১.
ছোট বাচ্চাটাকে নিয়ে ওর মা সারাদিন বাসার ভিতরে থাকে, বাইরে কোথাও যায়না । ফ্ল্যাটের দরজা জানালা সব বন্ধ করে দিয়েছে । ফ্ল্যাটের কারেন্টের লাইনও কেটে দিয়েছে । ফ্ল্যাটের ভেতরে যেন কোনো আলো ঢুকতে না পারে সেজন্য দরজার নিচে এবং ভেন্টিলেটরের ফাক দিয়ে খবরের কাগজ ঢুকিয়ে দিয়েছে আজমেরি সুপ্তি ।
সারাদিন মা এবং মেয়ে সম্ভবত না খেয়েই থাকে, কারন বাইরে গিয়ে কখনো সুপ্তিকে কেউ বাজার করতে দেখেনি । বাড়িওয়ালা এবং প্রতিবেশীরা উদ্বিগ্ন হয়ে তাদের খোজখবর নিতে এলেও সে তাদের ডাকে রেসপন্স করেনা । প্রতিবেশীরা দয়াপরবশ হয়ে সুপ্তিকে কিছু খাবার এনে দিলে তখন সুপ্তি সেই খাবার নেয় এবং মা-মেয়ে দুইজন মিলে খায় । তবে খাবার খেতেন খুবই কম পরিমাণে।
সুপ্তির ধারণা বাইরে গেলে তাকে এবং তার দেড় বছর বয়সী একমাত্র ফুটফুটে কন্যা সন্তানকে হত্যা করা হবে। এমনকি তার স্বামীকেও হত্যা করা হবে। বহু আত্মীয়স্বজন সুপ্তির বাসায় গিয়ে ফেরত এসেছেন। দরজাই খোলেননি সুপ্তি। এভাবেই তারা ওই ফ্ল্যাটে বদ্ধ অবস্থায় ছিল বেশ কয়েকমাস ।
বাড়িওয়ালা তখন পুলিশকে সব কিছু জানালো এবং থানায় জিডি করল । থানায় জিডি করার প্রায় ২ মাস পরে রমনা থানা থেকে পুলিশ এসে ২০শে নভেম্বর সুপ্তির ফ্ল্যাটে অভিযান চালালো । তারা প্রথমে শান্তভাবে সুপ্তিকে দরজা খুলতে বললো । কিন্তু সুপ্তি দরজা না খোলায় তারা দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকলো ।
ভিতরে ঢুকে দেখে ফ্ল্যাটটা খুব নোংরা । ভিতরে ঢুকলেই প্রচন্ড দুর্গন্ধের কারনে বমি আসতে চায় । ফ্ল্যাটের ইলেক্ট্রিক লাইন কাটা । টিভি ফ্রিজ এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রিক যন্ত্রপাতি ভাংচুর করে ফেলে রাখা হয়েছে । পুরো ফ্ল্যাট বিভিন্ন রকম ময়লা আবর্জনায় ভর্তি । এইরকম নোংরা এবং দুর্গন্ধময় জায়গায় একটা বাচ্চাকে নিয়ে কিভাবে কয়েক মাস সুপ্তি বাস করেছে সেটা খুব বিস্ময়ের ব্যাপার ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শাখা - উওম্যান সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন , এবং পরবর্তীতে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কাছে সুপ্তিকে হস্তান্তর করা হয় । তখন সুপ্তির আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন একাধিক মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ। তাদের কাছে সুপ্তি শুধু ভয় আর শঙ্কার কথা জানান । তিনি বলেন, আমি খৃষ্টান , আমেরিকার নিউজার্সিতে ১৯৭৭ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি জন্মেছি । আমার পিতা আমেরিকার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। তার কারণেই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা হয়েছে। আমাকেও খুনের চেষ্টা করছে তারা ।
নিজের খুনের আশঙ্কা করে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টি জিডি করেছেন।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি কখনো সত্যি কথা বলছিলেন, কখনো মিথ্যা কথা বলছিলেন । তার কয়েকটি কথা বেশ বিশ্বাসযোগ্য আবার কিছু কথা একেবারেই অবিশ্বাস্য । সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে- বাচ্চাটার বয়স ২০ মাস হয়ে গেছে, কিন্তু বাচ্চাটার এখনো কোনো নাম রাখা হয়নি । কেন নাম রাখা হয়নি জানতে চাইলে সুপ্তি বলেন, ওর নাম রাখলেই শত্রুরা বাচ্চাটাকে মেরে ফেলবে , তাই ওর আব্বু নাম রাখেনি ,আমাকেও রাখতে দেয়নি । এর আগে আমার দুইটা বাচ্চাকে অদৃশ্য ব্যক্তিরা অদৃশ্য রশ্মি নিক্ষেপ করে মেরে ফেলেছে । [১]
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাইকিয়াট্রিস্ট সুপ্তিকে সিজোফ্রেনিয়া নামক মানসিক রোগে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করেন। মনোবিজ্ঞানী রেবেকা সুলতানা , সাইকোথেরাপিস্ট আকরাম সহ অনেকেই ফেসবুকে/ব্লগে কলাম লিখে এটাকে সিজোফ্রেনিয়া রোগ হিসেবেই সনাক্ত করেন।
২.
২০১৫ সালের ২রা মে।
ঘটনাস্থল ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের চরবাগাট গ্রাম।
আবদুল্লাহ আল মামুন আর তার স্ত্রী তসলিমার সংসারে দুইটা বাচ্চা- পুত্র তকি (৫) ও মেয়ে তাহেরা (৬ মাস)
২রা মে সকালে মা তাসলিমাকে তার দুই সন্তানের সাথে ঘাটে ঘুমিয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে তার দুই বাচ্চা জীবিত নয়, মৃত।
জিজ্ঞেস করলে মা তাসলিমা বলেন, জ্বিনের আদেশে আমি আমার দুই বাচ্চাকে গলা টিপে খুন করেছি।
পুলিশ এসে তাকে এ্যারেস্ট করে। পরে তাকে এক সাংবাদিক সম্মেলনেও হাজির করা হয় । সেখানে তিনি জানান , আমি প্রতি রাতেই তাহাজ্জুতের নামাজ পরে ঘুমাতে যাই। ঘটনার রাতে তাহাজ্জুত নামাজ পড়ে শুয়ে পড়ি। এসময় আমার কাছে গায়েবি হুকুম আসে শিশু দুটিকে হত্যা করার। সে অনুযায়ী রাত তিনটার দিকে প্রথমে ঘুমিয়ে থাকা পুত্র সন্তান তকিকে গলাটিপে হত্যা করি। পরে ৬ মাস বয়সী মেয়ে তাহেরাকে একই কায়দায় গলা টিপে হত্যা করি।
ঘটনাটা নিয়ে মিডিয়ায় খুব বেশি আলোচনা দেখিনি। সম্ভবত ঢাকার বাইরের ঘটনা হওয়ার কারনে এটা নিয়ে ফেসবুকে বা নিউজ সাইটে আলোচনা হয়নি। কোন সাইকোলজিস্ট এর এ সম্পর্কিত এনালাইসিস ও দেখিনি। [২]
ফরিদপুরের ওই গ্রামের এক বাসিন্দাকে পেলাম ফেসবুকে। তিনি এ সম্পর্কে বলেছেন,
এই তাসলিমা বেগম সম্পর্কে আমার ফুফু । আসলে জ্বীনের ব্যাপারটা অনেক আগে থেকে ওনার সাথে জড়িত। উনি ছোটবেলা থেকেই অনেক অসুস্থ থাকতেন। আমি ছোট ছিলাম তখন অতোটা বুঝতাম না কিন্তু এটা দেখতাম সারাক্ষণ ওনাকে পড়া পানি খাওয়ানো হচ্ছে। হুজুর, কবিরাজ দেখানো হচ্ছে। একসময় উনি সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি তার মানে ২০০৬ সালের দিকে উনি আবার জ্বীনের কবলে পড়েন। কিছুদিন পর আবার সুস্থ হন। তারপর আর এই সমস্যা শুনিনি।
কিন্তু আসলে উনি খুব ধার্মিক মেয়ে ছিলেন। ঘটনার সময় ওনার হাজবেন্ড ওনার শাশুড়ী কে নিয়ে ভারতে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। উনি বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। এবং শেষ রাতে উনি বাচ্চাদের মেরে ওদের পাশেই শুয়ে ছিলেন। সকালে ওনার ননদ আর শশুর কে ডেকে বলেছেন যে তোমার ভাইয়ের ছেলে মেয়েকে আমি মেরে ফেলেছি। ওরা রুমে গিয়ে দেখে সত্যিই মেরে ফেলেছেন। তারপর থেকেই উনি বিভিন্ন কথা বলেছেন একবার বলেছেন জ্বীনে মারতে বলেছে, একবার বলেছে স্বপ্ন দেখেছেন ওদের বাবা ইন্ডিয়ায় গিয়ে হিন্দু হয়ে গিয়েছে তাই গায়েবি ভাবে কেউ ওনাকে বলেছে এই বাচ্চাও বড় হলে হিন্দু হবে, তুমি নামাজ পড়ে লাভ কি এদের মেরে ফেলো। তাই মারছে। আবার উনি খুব রাগী একজন মানুষ ছিলেন, মাঝেই মাঝেই শশুর বাড়ির মানুষের উপর রেগে নাকি এইসব কথা বলতেন। সুতরাং সত্যিকার অর্থে কি হয়েছে কেউ বলতে পারেনা। উনি কয়েক ঘন্টা যাওয়ার পর বাচ্চাদের জন্য কান্নাকাটি শুরু করেন আর বলেন যে জ্বীনে মেরে ফেলেছে। প্রথম দিকে কাদেন নি। এখন জেলখানায় আছেন। কেউ দেখতে গেলে কান্নাকাটি করেন। আমার মনে হয় উনি মানসিক রোগে আক্রান্ত। উনি জীবনের বেশিরভাগ সময়ই অসুস্থতায় কাটিয়েছেন।
জানামতে, উনাকে কখন মানসিক ডাক্তার দেখানো হয়নি । সবাই জ্বীনের ব্যাপারটা নিয়েই ভেবেছে তাই হুজুর, কবিরাজ দেখিয়েছে সবসময়। আর বিয়ের পর থেকে উনি সুস্থ হয়ে যান। সম্ভবত ওনার মানসিক রোগটার ধরণ টা কেউ ধরতে পারেনি কখনও।
৩.
২০১৯ এর জুন মাসে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার সনাতনপুর গ্রামের গ্রাম্য ডাক্তার মামুন- অর রশিদের স্ত্রী শামীমা খাতুন(৩৫) তাদের ছোট সন্তান স্নেহা(২) কে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বসতবাড়ির দোতলায় সিঁড়িঘরের পাশে রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে বঁটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
নিহত স্নেহার বাবা, পল্লী চিকিতসক মামুন অর রশিদ বলেন,
আমার স্ত্রী শামীমা একজন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী, এর আগেও সে এমন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছিল। প্রায় দেড় মাস আগে শামিমা তার ছোট মেয়ে স্নেহাকে গলায় রশি বেধে খাটের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিল। পরে পরিবারে লোক স্নেহাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সে বেঁচে যায়। [৩]
২০১৯ এর জুলাইতে খুলনা মহানগরীর রায়েরমহল দক্ষিণপাড়া সবুরের মোড়স্থ বায়তুর রহমাহ জামে মসজিদ গলির বাঙ্গাল বাড়ি রোডে মা শ্রাবণী আক্তার খুন করেছিল তার শিশু মেহেদিকে । বটি দিয়ে ঘরের বিছানার ওপর শিশুটিকে জবাই করে হত্যার পর মা নিজেই বটি ধুয়ে রেখে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর
নিহত শিশুর চাচা সুমন শেখ বলেন, তার বড় ভাবি শ্রাবণীর মাথায় সমস্যা থাকায় তাকে একাধিবার ডাক্তার দেখানো হয়েছে। যে কারণে মানসিক ভারসাম্যহীন শ্রাবণী বাচ্চাকে জবাই করার পরও পালিয়ে যাননি। [৪]
২০১৮ এর জুনে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নে এক মাস বয়সী শিশু কন্যা নাহিদা আক্তারকে জবাই করে হত্যা করেছিল মা সাহেদা আক্তার।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, ২০১১ সালে নাছরিন আক্তারের বিয়ে হয় দরবারপুর ইউনিয়নের ধলিয়া গ্রামের সরোয়ারের সাথে। প্রথমে দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটলে কিছুদিন যাওয়ার পর নাসরিন মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। এতে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করলেও কোন সুফল পায়নি।
নাসরিনের স্বামী সরোয়ার হোসেন জানান, তাঁর স্ত্রী একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত। গত ৩ বছর থেকে তিনি স্ত্রীকে মানসিক চিকিৎসা করিয়ে আসছেন। [৫]
এই ঘটনাগুলার মায়েরা কোন মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন, সেটা পত্রিকার রিপোর্টে পাওয়া যায়নি। তবে বিবিসির এই রিপোর্টে আন্তর্জাতিক বেশ কিছু 'খুনী মা' এর ঘটনা বর্ননা করা হয়েছে। আমেরিকায় বছরে গড়ে ৩৪০ টা বাচ্চা এইভাবে মায়েদের হাতে খুন হয় বলে এক পরিসংখ্যানে জানা যায়। এই রিপোর্টে তাদেরকে ক্রনিক সিজোফ্রেনিয়া রোগী হিসেবে বর্ননা করা হয়েছে। [৬]
সন্তান জন্মদানের ইমিডিয়েট পরপর মায়েদের আরেক ধরনের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়, যাকে পোস্ট পার্টার্ম সিন্ড্রম বলে । এক্ষেত্রে মায়েদের মধ্যে সুইসাইড প্রবণতা দেখা যায়, বাচ্চাকে খুন করার চেষ্টাও করেন অনেকে। তবে সন্তান জন্মদানের দীর্ঘদিন পরেও অসূস্থতাকে সিজোফ্রেনিয়া (অলীক বিশ্বাস) হিসেবেই ক্যাটাগরাইজ করেন বিশেষজ্ঞরা।
৪.
সিজোফ্রেনিয়া রোগ সম্পর্কে একটু বলতে চাই । সিজোফ্রেনিয়া রোগী নিজের সৃষ্টি করা এক কাল্পনিক জগতে বাস করে । বহির্বিশ্বের মানুষ কে কি বলছে সেটা সে কেয়ার করেনা, নিজের বিশ্বাসে সে অনড় থাকে । অশিক্ষিত কুসংস্কারাচ্ছন্
কেউ যদি বিশ্বাস করে , আমার ঘাড়ে একটা ভূত আছে , তাহলে সে তার সিজোফ্রেনিক বিশ্বাস থেকে সারাক্ষন ভূতের সাথে কথা বলতে থাকবে ।তার ঘাড়ের ভূতের কাল্পনিক কমান্ড মেনে চলতে চাইবে।
কোনো সিজোফ্রেনিক রোগী যদি বিশ্বাস করে যে আমার বাড়ির মাটির তলায় গুপ্তধন আছে, তাহলে অন্যরা হাজার চেষ্টা করেও তাকে সেই বিশ্বাস থেকে টলাতে পারবেনা ।
মীরপুরের রিতা মিতা বিশ্বাস করতো,যে তাদের বাড়িতে তাদের মৃত মা এর আত্মা ঘুরে বেড়ায় । একইভাবে সেগুন বাগিচার সুপ্তি বিশ্বাস করে , তাকে মেরে ফেলার জন্য অনেক শত্রু রয়েছে । অলরেডি তার ২ টা বাচ্চাকে 'অদৃশ্য রশ্মি' নিক্ষেপ করে মেরে ফেলা হয়েছে । ফরিদপুরের তসলিমা বেগম বিশ্বাস করতেন, তার জ্বিন তার সাথে কমুনিকেট করে বিভিন্ন কমান্ড দেয়।
আর এখানে সুপ্তি বিশ্বাস করছে এলিয়েন / অদৃশ্য শক্তি/অদৃশ্য রশ্মিকে । সম্ভবত সুপ্তি সায়েন্স ফিকশন কিংবা হলিউডের মুভি অনেক দেখতো বলে তার সিজোফ্রেনিক জগতে ওই ধরনের জিনিসপত্র এসেছে ।
অন্যদিকে , ফরিদপুরের তসলিমা বিশ্বাস করেছে জ্বিন এবং গায়েবী আওয়াজ কে। সম্ভবত তার সামাজিক পরিমন্ডল থেকে এই তথ্যগুলোই সে শিখেছে, তাই তার ব্রেইনে সেগুলোই গেথে গেছে ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই , শৈশবের কোন দুঃখজনক ঘটনা বা সাম্প্রতিক মানসিক চাপের কারনে সিজোফ্রেনিয়া ঘটে। এই মেন্টাল স্ট্রেস/ট্রমা না কাটিয়ে বিয়ে, সন্তান সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডিসিশন নিলে সমস্যা আরো বাড়তে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং সাইকিয়াট্রিস্টে
রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ন্যাংটা পাগল শুধু নয়, মানসিক রোগী থাকতে পারে আপনার আমার সবার পরিচিত সার্কেলের মধ্যেই। সকলের সচেতন হওয়া সরকার মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে । একটু সচেতনতাই কিন্তু পারে, এই ফ্যামিলিগুলাকে রক্ষা করতে।
ঢাকার আজমেরি সুপ্তির প্রতিবেশীরা দ্রুত পুলিশ ডেকে এনে, সাইকিয়াট্রিস্ট দেখিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনেছে ওদেরকে, বেচে গেছে বাচ্চাটা। কিন্তু, ফরিদপুরের তসলিমার ফ্যামিলি কোনো ডাক্তার না দেখিয়ে জাস্ট কবিরাজি ঝাড়ফুল এর উপরে ভরসা করে ছিল। ফলাফল- তাদের সন্তানের মর্মান্তিক মৃত্যু।
ভূতর আছর বা এই ধরনের কুসংস্কার থেকে বের হয়ে, সকলের উচিত এমন সিচুয়েশনে কবিরাজের কাছে না নিয়ে গিয়ে ডাক্তার এর কাছে যাওয়া এবং তার পরামর্শ শোনা।
আপডেট-
কিছুদিন ধরে এরকম পোস্টে একটা ব্যাপার অনেকে জানতে চাচ্ছে যে ছোটবেলার কোন দুঃখজনক ঘটনা, ট্রমা, মানষিক আঘাত বা মানসিক চাপে মস্তিষ্কে এমন কি ঘটে যে রোগী এরকম আচরণ করে।অনেকে আবার বলছে এটার ব্যাখ্যা নাকি বিজ্ঞান দিতে পারছেনা, তার মানে জ্বিন বা অতিপ্রাকৃত কিছুর জন্যই মস্তিষ্কে এরকম হচ্ছে ধরে নিচ্ছে।এটা একটা ভুল ধারনা।স্নায়ুবিজ
সিজোফ্রেনিয়া রোগে মস্তিষ্কে কি রকম প্রভাব পড়ে এবং মস্তিষ্কে এরকম প্রভাব কেন পড়ছে তা নিয়ে গবেষণাপত্রঃ
https://
https://
https://
https://
এরকম অসংখ্য গবেষণা পত্র পেয়ে যাবেন একটু খুজলেই।
এছাড়া কেউ বাংলায় পড়তে চাইলে স্নায়ুবিজ্ঞানী জনাব আশরাফ মাহমুদ এর বই "আচরণগত স্নায়ুবিজ্ঞান" বইটি পড়তে পারেন।ধন্যবাদ। (সৌজন্য- আ আ হক)
---------
তথ্যসূত্র-
আজমেরি সুপ্তি জেসির নিউজ
https://
https://
https://
https://
https://
ফরিদপুরের তাসলিমার নিউজ
https://
https://
https://
[৩]
https://
https://
[৪]
https://
[৫] https://
https://
[৬] https://
Writer: Jahirul Islam