আজ আলোচনা করবো সাইরেনোমেলিয়া সিন্ড্রম (Sirenomelia Syndrome) বা মেরমেইড সিন্ড্রম(Mermai
আসলে রোগটিকে দুটি বিষয় এর উপর নির্ভর করে বিন্যাস করা হয় এক. জন্মের পর শরীরের নিচের দিকে হড় এর উপস্থিতি এবং দুই. অনুপস্থিতি। রোগের কিছু মাত্রাঃ
১)উরুর দিকের এবং পা এর নিচের দিকের হাড় গুলো উপস্থিত থাকে।
২)ফিবুলা হার দুটি সংযুক্ত থাকে।
৩)কিছু ক্ষেত্রে ফিবুলা থাকেই না।
৪)সল্প মাত্রায় ফিমার সংযুক্ত এবং ফিবুলা হাড় সম্পূর্ণ সংযুক্ত। (ফিবুলাঃপা এর নিচপর দিকের হাড় ফিমার উরুর হাড়)
৫)সল্প মাত্রায় ফিমারের সংযুক্ত থাকা।
৬) সংযুক্ত উভয় ফিমার এবং টিবিয়া (টিবিয়াঃ ফিবুলা সংলগ্ন হাড়)।
৭)সংযুক্ত ফিমার টিবিয়া অনুপস্থতিত।
অসলে এর শ্রেনিবিন্যাসই করা হয় শরীরের নিচের দিকের হাড়ের গঠন থেকে। যেখানে প্রথম শ্রেনী ( সকল হার উপস্থিত এবং পা এর নরম টিসু্য গুলো অনুপস্থিত থাকে) থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেনী(যেখানে সকল হার থাকে কিন্তু সংযুক্ত) পর্যন্ত রয়েছে।
সাইরেনোমেলিয়া মূলত ফাইবুলার আবর্তনের সাথে উভয় পা ফিউশন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এটি নীচের মেরুদণ্ডের অভাব, শ্রোণী, রেনাল অঙ্গগুলির অস্বাভাবিকতা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে এবং এটি পূর্বে ধর্মীয় এজেনসিস /
কারনঃ সাইরেনোমিলিয়ার
প্রাণীর মডেলগুলিতে, বেশ কয়েকটি জিন সেরেনোমিলিয়ার কারণ বা যুক্ত হতে দেখা গেছে। হোমেনজাইগাস ইঁদুরগুলিতে hrindlimb ফিউশন সৃষ্টি করার জন্য srn (সাইরেন) জিনটি পর্যবেক্ষণ করা হয় Tsg1 এবং bmp7 উভয়টিতে নকআউট বা মিউটেশনের সাথে ইঁদুরগুলির মধ্যেও হিন্ডিম্লব ফিউশন থাকবে।
আমাদের দেশ কিংবা তার আশে পাশেও এই রোগ দেখা যা মাঝে মাঝে তবে আমাদের সাংবাদিকদের সম্পর্কে তো সবার ধারনা আছে তারা টিল কে তাল বানিয়ে দেয় শিরোনামে।
ইন্ডিয়ান (Bangali news 18) নামক online চ্যানেলের একটি নিউজ তুলে ধরছিঃ-
******দেশে মৎসকন্যার মতো বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্ম নিল এই শিশু*****-
দেহের উপরের অংশ একেবারে মানুষেরই মতো, কিন্তু নীচের দিকটা ঠিক যেন গল্পের বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা মৎসকন্যা ৷ ‘লিটল মার্মিড’-এর সেই রঙিন বইটার পাতায় এমনই এক আজব সংকর প্রাণিকে দেখেই বড় হয়েছি আমরা
নয়াদিল্লি: দেহের উপরের অংশ একেবারে মানুষেরই মতো, কিন্তু নীচের দিকটা ঠিক যেন গল্পের বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা মৎসকন্যা ৷ ‘লিটল মার্মিড’-এর সেই রঙিন বইটার পাতায় এমনই এক আজব সংকর প্রাণিকে দেখেই বড় হয়েছি আমরা ৷ পা দু’টো তাঁর ঠিক পায়ের মতো নয় ৷ সে জায়গায় রয়েছে গাঢ় সবুজ একটি লেজ ৷ এমনই ছিল সেই লিটল মার্মিড ৷
এক্ষেত্রে সবটা না মিললেও কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে মৎসকন্যার সঙ্গে ৷ এই শিশুর পা দু’টিও ছিল জোড়া ৷ গতকাল মহারাষ্ট্রের আম্বাযোগাই সরকারি হাসপাতালে বিরল সিরেনোমেলিয়া সিনড্রোম নিয়ে জন্ম হয় শিশুটির ৷ কিন্তু জন্মের কয়েক মিনিটের মধ্যেই মারা যায় সে ৷
আম্বাযোগাইয়ের স্বামী রামানন্দ টের্থ রুরাল গভঃ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সিরেনোমেলিয়া একটি বিরল কনজিনিটাল রোগ ৷ এই সিনড্রোমে দেহের নীচের অংশ জুড়ে থাকে ৷ ওই শিশুটি এমনই বিরল রোগ নিয়ে জন্মেছিল ৷ কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি ৷ তবে সুস্থ আছেন শিশুর মা ৷
২৫ বছরের দীক্ষা কাম্বলে সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ প্রসববেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি সন্তানের জন্ম দেন ৷ কিন্তু প্রথম থেকে সন্তানের ওজন ছিল খুবই কম ৷ মাত্র ১ কেজি ৮০০ গ্রামের শিশুটির পা দু’টি ছিল জোড়া ৷ অনেকটা মাছেদের লেজের মতো ৷ হাত দু’টিও অনেকটা মাছের পাখনার মতো ছিল ৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নীচের অংশ সম্পূর্ণভাবে জোড়া হওয়ায় শিশুটির লিঙ্গও শনাক্ত করা যায়নি
যাই হোক অনেকদিন পর লিখছি। ভুল থাকলে ধরিয়ে দিবেন।
Reference: উইকি থেকে English একটি article বঙ্গানুবাদ করেছি।
Writer: Dipto Islam