আচ্ছা,যদি আপনাকে আজ থেকে এক হাজার বছর পরে পৃথিবী কল্পনা করতে বলা হয়,আপনার উত্তর কি হবে?
হয়তো আপনি বলবে technically developed একটি world,যেখানে হয়তো sci fi মুভির মতো মানুষ অনেক মাইলফলক অর্জন করে ফেলেছে।
কিন্তু এরকমও যদি বলা হয়,
এক হাজার বছরের মধ্যে মানুষের অস্তিত্ব হুমকির মাঝে পড়বে,হয়তো বিশাল এক জনগোষ্ঠী বিলীনও হয়ে যাবে,বিশাল অনেক দুর্যোগের সম্মুখীন হবে পৃথিবী আর পৃথিবীর পরিবেশ ও মানচিত্রে চলে আসবে আমূল পরিবর্তন।
আপনি হয়তো বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে তাকিয়ে বলতেই পারেন যে,হ্যাঁ,তা কিন্তু মোটেও অসম্ভব নয়,বরং তা হওয়ার সম্ভাবনা ই বেশি মনে হবে...!
কিন্তু তারপরও আসলেই জলবায়ু পরিবর্তনকে যতটা ভয়াবহ দেখানো হয়,ততটা না তার চেয়ে কম বা বেশি..??
হয়তো জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রভাব মাথায় রেখে
Stephen Hawking বলেছিলো,
''I don't think humans will survive another 1000 years on earth unless we spread on space.''
তবে এবার কিছু পরিসংখ্যান,তথ্য উপাত্তের আদলে যুক্তি ও বিজ্ঞানের চোখে দেখব আসলেই কতটুকু ভয়াবহ জলবায়ু পরিবর্তন এবং আসলেই আমরা ধ্বংসের পথে হাঁটছি কিনা..!
অংশ ০১
Global warming আর climate change বিষয় দুইটা এতো ওতপ্রোতভাবে জড়িত যেন একটি আরেকটি ছাড়া অসম্পূর্ণ।
এখন যাই global warming এর হিসাবে
পৃথিবীর তাপমাত্রা ১৮৮০ সাল থেকে প্রতি দশকে(every ten years--one decade) ০.১৪° ফারেনহাইট (০.০৮° সেলসিয়াস) হারে বেড়েছে,কিন্তু ১৯৮১ সাল থেকে প্রায় তার দ্বিগুণ ০.৩২° ফারেনহাইট(০.১৮° সেলসিয়াস) হারে বেড়েছে।২০২১ সাল 6th warmest year
(তথগুলো NOAA's temperature এর ডাটার উপর base করে) কিন্তু এই তাপমাত্রা আসলে কতটুকু ভয়াবহ দেখা যাক
পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ২০২১ সালে বিংশ শতাব্দীর থেকে ১.৮৭° সেলসিয়াস বেশি
আর একবিংশ শতাব্দী শেষ হতে তা কত তে দাঁড়াতে পারে তা থেকে আঁচ করা যায়
বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ মারাত্মক বিপদ আনতে চলেছে।
যার প্রমাণ আমরা পাচ্ছি বর্তমান পৃথিবীর Environmental imbalance & Ecological crisis দেখে..!
এখন বৈশ্বিক উষ্ণায়ণে মূল কারণ বা প্রভাব ফেলছে কোন বিষয়গুলো
এর পেছনে main cause হলো industrialisation & fossil fuel burning
শিল্পায়ন এবং অন্যান্য কারণে পোড়ানো হচ্ছে কয়লে,তেল,গ্যাস এসব জীবাশ্ম জ্বালানি
যা বাড়াচ্ছে আমাদের অতি পরিচিত greenhouse gases(Carbon dioxide,carbon dioxide, methane, nitrousoxide,hydrochlorofluorocarbons HCFs,ozone),greenhouse gas এর পাশাপাশি ক্ষতিকর UV ray ও আছে।
এখন গ্রিন হাউজ গ্যাসের বৃদ্ধি হচ্ছে একমুখী,,অর্থাৎ তা বাড়তেই আছে...কমছে নাহ
আর গ্রিনহাউজ গ্যাস তাপকে পৃথিবীতে ধরে রাখে radiate হয়ে বাইরে বের হতে দিচ্ছে নাহ।
গ্রিনহাউজ গ্যাসের বৃদ্ধি আর Deforestation বন উজাড় করা....
একদিকে কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে যাওয়া
অন্যদিকে সেই CO2 এর সমতা বজায় রাখা গাছপালা massively কেটে ফেলায় ফলে
বৈশ্বিক উষ্ণায়ণের জন্য দায়ী ক্ষতিকর গ্যাস যেমন বাড়ছে,তেমন গাছপালা কমে যাচ্ছে যা সমতা বজায় রাখতো,kind of backup ছিলো।
ফলে natural imbalance হচ্ছে পরিবেশে।
এখন মানুষের প্রয়োজনে Industrialisation কে না বলা মোটেও সম্ভব নাহ কিন্তু wastemanagement, recycle, environment এর প্রতি এর প্রভাব ও তা থেকে কি কি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তাতে তো প্রশ্ন উঠতেই পারে।
এখন আমাদের চেনা লাইনগুলো
বৈশ্বিক উষ্ণায়ণের ফলে কি কি হচ্ছে
---Polar ice গলে যাচ্ছে।সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির জীবের জীবন বিপন্ন হচ্ছে।আর তার ফলে সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ছে।সুনামি,সাইক্লোন,ঝর সহ নানা দুর্যোগের বড় ঝুঁকি,বিশেষ করে সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের জন্য।
---অধিক তাপমাত্রা,তার ফলে খরা।যা ফসল আবাদে বাঁধা হয়ে যাচ্ছে,অনেক অঞ্চলে পানি স্বল্পতা।
---নতুন নতুন দূর্যোগের আভাস,বন্যা,ঝড়,তুফান,সুনামি,সাইক্লোন কোনটিই বাদ নেই।
১৯৭০ সাল থেকে দুর্যোগের প্রবণতা বেড়েছে ৫ গুণ।
---অনেক প্রজাতির প্রাণী ও জীবের আবাস্থল হারানো,অনেকে বিলুপ্ত, অনেকে বিলুপ্তপ্রায়
উদাহরণ The Golden Toad,Polar Bear,Adelie Penguin,Staghorn Coral সহ আরো অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি
---খাদ্য সংকট ঘটবে ও health risks বেশি হবে, কারণ পরিবেশ দূষণের ফলে নানা রোগ ছড়িয়ে পড়বে,যেমন মশার প্রকোপে ম্যালেরিয়া।নিরাপদ পানির সংকট পড়বে।
---দরিদ্রতা বৃদ্ধি পাবে..
এক কথায় economical,environmental এক crisis এর ভিতরে যেতে হবে সিংহভাগ মানুষকে।
এসবের কথা তো আমরা জানি বা শুনে এসেছি
কিন্তু আসলেই কি এতো ভয়াবহ ই হবে...
উত্তর হচ্ছে
জি হা...ওরকমই পথেই হাঁটছে আজকের পৃথিবী
ইতিমধ্যে অনেক প্রভাব ই পড়া শুরু হয়েছে...
তাই নিয়ন্ত্রণের পুরোপুরি বাইরে যেন বিষয়গুলো না যায়..সে দিকে খেয়াল রাখা এখন সময় দাবি
সে হিসেবে বিশ্বে জলবায়ু ইস্যুতে অনেক অর্থ বিনিয়োগ,লেখালেখি,নানা পদক্ষেপ,climate summit হচ্ছে কিন্তু মূল concern এর বিষয়
কতটুকু সাহায্য করবে সেসব তা হয়তো সময়ই জানিয় দেবে কিন্তু হা অশনিসংকেতেরই জানান দিচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতি One of biggest global issue is now climate কারণ Sea level rising & ocean acidification already একটা বড় concern
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার 2021 সালের রিপোর্ট অনুসারে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির গতি 1993 থেকে 2002 সালের মধ্যে প্রতি বছর 0.08 ইঞ্চি (2.1 মিলিমিটার) থেকে 2013 থেকে 2021 সালের মধ্যে প্রতি বছর 0.17 ইঞ্চি (4.4 মিলিমিটার) দ্বিগুণ হয়েছে।
এ শতাব্দীতেই বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও 60% ভূমি submerge হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে
আমাজনে দাবানল ও অস্ট্রেলিয়ার বনে দাবানল, বিশ্ব বনভূমির পরিমাণ কমে যাওয়া,
non renewable energy resource mainly fossil fuel demand বেড়ে যাওয়া ও তা পুড়িয়ে পরিবেশের ক্ষতি,ক্ষতিকর গ্যাস বৃদ্ধি
environmental crisis
তার পাশাপাশি এসবের consequences গুলো(disaster & অন্যান্য) বার বার মনে করিয়ে দেয় যে,We need to change
অংশ ০২
Natural balance বলে একটা কথা আছে
পরিবেশে কিছু imbalance দেখা দিলে
nature নিজেই কিছু step নিয়ে সমতা করার চেষ্টা করে সেই step বিরূপ আকারে আসে
কখনো দূর্যোগ হিসেবে কখনো অন্য কোনো ক্ষতি রূপে কিন্তু সেটার মাধ্যমে সমতা বজায় রাখে প্রকৃতি ঠিক যেমন এক বাস্তুসংস্থানে খাদ্য বেড়ে গেলে শিকারী বেড়ে গেলে,আবার শিকারী বেড়ে গেলে অধিক জনসংখ্যার ফলে আসে খাদ্য সংকট,তার ফলে আবার natural selection হয়ে কমে আসে শিকারীর সংখ্যা
এভাবে সমতা বজায় থাকে প্রকৃতিতে
কোন কিছুই extreme পর্যায়ে যাওয়ার আগে নিজেই সমতা বজায় রাখতে প্রকৃতিকে ভিন্ন রূপ ধারণ করতে হয়
তাই সেইজন্য নানা দূর্যোগ যে আসছে তা প্রকৃতির এক balance প্রক্রিয়া
কিন্তু তা যেন মানবজাতির যেন বিশাল ক্ষতির কারণ না হয়...
আমরা যেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখি...
non renewable energy resource খুব শীঘ্রই নিঃশেষ হয়ে যাবে...reserve কমে যাবে বলে expensive হয়ে যাবে
তাই আমাদের শীঘ্রই renewable energy use এ shift হতে হবে
এর কাজ শুরুও হয়েছে।
Green energy use করা ও green environment নিশ্চিত করা প্রথম priority হওয়া উচিত।
Solar energy অনেক বড় সম্ভাবনার নাম...!
Carbon emission rate control করতে হবে...
সবুজ বনায়ন নিশ্চিত করা,
Deforestation এর বিষয়টি খেয়াল রাখা
ও তার পাশাপাশি আরো বেশি গাছ লাগানো।
সচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরি
এর উদাহরণ
ধরুন আপনি হাতে একটা ময়লা খোসা আছে,এখন আপনি এমনি এক জায়গায় ফেলে নোংরা করলেন ও ভাবলেন,এতো ময়লা চারিদিকে আমি একটা ফেললে কি আর হবে।
সমস্যা কিন্তু মোটেই নেই,
কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়,
যদি আপনার মতো 10 million মানুষ প্রতিদিন এই ভাবনা নিয়ে একটা ময়লা ফেলে
তাইলে প্রতিদিন ময়লা হলো 10 million
শুধুমাত্র আমি এটুকু করলে কি হবে ভাবনার জন্য।
দেখলেন প্রভাব টা কতদূর
জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যু এরকমই।
কিন্তু আরেকটা চিন্তা করি চলুন
আপনদর সামনে একটা ময়লা, কিছু দূরেই একটা ডাস্টবিন, আপনি ঠিক করলেন আচ্ছা,যাচ্ছি যখন,ময়লা টা তুলে ফেলে দিই।
দেখন আপনার মতো 10 million মানুষ এই ছোট্ট অবদান প্রতিদিন এ বিশ্বকে কতটুকু পরিষ্কার রাখতে পারে।
এভাবে ছোট ছোট অবদান
বিরাট পরিবর্তন সাহায্য করে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি জাপানিদের কাছ থেকে আমাদের শেখা উচিত,তারা পরিবেশ রক্ষায় ও পরিষ্কার থাকার ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্ক।
plastic recycling এর অনেক দরকার।
So,প্রতিটি ছোট বড় সব বিষয়ে আমাদের ফোকাস দেওয়া অনেক জরুরি
মানুষের সচেতনতা ও ছোট ছোট অবদানগুলোর ই দরকার সবচেয়ে বেশি।
দিনশেষে পৃথিবীটা আমাদেরই।
অংশ ০৩
মানব জাতির ইতিহাস হাজার বছর ধরে fight করে survive করার ইতিহাস
হাজার বছরের শত বাঁধা পেরিয়ে,শত বার পরে গিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছি আমরা
শত ব্যর্থতার পরেও সফল হতে শিখেছি।
জলবায়ু পরিবর্তন আসলেই ভয়াবহ দিকেরই ইশারা দিচ্ছে
তবে আমরা এও জানি আমরা পারব,যেভাবে আমরা পেরে এসেছি।
আমাদের ইতিবাচক চিন্তা,পদক্ষেপ ও একটু চেষ্টায় পারে পৃথিবীকে সুন্দর ও সবুজ রাখতে।
বিজ্ঞানের নিত্যনতুন আবিষ্কার আমাদের আশা দেখায়..
হয়তো শীঘ্রই বিজ্ঞানীরা এক বড় সফলতা আমাদের climate issue তে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
হয়তো শীঘ্রই আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি
কিন্তু তা পুষিয়ে উঠে নতুনভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে ও পৃথিবীকে সুন্দর রাখতে হবে।
তাই সময় আজ ও এখনই সবকিছু নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের।
দিনশেষে
পৃথিবী আমার আপনার সবার।
তাই আমাদের চারপাশকে আমরা সুন্দর রাখার চেষ্টা করি।
গাছ লাগাই ও চারপাশ পরিষ্কার রাখি।
আমাদের দিক থেকে যতটুকু করা উচিত বা করা যায়,তা করতে থাকি।
আপাত দৃষ্টিতে তা অনেক ছোট মনে হলেও,এই ছোট ছোট বিষয়গুলোই এক বড় পরিবর্তন আনে।
বিশ্বকে সুন্দর করার
প্রথম পদক্ষেপ তাই
এখান থেকে শুরু হোক।
লিখাঃ Md Fahim Shahriar