মৃত লাশ রাস্তায় পরে আছে। কখন মারা গেলো কেউ জানে না। রাত ১২ টায় তদন্ত করতে আসলো এক পদার্থবিদ। লাশের তাপমাত্রা পরিমাপ করলো ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাত ১ টায় আবারো পরিমাপ করে দেখলো লাশের তাপমাত্রা ৩৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।রাত্রে র তাপমাত্রা যদি ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ধ্রুব হয়, তাহলে লোকটি মারা গেলো কখন???
হ্যাঁ, পদার্থবিজ্ঞান ব্যবহার করেই জানা সম্ভব কখন লোকটি মারা গেছে।
গরমবস্তর তাপমাত্রা T এবং শীতলবস্তর তাপমাত্রা Tₙহলে, তাপমাত্রার পরিবর্তন হবে T-Tₙ ,
বিখ্যাত পদার্থবিদ স্যার আইজ্যাক নিউটন পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে সময়ের সাথে তাপমাত্রার পরিবর্তনের হার তাপমাত্রার পরিবর্তনের সমানুপাতিক। অর্থাৎ, t সময়ে তাপমাত্রার পরিবর্তনের হার dT/dt হলে,
dT/dt∝(T-Tₙ );
dT/dt=k(T-Tₙ );
এই হচ্ছে নিউটনের অন্যতম আরেকটি সূত্র । এবার ক্যালকুলাস ব্যবহার করে এ থেকে একটি ফাংশন বের করা যাবে ।
1/(T-Tₙ ) dT=kdt;
উভয়পাশে ইন্ট্রিগেশন করলে,
∫1/(T-Tₙ ) dT=k∫dt
ln(T-Tₙ)=kt+c..
যেখানে T=লাশের তাপমাত্রা, Tₙ= পরিবেশের তাপমাত্রা, t=সময়, k ও c হচ্ছে ধ্রুবক।
সাধারণত মানুষের শরীরের তাপমাত্রা থাকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ধরে নিলাম, t=0 তে লোকটি মারা গেছে। তাহলে t=0 তে T=37,Tₙ=16
ln(37-16)=c
বা, c=3.0445
সুতরাং, (1) নং সমীকরণ থেকে,
ln(T-Tₙ)=kt+3.0
এখন, ধরে নিলাম মারা যাওয়ার t₁ ঘন্টা পর রাত ১২ টায় পদার্থবিদ এসে তাপমাত্রা পরিমাপ করেছে। তাহলে, t=t₁ এ,
T= 34.5, Tₙ=16,
ln(34.5-16)=k*t
বা, -0.127=k*t₁
বা, k= -0.127/t₁
সুতরাং, (2) নং সমীকরণ থেকে,
ln(T-Tₙ)=(-0.12
আবার রাত ১ টায় t=t₁+1 এ,
T=33.7, Tₙ=16,
ln(33.7-16)=(-0
-0.171=-0.127+(
(-0.127/
t₁=2.89
এখন, t=1 মানে ১ ঘন্টা বা ৬০ মিনিট,
সুতরাং t=2.89 মানে ৬০*২.৮৯=১৭৩.৫ মিনিট= ২ ঘন্টা ৫৩ মিনিট(প্রায়)।
এখন, t=0 তে লোকটি মারা গেছে, আর t₁=2.89 এ ছিলো রাত ১২ টা। অর্থাৎ রাত ১২ টা থেকে ২ ঘন্টা ৫৩ মিনিট পিছনে গেলেই পেয়ে যাচ্ছি লোকটি কখন মারা গিয়েছে।
(১২-২.৫৩)=৯.০৭।
সুতরাং, রাত ৯.০৭ তে লোকটি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
হ্যাঁ, এটাই পদার্থবিজ্ঞান। পদার্থবিজ্ঞানের
পদার্থবিজ্ঞানের
Reference:
(1) Differential Equation with Boundary Value Problems - Dennis G. Zill, Warren S. Wright
(2) Fundamentals of Differential Equation With Boundary Value Problem - Nagle, Saff, Snider
Writer: Mokaddes Uddin
Tags:
পদার্থবিজ্ঞান