মর্গ রহস্য (শেষ পর্ব)

হাসপাতাল থেকে লাশ চুরি হয়ে যাওয়া, লাশবাহী এম্বুলেন্স চুরি হয়ে যাওয়া এসব ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলো। পত্র পত্রিকা, টিভি সব জায়গাতেই হেডলাইন "অমুক হাসপাতাল থেকে লাশবাহী এম্বুলেন্স চুরি"। ডাক্তার রফিক মহা সমস্যায় পড়লেন। কোনভাবেই হিসাব মিলাতে পারছেন না। উল্টো ভয় পাচ্ছেন। এই ব্যাপারে মুখ খুললে খুনও হতে পারেন। উপায় খোঁজার চেষ্টা করছেন।
কাল্লু আসলো একদিন পরে। ডাঃরফিক,রাজিব,রাজিয়া সবাই তাকে ঘিরে ধরলো। তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল,কারা ছিলো, কি চায় তারা সবকিছু জানার চেষ্টা করল। ডাক্তার রফিক কাল্লুকে প্রশ্ন করা শুরু করলেন।
--কাল্লু কাউকে চিনতে পেরেছিস? কই নিয়েছিল তোকে?
(কাল্লু কাঁদতে লাগলো। স্যার ধমক দিয়ে আবার প্রশ্ন করলেন)
--কে ছিলো?
--স্যার কাউকে চিনিনি।
--কতজন ছিলো?
--তাও বলতে পারব না। আমি অজ্ঞান ছিলাম। যখন জ্ঞান ফিরলো তখন আমার গায়ে জামা কাপড় ছিলো না। চোখ বাঁধা ছিলো। মেরে ফেলতে চেয়েছিল। অনেক কান্নাকাটি করে অবশেষে আসলাম।
ডাক্তার চেয়ারটায় বসলেন। আজকে বাসায় যাবেন না তিনি। মর্গ পাহারা দিবেন। পুরো মর্গের আশেপাশে লোক লাগালেন যাতে কেউ এলেই ধরতে পারে। কিন্তু সে রাতে
আর কেউ আসেনি।
পরদিন ডাক্তার হাসপাতালে আসেন নি। দেশ বিদেশে তার বন্ধুদের সাথে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করছেন। সবাই কাল্লুকে সন্দেহের চোখে দেখছে। কিন্তু ডাক্তারের কখনো মনে হয় না কাল্লু এমন কাজ করতে পারে। তার সন্দেহ হচ্ছে রাজিয়াকে নিয়ে। হয়ত রাজিয়া নিজে এই কাজ করছে কিংবা রাজিয়াকে দিয়ে কেউ এই জঘন্য কাজ করাচ্ছে। সবার সাথে আলোচনা করে একটা বুদ্ধি বের করলেন তিনি। একদিনের জন্য মর্গ বন্ধ রাখবেন। রাজিয়া দিবেন রাজিয়াকে। যদি রাজিয়াই এই কাজের সাথে জড়িত থাকে তাহলে সে অবশ্যই লাশকাটাঘরে আসবে রাতে। আর তখনই পাহারারত কাল্লু, রাজিব তাকে ধরে ফেলবে। তারপর পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যাবে। এতবড় একটা সাহসী কাজের জন্য তিনি বাহবা পাবেন।
পরদিন সকালে। তিনটা লাশ আছে মর্গে। এক ঘন্টার ভিতর কাজ শেষ করে লাশগুলো আত্নীয়ের কাছে দিয়ে দেওয়া হল। তারপর নিজের প্ল্যান অনুসারে মর্গে তালা দিয়ে চাবি তুলে দিলেন রাজিয়ার হাতে। তারপর কাল্লুকে আলাদাভাবে ডেকে কিভাবে কি করতে হবে বুঝিয়ে দিয়ে উনি ক্লাস নিতে চলে গেলেন।
রাত একটা। রাজিয়ার দরজায় কড়াঘাত। অনেকক্ষণ ধরে দরজায় ঠকঠক করে আওয়াজ করছে কেউ। ভয়ে কথাও বলছে না রাজিয়া। কিছুক্ষণ চুপচাপ শোনল সে। কিন্তু দরজার আঘাত এত জোরে হচ্ছে মনে হচ্ছে এখনি দরজা ভেঙে ফেলবে। বিছানা থেকে উঠে একগ্লাস পানি খেয়ে নিল সে। কিছুটা সাহস সঞ্চার করে দরজার সামনে গেল।
--বাহিরে কে? কি হল এতরাতে কি চান?
কথা বলেন না কেন?
দরজার ওপাশ থেকে কোন উত্তর আসেনা। কিন্তু দরজায় আঘাত থামছে না।
বিছানায় গিয়ে বসলো রাজিয়া। কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা। স্যারকে ফোন দিবে ভেবেও এতরাতে বিরক্ত করবে না ভেবে ফোন দেয়নি। চাবিটা সিন্দুকে তালা দিয়ে রেখে দরজা খুললো সে। সাথে সাথেই রুমে ঢুকে রাজিয়ার মুখ চেপে ধরল আগন্তুক। মুখোশ পড়া। তাই চিনতে পারছে না সে। রাজিয়াকে চেয়ারে বেঁধে, চোখ বন্ধ করে দিয়ে পকেট থেকে টর্চ লাইট বের করল আগন্তুক। তন্নতন্ন করে পুরো ঘরে খোঁজ করল। কোথাও চাবি পেল না। ধরা পরার ভয়ে যদিও কথা বলার ইচ্ছা ছিল না আগন্তুকের কিন্তু মুখ ফসকে বেরিয়ে এলো,
--রাজিয়া চাবি কই?
(কন্ঠ শোনেই চিনে ফেললো রাজিয়া। কিন্তু মুখ বাঁধা থাকায় কথা বলতে পারছে না সে)
আরও মিনিট পাঁচেক খোঁজার পরেও চাবি না পেয়ে অবশেষে মুখোশ খুললো আগন্তুক। রাজিয়ার মুখও খুলে দিলো।
--কাল্লু ভাই তুমি?????!!!!
--হ্যা আমি। চাবি কই রাখছিস দে।
--তুমি লাশ চুরি কর?
--হ্যা করি। কথা কম। চাবি দে। মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে।
--তুমি লাশ চুরি করে কি কর? আমি চাবি দিবনা।
--কি করে জানতে হবে না তোর। তাড়াতাড়ি চাবি দে।
--আমি স্যারকে বলে দিব সব।
কাল্লু পকেট থেকে লাশ কাটার ধারালো ছুরি বের করে রাজিয়ার গলায় ধরলো। ভয়ে সিন্দুক থেকে চাবি বের করে দিল। চাবি পাওয়ার সাথে সাথেই চাকু দিয়ে রাজিয়ার গলায় হেঁচকা টান দিল। ২০ সেকেন্ডের ভিতর তিন চারজন মেডিকেল স্টুডেন্ট আর রাজিব ঢুকলো রাজিয়ার ঘরে। দুইজন রাজিয়াকে নিয়ে হাসপাতালে গেল। আর বাকি সবাই মিলে কাল্লুকে ধরে নিয়ে গেলো। পরদিন পুলিশ এসে কাল্লুকে ধরে নিয়ে গেলো। মূলত কাল্লুকে পাহারা দেওয়ার জন্য কয়েকজন ছাত্রকে সেদিন ঠিক করেছিলেন ডাক্তার রফিক। উনার এই বিচক্ষণতায় সবাই উনাকে বাহবা দিতে লাগলেন।
কাল্লু পুলিশের কাছে সব স্বীকার করলো। এতবছর লাশের সাথে থাকতে থাকতে লাশের প্রতি তার ভালো লাগা শুরু। দিনের বেলায় অবশ্য তার এমন কিছু মনে হয় না। রাত হলেই ফ্রিজ থেকে বেওয়ারিশ লাশ বের করে শারীরিক সম্পর্ক করে সে। অন্য আরেক হাসপাতালের আরেকজন ডোমের সাথে তার কিছুদিন আগে পরিচয় হয়। তারও এমন মরা লাশের প্রতি আকর্ষণ আছে। তাই তারা দুজন মিলে এক বাসা নেয়। লাশ চুরি করে বাসায় নিয়ে যায়। একদিন হাতেনাতে ধরে ফেলেছিল আরিফ। তাই তাকে মর্গেই খুন করে সে। সে চাইছিল সন্দেহটা রাজিয়ার প্রতি হোক। তাই লাশের মাংস কেটে ফেলতো। কারণ সে জানে মেয়ে নেক্রোফেজিক মাংস খায়। আর বারবার ডাক্তার রফিকের কানে কানে রাজিয়াকে সন্দেহ করার কারণ ঢুকাতো। কিন্তু ডাক্তার এই ব্যাপারে বেশি সিরিয়াস হয়ে যাওয়ায়, আর লাশচোরকে ধরার ব্যাপারে দিনদিন কঠোর হয়ে যাচ্ছিলেন। তাই একটা চিরকুট দিয়ে তাকে ভয় দেখাতে চাইছিলেন। আজ সে ছুটি চেয়েছিল যাতে রাতে বাসায় গিয়ে দুই বন্ধু মিলে লাশগুলোর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারে। কিন্তু স্যার ছুটি না দেওয়ায় মর্গে থাকা লাশই ছিল তার একমাত্র ভরসা। আর তাই ধরা খাওয়ার চান্স থাকা সত্ত্বেও রাজিয়ার বাসায় যায় সে। সব স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর তার বাসা থেকে লাশগুলো মর্গে আনা হয়। আর কাল্লু ও তার বন্ধুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
,,,,,,,,,,
আসুন নেক্রোফেজিয়া সম্পর্কে জেনে নিই। নেক্রোফেজিয়া হল মৃত মানুষের মাংস খাওয়া আর নেক্রোফিলিয়া হল মৃত মানুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা। মূলত বিকৃত মস্তিষ্কের না হলে কারো পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। যারা মর্গে কাজ করেন, দীর্ঘদিন লাশের আশেপাশে থাকেন ধারণা করা হয় তারাই নেক্রোফিলিক হন। নেক্রোফেজিক মূলত তিন ধরনের। এক, এরা যৌনকার্য করার জন্য খুন করে। দুই, মরা লাশ খুঁজে বের করে শারীরিক সম্পর্ক করে, অনেক সময় লাশ চুরি করে এনে তারপর শারীরিক সম্পর্ক করে, তিন, এরা মৃত মানুষকে কল্পনা করে কল্পনাতেই শারীরিক সম্পর্ক করে থাকে।
চলুন কিছু কুখ্যাত নেক্রোফিলিক ব্যক্তিদের সম্পর্কে জেনে নেই।
বাংলাদেশে একজন নেক্রোফিলিক ছিলেন। একটা সরকারি হাসপাতালে ডোম হিসেবে কাজ করতেন। প্রায় ৪০ বছর লাশ কাটার দায়িত্ব পালন করেন। লাশের সাথে থাকতে থাকতে লাশের প্রতি তার যৌন আকাঙ্ক্ষা তৈরী হয়। রাতের আঁধারে শারীরিক সম্পর্ক করতেন। অনেকদিন আগে পুলিশ তাকে হাতেনাতে ধরে। এখনও কারাগারে আছেন তিনি। ( স্যারের মুখ থেকে শোনা। আসল নামটা ভুলে গেছি। )
প্রচলিত মিথ অনুসারে, রাজা হেরোড তার স্ত্রী ম্যারিয়ানির মৃত্যুর সাত বছর পর্যন্ত মৃতদেহের সাথে যৌনকার্য করেছেন। একই কাহিনী প্রচলিত আছে রাজা ওয়াল্ডিমার এবং রাজা চার্লম্যাগনের নামেও।
ম্যাক্সিকান সুন্দরী ওলেন। ২৮ বছর বয়সী। তিনিও নেক্রোফিলিক ছিলেন। ১৫ বছর বয়সে গর্ভবতী হলে প্রেমিককে বিয়ে করতে চাপ দেন।প্রেমিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করলে রাগে,ক্ষোভে প্রেমিককে খুন করেন। কিন্তু তাতেও তার মন ভরছিল না। প্রেমিকের রক্ত দিয়ে গোসল করেন। তার মাংস কেটে সেগুলো রান্না করে খান,বন্ধুদের দাওয়াত দিয়েও সেই মাংস খাওয়ান। এরপর একে একে ১১ জনকে খুন করে একি কাজ করেন সবার সাথে। খুন করে লাশের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা ছিল তার কাছে নেশার মতো। বর্তমানে মেক্সিকোর কুখ্যাত কারাগার 'সেটাস কার্টেলে' বন্দী আছেন ৪৯ টি খুনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকা এই নারী।
কেনিথ ডগলাস। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাই অঙ্গরাজ্যের একটি কাউন্টি হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন ৬০ বছর বয়সী এই ডগলাস। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি মদ্যপ অবস্থায় মৃত লাশের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতেন। ধারণা করা হয় জেলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ১০০ মৃত নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন তিনি। ২০১২ সালে গ্রেফতার হন তিনি।
জাকার্তার তরুণী জিম। একটা দামী রেস্টুরেন্টে রান্নার কাজ করতেন। উনার রান্না এত সুস্বাদু ছিল যে দেশ বিদেশে প্রচুর নামডাক ছিল উনার। উনার একটা শখ ছিল বন্ধু বান্ধবদের বাসায় দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো। কিন্তু বাসায় যাওয়ার পর আর কেউ ফেরত আসতে পারতেন না। খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলতেন সবাইকে। তারপর সবার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতেন। রক্ত দিয়ে গোসল করতেন। মাংস কেটে ফ্রিজে রাখতেন। তারপর আবার বন্ধু দাওয়াত করতেন। ফ্রিজ থেকে সেই মাংস বের করে রান্না করে খাওয়াতেন। খাওয়ানোর পর মেরে ফেলে একি কাজ বারবার করতেন। নিজের স্বামীকেও খুন করে তার মাংস রান্না করে খেয়েজেন বিকৃত মস্তিষ্কের এই নারী।
(পরের অংশটি প্রাইম নিউজ থেকে কপি করে দিলাম)
আরেকজন কুখ্যাত নেক্রোফিলিয়া রোগী স্যার প্রাইস। তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি দ্রুতই দ্বিতীয় বিয়ে করেন কিন্তু ১ম স্ত্রীকে মমি করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে একই বিছনায় ঘুমাতেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর মৃত্যুর পরও তাকে একইভাবে মমি করে বিছনায় রেখে দেন। তৃতীয় স্ত্রী দুটো মৃতদেহ নিয়ে একই বিছনায় ঘুমাতে অস্বীকার করলে এ নিয়ে বিরোধ বাঁধে। তিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তার এ অস্বাভাবিক আচরন অব্যাহত রাখেন।
যুক্তরাষ্ট্রে হ্যারি ব্যালট নামে এক গোর খাদককে গ্রেপ্তার করা হয় অসংখ্য মৃতদেহের সাথে সহবাস করার কারনে। গ্রেপ্তারেরর পর তার সহজ স্বীকারোক্তি - ” আমার পক্ষে জীবিত কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক করা সম্ভব নয় তাই আমি মৃতদেহের সাথে সহবাস করি। এতে কারো কোন ক্ষতি হয়না কিন্তু আমি পুলক লাভ করি”।
নেকরোফিলিয়ার আর এক আলোচিত ব্যাক্তি হলেন ডাঃ কার্ল ভ্যান ক্যাসল। ১৯৩০ সালে ফ্লোরিডায় তিনি ডাক্তারী পেশায় থাকাবস্থায় মারিয়া এলেনা উজ নামীয় এক সুন্দরী টিবি রোগীর চিকিৎসা করেন। চিকিৎসা করতে করতে গভীরভাবে ঐ মেয়ের প্রেমে পড়ে যান ডাঃ ক্যাসল। ডাঃ ক্যাসল মেয়েটিকে বাচাঁনোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন কিন্তু ব্যর্থ হন। মারিয়ার মৃত্যুর পর তাকে জাকজমকপূর্ণভাবে সমাহিত করা হয়। মারিয়ার সমাধির পর তার দেহে যেন পচন না ধরে সেজন্য ডাঃ ক্যাসল তার সারা গায়ে মোম দিয়ে দেন এবং পারফিউম ছড়িয়ে দেন। প্রতিদিনই ডাঃ ক্যাসল মারিয়ার সমাধিতে যেতেন এবং সমাধির উপরের অংশ সরিয়ে মৃত মারিয়ার সাথে মিলিত হতেন। এভাবে প্রতিদিন ডাঃ ক্যাসলের মারিয়ার সমাধি পাশে যাওয়া নিয়ে প্রতিবেশীরা সমালোচনা শুরু করলে ডাঃ ক্যাসল একদিন সবার অলক্ষ্যে মারিয়াকে নিজ গৃহে নিয়ে আসেন।
মারিয়ার দেহে মোম ও পারফিউম দিয়ে নববধুর গাউন পরিয়ে মৃত মারিয়ার সাথে নিয়মিত মিলিত হতে থাকেন ডাঃ ক্যাসল। প্রকৃতপক্ষে মারিয়ার শরীরে তখন মাংস অবশিষ্ট ছিল না কেবল হাঁড় ছাড়া। ডাঃ ক্যাসল মারিয়ার শরীরের বিশেষ অঙ্গে একটি টিউব বসিয়ে নিয়মিত যৌন কার্য করতেন। প্রতিনিয়ত মোম ও পারফিউম দেয়ার পরও মারিয়ার পচন এবং দুর্গন্ধ ঠেকানো যাচ্ছিল না। প্রতিবেশীরা এ নিয়ে আপত্তি জানায় এবং পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ এসে ডাঃ ক্যাসলের রুম থেকে মারিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং মারিয়ার পরিবারের আবেদন মতেরিয়াকে পুনরায় সমাধিস্থ করে। পরবর্তীতে ডাঃ ক্যাসল একটি পুতুলকে মারিয়ার মুখোশ পরিয়ে তার সাথে বসবাস করতে থাকেন। এভাবে আমৃত্যু মারিয়ার প্রতি তার ভালবাসা অব্যাহত ছিল। এরকম বৈসাদৃশ্য ও অস্বাভাবিক আচরণ করলেও ব্যাক্তি জীবনে ডাঃ ক্যাসল ছিলেন নিপাট ভদ্রলোক।
এই ঘটনার উপর ভিত্তি করে একটি মুভিও নির্মিত হয়।

-
(জহিরুল হক জাবেদ)

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form