সময় ২০০৮ সাল তামিল পরিচালক শশী পরিচালিত পু চলচ্চিত্রে শ্রীকান্তের বিপরীতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রিয় অভিনেত্রী পার্বতী তিরোভোথু কে নির্বাচন করা হয়।মুভিতে পার্বতী মারি নামে এক তামিল গ্রাম্য তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করেন।
মুভিতে অভিনয়ের ব্যপারে পার্বতী জানান যে,এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি আরও ১২টি চলচ্চিত্রে কাজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।মুভিটার পরিচালক শশী তাকে অডিশনের মাধ্যমে নির্বাচন করেছিলেন।এই চরিত্রে অভ্যস্ত হতে তার ত্বকের রং গাঢ় করতে হয়েছিল এবং মারির পেশার উপর প্রচুর পড়ালেখা করতে হয়ে ছিল। কর্মজীবী মহিলাদের সম্পর্কে জানতে তিনি একটি ফ্যাক্টরিতেও বেশ কিছুদিন রুটিন করে সকাল সন্ধ্যা উপস্থিত থাকতেন।
পরবর্তীতে পার্বতী উল্লেখ করেন যে,এই চরিত্রে থেকে বের হওয়া তার জন্য খুবই কষ্টকর ছিল কারন তিনি এই চরিত্রে এতটাই নিমগ্ন হয়ে গিয়েছিলেন যে এই চরিত্রে থেকে তিনি সহযেই বের হতে পারেনি। মুক্তির পর মুভি ও তার অভিনয় ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে।
সাইফি-এর এক সমালোচক উল্লেখ করেন, "পার্বতী মারি চরিত্রকে এবং তার প্রথম তামিল চলচ্চিত্রেই এই ধরনের জটিল চরিত্রে তার প্রাণবন্ত অভিনয় আপনার হুঁশ উড়িয়ে দিবে।
একইভাবে রেডিফ.কম-এর পর্যালোচক মন্তব্য করেন যে পু "পুরোটাই পার্বতীর চলচ্চিত্র" এবং আরো উল্লেখ করেন "তিনি অসাধারণ" অভিনয় করেছেন।
অন্যদিকে, দ্য হিন্দুর মালতি রঙ্গরাজন লিখেন, "পার্বতী তার দক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছেন" এবং "গ্রামীণ তরুণীর পোষাকে ও অঙ্গভঙ্গিতে সন্দেহাতীতভাবে দারুণ কাজ করেছেন, এমনকি তার শারীরিক ভাষাও সঠিক ছিল।
প্রিয় অভিনেত্রী পার্বতী এই কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ তামিল অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন, এবং আরও একাধিক পুরস্কার লাভ করেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে বিজয় পুরস্কার।
সাউথ মুভি দেখেন কিন্তু চার্লি মুভিটা দেখেনি এমন মানুষ সম্ভবত কমই আছেন।এই মুভিতে ট্রেসার চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্বতী তিরুবোথু💥
একজন স্বাধীনচেতনার মুক্তমনা মেয়ে, বিয়ে বাড়ির থেকে পালিয়ে আসা তরুণীর একটি স্কেচবুকের অন্তরালের গল্পের চরিত্র গুলোকে খুঁজে বের করার অসম্ভব অসাধারণ অভিনয় করে মনের গভীরে পাকা পোক্ত আসন করে নিয়েছেন আমার।মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সফল গুনী অভিনেত্রী পার্বতী তিরোভোথু 💥
পার্বতী ১৯৮৮ সালের ৭ই এপ্রিল কেরেলার কালিকটে জন্ম নেয়া এই অভিনেত্রীর বাবা মা দুইজনই কেরেলার প্রখ্যাত আইনজীবী।স্কুল জীবনেই তিনি ভারতনাট্যমের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি ইংরেজি সাহিত্য স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে শুরুতেই তিনি একটি সংগীত চ্যানেলর উপস্থাপনা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন।২০০৬ সালের মালায়ালাম চলচ্চিত্র আউট অফ সিলেবাস মুভিতে একজন কলেজ শিক্ষার্থীর পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে অভিনয় জীবন শুরু করেন।
পরবর্তীতে এক অন্তসত্ত্বা কিশোরী জীবনের বিষয়বস্তুর উপর নির্মিত নোটবুক চলচ্চিত্রে প্রায় পাঁচ হাজার তরুণীর অডিশনের মধ্যে তিনি নির্বাচিত হন। এই মুভিটিতে অভিনয় করে তিনি সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হন।
স্পষ্টভাষী পার্বতী মিডিয়াতে এবং মিডিয়ার বাহিরে নারী অধিকার নিয়ে যথেষ্ট সোচ্চার।উনার অভিনীত ২০১৪ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত অন্জলি মেননের পরিচালনায় ব্যাঙ্গালোর ডেজ মুভির রেডিও জকি সারা চরিত্র নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করছি।আরজে সারা একটা রেডিও স্টেশনের কন্ঠের জাদুকর। তার সুমধুর কন্ঠেৱ জাদুতে শ্রোতাদের মনের গভীরে অন্যরকম অনুভূতির প্রেরণা যোগান দেন।পর্দার অন্তরালে কন্ঠের জাদুকর আর জে সারা শারীরিক প্রতিবন্ধী।
এই ধরনের চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করেন প্রিয় অভিনেত্রী পার্বতী তিরোভোথু।চরিত্রের প্রয়োজন অনুযায়ী মুভিতে তার স্কিনপ্লে কম থাকলেও যেটুকু সময় ছিলেন উনার চোখের চাহনি এবং মোহনীয় হাসি দিয়ে নিজ চরিত্রের গুরুত্ব বুঝতে সক্ষম হন।
এই অংশে আলোচনা করছি এমনই এক মুভি যে মুভিতে অভিনয় করে পার্বতী ব্যপক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিলেন।সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতে যদি ১০০টি সেরা রোমান্টিক মুভির নাম জানতে চাওয়া হয় তাহলে একদম শুরুদিকে যে মুভিটির নাম আসবে সেইটি হল ৬০ দশকের মাঝামাঝি সময়ের স্যতি ঘটনার উপর নির্মিত ২০১৫ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত মাষ্টারপিস মালায়ালাম মুভি ENNU NINTE MOIDEEN (এন্নু নিন্তে মইদিন)💥💥
মুভিতে প্রিয় পার্বতীর চরিত্রের নাম ছিল কাঞ্চনমালা।
যে চরিত্রে একমাত্র পার্বতী অভিনয় না করলে (সম্পুর্ন ব্যক্তিগত মতামত) চরিত্রটি এত গভীর ভাবে দাগ কাটতে পারতো বলে মনে করছি না।হিন্দু জমিদার কন্যার কাঞ্চনমালা পছন্দ করতেন মুসলিম ঘরে ছেলে মঈদীনকে এমনই একটা প্লটে সিনেমা কাহিনী এগিয়ে চলে। জীবন সিনেমা নয়, কিন্তু কখনো আবার সিনেমার চেয়েও সিনেম্যাটিক! এজন্যই সম্ভবত Ennu Ninte Moideen সিনেমাটিকে 'মোর দ্যান এ মুভি' মনে হয় অনেকের কাছে। মলিউডের ইতিহাসে অন্যতম সেরা একটি সিনেমা হিসেবে ধরা হয়।বক্স অফিসে অলটাইম ব্লকবাস্টার! চার্লি, প্রেমাম ও ভালো কিছু সিনেমাকে টেক্কা দিয়ে ফিল্মফেয়ারে রাজত্ব করে ENNU NINTE MOIDEEN 💥সে বছর।দেখে 'ভালো লাগেনি' কিংবা 'ইমোশনাল' হয়নি- এমন লোক নগণ্য💥এখন পর্যন্ত উক্ত মুভির ডিরেক্টর বিমলের একমাত্র সিনেমা এটা।
এটা বানানোর জন্য প্রায় ৭ বছর গবেষণা করেছিলো সে। স্ক্রিনপ্লে প্রস্তুত করতেই সময় নিয়েছিলো ৩ বছর। তার ইচ্ছা ছিলো সব যেনো পারফেক্ট হয়!
হোক স্ক্রিনপ্লে, লোকেশন, কাস্ট বা অন্য কিছু... সেটা করেছেও বটে! পার্বতীকে সেই চয়েজ করেছিলো কাঞ্চনমালা রোলে। আর পৃথ্বীকে নিতে সাজেস্ট করেছিলো বাস্তবিক কাঞ্চনমালা।পৃথ্বীর চেহারায় সে কিছুটা মিল খুঁজে পেয়েছিলো বাস্তব মঈদেনের!
এই সিনেমার লোকেশনও চমৎকার। আসলে বাস্তব গল্পে নদী ও বৃষ্টির প্রভাব ছিলো প্রচন্ড... তাই সিনেমাতেও একই। খেয়াল করলে দেখবেন, অধিকাংশ সিনেই বৃষ্টির উপস্থিত ছিল বেশ।
১২ কোটি রুপি বাজেটের এন্নু নিনতে মইদিন মুভিটি বক্স অফিসে ৫০ কোটি রুপি আয় করে।
.
Ennu Ninte Moideen = চিরদিনই তোমারই মঈদেন
স্যতি বলতে পার্বতী এমনই এক অভিনেত্রী। যার প্রতিটি মুভি ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়।। আলোচনা করছি পার্বতীর অভিনীত মুভির এমনই এক চরিত্রের ব্যপারে, যে মুভিতে অভিনয় করে তিনি জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তি জোর দাবিদার। ২০১৯ সালে পার্বতী তিরুবোথু দুটি মুক্তি পেয়েছিল। প্রথমটি হলেন মানু অশোকনের পরিচালনায়(ডেব্যু) Uyare (উয়েরে) অন্যটি ছিল প্রকাশ আবুর পরিচালনায় Viras(ভাইরাস) আজকে আলোচনা করছি উয়েরে মুভির পল্লবী চরিত্রটি নিয়ে।
অ্যাসিড অ্যাটাক থেকে বেঁচে থাকা পল্লবী রাভেন্দ্রনের চরিত্রে পার্বতী তিরুবথুর অভিনয় সমালোচকদের পাশাপাশি শ্রোতাদের কাছ থেকে বেশ প্রশংসা পেয়েছে। কিছু অভিনেত্রী থাকে যারা পর্দায় এসেই চরিত্রের মাধ্যমে নিজের অভিনয় দক্ষতার ছাপ রেখে যায়। পার্বতী তাদের মধ্যেই একজন। তার স্ক্রিপ্ট চয়েজ অসাধারণ। নারীকেন্দ্রিক চরিত্রগুলোতে তাকে নিয়ে ভাবার মূল কারণ পরিচালক তাকে নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। কেননা তারা জানেন পার্বতী পারবে অভিনয় দিয়ে চরিত্রটির প্রাণ পর্দায় সাবলীল আঙ্গিকে ফুটিয়ে তুলতে।পার্বতী তিরুবোথু অভিনীত মালায়ালাম মুভি উয়েরে মুক্তি পেয়েছে ২৬ এপ্রিল ২০১৯ এ ছবিটি এসিড অ্যাটাক থেকে বেঁচে যাওয়া বিমানচালক পল্লবী রবীন্দ্রন (পার্বতী) এর জীবন অবলম্বনে নির্মিত।উয়ারে শ্রোতা এবং সমালোচকদের কাছ থেকে প্রচুর সাড়া পেয়েছিল। মালায়ালামে ইন্ডাস্ট্রিতে সেই বছর বক্সঅফিসে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছিল মুভিটি।
পার্বতী তিরোভোথু সোশ্যাল মিডিয়াতে মুভির চরিত্রের ব্যাপারে লিখেছেন "আমাদের সকলের মধ্যে পল্লবী রবীন্দ্রন বিদ্যমান। তার হৃদয়, ইচ্ছা এবং শক্তিকে জানাই সালাম!উয়িরে ছবিতে মুখ্য ভূমিকাতে অভিনয় করেছেন আসিফ আলী এবং টভিনো থমাস।মুভিটির সংগীত পরিচালনা করেছেন গোপী সুন্দর।
আইনজীবী পরিবারের বড় সন্তান ছিল পার্বতী। খুব সম্ভবত পারিবারিক অনুশাসনের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তার নিজের জীবনের চলার পথে। বিভিন্ন মুভিতে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করেন প্রিয় অভিনেত্রী পার্বতী তিরোভোথু।সোস্যাল মিডিয়াতে নারীদের অধিকার অর্জনের জন্য বেশ কিছু সাহসী এবং বিতর্কিত মন্তব্য করতে পিছপা হন না এই নারীবাদী অভিনেত্রী।মালায়ালাম মেগাস্টার মাম্মুতির Kasaba (2016) মুভিটা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ওখানের কিছু সিনেও নারীদের অসম্মান করা হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন পার্বতী।ওখানে একটা সিনে মাম্মুতি সম্ভবত একজন নারী পুলিশ অফিসারের কোমরের বেল্ট টেনে ধরে এমন কোনো একটা কথা বলেছিল যেটা কিছুটা ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার মতো।
তাই পার্বতী প্রকাশ্যভাবে বলেন মিসোগিনিস্টিক সংলাপযুক্ত চলচ্চিত্রগুলো করা উচিত নয়। তিনি প্রবীণ অভিনেতা ম্যমুতিকে অনুরোধ করেছিলেন যে ম্যামুট্টির মতো প্রবীণ অভিনেতা যাকে তিনি অনেক শ্রদ্ধা করেন এবং যার অসংখ্য ফলোয়ার রয়েছে, এখন থেকে তিনি যাতে এই ধরনের চলচ্চিত্রের অভিনয় করা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন ।পার্বতী এটার বিরুদ্ধে মূলত আওয়াজ তুলেছিল। কারণ মুভির প্রভাব সমাজে পড়ে। অনেকেই মুভির নায়কের ক্যারেক্টার থেকে অনুপ্রাণিত হয়। কিন্তু নায়কের মুখে এই ধরণের ভাষা শুনে তারাও প্রভাবিত হতে পারে। নারীদেরকে অসম্মান করতে পারে। এর বিরুদ্ধেই মূলত আওয়াজ তুলেছিল পার্বতী।তিরুবোথুর এধরনের দৃষ্টিভঙ্গি অনেক সমালোচনার মুখে পড়ে এবং তিনি সাইবার-হুমকির শিকার হন। ম্যামুট্টির ভক্তরা তাকে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ভ্রষ্টভাবে ট্রল করে এবং হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেন পার্বতীকে। পরবর্তীতে তিরুবোথুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ম্যমুতির ফ্যানদের মধ্যে দুজনকে কেরালার পুলিশ গ্রেফতার করে।সম্প্রতি পার্বতীকে অনুপমা চোপড়ার একটি প্যানেল আলোচনার জন্য সাক্ষাত্কার দিতে হয়েছিল। যাতে রণভীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোন, বিজয় শেঠুপথী, আয়ুষ্মান খুরানা, আলিয়া ভট্ট এবং পার্বতী তিরোভোথু এবং বিজয় দেভারাকোন্ডা ছিলেন । প্যানেল ইন্টারঅ্যাকশন চলাকালীন পার্বতী বিজয়ের ঠিক সামনে অর্জুন রেড্ডির মতো চলচ্চিত্রের ধারণাটি ভেঙে দিয়েছিলেন।পার্বতীর মতে আর্জুন রেড্ডি/কবির সিং মুভিতে নারীদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। এই মুভি দুটো এমন ভাবে প্রেজেন্ট করা হয়েছে যে সেটা দেখে দর্শক তালি দেয়। এই মুভি দুটোতে এসব এমনভাবে বোঝানো হয়েছে যে নারীদের অসম্মান করা একদম স্বাভাবিক ব্যাপার। পার্বতী মূলত তার বক্তব্যে এটাই বুঝাতে চেয়েছে বলে মনে হয়েছে।কথার মাঝে পার্বতী তার কিশোরী জীবনে একবার হলে মুভি দেখতে যাওয়ার কথা বলেছে। মুভিতে এমন কিছু নারীদের অসম্মানের সিন দেখে তার রাগ হচ্ছিল। অথচ আশেপাশের অনেকে সেটা দেখে তালি বাজাচ্ছিল। তার মনে হয়েছিল যে এসব মুভিতে এই সিনগুলোর মাধ্যমে নারীদের অসম্মান করতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। যেটা আসলে ঠিক নয়।আর্জুন রেড্ডি/কবির সিং দুটোরই ডিরেক্টর কিন্তু সন্দীপ রেড্ডি। কবির সিং মুভি রিলিজের পর ডিরেক্টর সন্দীপের একটা মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন সেটা হলো, "একটা ভালোবাসার গল্পে ততক্ষণ আবেগ/গভীর ভালোবাসা কাজ করে না যতক্ষণ না সেখানে একজন আরেকজনকে চড় মারে।"
পার্বতী এটাও উল্লেখ করে বলেন যে উনার এই বক্তব্যের একটা ইউটিউব ভিডিওর কমেন্টগুলো উনি পড়ে দেখেন যে অনেকেই তার এই বক্তব্যকে সাপোর্ট করছে। তার মানে এই ধরণের মুভির মাধ্যমে উনি সহিংসতা ছড়াচ্ছেন।এছাড়াও পার্বতী আরো অনেক সাহসী মন্তব্যের জন্য মিডিয়াতে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।মেরিয়ান মুভিতে ধনুশের বিপরীতে অভিনয় করেছেন পার্বতী তিরুবোথু।সেই মুভির কাস্টিং নিয়ে মিডিয়াকে এক চমকপ্রদ বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি তার সহশিল্পী ধনুশের কারণে এই মুভিতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছেন। তখন তিনি এতটাই অবাক হয়ে বলেছেন তিনি মেরিনের আগে তিনি ধনুশকে চিনতেন না? সেই সময় প্রতিষ্ঠিত তামিল অভিনেতা ধনুশকে না জানার বিষয়ে মিডিয়াতে বিবৃতি দেওয়ার জন্য চলচ্চিত্রের বাফেরা পার্বতী তিরোভোথুর ব্যাপক সমালোচনা করেন।এছাড়াও সদ্য প্রয়াত বলিষ্ঠ বলিউড অভিনেতা ইরফান খানের বিপরীতে কারিব কারিব সিংগেল মুভির প্রমোশন উপলক্ষে অভিনেত্রী পার্বতী মুম্বাইয়ের জিও এমএএমআই মুম্বই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছিলেন।যেখানে তিনি উল্লেখ করেন করেছিলেন যে তিনি তিন বা চার বছর বয়সে একবার লাঞ্ছিত হয়েছিলেন। এবং তার সাথে কী ঘটেছিল তা বুঝতে তাঁর আরও ১৭ বছর লেগেছিল এবং কথা বলতে আরও ১২ বছর সময় লেগেছে।
বার্তা সংস্থা আইএনএস জানিয়েছে। পার্বতীর এই বক্তব্য ভারতে চলমান MeToo আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে,যেখানে বেশ কয়েকজন মহিলা শিল্পী অতীতে লাঞ্ছিত হওয়ার হৃদয় বিদারক কাহিনী শেয়ার করেছেন।যদিও পরবর্তীতে এই ধরনের বক্তব্যের সপক্ষে কোন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারে নাই।
বর্তমানে পার্বতী মুভিতে অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত।
Writer: Atik Shimul