সমুদ্র ভাইয়ের মুক্তি চাই!



সমুদ্র হচ্ছে পৃথিবীর শরীরের রক্তপ্রবাহের মতো। রক্তপ্রবাহ দূষিত হলে যেমন মানুষ বাঁচে না, তেমনি সমুদ্র দূষিত হলে পৃথিবী বাঁচবে না। এই সমুদ্রই আজ হচ্ছে দূষিত। যার পিছনে ৮০%ই মানুষের দায়। প্রতিবছর ৮ই জুন এই দোষ করি আর একটু পরিষ্কারের চেষ্টা করি। আবার ৯ই জুন হতে না হতেই আবার শুরু করি সমুদ্র দূষণ। আজকাল সমুদ্র দূষণের বিস্তৃতি অনেক দূর পর্যন্ত যে, আপনি একটা পলিথিন সৈকতে না ফেলে, পলিথিনের বদলে পচনশীল কিছু ব্যবহার করে হতে পারেন হেড লাইন! প্রায় দাদাগিরিতে দেখা পাই তাদের। কিন্তু অনেকেই জানেন না তারা কীভাবে সমুদ্র দূষিত করতেছে!

একটু ইতিহাসঃ সামুদ্রিক দূষণের দীর্ঘ ইতিহাস থাকলেও, এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক আইন বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত কার্যকর করা হয়নি। 1950-এর দশকে শুরু হওয়া সমুদ্র আইন সম্পর্কে জাতিসংঘের একাধিক কনভেনশন চলাকালীন সামুদ্রিক দূষণ উদ্বেগজনক ছিল। বেশিরভাগ বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেছিলেন যে মহাসাগরগুলি এত বিস্তৃত ছিল যে তাদের পাতলা করার সীমাহীন ক্ষমতা ছিল এবং এভাবে দূষণকে নিরীহ হতে পারে। 1950 এর দশকের শেষের দিকে এবং 1960 এর দশকের গোড়ার দিকে, পারমাণবিক শক্তি কমিশন দ্বারা লাইসেন্সপ্রাপ্ত সংস্থাগুলি দ্বারা উইন্ডস্কলে ব্রিটিশ পুনরায় প্রসেসিং সুবিধা থেকে এবং ভূমধ্যসাগর সমুদ্রের মধ্য দিয়ে আইরিশ সাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলে রেডিওএকটিভ বর্জ্য ফেলে দেওয়ার বিষয়ে বেশ কয়েকটি বিতর্ক হয়েছিল ফরাসী কমিটি-ই'নারজি আটমিক দ্বারা। ভূমধ্যসাগরীয় সমুদ্র বিতর্কের পরে, উদাহরণস্বরূপ, জ্যাক কাস্টিউ সামুদ্রিক দূষণ বন্ধ করার অভিযানের এক বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। ১৯৬৭ সালে তেল ট্যাঙ্কার টরে ক্যানিয়নের দুর্ঘটনার পরে এবং ১৯৬৯ সালে সান্তা বারবারা তেল ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে ছড়িয়ে পড়ার পরে সামুদ্রিক দূষণ আরও আন্তর্জাতিক শিরোনাম তৈরি করে। ১৯৭২ সালে স্টকহোমে অনুষ্ঠিত মানব পরিবেশ সম্পর্কিত জাতিসংঘের সম্মেলন চলাকালীন সামুদ্রিক দূষণ আলোচনার একটি প্রধান ক্ষেত্র ছিল। সেই বছর সাময়িক দূষণ প্রতিরোধ সম্পর্কিত কনভেনশনে ডাম্পিং অফ বর্জ্য এবং অন্যান্য বিষয়গুলি দ্বারা কখনও কখনও লন্ডন কনভেনশন নামে পরিচিতও স্বাক্ষর করতে দেখেছিলেন। লন্ডন কনভেনশন সামুদ্রিক দূষণ নিষিদ্ধ করেনি, তবে জাতীয় নিষেধাজ্ঞাগুলি (কালো) বা জাতীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত (ধূসর) দ্বারা নিয়মিত কালো ও ধূসর তালিকা তৈরি করেছে। সায়ানাইড এবং উচ্চ-স্তরের তেজস্ক্রিয় বর্জ্য, উদাহরণস্বরূপ, কালো তালিকায় রাখা হয়েছিল। লন্ডন কনভেনশনটি কেবল জাহাজ থেকে ফেলে দেওয়া বর্জ্য প্রয়োগের জন্য প্রয়োগ করা হয়েছিল এবং এভাবে পাইপলাইন থেকে তরল হিসাবে নিষ্কাশিত বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছুই করেনি।

সমুদ্র জিনিসটা আসলে কী সেটা দিয়েই শুরু করা যাক। সমুদ্র হলো লবণাক্ত জলের পরস্পর সংযুক্ত জলরাশি, যা পৃথিবীর উপরিতলের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি অংশ আবৃত করে রেখেছে। সমুদ্রই মহাদেশগুলো ভৌগলিকভাবে আলাদা করে রেখেছে। আর সাগরগুলো সমুদ্রকে আংশিকভাবে ভূ-বেষ্টিত করেছে। এরপর আসে সমুদ্র সৈকতের কথা। সমুদ্র সৈকত বা সৈকত হচ্ছে এক প্রকার ভূ-তাত্ত্বিক স্থলভাগ, যা কোনো জলভাগের পার্শ্বে গড়ে ওঠে। কিন্তু হ্রদ বা হাওড় ধরনের জলাশয়ের পার্শ্বে গড়ে ওঠা স্থলভাগকে সৈকত হিসেবে ধরা হয় না। এটি শুধুমাত্র সমুদ্রের পার্শ্ববর্তী স্থলভাগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এটি সাধারণত আলগা জড়পদার্থ, যেমন: শিলা, নুড়ি, বালু, কাকর প্রভৃতি বস্তু দিয়ে তৈরি হয়। আর এই সবটাই সমুদ্রেই অংশ।

আগে এর একটু গুণ গান গাওয়া যাক । সমুদ্রের পানিতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) থাকায় এর স্বাদ লবণাক্ত হয়। খাবার লবণ আমরা এখান থেকেই পাই। পৃথিবীর জলবায়ু সহনশীল রাখতে প্রয়োজনীয় পানিও এখান থেকেই আসে। পানিচক্র, কার্বণচক্র, নাইট্রোজেন চক্র সুষ্ঠুভাবে পরিচালন করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে যাচ্ছে সবর্দা।

সমুদ্রে বিভিন্ন ধরনের ব্যাক্টেরিয়া, প্রোটিস্ট, শৈবাল, উদ্ভিদ, ছত্রাক ও প্রাণীর সন্ধান পাওয়া যায়। এই জন্য সমুদ্রে একটি বৈচিত্র্যময় সামুদ্রিক বাসস্থান ও বাস্তুতন্ত্র গড়ে উঠেছে। এই জাতীয় বাসস্থান ও বাস্তুতন্ত্র সমুদ্রের উপরিতলের সূর্যালোকিত জলভাগ ও তটরেখা থেকে উল্লম্বভাবে শীতল ও অন্ধকার সমুদ্রতলস্থ ক্ষেত্রের জলের উচ্চচাপযুক্ত সুগভীর অংশ এবং উত্তর মেরু অঞ্চলের বরফের তলায় স্থিত শীতল জল থেকে অক্ষরেখা বরাবর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের বর্ণবৈচিত্র্যময় প্রবাল প্রাচীরগুলি পর্যন্ত প্রসারিত রয়েছে। উদ্ভিদ ও প্রাণীদের বেশ কিছু প্রধান গোষ্ঠীর বিবর্তন ঘটেছে সমুদ্রে। জীবনের উৎপত্তিও সম্ভবত সমুদ্রেই ঘটেছিল।

সমুদ্র মানবজাতিকে প্রচুর খাদ্য সরবরাহ করে। এর মধ্যে মাছই প্রধান। তবে শেলফিস, স্তন্যপায়ী প্রাণী ও সামুদ্রিক শৈবাল পাওয়া যায় সমুদ্র থেকে। এগুলি হয় জেলেরা জাল ফেলে ধরে অথবা জলের তলায় চাষ করা হয়। এছাড়াও মানুষ সমুদ্রকে ব্যবহার করে বাণিজ্য, পর্যটন খনিজ উত্তলোন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, যুদ্ধ ও সাঁতার, প্রমোদ ভ্রমণ ও স্কুবা ডাইভিং ইত্যাদি অবকাশ যাপনের কাজে। আরো অনেক অনেক অনেক কাজে ব্যবহার করি এই সমুদ্রকে। এবার দূষণের আসল কথায় আসি।

১.Believe it or not, সমুদ্রের দূষকের বৃহত্তম অংশ  আসে প্লাস্টিকের বর্জ্য থেকে। প্রতিবছর ২৬০ মিলিয়ন টন (!) প্লাস্টিকের মধ্যে ১০% এর বেশি বর্জ্যের শেষ গন্তব্য সমুদ্রে। এটা বিশ্বাস করতেই হবে যে, প্লাস্টিক একটা হুমকির নাম, এক ধ্বংসেরও নাম। সাগরে অবমুক্ত হওয়া প্লাস্টিক পচতে অনেক সময় লেগে যায়। জাতিসংঘের একটি সমীক্ষা বলছে, প্রতি বছর ৫০ লাখ থেকে দেড় কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে প্রবেশ করে। এর একটা বড় অংশ যায় মাছ ও সামুদ্রিক পাখিদের দেহে। এমনকি সমুদ্রের তলদেশে থাকা প্রাণীদের শরীরেও প্লাস্টিকের সন্ধান মিলেছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থার (আইইউসিএন) মতে গাড়ির টায়ার ও বিভিন্ন টেক্সটাইল কারখানা থেকে নিঃসৃত ছোট ছোট প্লাস্টিকের বর্জ্য বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় সমুদ্র দূষণের মূল কারণ। মোট দূষণের প্রায় ৩০ শতাংশই প্লাস্টিকের কারণে হয়ে থাকে। অথচ আমরা যে অক্সিজেন গ্রহণ করি তার অর্ধেকই উৎপাদন করে সমুদ্র অর্থাৎ সমুদ্রের শৈবাল এবং ফাইটোপ্লাঙ্কটন নামক এককোষী উদ্ভিদ। সাগর আমাদের বায়ুমন্ডল থেকে পঞ্চাশ গুণ বেশি হারে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাস করে থাকে।

কিছু জানলাম ঠিকই কিন্তু প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো এতো সহজ নয়। কারণ এর সহজলভ্যতা এবং স্বল্প মূল্য। Dipu Sarkar ভাইয়ের পিচ্চি সাই-ফাইটা:

বিজ্ঞানী ক্যালকুলাসের এই আবিস্কারের মাধ্যমে সমুদ্রের সকল ধনসম্পদ মানুষের ব্যবহার উপযুক্ত করা যাচ্ছে। হাজার হাজার টনকে টন সোনা, রূপা, লবন, সালফার, সিলিকন, লিথিয়াম... যা মানুষের কাজে লাগে সব এবার উদ্ধার করা হবে এই সমুদ্র থেকে। কিন্তু একি! এযে দেখছি টনকে টন শুধুমাত্র প্লাষ্টিকই শুধু পাওয়া যাচ্ছে তার এই যন্ত্র থেকে।

-রত্নাকরলুন্ঠনযন্ত্র

২. তারপরই আসে নর্দমা আর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যামিক্যালের কথা। প্রায় বেশির ভাগ নর্দমাই নদীতে এসে তাদের ইতিটানে। এরপর প্রথমে নদীকে দূষিত করে নর্দমায় ফেলা আর্বজনাগুলো। এরপর নদীরও সমাপ্তি ঘটে সাগরে এসে। এর যা হওয়ার তাই হয় আবর্জনা এসে মিশে যায় সমুদ্রে। শুধু কী আর্বজনা! অনেক ক্যামিক্যাল থাকে সেখানে।

ক্যামিকেলের কারণে সমুদ্রের ইকো সিস্টেমে আসে অনেক পরিবর্তন। সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস, উদ্ভিদজীবনের ক্ষয় এবং সমুদ্রের জলের গুণমানের ক্ষেত্রেও মারাত্মক হ্রাস ঘটে। ফলস্বরূপ, মহাসাগরীয় জীবন, গাছপালা এবং প্রাণীগুলির সমস্ত স্তরের অত্যন্ত প্রভাবিত হয়। অনেক সময় প্রাণীদের দেহেও পৌঁছে যায় এই ক্যামিকেল। বেঁচে থাকা হয়ে যায় কষ্টকর। বেঁচে গেলেও জীবনযাত্রায় আসে পরিবর্তন!

তাছাড়া বিষাক্ত এই ক্যামিকেল সমুদ্রের তাপমাত্রা বাড়ায়। এটি Thermal pollution হিসাবে পরিচিত একটি ঘটনা। কারণ এই তরলগুলির তাপমাত্রা বেশ বেশি থাকে। যে প্রাণী এবং গাছপালা উচ্চ তাপমাত্রায় টিকে থাকতে পারে না।

৩. Land runoff সমুদ্র দূষণের আরেকটা ভালো (নেগেটিভ) সোর্স। Land runoff হলো জলের স্রোত যখন অতিরিক্ত বৃষ্টির জল, ঝড়ের জল, গলিত জল বা অন্যান্য উৎসগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে মাটিতে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে সেই পানি বয়ে গিয়ে মিশে খাল বা নদীতে। অনেক খালের সাথে আবার নদীকে সংযুক্ত করে দেওয়া হয় বা নদীর কাছাকাছি খাল তৈরি হয়। ফলে কোনো না কোনোভাবে তা নদীতে গেলেই হলো।

প্রায়শই, এই পানিতে মানবসৃষ্ট ক্ষতিকারক দূষকগুলি থাকে যা সমুদ্রকে দূষিত করে। এটি মাটি ধুয়ে নিয়ে যায়। রাস্তাঘাট, ভবন, বন্দর, চ্যানেল এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলি নির্মাণের কাজটি কার্বন, নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং খনিজ পদার্থযুক্ত মাটি এবং কণা বহন করতে পারে। এই পানি উপকূলীয় অঞ্চলে শেওলা এবং ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনকে সমৃদ্ধ করতে পারে ( যাকে Algal blooms বলে ) যা সমস্ত উপলব্ধ অক্সিজেন ব্যবহার করে হাইপোক্সিক পরিস্থিতি তৈরি করার সম্ভাবনা রাখে। দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্লোরিডার উপকূলে ক্ষতিকারক অ্যালগাল ফুলগুলি ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রয়েছে এই অ্যালগাল ফুলগুলি প্রজাতির মাছ, কচ্ছপ, ডলফিন এবং চিংড়ি মারা যাওয়ার কারণ এবং পানিতে সাঁতার কাটানো মানুষের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলছে।

সড়ক ও মহাসড়ক থেকে দূষিত জলবায়ু উপকূলীয় অঞ্চলে জল দূষণের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস হতে পারে। পুগেট সাউন্ডে প্রবাহিত প্রায় ৭৫% বিষাক্ত রাসায়নিকগুলি ঝড়ের পানিতে বহন করে যা পাকা রাস্তা এবং ড্রাইভওয়ে, ছাদ, গজ এবং অন্যান্য উন্নত জমি বন্ধ করে দেয় ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রচুর বৃষ্টি ঝড় রয়েছে যা সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয়। এই বৃষ্টিপাতগুলি অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ঘটে এবং এই বয়ে যায় পানিতে পেট্রোলিয়াম, ভারী ধাতু, নির্গমন থেকে দূষণকারী ইত্যাদি থাকে। স্থলজন্তু এবং মানব থেকে প্রাপ্ত সার এবং বর্জ্য Dead Zone তৈরি করে সমুদ্রের জন্য বিপুল ক্ষতিকারক হতে পারে।

৪. এরপর আছে জাহাজ দ্বারা ঘটিত দূষণ। নানাভাবেই এটি ঘটে থাকে। তবে সবচেয়ে বিধ্বংসী হতে পারে তেল পড়ে যাওয়া যা সামুদ্রিক জীবনের জন্য বিষাক্ত। অপরিশোধিত তেলের মধ্যে পাওয়া পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন (পিএএইচএস) পরিষ্কার করা খুব কঠিন এবং সামুদ্রিক পরিবেশে বছরের পর বছর স্থায়ী।

অনেক ক্ষেত্রেই জাহাজগুলি বিদেশী ও দেশীয় নিয়মকানুন সত্ত্বেও এই জাতীয় পদক্ষেপগুলি নিষিদ্ধ করে সত্ত্বেও অবৈধ বর্জ্য সমুদ্রে ফেলে দেয়। কিছু কিছু জায়গা আছে; ময়লা ফেলতে দেওয়া হয় না যেখানে জরিমানা হয়, সেখানে না ফেলে একটু এগিয়ে গিয়ে সেই সমুদ্রের মধ্যেই আবর্জনা ফেলে দেওয়ার জন্য তারাই আবার উৎসাহ প্রদান করে। এছাড়া জাহাজ যাতায়াত, এর থেকে ফেলা আবর্জনা ইত্যাদি সমুদ্রের ইকোলজিতে প্রভাব ফেলে।

৫. একটা প্রাকৃতিক দূষক দিয়া আজকের মতো ইতি টানি। আমাদের বায়ু প্রবাহ! বায়ুর প্রবাহের ফলে আবর্জনা নির্দিষ্ট একটা জায়গায় শুধু রেখে দেয়াই যথেষ্ট না। প্লাস্টিকের ব্যাগ সহ বায়ু-প্রস্ফুটিত ধুলা এবং ধ্বংসাবশেষগুলি স্থলভাগ এবং অন্যান্য অঞ্চলগুলি থেকে সমুদ্রের পানিতে উড়ে গেছে। উষ্ণ মৌসুমে উপনিবেশিক আটলান্টিকের মধ্য দিয়ে উত্তেজনা কেন্দ্রটি উত্তর দিকে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে সমুদ্রের উঁচু অঞ্চলের দক্ষিণ পেরিফেরির চারপাশে ঘুরে আসা সাহারা থেকে ধূলিকণা ক্যারিবীয় এবং ফ্লোরিডায় চলে যায়। ধুলোকে কোবি, জাপান এবং উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল জুড়ে গোবি এবং তকলমাকান মরুভূমি থেকে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের গ্লোবাল ট্রান্সপোর্টের জন্যও দায়ী করা যেতে পারে।

আরো অনেকভাবে সমুদ্রের দূষণ হয়। তবে আমার মতে এগুলোই প্রধান এবং এদেরও বর্ণনায় একটা একটা অনেক কিছু তুলে ধরা সম্ভব কিন্তু এতো লেখার ধৈর্য আমার নাই

তবে এতো কিছুর পরও সমুদ্র মোটামুটি ভালোভাবেই টিকে আছে। কিন্তু এমন দীর্ঘদিন চলতে পারে না। এমন চলতে থাকলে হয়তো সমুদ্র থাকবে ঠিকই কিন্তু সমুদ্রে কিছুই বেঁচে থাকবে না। বৈচিত্র্য থাকবে না সমুদ্রের গভীরে। তাতে কী হতো তা আপনারা জানেনই । তাই সবার কাছে প্রার্থনা সমুদ্র  মুক্তি দিন। দূষণরোধের চেষ্টা করুন। সমুদ্র বাঁচান, পৃথিবী বাঁচবে।


Writer: Nur-e Nayeem Shanto

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম