"আপনি জানেন কী" টাইপ পোস্ট একটু ক্ষতিকর। একলাইনের পোস্টগুলো দেখলে অনেক সময় সঠিক তথ্যও ভুলভাবে গিলে ফেলা হয়। অবাক হয়ে "ওয়াও" দিয়ে আসি। আবার একই সাথে মাথায় অন্য প্রশ্নও চলে আসে।
যেমন এই উপরোক্ত প্রশ্নের ক্ষেত্রে। "আপনি জানেন কী, মানুষের থুতুতে মরফিনের চেয়ে ছয়গুন বেশি শক্তিশালী ব্যাথানাশক রয়েছে?!"- পোস্ট দেখলে সবার আগে মাথায় যেটা আসে সেটা হল, তাহলে থুতু গিলে ফেললে ব্যাথা কমে না কেন? বা ক্ষতস্থানে লাগালে ব্যাথা যায় না কেন?
এরপরেই ভুল একটা ধারণা চলে আসে যে যেহেতু এসব হয় না, ব্যাথা কমে না, তাই পোস্টটা ভুল। যাই, একটা " হাহা" মেরে আসি।
আজকে এই থুতুর কৌতুহল মেটানোর প্রয়াস করব।
মরফিন কী?
অপিয়াম বা আফিম থেকে সংগ্রহ করা এক প্রকার ব্যাথানাশন যার ব্যবহার ব্যপক। তবে সাইড ইফেক্ট হল, এর ফলে আসক্তি তৈরি হয়ে যায়।
ব্যাথানাশক কীভাবে কাজ করে?
আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে, যেমন চামড়া বা হাড় এ কিছু রিসেপ্টর থাকে৷ এদের মাঝে নার্ভ ইমপালস তৈরি হয় তাপ, প্রেসার ইত্যাদি নানা কারণে যেটা সেনসরি নিউরন দিয়ে স্পাইনাল কর্ড হয়ে মস্তিষ্কের সেরেব্রাল কর্টেক্সে প্রসেস হয়, তখন আমরা ব্যাথা অনুভব করি।
এই যে আর্ক বা রাস্তা ব্যাথা যাওয়ার, এটাকে যদি কোনো ভাবে ব্লক করা যায়? যেমন দুটো নিউরনের মাঝের সংযোগস্থলে, যেটাকে সাইন্যাপ্স বলে, সেই ফাকা অংশে যদি এমন কোনো কেমিক্যাল দিয়ে ব্লক করে দেয়া যায় যাতে ইমপালস এটা দিয়ে আর যেতে না পারে? তখন ইমপালস যাবে না, মস্তিষ্ক ইমপালস পাবে না, আর ব্যাথাও অনুভব করবে না।
এই কাজটা মরফিন দিয়ে করা যায়। মরফিনের কেমিক্যাল স্ট্রাকচার এমন যে এটা সাইন্যাপ্সে যেয়ে ইমপালস ব্লক করে দিতে পারে, তাই ব্যাথানাশন হিসেবে এর বেশ কদর৷ কিন্তু ওই যে, লং টার্ম ব্যবহারে আসক্তি তৈরি হয়, তাই এটা একটা সমস্যাই বটে।
এখন আসা যাক ন্যাচারাল পেইনকিলার কেমিক্যাল এর ব্যাপারে।
ইদুরের শরীরে sialorphin নামক কেমিক্যাল পাওয়ার পর বিজ্ঞানীরা ভাবলেন মানুষের শরীরব কী এমন কিছু নেই? পরে মানুষের শরীরে opiorphin নামক এক কেমিক্যাল আবিষ্কার করেন। কীভাবে কাজ করে এটা?
ওয়েল এর কার্যপন্থার সাথে সরাসরি ব্যাথা কমানোর সম্পর্ক নেই। ব্যাথা কমানোর সম্পর্ক আছে enkephalin এর।
ইনি কে?
ইনি একটা প্রোটিন, অথবা বলা ভাল প্রোটিনের অংশবিশেষ। Opioid peptides বলা হয় এদের মত প্রোটিনদের। ব্যাথার ইমপালস যেই নিউরনগুলো দিয়ে যায় তারা এগুলো তৈরি করে৷ এই enkephalin রা সাইন্যাপ্সে বসে যেয়ে ব্যাথার ইমপালস যেতে বাধা দেয়। এটা হচ্ছে ন্যাচারাল ব্যাথানাশক। প্রায় সব ম্যামালদেরই আছে এমন।
কিন্তু এদের ইফেক্ট খুব কম। দ্রুতই এদের বিভিন্ন এনজাইম এসে ভেঙে দিয়ে চলে যায়। কারণ এদের না ভাঙলে এখানেই আজীবন থাকবে আর ওই মানুষটা বা প্রাণীটা তাহলে আর কোনো ব্যাথাই কখনও অনুভব করবে না। ব্যাপারটা সার্ভাইভালের জন্য খুব খারাপ। কারণ ব্যাথাই আমাদের জানায় শরীরে কোনো সমস্যা হয়েছে, সাহায্য খোজো। ব্যাথা না থাকলে আমাদের শরীরের ক্ষতি হয়ে যেতে থাকবে, যেমন রক্ত পড়তে থাকবে বা হাড় ক্ষয় হতে থাকবে, আমরা টেরও পাব না। সাহায্যও খুজব না। টিকে থাকার জন্য ব্যাথার অনুভূতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু এই enkephalin যদি আমরা ইচ্ছা করেই আরেকটু বেশিক্ষণ রাখতে পারি, তাহলে সাধারণ ব্যাথা, যেমন মাথা ব্যাথা, বা ছোট জখম, এগুলো থেকে সহজেই রেহাই পেতে পারি। এই কাজটা কে করবে?
লেডিস এন্ড জেন্টেলমেন, এখানেই এই লেখার নায়ক, থুতুতে থাকা কেমিক্যাল, Opiorphin এর আবির্ভাব ঘটছে। মূলত, একলাইনের পোস্টগুলোতে যার কথা বলা হয়েছে সে নিজে থেকে কোনো ব্যাথানাশক না। সে স্রেফ enkephalin কে ভেঙে ফেলতে বাধা দেয় এনজাইমদের৷ বলতে পারেন enkephalin এর বডিগার্ড হল Opiorphin.
বিজ্ঞানীরা ল্যাবে থুতু থেকে সংগ্রহ করে Opiorphin কে ব্যাথানাশক হিসেবে কাজে লাগানোর কথা ভাবছেন। ইতিমধ্যে ইদুরের ওপর টেস্ট করা হয়েছে, এবং হ্যা, তাদের ব্যাথা কমানোতে সাহায্য করেছে।
জিজ্ঞেস করছেন কীভাবে বুঝল ইদুর ব্যাথা অনুভব করছে কী করছে না? ভাল প্রশ্ন, ইদুর তো আর কথা বলে না। কিন্তু দুইভাবে বুঝতে পারা গেছে। আপনি জিজ্ঞেস করলেন বলেই এখন নির্মম এক্সপেরিমেন্ট এর কথা বলতে হচ্ছে আমাকে।
প্রথমত, ইদুরের পা বা শরীরে ক্ষত করে দেয়া হল। যার ফলে সে ওই জায়গাটা চাটতে থাকে। আমরা জানি নিম্নস্তরের প্রাণীরা এমন করে। কিন্তু Opiorphin ব্যবহারের পর ওই জায়গা চেটে দেয়ার রেট অনেক কমে গেল। অর্থাৎ, তাদের ব্যাথা এখন করছে না আগের মত।
দ্বিতীয়ত, তাদের সূচওয়ালা রাস্তার ওপর দিয়ে হাটতে বাধ্য করা হয়েছিল। প্রথমে তারা হাটতে চাইছিল না, কারণ ব্যাথা পাচ্ছিল। কিন্তু Opiorphin দেয়ার পর তারা এটার ওপর দিয়ে হাটতে পারল। অর্থাৎ, নো পেইন।
তো বোঝাতে পেরেছি? Opiorphin আমাদের থুতুতে পাওয়া একটা কেমিক্যাল যা ন্যাচারাল পেইন ইনহিবিটর enkephalin এর কার্যকারীতা বাড়িয়ে দেয় তাকে বেশি সময় কাজ করতে দিয়ে। একই রেজাল্ট পেতে মরফিনের চেয়ে ছয়গুন কম Opiorphin লাগে৷
এখন আপনি আবার প্রশ্ন করতে পারেন, সো মনিফ, আমরা থুতু গিলে ফেললে বা ক্ষততে থুতু দিলে ব্যাথা যায় না কেন?
ওয়েল, যায় না? খুবই অল্প, কিন্তু যায়। খেয়াল করবেন। এজন্য পশুরা নিজেদের এভাবে চাটে। খুবই হালকা স্বস্তি পাওয়া যায়। তবে হ্যা, এটা এতটাও ইফেক্টিভ না। তার কারণ এটা গিলে ফেললে আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় নষ্ট হয়ে যায় প্রায় সাথে সাথেই। আর ক্ষতস্থানে লাগালেও একই ব্যাপার৷ রক্তে থাকা বিভিন্ন কেমিক্যাল আর এনজাইমের ফলে নষ্ট হয়ে যায়।
তাহলে উপায়?
বিজ্ঞানীরা এটার কিছু মডিফিকেশন করেছেন। এই সিনথেটিক Opiorphin এর নাম তারা দিয়েছেন STR-324 যেটা রক্তে কীংবা হজমপ্রক্রিয়ায় নষ্ট হবে না। সাধারণ Opiorphin এর মত এটা শ্বাসপ্রশ্বাস অল্প ধীর করে দেয় না। আর যেহেতু এটা আসক্তি তৈরি করে না, তাই হয়তো ভবিষ্যতে মরফিন বা এরকম ড্রাগের পরিবর্তে এটা ব্যবহার হবে। যদিও বিজ্ঞানীদের মাথায় একে নিয়ে আরো লম্বা পরিকল্পনা। তারা একে অন্য কেমিক্যাল বা প্রোটিনের বডিগার্ড হিসেবেও ব্যবহার করতে চান, যাতে করে বায়োকেমিক্যাল রিয়েকশনগুলো আরো ভালভাবে কন্ট্রোল করা যায় ল্যাবে।
পড়েছেন পুরোটা? কংগ্র্যাচুলেশন স!
(সমাপ্ত)
লিখাঃ মনিফ শাহ চৌধুরী
যেমন এই উপরোক্ত প্রশ্নের ক্ষেত্রে। "আপনি জানেন কী, মানুষের থুতুতে মরফিনের চেয়ে ছয়গুন বেশি শক্তিশালী ব্যাথানাশক রয়েছে?!"- পোস্ট দেখলে সবার আগে মাথায় যেটা আসে সেটা হল, তাহলে থুতু গিলে ফেললে ব্যাথা কমে না কেন? বা ক্ষতস্থানে লাগালে ব্যাথা যায় না কেন?
এরপরেই ভুল একটা ধারণা চলে আসে যে যেহেতু এসব হয় না, ব্যাথা কমে না, তাই পোস্টটা ভুল। যাই, একটা " হাহা" মেরে আসি।
আজকে এই থুতুর কৌতুহল মেটানোর প্রয়াস করব।
মরফিন কী?
অপিয়াম বা আফিম থেকে সংগ্রহ করা এক প্রকার ব্যাথানাশন যার ব্যবহার ব্যপক। তবে সাইড ইফেক্ট হল, এর ফলে আসক্তি তৈরি হয়ে যায়।
ব্যাথানাশক কীভাবে কাজ করে?
আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে, যেমন চামড়া বা হাড় এ কিছু রিসেপ্টর থাকে৷ এদের মাঝে নার্ভ ইমপালস তৈরি হয় তাপ, প্রেসার ইত্যাদি নানা কারণে যেটা সেনসরি নিউরন দিয়ে স্পাইনাল কর্ড হয়ে মস্তিষ্কের সেরেব্রাল কর্টেক্সে প্রসেস হয়, তখন আমরা ব্যাথা অনুভব করি।
এই যে আর্ক বা রাস্তা ব্যাথা যাওয়ার, এটাকে যদি কোনো ভাবে ব্লক করা যায়? যেমন দুটো নিউরনের মাঝের সংযোগস্থলে, যেটাকে সাইন্যাপ্স বলে, সেই ফাকা অংশে যদি এমন কোনো কেমিক্যাল দিয়ে ব্লক করে দেয়া যায় যাতে ইমপালস এটা দিয়ে আর যেতে না পারে? তখন ইমপালস যাবে না, মস্তিষ্ক ইমপালস পাবে না, আর ব্যাথাও অনুভব করবে না।
এই কাজটা মরফিন দিয়ে করা যায়। মরফিনের কেমিক্যাল স্ট্রাকচার এমন যে এটা সাইন্যাপ্সে যেয়ে ইমপালস ব্লক করে দিতে পারে, তাই ব্যাথানাশন হিসেবে এর বেশ কদর৷ কিন্তু ওই যে, লং টার্ম ব্যবহারে আসক্তি তৈরি হয়, তাই এটা একটা সমস্যাই বটে।
এখন আসা যাক ন্যাচারাল পেইনকিলার কেমিক্যাল এর ব্যাপারে।
ইদুরের শরীরে sialorphin নামক কেমিক্যাল পাওয়ার পর বিজ্ঞানীরা ভাবলেন মানুষের শরীরব কী এমন কিছু নেই? পরে মানুষের শরীরে opiorphin নামক এক কেমিক্যাল আবিষ্কার করেন। কীভাবে কাজ করে এটা?
ওয়েল এর কার্যপন্থার সাথে সরাসরি ব্যাথা কমানোর সম্পর্ক নেই। ব্যাথা কমানোর সম্পর্ক আছে enkephalin এর।
ইনি কে?
ইনি একটা প্রোটিন, অথবা বলা ভাল প্রোটিনের অংশবিশেষ। Opioid peptides বলা হয় এদের মত প্রোটিনদের। ব্যাথার ইমপালস যেই নিউরনগুলো দিয়ে যায় তারা এগুলো তৈরি করে৷ এই enkephalin রা সাইন্যাপ্সে বসে যেয়ে ব্যাথার ইমপালস যেতে বাধা দেয়। এটা হচ্ছে ন্যাচারাল ব্যাথানাশক। প্রায় সব ম্যামালদেরই আছে এমন।
কিন্তু এদের ইফেক্ট খুব কম। দ্রুতই এদের বিভিন্ন এনজাইম এসে ভেঙে দিয়ে চলে যায়। কারণ এদের না ভাঙলে এখানেই আজীবন থাকবে আর ওই মানুষটা বা প্রাণীটা তাহলে আর কোনো ব্যাথাই কখনও অনুভব করবে না। ব্যাপারটা সার্ভাইভালের জন্য খুব খারাপ। কারণ ব্যাথাই আমাদের জানায় শরীরে কোনো সমস্যা হয়েছে, সাহায্য খোজো। ব্যাথা না থাকলে আমাদের শরীরের ক্ষতি হয়ে যেতে থাকবে, যেমন রক্ত পড়তে থাকবে বা হাড় ক্ষয় হতে থাকবে, আমরা টেরও পাব না। সাহায্যও খুজব না। টিকে থাকার জন্য ব্যাথার অনুভূতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু এই enkephalin যদি আমরা ইচ্ছা করেই আরেকটু বেশিক্ষণ রাখতে পারি, তাহলে সাধারণ ব্যাথা, যেমন মাথা ব্যাথা, বা ছোট জখম, এগুলো থেকে সহজেই রেহাই পেতে পারি। এই কাজটা কে করবে?
লেডিস এন্ড জেন্টেলমেন, এখানেই এই লেখার নায়ক, থুতুতে থাকা কেমিক্যাল, Opiorphin এর আবির্ভাব ঘটছে। মূলত, একলাইনের পোস্টগুলোতে যার কথা বলা হয়েছে সে নিজে থেকে কোনো ব্যাথানাশক না। সে স্রেফ enkephalin কে ভেঙে ফেলতে বাধা দেয় এনজাইমদের৷ বলতে পারেন enkephalin এর বডিগার্ড হল Opiorphin.
বিজ্ঞানীরা ল্যাবে থুতু থেকে সংগ্রহ করে Opiorphin কে ব্যাথানাশক হিসেবে কাজে লাগানোর কথা ভাবছেন। ইতিমধ্যে ইদুরের ওপর টেস্ট করা হয়েছে, এবং হ্যা, তাদের ব্যাথা কমানোতে সাহায্য করেছে।
জিজ্ঞেস করছেন কীভাবে বুঝল ইদুর ব্যাথা অনুভব করছে কী করছে না? ভাল প্রশ্ন, ইদুর তো আর কথা বলে না। কিন্তু দুইভাবে বুঝতে পারা গেছে। আপনি জিজ্ঞেস করলেন বলেই এখন নির্মম এক্সপেরিমেন্ট এর কথা বলতে হচ্ছে আমাকে।
প্রথমত, ইদুরের পা বা শরীরে ক্ষত করে দেয়া হল। যার ফলে সে ওই জায়গাটা চাটতে থাকে। আমরা জানি নিম্নস্তরের প্রাণীরা এমন করে। কিন্তু Opiorphin ব্যবহারের পর ওই জায়গা চেটে দেয়ার রেট অনেক কমে গেল। অর্থাৎ, তাদের ব্যাথা এখন করছে না আগের মত।
দ্বিতীয়ত, তাদের সূচওয়ালা রাস্তার ওপর দিয়ে হাটতে বাধ্য করা হয়েছিল। প্রথমে তারা হাটতে চাইছিল না, কারণ ব্যাথা পাচ্ছিল। কিন্তু Opiorphin দেয়ার পর তারা এটার ওপর দিয়ে হাটতে পারল। অর্থাৎ, নো পেইন।
তো বোঝাতে পেরেছি? Opiorphin আমাদের থুতুতে পাওয়া একটা কেমিক্যাল যা ন্যাচারাল পেইন ইনহিবিটর enkephalin এর কার্যকারীতা বাড়িয়ে দেয় তাকে বেশি সময় কাজ করতে দিয়ে। একই রেজাল্ট পেতে মরফিনের চেয়ে ছয়গুন কম Opiorphin লাগে৷
এখন আপনি আবার প্রশ্ন করতে পারেন, সো মনিফ, আমরা থুতু গিলে ফেললে বা ক্ষততে থুতু দিলে ব্যাথা যায় না কেন?
ওয়েল, যায় না? খুবই অল্প, কিন্তু যায়। খেয়াল করবেন। এজন্য পশুরা নিজেদের এভাবে চাটে। খুবই হালকা স্বস্তি পাওয়া যায়। তবে হ্যা, এটা এতটাও ইফেক্টিভ না। তার কারণ এটা গিলে ফেললে আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় নষ্ট হয়ে যায় প্রায় সাথে সাথেই। আর ক্ষতস্থানে লাগালেও একই ব্যাপার৷ রক্তে থাকা বিভিন্ন কেমিক্যাল আর এনজাইমের ফলে নষ্ট হয়ে যায়।
তাহলে উপায়?
বিজ্ঞানীরা এটার কিছু মডিফিকেশন করেছেন। এই সিনথেটিক Opiorphin এর নাম তারা দিয়েছেন STR-324 যেটা রক্তে কীংবা হজমপ্রক্রিয়ায় নষ্ট হবে না। সাধারণ Opiorphin এর মত এটা শ্বাসপ্রশ্বাস অল্প ধীর করে দেয় না। আর যেহেতু এটা আসক্তি তৈরি করে না, তাই হয়তো ভবিষ্যতে মরফিন বা এরকম ড্রাগের পরিবর্তে এটা ব্যবহার হবে। যদিও বিজ্ঞানীদের মাথায় একে নিয়ে আরো লম্বা পরিকল্পনা। তারা একে অন্য কেমিক্যাল বা প্রোটিনের বডিগার্ড হিসেবেও ব্যবহার করতে চান, যাতে করে বায়োকেমিক্যাল রিয়েকশনগুলো আরো ভালভাবে কন্ট্রোল করা যায় ল্যাবে।
পড়েছেন পুরোটা? কংগ্র্যাচুলেশন
(সমাপ্ত)
লিখাঃ মনিফ শাহ চৌধুরী