতে শুরু করল মারলিনের শরীর। কি বিভৎষ্য সে দৃশ্য.!অদ্ভুত প্রানীটার শরীরের রং পরিবর্তন হতে শুরু করল। উচ্চতাও বাড়তে লাগল। তবে ইরিনা সবচেয়ে বেশি অবাক হলো যখন অদ্ভুত জীবটার মুখের আকৃতি পরিবর্তন হতে শুরু করল।" ইথান.! "
যেন অবিকল ইথানের ক্লোন তার পাশে শুয়ে আছে।এটা কি করে হতে পারে? ইথানিই কি তবে মারলিন.! নাকি শয়তানটা ইথানকে কপি করছে? এসব নিয়ে এক গভীর ধাধায় পড়ে গেল ইরিনা।তবে বেশিক্ষন ভাবনায় ডুবে থাকতে পারল না।তার আগেই নিজেকে কেমন জানি অদ্ভুত জগতে অনুভব করল। একটু আগেই যে ভয়ঙ্কর আতঙ্কের মধ্যে ছিল,সেটা নিমিষেই উবে গেল তার।নিজেকে কেমন জানি হালকা অনুভব করল ইরিনা।সবকিছু স্লো-মোশনে ঘটতে থাকল।
- কি ভাবছ?
হঠাৎ পিছন থেকে কারো আওয়াজ শুনল ইরিনা।পিছনে তাকাতেই প্রচন্ড অবাক হলো।হুবহু ইথানের মতো কেউ দাড়িয়ে আছে তার সামনে।ইরিনা অবাক হয়ে বলল,"ইথান তুমি?"
ইরিনার কথায় অদ্ভুত ভাবে হেসে উঠল ইথান।"ইরিনা তুমি আমাকে চিনতে পারলে না? আমি তো গড অফ ডেভিলস মারলিন।" বলেই আবার হো হো করে হেসে উঠল মারলিন।
ইরিনা মারলিনকে সেভাবে না জানলেও এই কয়েকদিনের অভিজ্ঞতায় সে বেশ ভালই বুজতে পেরেছে যে মারলিন কোন সাধারন কেউ নয়। সে এক শয়তান। কিন্তু মারলিন যদি ওর সামনে হয় তাহলে ওর গর্ভে যে আছে,সে কে? সব কিছু কেমন গোল-মেলে ঠেকছে তার। একটু ভয় আর কৌতুহলী কন্ঠে বলল," মারলিন তুমি ইথানের চেহেরায়? আর তুমি এখানে কিভাবে? আমিই বা এখানে কেন?"
"ইরিনা,আমিই গড অফ ডেভিল আর আমিই ইথান।তুমি যাকে এতদিন ইথান বলে চেনো সে আসলে আমারই পূর্ন জন্ম। আর আমি তার প্রথম জন্ম। আর তুমি?
তুমি আছো আত্মাদের ইউনিভার্সে।যোখানে শুধু আমার পছন্দের মানুষের আত্মারা থাকে।",
" কিন্তু আমি এখানে কেন? তাহলে আমি কি মরে গেছি? আর আমার সাথে তোমার কি শত্রুতা? তুমি আমার সাথে এমনটা করছই বা কেন? ",অনেকটা কাদো কাদো হয়ে বলল ইরিনা।
" ইরিইইনা,আসলে তুমি সোল অফ ইউনিভার্সে আমার মায়াজালে আটকা পড়ে গেছো। এখন তোমার আত্মা জীবত,কিন্তু তোমার শরীর মৃত ",বলেই মারলিন অট্টহাসিতে মেতে উঠল।
·
এদিকে আফাফ আর ইথান একটা বদ্ধ ঘরে বন্দি। ঘরের ভিতর কয়েকশ এজেন্টের বিভৎষ্য লাশ পড়ে আছে।ইদুরের মানুষের গোশত খাওয়ার কুটকুট শব্দও শোনা যাচ্ছে।লাশগুলো পচতেও শুরু করছে।এমন একটা ঘরে দুজনে দু-দিন ধরে বন্দি হয়ে পড়ে আছে।খাওয়া-দাওয়া নেই।অবশ্য খাবার হিসেবে দুটো বান আর গোশতের কাবাব দেওয়া হয়েছিল।তবে যখন শুনেছে,এই গোশত মৃত এজেন্টদের,তখনই সব কাবাব ছুড়ে ফেলে দিয়েছে দুজনে।
- ইথান,ক'টা বাজে?
ইথান ঘড়ি দেখে বলল," বারো'টা "
- ওকে রেডি হয়ে নাও। আমাদের যাওয়ার সময় হয়ে গেছে।
" মানে? রেডি মানে? আর কেমন করে যাব? ",বলেই হাত নড়াতেই দেখল ইথানের হাত খোলা। আফাফ মুচকি হাসল।আর ইথান একটু অবাক হয়ে বলল," এটা কিভাবে করলে? "
- সবটাই এই ঘড়ির কাজ। এর আল্ট্রা লেজার ডিএনএ বিম আমাদের ক্ষতি ছাড়াই হ্যান্ডকাপ কেটে ফেলেছে।
" হোয়াট? এটা তুমি এখন বলছ? এই কাজটা দু-দিন আগে করলে কি হতো? ", অনেকটা রেগে বলল ইথান।
ইথানের কথায় আফাফ শান্ত গলায় বলল, " হ্যা,এটা ঠিক পারতাম।কিন্তু আমি এ দু-দিনে আমি আমাদের যাওয়া জন্য পারফেক্ট টাইম খুজতেছিলাম।যেটা আমি পেয়ে গেছি।তুমি লক্ষ করলে দেখবে,এই সময় সব সোলজার এক সাথে খাবারের পর ঘুমিয়ে পড়ে। শুধু গার্ডরা বাদে। বুঝতে পারছ? ", বলেই আফাফ একটা মেকি হাসি দিল। ইথানের এই হাসির মানে বুঝতে বাকি রইল না।
আফাফের হ্যান্ড ওয়াচ দিয়ে দরজার লক কেটে বেড়িয়ে পড়ল দুজনে।ফাইভ ডি ডায়মেনশন লেজার বিমের সাহায্যে ঘড়িকে অনলাইন কানেক্ট করার মাধ্যমে সম্পূর্ণ মিলিটারি ক্যাম্পের ম্যাপের হলো-গ্রাফিক চিত্র ফুটে উঠল। ইথান আর আফাফ তাদের জিপিএস ট্রাকিশনের মাধ্যেমে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ঘড়ির একটা সুবিধা হলো এর মাধ্যমে সামনে কোন লোক থাকলে তার অবস্থান লাল এ্যারো দিয়ে জ্যাম দেখাবে। কিছুদুর এভাবে এগোনোর পর হঠাৎ থেমে গেল আফাফ। তাদের ডান দিকের দেয়ালের ঠিক দুই ফুট নিচে একটা বাদামী রঙের দরজা। কিন্তু এই দরজার কোন লোকেশন এই ম্যাপে নেই। কিছুক্ষন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে ইথান বলল," আফাফ ব্যাপারটা বুঝতে পারছ।মনে হয়,এটা একটা হাইডেন ডোর। যা লোকচক্ষুর আড়ালে রাখা হয়েছে। যাতে কখনো যদি শত্রুপক্ষ এই ক্যাম্পে আক্রমন করে বা অন্য কোন কারনে কোন দুর্ঘটনায় ঘটলে দ্রুত বের হওয়ার জন্য এই দরজা বানানো হয়েছে।"
"হুম।সেটা না হয় বুঝলাম।বাট এখন আমরা কি করব? যাব এই রাস্তা দিয়ে.! ",একটু গম্ভীর স্বরে বলল আফাফ।
"তোমার কি মনে হয়?"
" রিস্ক নেওয়া যেতে পারে অবশ্য।সামন দিয়ে গেলে নাতাশার মুখোমুখি হতে হবে।তাতে সময়ও খরচ হবে।তার চেয়ে বরং এই দিক দিয়েই যাই। পরে যা হবে দেখা যাবে "
এদিকে আফাফের কথা শেষ হতেই আফাফের ঘড়ির হলো-গ্রাফিক ম্যাফে কয়েকজন সোলজারের লোকেশন তাদের দিকে এগুনোর এ্যারো দেখাচ্ছে। স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্ম বেজে উঠল ঘড়িতে। দুজনেই বেশ চমকে উঠল।"ওহ মাই গড।এবার তো এই হাইডেন ডোরই শেষ ভরসা" বলেই দরজায় ধাক্কা দিল ইথান। সাথে সাথে দরজা খুলে গেল। ভিতর থেকে হালকা নীল আলোর রশ্মি আসছে।ইথান আর আফাফ আর দেড়ি করল না।মাথা নিচু করে গড়িয়ে গেল দরজার ভিতরে।সাথে সাথে দরজা বন্ধ হয়ে গেল। এদিকে নাতাশার সোলজার'রা বন্দীদের খুজে না পেয়ে সমস্ত ক্যাম্পে রেড এলার্ম বাজিয়ে দিয়েছে। তন্নতন্ন করে খোজা হচ্ছে তাদেরকে।
ওদিকে ইথান আর আফাফ হামাগুড়ি দিয়ে সামনে এগুতেই আছে। অবশ্য ধীরে ধীরে বিস্তর লাভ করছে সামনের পথ। আর কিছুদুর যেতেই হঠাৎ কিছু একটা ছাউনি মতো দেখতে পেল দুজনে।যাওয়ার গতি বাড়িয়ে দিল।পাথর কেটে সুরঙ্গটা বানানো হয়েছিল হয়তো।ভাঙা পাথরের ধারাল মাথা দিয়ে বেশ জায়গায় ছিলে যাচ্ছে দুজনের। তবুও থামার অবকাশ নেই। ছাউনির নিচে এসে শোয়া থেকে উঠে চারদিকটা ভাল করে তাকাল।
" ওই মাই গড। এতগুলো অ্যাকুয়া লাঙ ",প্রচন্ড অবাক হয়ে বলল ইথান।
ইথানের কথায় আফাফও বিস্ময়চোখে তাকিয়ে আছে অ্যাকুয়া লাঙ গুলোর দিকে। এত গুলো ডবুরির পোশাক এখানে! সেটাও আবার মাটির এত গভীরে।কিন্তু কেন? এগুলো দিয়ে এখানে নিচে কি হবে?
বেশিক্ষন লাগল না মাটির নিচে এতগুলো অ্যাকুয়া লাঙ থাকার কারন জানতে। কিছুক্ষনের মধ্যেই সবটা বুঝতে পারল দুজনে,যখন তাদের থেকে একটু দুরে ঝর্নার অনর্গল পানি পরার আওয়াজ শুনতে পেল।ছাউনির উপর লাল বাল্ব টিপ টিপ করে জ্বলছে।সেই আলোতে পরিষ্কার দেখা না গেলেও বেশ ভালই বোঝা যাচ্ছে ঝর্নার পানি পড়ে এখানে একটা প্রাকৃতিক হ্রদ সৃষ্টি হয়েছে। আর তার মধ্যে দিয়ে খুব সামধানে যাওয়ার জন্যই এখানে এতগুলো অ্যাকুয়া লাঙ রাখা হয়েছে।সম্ভবত কোন কুমির বা ভয়ঙ্কর জলজ প্রানী পানিতে নেই। না হলে কেউ অ্যাকুয়া লাঙ পড়ে নিজেকে যেচে গিয়ে জলজ মানুষখেকো জীবের পেটে দিতে যাবে না।
তাড়াতাড়ি সমস্ত সরঞ্জাম সেট করে পানিতে নেমে পড়ল দুজনে। চামড়ার ভারি আবরন ভেদ করেও পানির ঠান্ডার প্রকোপ বোজা যাচ্ছে। ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগুচ্ছে দুজনে। মিনিট ত্রিশেক চলার পর অবশেষে পারে এসে পৌছাল ইথান এবং আফাফ। ডুবরির ড্রেস খুলে মাটিত একটু বিশ্রামের জন্য বসতেই টপ টপ করে লাইট জ্বলে উঠল।ইথান আর আফাফ চমকে উঠে দাড়াল।পকেটে রাখা ড্যাগার নাইফটা বের করে আফাফকে দিল। আর কোমরে গুজে রাখার ডেজার্ট ঈগল নিজে নিল।আর তখনই লোহার দরজা ঠেলে বের হয়ে আসল নাতাশা।
" ওয়েলকাম মি. আফাফ এন্ড মি. ইথান। ডার্ক ওয়ার্ল্ডে আপনাকে স্বাগতম "
আফাফ আর ইথান নাতাশাকে দেখে ভুত দেখার মতো চমকে উঠল।
- নাতাশা। তুমি এখানে?
- নো। আমি নাতাশা নই। আমি হলাম ডার্ক কুইন।
- হোয়াট?
হঠাৎ দরজা ঠেলে বেরিয়ে আসল বিচ্ছিরি চেহারার এক মানব।মাথার ডান পাশটা লোহার প্লেট দিয়ে ঢাকা।মুখটা বিচ্ছিরি ভাবে পোড়া।মুখ আর নাকটা ঢাকা লোহার মাক্স দিয়ে।বুক থেকে কয়েকটা সরু তার বেরিয়ে সেই মাক্স এর সাথে লেগেছে।
- ইয়েস,মি. ইথান। সি ইজ ডার্ক কুইন। ওয়াইফ অফ মাইন। আই মিন ওয়াইফ অফ ডার্ক ইবোলা। –হাসতে হাসতে বলল
- ডার্ক ইবোলা। ইউ? –বিস্ময় চোখে বলল আফাফ।
- ইয়েস,মি. আফাফ।আমি!
এদিকে ডার্ক ইবোলাকে দেখে প্রচুর রাগ হচ্ছিল থাকল ইথানের।চোখের সামনে ভেসে উঠতে থাকল নিজের বাবা-মায়ের কথা,ইরিনার কথা। জেগে উঠতে থাকল প্রতিশোধের স্পৃহা।তাই দেড়ি না করে হাতে থাকা ডেজার্ট ঈগলের ট্রিগারে আঙুল রেখে দৌড়ে গিয়ে ডার্ক ইবোলার মাথায় সেটে দিল।
- ইউ ব্লাডি ইডিয়েট।ইউ কিল মাই প্যারেন্টস।ইউ কিডনাপ মাই ওয়াইফ।আই নেভার ফরগিভ ইউ।আই উইল কিল ইউ ব্লাডি।
হাজবেন্ডের মাথায় গান ধরা দেখে ডার্ক কুইন হাতে রাখা ন্যানোমাইটের গানটা ইথানের দিকে তাক করল।তবে সে ভুলে গেছিল আফাফ তখনও বাকি ছিল।আফাফও ড্যাগার নাইফটা নাতাশার গলায় ধরে বলল " ইথান কন্ট্রোল ইউর সেলফ "
" সরি, আফাফ।ফরগিভ মি।আই ক্যান্ট ডু দিস। আজতো আমি একে মেরেই ফেলব। " বলেই যখনি ট্রিগারে চাপ দিতে যাবে তখনি পিছনে দরজা সহ দেয়াল উপরে উঠে গেল। আর তখনই ইরিনার অর্ধ-মৃত দেহটা দেখতে পেল ইথান। এদিকে আফাফের চোখের দিকে তাকিযে পৈশাচিক হাসি দিয়ে বলল,
- সারপ্রাইজ মি. ইথান।
ইরিনাকে এমন অবস্থায় দেখতে পেয়ে ইথান হাতের গানটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে ইরিনার দিকে ছুটে চলল। কিন্তু তার আগেই ডার্ক ইবোলা ইথানের পেটের ভিতর জামার হাতার নিচে লুকিয়ে রাখা চাকুটা ঢুকিয়ে দিল।চিৎকার করে ধপ করে পিছন ফিরে পড়ে গেল ইথান।আর আফাফ?
নিজের পার্টনারের এমন অবস্থা দেখে ইরিনার গলায় চাকু দিযে একটা পোচ দিয়ে দৌড়ে এসে ডার্ক ইবোলার পেটে ঢুকিয়ে দিল। কিন্তু ডার্ক ইবোলার কিছুই হলো না।উল্টো অদ্ভুত ভাবে সেই চাকু ধীরে ধীরে খসে পড়ে গেল।
হঠাৎ করে মৃত্যুর এমন কাছে এসেও ডার্ক ইবোলা আফাফের কাধের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে হাসতে থাকল।মাথা দিয়ে ঈশারা করে পিছন তাকাতে বলল আফাফকে।আফাফ পিছন ফিরে তাকাল।পিছন ফিরে তাকাতেই দেখতে পেল ইরিনার দেহ থেকে ঝাপসা মেরুন কালারের কিছু একটা পাশে থাকা মারলিনের দেহটার ভিতর ঢুকছে। আর ইরিনা যন্ত্রনায় চিৎকার করে বার বার কেপে কেপে উঠছে। আফাফের বুজতে বাকি রইল না যে কি হতে চলছে? কি করবে কিছু ভাবতে না পেরে অবশেষে ডার্ক ইবোলার হাত থেকে চাকুটা কেড়ে নিয়ে দৌড়ে গিয়ে ঝাপিয়ে পড়ল ইরিনার দেহটার উপর। ছুড়িটা ইরিনার বুকে লাগতেই একটা বিষ্ফোরনে ছিটকে পড়ল সবাই। প্রচন্ড বড় একটা আলোর ঝলকানি ছুটে এগিয়ে আসল ইথানের অজ্ঞান হওয়া দেহটার উপর।আর তার কিছুক্ষন পরেই ধ্বংসাত্বক ডার্ক ওয়াল্ডে একটা দেহ হাওয়ায় ভাসতে থাকল।সে দিকে তাকিয়ে ঝাপসা চোখে আফাফ ভগ্নকন্ঠে অস্পস্ট স্বরে "ইথান" ইথান বলে নিস্তব্ধ হয়ে গেল।
·
(এক মাস পর)
একটা চিঠি এসে পৌছেছে বাংলাদেশের সূদুর উত্তরের পঞ্চগর জেলার একটা দোতালা বাড়ির গৃহকর্তার হাতে।খুব ধীরে ধীরে চিঠির ভাজ খুলছেন।
·
১৭.০৭.১৯ ইং
ওয়ালিংটন,নিউজিল্যান্ড
ডিটেকটিভ হেনা ভাই আপনাকে এখন পৃথিবীর দরকার।গড অফ ডেভিলস মারলিনকে ধ্বংস করতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইন্টালেজিন্স সংস্থা 'হাইড্রা'র দরকার আপনার। নিজেকে আর নিজের শিকরে বেধে রাখবেন না।
- আফাফ রহমান (ইন্টারপোল হেড)
চিঠি পড়ে মৃদু হাসলেন তিনি। বোঁচকা-বুচকি বাধতে শুরু করলেন। অবশ্য বোঁচকা-বুচকি বলতে তেমন কিছুই নেই তার।
·
গড অফ ডেভিলস মারলিন কার শরীরে প্রবেশ করল? সে কি আদৌও বেচে আছে? ইরিনা কোথায়? ইথানের কি হলো? ডার্ক কুইন আর ইলিয়ানা কে? তাদের শেষ পর্যন্ত কি হলো? সোল অফ ইউনিভার্সই বা কি?
সব জানতে পড়তে হবে "হাইড্রা - দ্যা আননোন মিশন"।
আর ইউ রেডি ফর দিস?

.......সমাপ্ত.......

Written by:- Sohanur Rahman Sohan

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম