![]() |
নারীরা কোনোভাবেই একজন পুরুষকে ধর্ষণ করতে পারে না। নারী ও পুরুষের লৈঙ্গিক পার্থক্যের এক সহজ উদাহরণ নেকরোফিলিয়া। পুরুষের লাশকে কোনোভাবেই ধর্ষণ করা সম্ভব না, কিন্তু নারীর লাশের সাথেও অনেককিছু করা যায়। পুরুষের লিঙ্গ উত্তেজিত হয় নার্ভাস স্টিমিউলেশন, মাছেল রিলাক্সেশন ও এক্সেস ব্লাড ফ্লো এর জন্য, যা মৃত্যুর সাথে সাথে স্থগিত হয়ে যায়। যার মানে দাড়ায়, একজন পুরুষের লাশ নারী ধর্ষক থেকে সবসময় নিরাপদ। কিন্তু নারীর লাশ কতটা নিরাপদ তা আপনারা নিজেও ভালো জানেন !
[ মৃত্যুর পরেও ইরেকশন সম্ভব। এটাকে death erection, angel lust বা terminal erection বলা হয়। এটা কেবল তাদের সাথেই হয় যারা ভায়োলেন্ট ড্যাথের শিকার। যেমন গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা, মাথায় বুলেট লাগা। শুধু তাই না, মৃত্যুর পরপরই সে লাশকে উল্টো হয় পড়ে থাকতে দিতে হবে বা সোজাসুজি অবস্থায় রাখতে হবে।
নার্ভাস সিস্টেম মৃত্যুর সাথে সাথেই স্থগিত হয়ে যায়, তার সাথে দেহের সকল মাংসপেশিও ছেড়ে দেয়। তখন শুধু গ্র্যাভেটির চাপে রক্ত লিঙ্গে প্রবেশ করলে তা উত্তেজিত হয়ে থাকে। মাঝেমাঝে কিছু লিকুইডও পাওয়া যায়, তা স্রেফ প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের লিকেজ। এগুলো রেয়ার কেস। তাই আমরা বলতেই পারি মৃত মানুষের লিঙ্গ কভু উত্তেজিত হয় না।
https://
https://
আর যদি এখন শারীরিক শক্তির কথা বলেন তাহলে আমি বলবো পুরুষের ধর্ষণ অসম্ভব। নারীর পক্ষে একজন পুরুষকে, ধর্ষণ করার উদ্দেশ্য ঘায়েল করা, স্রেফ অসম্ভব। আমি নিজেকে দিয়েই উদাহরণ দেই। আমি উচ্চতা ৬ ফিট, ওজন ১১৫ কেজি ও বাইসেপস ১৫.৫+ ইঞ্চি। আমি এটা চাইলেও কল্পনাও করতে পারি না যে, কোনো নারীর হাতে আমি ধর্ষণের শিকার হবো।
[ একজন নারী ও পুরুষের শক্তির পার্থক্য কেমন তার সম্পর্কে ধারণা হয়তো অনেকেই নেই। যদি কেবল পাঞ্চিং শক্তির দিক থেকে বিবেচনা করা হয়, তাহলে গবেষণা আমাদের বলে, "... even with roughly uniform levels of fitness, the males' average power during a punching motion was 162% greater than females', with the least-powerful man still stronger than the most powerful woman." সবচেয়ে দুর্বল পুরুষও সবচেয়ে শক্তিশালী নারীর চেয়ে শক্তিশালী!
আপার বডি স্ট্রেন্থের ক্ষেত্রে তুলনা করলে দেখা যায়, অন এভারেজ/ গড়ে, পুরুষের মাংসপেশির পরিমাণ নারীর তুলনায় ৭৫% বেশি ও শক্তি নারীর চেয়ে ৯০% বেশি! অন্যান্য স্টাডিতে হয়তো এই সংখ্যার সামান্য হের ফের দেখতে পারেন। এই গবেষণা পাবলিশ হয় ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, University of Utah থেকে। তারা প্রধানত পুরুষের ভায়োলেন্স তুলনা করে দেখিয়েছেন। দেখা যায়, পুরুষদের শক্তি ভয়াবহ পরিমাণ বেশি যা দীর্ঘ সময়ের বিবর্তনের ফলে সেক্সুয়াল ডাইমোর্থিজমের ফসল।
https://
এরকম আরো কয়েকটি আগের গবেষণায় দেখা যায়, এথলেটিক্সে পারদর্শী নারীরাও গ্রিপ স্ট্রেন্থের দিক থেকে সিংহভাগ সাধারণ পুরুষের চেয়ে খারাপ অবস্থানে! আমেরিকার কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের
https://
আর যদি গ্যাং রেপের কথা উঠে তাহলেও সেই একই কথা চলে আসবে। লিঙ্গ উত্তেজিত করার জন্য সিমুলেশন দরকার! তা মারধর বা এবিউজ দিয়ে পাওয়া অসম্ভব ( বিশেষ ফোবিয়া বা ফিজিওলজিকাল সমস্যা থাকলে ভিন্ন কথা)!
[ লিঙ্গ উত্তেজিত হওয়ার বিষয়টা একদম সহজ সরল মনে হলেও এটার পেছনে অজস্র প্রক্রিয়া নিহিত। বিশেষ কোনো স্টিমিউলেশনের মাধ্যমে মস্তিষ্কে সিগনাল পাঠালেই তার প্রতিক্রিয়ায় লিঙ্গের মাছেল বা পেশি নমনীয় হয় এবং তাতে রক্ত প্রবাহ করে।
" During arousal, excitatory signals can originate in the brain, either by the sight or thought of an appealing sexual partner or by physical genital stimulation. Regardless of the source of these signals, the excitatory nerves in the penis respond by releasing proerectile neurotransmitte
কোনোরকম সোর্স থাকা আবশ্যক, হোক তা ব্যতীক্রম কিছু। কোনো পুরুষ যদি নারী ধর্ষককে দেখে ভয় না পেয়ে বরং উত্তেজিত হয়ে যায়, বা সম্মতি প্রকাশ করে তাহলে তো লিঙ্গ শক্ত হতে কয়েক মিনিটও লাগবে না। প্রশ্ন হতে পারে যে, অচেতন মনে বা ঘুমের মাঝেও কি উত্তেজিত হওয়া সম্ভব? অবশ্যই সম্ভব। এটাকে বলা হয় nocturnal erection। ঘুমের বিশেষ পর্যায়ে এটা লক্ষণীয়। যেমন REM। তখন সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম বিশ্রামে থাকে, তাই খুব সামান্য স্টিমিউলেশনে, যেমন স্বপ্ন বা স্পর্শ পেয়েই, লিঙ্গে বেশি রক্ত প্রবাহ করতে পারে! এছাড়া ইরেকশন আর তেমন দেখা যায় না, যদি না স্পাইনাল কর্ডে সমস্যা থাকে। ইরেকটাইল ডিস্ফাংশের জন্যও ইহা দায়ী।
https://
অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, নারীতান্ত্রিক সমাজে কি পুরুষের ধর্ষণ হয়? এর সহজ উত্তর নারীতান্ত্রিক সমাজে কোনোরকম, নারী পুরুষ উভয়ের, কারো ধর্ষণই হয় না। অনেক কালচারে ধর্ষণের সঠিক প্রতিশব্দও নেই। নারীতান্ত্রিক সমাজে পুরুষরা তাদের বোনের সন্তানকে লালন পালন করে। paternity threshold যখন খুবই নেমে যায়, নারীর জন্য পুরুষদের প্রতিযোগিতা অসম্ভবরকম কঠিন হয়ে যায়, সমাজে পুরুষের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়, তখন আপন রক্তের ৫০% সম্পর্কের সন্তানের চেয়ে বোনের সন্তান— যার সাথে সম্পর্ক ২৫%— লালন পালন করা বিবর্তনের দৃষ্টিতে অধিক লাভজনক। দক্ষিণ আফ্রিকার, ক্যামরুনে অবস্থিত বাকওয়েরি সমাজে প্রতি ১০০ জন নারীর জন্য ২৩৬ জন পুরুষ। বার্ট্রান্ড রাসেলের মেট্রিলিনিয়াল সোসাইটি প্রবন্ধে এ বিষয়ে আরে আলোচনা আছে।
[ পেটার্নিটি থ্রেশহোন্ড, পেটার্নিটি ইনডেক্স, ও মেট্রিলিনিয়াল সমাজ সম্পর্কে বেসিক জ্ঞান জানতে এগুলো পড়তে পারেন। তবে নারীতান্ত্রিক সমাজ বেশ আনস্টেবল। কারণ নারী জনিত কারণ পুরুষে-পুরুষে ভায়োলেন্স খুব সহজেই শুরু হয়ে যেতে পারে, যদিও তা খুব কম হয়। এসকল সমাজে নারীরা পতিতাবৃত্তি করে না, তবে ক্যাজুয়াল সেক্স অত্যাধিক মাত্রায় করে থাকে।
https://
https://
https://
এখন আমরা কয়েকটা কেস স্টাডি করে দেখতে চাই যে, কিরকম পরিস্থিতিতে পুরুষরা ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথম কেসেই চলে আসবে যুদ্ধের কথা।
আমরা সবাই জানি যুদ্ধের সময় সকলরকম অপরাধ চরম হারে বৃদ্ধি পায়। সবাই ধরে নেই যে, যুদ্ধে নারীরাই কেবল ধর্ষণের শিকার হয়। এটা মর্মান্তিক ভুল। যুদ্ধবন্দীদের সাথে পুরুষ সৈন্যরা পৈশাচিক আচরণ করার পাশাপাশি তাদের নিয়মিত ধর্ষণ ও আঘাত করতে করতে একদম হত্যা পর্যন্ত করে ফেলতে পারে। পুরুষ যুদ্ধবন্দীদের অনেকে যারা জীবিত ফেরত আসে, তাদের পক্ষে আবার সুস্থ যৌনজীবনে ফেরত যেতে পারাটা কঠিন। পায়ুপথে অপরিমেয় ক্ষত ও যন্ত্রণা নিয়ে তাদের অনেক নিপীড়িত হতে হয়। হমোসেক্সুয়ালিটি
[ এরকম উদাহরণের অভাব পাবেন না। দি গার্ডিয়ান এ প্রকাশিত এই ঘটনা ঘটে কংগো, আফ্রিকায়। বর্ণনা শুনলে গায়ে কাটা দিয়ে উঠে।
https://
নিচে আরেকটা উদাহরণ। বসনিয়ার যুদ্ধে (১৯৯২-১৯৯৫) অনেক পুরুষ ধর্ষণের শিকার হয়। তাদের অভিজ্ঞতা পড়তে এই লিংকে যেতে পারেন।
https://
কলম্বিয়ার গৃহযুদ্ধে ( ১৯৯৯ ) ৬৫০ জন পুরুষ ধর্ষণের শিকার হয়। তাদের মধ্যে একজনের অভিজ্ঞতা জেনে নিতে পারেন। তার বয়স তখন মাত্র ১২ ছিলো।
https://
এরপর আসে নারীদের দ্বারা ধর্ষণের ঘটনা। এগুলো ঘটনা বেশ মজার কারণ এগুলো তে কোনোরকম ভায়োলেন্সের ব্যবহার নেই। পুরুষ মদ্যপান করে অজ্ঞান হয়ে যাবার পর উঠে দেখে যে, নারী তার লিঙ্গকে ব্লজোব দিচ্ছে বা তা সঞ্চালন করতেছে। এরকম আরো কয়েক ধরনের ধর্ষণ দেখা যায়। তবে এগুলোতে ফিজিকাল ভায়োলেন্স ০%। এখানে একটা মজার পার্থক্য আছে। কয়েকজন পুরুষ ভায়োলেন্সের শিকার হয়। সেটা হওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে, তারা অজ্ঞান বা ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় নারীরা তাদের হাত পা বেঁধে ফেলে। সেক্স টয় দিয়ে পুরুষকে অত্যাচার করতে হলেও তো তাকে আগে জব্দ করা লাগবে! কিনকি পর্নের সাথে বেশ মিল পাওয়া যায়।
[ এখানে এরকম কতগুলো ঘটনার বর্ণনা দেয়া আছে। পড়লে দেখতে পাবেন যে, পুরুষকে ধর্ষণ করার বিষয়টা কেমন অদ্ভুত।
https://
এখানেও কয়েকটা ঘটনার প্রসঙ্গে আইন পরিবর্তনের দাবি পাবেন। এখানে আবার একটা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়া আছে যে, খুব ভয়ে বা আতঙ্কে থাকলেও পুরুষের লিঙ্গের উত্তেজিত হতে পারে এবং তা সুষ্ঠুভাবে সঞ্চালিত হতে পারে। হ্যা। physiological stimulation আর psychological stimulation আলাদা। ছোটোকালে সচেতন যৌনবোধ ছাড়াও লিঙ্গ উত্তেজিত হতে পারে। শিশুরা অনেক পরিস্থিতি ভয় কম পায়। তবে এটাকে সর্বজনীন বললে ভুল হবে। খুব কম সংখ্যক নারীরা ধর্ষণের সময় সুখ পায়। তার মানে কিন্তু এই না যে, সকল নারী ধর্ষিত হতে চায়। পুরুষের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
https://
এক নারীর বাসায় এক লোক ঘুমিয়ে পড়েন। সে নারী তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে সে বাসায় থাকতেন। যাইহোক সে লোক ঘুম থেকে উঠে দেখে নারী তাকে ওরাল সেক্স দিচ্ছি। এই ঘটনায় সে দারুণ মর্মাহত হয় ও কেস করে। শাস্তি হিসেবে কোর্ট নারীকে ৩৩৪০ ইউরো অর্থদণ্ড দেয়।
https://
তো এই হচ্ছে ঘটনা। নারীরা চাইলেই কাউকে জোরজবরদস্তি করে রেপ করতে পারে না। নারীর হাতে পুরুষের ধর্ষণ হওয়ার বিষয় অত্যন্ত বিরল, প্রায় অসম্ভব পর্যায়ে পড়ে। পুরুষকে ধর্ষণ করতে পারে কেবল আরেকজন পুরুষ ! দৈহিক এত পার্থক্য দেখে আমরা সহজেই বলতে পারি পুরুষ মাত্রই ধর্ষক হতে পারে।
[ ডেভিড বাসস এর " The Evolution of desire " বইয়ের Rape অধ্যায়ে আলোচিত দুটো জিজ্ঞেসবাদ ও পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে, ২৭- ৩৫% পুরুষ হয়তো সুযোগ পেলে ধর্ষণ করবে। পুরুষের যদি কোনোরকম ঝুঁকি না থাকে তাদের ধর্ষণ করতে আপত্তি নেই। যদিও তারা নিশ্চিতভাবে ধর্ষণ করার ইচ্ছা মুখ ফুটে স্বীকার করেনি, তবে ইঙ্গিত বলে যে সুযোগ পেলে অনেক পুরুষই ধর্ষণ করবে।
৩৫% পুরুষের মধ্যে ধর্ষণের প্রবণতা থাকার ইতিবৃত্ত এই লিংক থেকে পড়ে নিতে পারেন। বিষয়গুলো বেশ জটিল পর্যায়ে নেমে আসে।https://
নারীবাদের প্রতি আমাদের বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে, কারণ আমাদের মধ্যে আবার অনেকেই সম্ভাব্য ধর্ষক না। নারী কর্তৃক পুরুষের ধর্ষণ বলতে কিছু নেই। এগুলো কিছু সমাজবিজ্ঞানীদের
আমার জ্ঞান আমাকে বলে পুরুষবাদ বলতে কিছুর অস্তিত্ব থাকা মানেই পুরুষকে নারীদের উপর ডমিনেন্সের সুযোগ দেয়া। তাই, মানবজাতির মুক্তির জন্য নারীবাদই একমাত্র অবলম্বন। আর, যিনি নারী ও পুরুষের সমান অধিকারে বিশ্বাসী, তিনিই নারীবাদী।
পুরো মানসভ্যতার ইতিহাস জুড়ে কেবল নারীরাই অত্যাচরিত হয়েছে। আর সেক্সুয়াল ডাইমর্ফিজম তুলনা করলেই আসল গল্প বেরিয়ে আসে। পুরুষকে ধর্ষণ করা সম্ভব না সেটা বললেই biophobia এর অভিযোগ শুনতে হবে। নারী কর্তৃক পুরুষদের ধর্ষণে পুরুষের মানসিক ডিস্ট্রেসও তেমন থাকার কথা না কারণ বিবর্তনে, সেক্সুয়াল সিলেকশনে, মানব প্রজাতিতে, mate choice জিনিসটা বিশেষভাবে নারীর অঙ্গিকার। যেহেতু পুরুষরা নির্বাচন করে না, তাই তার সাইকোলজিক্যাল যন্ত্রণা থাকা অমূলক যদি না সে পুরুষ কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়...
Writer: Md Ariful Islam