আজ প্রথমে দেখানোর চেষ্টা করব মধুর সম্পর্কের ভুল ধারণাসমূহ এরপর বিশুদ্ধ মধু খোজাঁর পদ্ধতিগুলো কেন সঠিক নয়।
1. ALL BEES MAKE HONEY
প্রথমত পৃথিবীতে প্রায় ২০,০০০ প্রজাতির মৌমাছি বাস করে যা ৭টি গোত্রে বিভক্ত। এই ৭টি গোত্রের মাত্র একটি গোত্রের মৌমাছির মধু তৈরির ক্ষমতা আছে। কেবলমাত্র Apidae গোত্রের মৌমাছি নেক্টর থেকে মধু তৈরি করতে পারে।
2. IF YOU HEAT UP THE HONEY AND EAT IT, YOU’LL POISON YOURSELF
প্রথমত বলতে চাই, এটা সঠিক আবার ভুল উভয়ই। আপনি যদি ক্রমাগত মধুকে তাপ দিতে থাকেন এবং ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধু রান্না করার ফলে একটি নেতিবাচক রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। তাপ মধুর উপকারী গুণাবলী ধ্বংস করে এবং প্রক্রিয়াজাত মধু কিনে, যা ইতিমধ্যে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় উত্তপ্ত হয়। তাপ কেবলমাত্র মধুর এন্টি-ব্যাক্টের িয়াল বৈশিষ্ট্য হারাতে সক্ষম করে এবং মধুতে থাকা সমস্ত অ্যান্টি-অক্সিড েন্ট এবং পুষ্টিকে হ্রাস করতে পারে। কিন্তু পয়জন হবে না।
তবে আপনি যদি চান অল্পতাপে একটু গরম করে নিতেই পারেন সমস্যা হবে না। গরম দিলেই আপনি শেষ এমন ভাবার দরকার নাই। ফ্রিতে পরামর্শ দেই: কিছুসময় রোদে রেখে দিতে পারেন।
3. মধু জীবনেও পচে না কোনোভাবেই পচতে পারে না
হ্যাঁ, এটা সত্যি কিন্তু যত্ন না নিলে নয়। যত্ন নিতে গিয়ে যদি আবার ফ্রিজে রাখেন তাইলেও অবশ্য লাভ নাই। সাধারণত কাচা মধু পচে না কিন্তু একে ক্রমাগত তাপ দিবেন, বাতাসে রেখে দিবেন তাহলে হবে না।
মধু হাইড্রোস্কোপিক, যার অর্থ এটি যখন প্রাকৃতিক অবস্থায় খুব কম জল থাকে তবে এটি যদি না খালি ছেড়ে দেওয়া হয়। যদি মধুকে বাতাসে ছেড়ে দেন তবে মধু ধীরে ধীরে জলীয়বাষ্প শোষণ করে নেবে। মিষ্টি, চটচটে পদার্থটি অনাবৃত অবস্থায় সংরক্ষণ করা হলে এটি আর্দ্রতা এবং লুণ্ঠন শোষণ করতে পারে।
4. IF IT’S CRYSTALLISED, IT’S SPOILED
যদিও এটি প্রথমে বেশ অস্বাভাবিক বলে মনে হতে পারে, সময়ের সাথে সাথে মধুর জারের মধ্যে যে স্ফটিক রয়েছে তার অর্থ এই নয় যে এটি নষ্ট হয়ে গেছে। এই প্রতিক্রিয়াটি কেবল তখনই ঘটে কারণ কাঁচা মধুতে তুলনামূলকভাবে উচ্চ স্তরের গ্লুকোজ থাকে, যা ফ্রুক্টোজের চেয়ে চিনি স্ফটিকগুলিতে সহজতর হয়ে ওঠে।
কাঁচা মধু বিবেচনায় পরাগ এবং প্রোপোলিসের ক্ষুদ্র বিট রয়েছে (যা বেশিরভাগ কাঁচা মধুর পুষ্টিগুণের জন্য দায়ী) গ্লুকোজ এই কণাগুলিতে ল্যাচ করতে পছন্দ করে, কাঁচা মধু প্রাকৃতিকভাবে আরও প্রসেসড, হাই-ফ্রুক্টোজ হনিগুলির চেয়ে দ্রুত স্ফটিকিত করে তোলে। আপনি যদি আপনার মধুটি স্ফটিকের পরে আবার প্রবাহিত করতে চান তবে স্ফটিকগুলি ভেঙে ফেলার জন্য আপনি এটি সবসময় একটি চামচ দিয়ে নাড়াতে পারেন বা হালকা গরম পানিতে স্নানের পাত্রে রেখে আপনার মধু হালকা গরম করুন।
5. (MOST IMPORTANT) “IF THE BEE DISAPPEARED OFF THE FACE OF THE EARTH, MAN WOULD ONLY HAVE FOUR YEARS LEFT TO LIVE”.- আলবার্ট আইনস্টাইন
আইনস্টাইনের উক্তি অনেক জায়গায় ব্যবহৃত হয়। সবচেয়ে বেশিবার ব্যবহৃত হয়েছে এমন উক্তির মধ্যে উপর্যুক্ত উক্তিটি অন্যতম। তবে, উদ্ধৃতি তদন্তকারী অনুসারে, আইনস্টাইন এটি কখনও বলেছিলেন তার কোনও প্রমাণ নেই। তার মৃত্যুর ১০ বছর পরে ফরাসি একটি জার্নাল থেকে এটা প্রকাশ পেলেও মৌমাছির অনুপস্থিতিতে আইনস্টাইন কোনো ভাগ্য গণনা করেছেন এমন কোনও প্রমাণ নেই।
মৌমাছি অবশ্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ বাহক তবে একমাত্রও নয় আবার সকল ফসলের পরাগায়নে সাহায্য করে এমনও নয়। তবে বহু ফুল পরাগায়নের জন্য মৌমাছির উপর নির্ভরশীল, যা অন্য প্রাণী দিয়ে সম্ভব না। মৌমাছি এদিক থেকে অবশ্যই স্পেশাল। সেই উদ্ভিদগুলোর বিলুল্ত হওয়ার চান্স আছে। 'এক ঢিলে অনেক পাখি' টাইপ কিছু একটা ঘটবে। নাটকীয়ভাবে মানুষের খাদ্য ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবে তবে সম্ভবত দুর্ভিক্ষের দিকে নিয়ে যাবে না।
পৃথিবীতে এমন অনেক ফসল রয়েছে যার প্রচারের জন্য মৌমাছিদের প্রয়োজন হয় না। এর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রধান ফসল, ভুট্টা, গম, চাল, সয়াবিন- মানব ক্যালোরির সিংহভাগ এখনও এ থেকেই আসে। বায়োমাসের দৃষ্টিকোণ থেকে,বিশ্বজুড়ে যে ১২ টি ফসল বিশ্ব খাদ্য সরবরাহ করে তার প্রায় ৯০ শতাংশ বাতাসে পরাগায়িত হয়। বেশিরভাগ উদ্ভিদ বায়ুর মাধ্যমে পরাগায়িত হয়। যেমন: ধান, গম, ভুট্টা, বার্লি, বাজরা, ওট জাতীয় ঘাস, চাল, জর্বাংস, বাজরা, রাই এবং আলু, মিষ্টি আলু, কাসাভাস বা ম্যানিওকস, কলা এবং নারকেল। ক্যালোরির আরও একটি বড় অংশ (এবং প্রোটিন ইত্যাদি) এমন উদ্ভিদ থেকে আসে যা স্ব-পরাগায়িত করতে পারে যেমন সয়াবিন। লেটুস, মটরশুটি স্ব-পরাগায়িত হয়।
ব্লুবেরি এবং চেরিগুলি তাদের পরাগতার ৯০ শতাংশ পর্যন্ত মধুচক্রের উপর নির্ভর করে। তবে ধারণা করা হয় টমেটো, ব্লুবেরি, ক্র্যানবেরি এবং বেশিরভাগ মটর পরিবারের সদস্যরা মধু মৌমাছিদের তুলনায় ভুট্টা বা ছুতের মৌমাছির দ্বারা আরও ভালো পরাগায়িত হয়। প্রজাপতি, মথ, হোভারফ্লাইস, পাখি, ফ্রুটব্যাটস এবং অস্ট্রেলিয়ান চিনির গ্লাইডার সহ অন্যান্য প্রাণী পরাগবাহী রয়েছে, তবে বেশিরভাগ ফুলের গাছগুলি মৌমাছিদের পছন্দ করে।
মৌমাছি বাহক হিসেবে কাজ করে এমন খাবারগুলি দুর্লভ এবং আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফসল শুধুমাত্র শখের বসে উৎপন্ন হবে। মৌমাছি না থাকলে তাজা উৎপাদনের প্রাপ্যতা ও বৈচিত্র্য হ্রাস পাবে এবং মানুষের পুষ্টি সম্ভবত ক্ষতিগ্রস্থ হবে। মানুষের খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আসবে।
মধুতে সুগার থাকে না এটা বিসিবি'র কেউ মনে করে না এটা আমার বিশ্বাস তাই এমন ফ্যাক্টগুলো নিয়ে লিখলাম না।
বিশুদ্ধ মধু বেঁছে নেওয়ার জন্য অনেকেই ঘরোয়া পদ্ধতি খুঁজতে থাকেন এবং সেগুলো খুব সুন্দরভাবে কেউ কেউ উপস্থাপনও করে। যার বেশিরভাগই তেমন কাজের হয় না। এই উপস্থাপনার কমন কয়েকটি পদ্ধতির ভুল খোঁজার আশায় এখানা লিখলাম। পদ্ধতিগুলোঃ
১. বুড়ো আঙুলের পরীক্ষা ও ঘনত্ব
যার বর্ণনায়ঃ সামান্য মধু নিন বুড়ো আঙুলে। দেখুন, এটি অন্যান্য তরলের মতো ছড়িয়ে পড়ে কি না। মধু খাঁটি না হলে তা অন্য তরলের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু আসল মধু ঘন হয়ে আটকে থাকবে। সহজে ছড়াবে না। আবার একটু বেশি পরিমাণ মধু নিয়ে বুড়ো আঙুল উল্টো করে ধরে রাখলে তা সহজে ফোঁটা আকারে পড়বে না।
এই বর্ণনায় মূল কথা কী বুঝলেন? মধু অনেক ঘন হয়ে থাকে যার কারণে মধু হাতে লেগে যায়। কিন্তু আসলে মোটেও সেরকম হয় না।
মধুর সান্দ্রতা নির্ভর করে মধুর আর্দ্রতা ওপরে। যে মধুতে পানি বেশি সেটা কম ঘন। যে মধুতে পানি কম সেটা অনেক ঘন। মরু এলাকার ফুলের মধু আর বাওড় এলাকার ফুলের মধুতে অনেক তফাত থাকে। সুন্দরবনের একদম খাঁটি মধু অনেক পাতলা হয়, আবার সরিষা ফুলের সাথে অনেক ভেজাল মেশানোর পরেও সেটাকে বেশ ঘন মনে হবে।
কিন্তু এতেই মধু ব্যবসায়ীদের বিশাল ক্ষতি হয়। সত্যি কথা বলতে কী, খাঁটি মধু বানানোর চাপে অনেক ভালো মধু উৎপাদকরাও মধুকে প্রক্রিয়াজাত করতে বাধ্য হন। প্রক্রিয়াজাত মানে মৌমাছির তৈরি মধুকে উত্তপ্ত করে পানির পরিমাণ কমিয়ে ফেলা। দুঃখজনক হলেও, এ কাজটা করতে গিয়ে মধুর বেশকিছু পুষ্টিমান হারিয়ে যেতে পারে।
২. পিপড়া পদ্ধতি:
আরেকটা দারুন পদ্ধতি। পিপড়া মিষ্টি জিনিষ পছন্দ করলেও মধু পছন্দ করে না। এর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা থাকতে পারে, তবে আমরা সেদিক যাবো না। এক টুকরা কাগজে কিছু মধু লাগিয়ে যেখানে পিপড়া আছে সেখানে রেখে দিন। যদি পিপড়ারা এই কাগজের দিকে আকৃষ্ট হয়, এবং এটিকে ঘিরে ধরে, তাহলেই বুঝতে হবে এই মধূ আসল মধু না! আর যদি পিপড়ারা পাত্তাই না দেয়, আপনিই বুঝবেন যে এটা আসলেই আসল মধু। আসলেই কি পিঁপড়ারা মধু পছন্দ করে না?
এর উত্তর হলোঃ না, মধু এদের খুব বেশিই প্রিয় কিন্তু এটাও ঠিক যে মধুতে পিঁপড়া কম আসে। পিঁপড়া আসলে ময়েশ্চার দ্বারা আকর্ষিত হয়। খাঁটি মধুতে ২০% এর কম ময়েশ্চার থাকায় পিঁপড়ারা এর আকর্ষিত কম হয়। কিন্তু আপনি যদি খাঁটি মধু টেবিলের উপর রেখে দেন তাহলে এটি বাতাস থেকে যথেষ্ট পরিমাণ ময়েশ্চার পেয়ে যাবে। পিঁপড়াও হামলে পরবে মধুর দিকে। কিন্তু এটা ঠিক যে ভেজাল মধুতে পিঁপড়া খাঁটিটার থেকে তাড়াতাড়ি আক্রমণ করবে।
৩. আরো দু'টা মজার পদ্ধতি হলোঃ
i. কাপড়ে দাগ পদ্ধতিঃ
এক টুকরা সাদা কাপড়ের উপর সামান্য পরিমাণ মধু নিন এবং এবং কিছুক্ষন পর কাপড়টি ধৌত করুন । ধোয়ার পর কাপড়টিতে যদি কোন দাগ থাকে তবে মধুতে ভেজাল আছে । আর যদি কোন দাগ না থাকে তবে মধু খাঁটি।
ii. পানির পরীক্ষাঃ
এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ মধু নিন। ভেজাল মধু শিগগিরই মিশে যাবে পানির সঙ্গে। কিন্তু আসল মধু মিশে গেলেও এর কিছু অংশ ঘন হয়ে ভেসে বেড়াবে পানিতে অর্থাৎ ছোট ছোট দলা আকারে পানির মধ্যে ছড়িয়ে যাবে। বিশেষ করে সামান্য অংশ তলানিতে পড়ে থাকবে। কিন্তু বাজে মানের মধু একেবারে হাওয়া হয়ে যাবে। তবে এই পদ্ধতিতে আসল মধুর সাথে কিছুটা ভেজাল মেশালে তা সহজে বোঝা যাবে না সেটা তো ধরেই নেওয়া যায়।
যাই হোক শেষও সবচেয়ে মজার বিষয় পদ্ধতি নিয়ে বলা যাকঃ
এই পদ্ধতির নামঃ আগুনের পরীক্ষা বা কাগজ জ্বালানো।
ভিন্ন পরীক্ষা কিন্তু কারণ একই। তাই একটার বর্ণনা দিলাম। এই পদ্ধতিটার বর্ণনা খুবই কৌতুহলী করে তোলে। এর বর্ণনা বেশিরভাগ জায়গায় এমনঃ
হয়তো এ পদ্ধতির কথা এর আগে শোনেননি। খাঁটি মধু কিন্তু দাহ্য পদার্থ। তবে মধুতে আগুন জ্বালানোর আগে সাবধান থাকবেন। নিরাপত্তাব্যবস্ থা পরিপূর্ণ করতে হবে। তবে পরীক্ষা অতি সাধারণ। ম্যাচের একটা কাঠি মধুতে চুবিয়ে নিন। এবার এই কাঠি জ্বালাতে ম্যাচবক্সে আঘাত করুন। জ্বলে উঠলে মধু নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন। আর মধুতে ভেজাল থাকলে আগুন জ্বলবে না।
এখন মজার ব্যাখায় আসা যাক: মধুতে সামান্য মোম মিশিয়ে দিলেই মধুটা সটান পানির তলায় চলে যাবে, জমে থাকবে। আগুন ধরিয়ে দিলে আগুন জ্বলবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই মোমটা যদি মধুতে না মিশিয়ে চিনির শিরাতে মিশিয়ে দেন, একই ফল পাবেন। আমরা অফিসে চিনির শিরা ঘন করে বানিয়ে পরীক্ষা করে দেখিয়েছি চিনির শিরা বেশি ঘন হলে সোজা তলে চলে যায়, দ্রবীভূত হয় না। ফলে চিনির শরবতেও আগুন জ্বলবে।
সকল মধুর রং এক নয় সবাই জানে। কিন্তু একই মধুর রংও কিন্তু ভিন্ন হতে পারে। এটা নির্ভর করে মধুতে মোমের পরিমাণের উপর।
আরেকটা বিষয় আছে। মনে করেন আপনার নিজের বাড়ির মধু। মৌচাক কেটে আনা হয়েছে আপনার সামনেই। এখন মধু সংগ্রহ করতে আছে। আপনার কড়া নজরের মধ্যেও মধুর মধ্যে ভেজাল দিয়ে দিতে পারে এটা তাদের বা হাতের ব্যাপার। প্রশ্ন করতে পারেন এতে তার লাভ কী? তার লাভ হলো টাকা। যেটা আমার সাথে ঘটেছিল।
তথ্যসূত্র:
- https://
en.wikipedia.org /wiki/Honey - https://
www.mayoclinic.o rg/ diseases-conditi ons/diabetes/ expert-answers/ diabetes/ faq-20058487 - https://
www.google.com/ amp/s/ food.ndtv.com/ food-drinks/ reasons-why-you- should-never-co ok-honey-169670 0%3famp=1&akama i-rum=off - https://
www.researchgate .net/figure/ Density-of-selec ted-honey-sampl es-except-honey -with-glucose-p rocessed-and-Eu calyptus_fig2_2 76541313 - https://
www.forbes.com/ sites/ paulrodgers/ 2014/09/09/ einstein-and-the -bees-should-yo u-worry/ - https://
www.healthline.c om/health/ honey-for-burns - https://
www.nytimes.com/ 2008/02/19/ health/ 19real.html - https://
en.wikipedia.org /wiki/Wax_fire
Writer: Nur-a-Nayeem-Shanto