ওয়ার্মহোল বা ক্ষুদ্রবিবর


ওয়ার্মহোল, বিষয়টিকে আমরা যত সহজ ভাবে বলতে যাই ব্যাপারটা ততো বিকৃত হয়ে যায়! আমরা আসলে ওয়ার্মহোল বলতে শুধু আইনস্টাইন রোজেন ব্রিজ কে বুঝি, কিন্তুু কেন যে বুঝি তা আমি বুঝে উঠতে পারি না? যাইহোক তবে তা যে অনেকাংশে ভুল তা বলাই যায়! তো কি করা যায়! চলুন তাইলে বিষয়টাকে ভালোভাবে দেখে নেওয়া যাক!
আপনি যদি প্রকৃতপক্ষে একটি ওয়ার্মহোল দেখে থাকেন! তবে এটি হবে বৃত্তাকার, গোলাকার, একটি কালো গর্তের মত, এটি প্রায় মোটামুটি একটি ব্লাকহোলের মতোই দেখতে লাগবে,অন্য দিকে থেকে আলো একটি জানালার মতো প্রবেশ করবে এবং আপনাকে একটি বহুদূর ভূতি জায়গা প্রদর্শন করবে। সেই জানালা একবার পার হয়ে গেলে, অন্য দিকটি আপনার ঘরের সাথে পুরোপুরি দৃষ্টিগোচর হয় যা এখন সেই ঝলসানো গোলক-ধাঁধার জানালায় ফিরে আসছে।
হালকা মাথা চুলকে পরের অংশে মনোযোগ দেই তাহলে,
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওয়ার্মহোল এর অস্তিত্ব রয়েছে কি?অথবা তারা কি শুধু পদার্থবিদ্যা এবং গণিত হিসাবে ছদ্মবেশী হয়ে থাকে নাকি অন্য কিছু! যদি তারা বাস্তব হয়, তবে তারা কিভাবে কাজ করে এবং আমরা তাদের কোথায় খুঁজে পেতে পারি? ওয়ার্মহোল কি ও কেন! তো চলুন আজ তাদের সাথেই পরিচিত হই!


মানব ইতিহাসের অধিকাংশ ক্ষেত্রে, আমরা ভেবেছিলাম যে স্পেস একটা সাধারন বিষয়, এটা একটা বিশাল সমতল জায়গা যেখানে মহাবিশ্বের পরিধি অজানা এবং অসীম বিস্তৃত!
আমরা এ মহাবিশ্ব কে যদি একটা সমতল স্টেজ বা মঞ্চ কল্পপনা করি।এবং আপনি মনে করেন সেখান থেকে গ্রহ, তারা এবং সকল কিছু সরিয়ে নিলেন তখনও কিছু বাকি থেকে যায় । হে, যে খালি স্থানে বিষয়গুলো ছিলো এটি বিদ্যমান রয়েই গেছে,এটিকে বলা যায় স্পেস বা স্থান যা অপরিবর্তনীয় এবং শাশ্বত্য!
আইনস্টাইন এর আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এই ধারনার পরিবর্তন ঘটায়,
এটা বলে স্থান ও সময় উক্ত মঞ্চটিকে তৈরি করেছে, এবং তারা সর্বত্র একই নয়।
মঞ্চে থাকা জিনিসগুলি মঞ্চকে প্রভাবিত করতে পারে, এরা মঞ্চকে প্রসারিত করতে পারে এবং এরা সংকুচিত ও করতে পারে।
পুরাতন ভাবনার মঞ্চ টি যদি শক্ত কাঠের মতো হয়,তবে আইনস্টাইনের তত্বের মঞ্চটি হবে ইলাস্টিক বা রাবারের তৈরিকৃত সিট এর মতো।
এই ধরনের ইলাস্টিক স্পেস নিচের দিকে মোচড়াতে পারে, এমনকি পরিশেষক্তো যায়গায় অন্য স্পেস-টাইমের সাথে যুক্তও হতে পারে যা ওয়ার্মহোল সম্ভব করতে সক্ষ্যম!
আমাদের মহাবিশ্ব একটি বড় ফ্ল্যাট শীটের মতো তবে সঠিক পথে বাঁকানো। ওয়ার্মহোল একটি খুব ছোট সেতুর মতো কিন্তু অনেক দূরবর্তী স্থান কাল কে একসাথে সংযোগ করতে পারে।
যে কারনে আপনি প্রায় অবিলম্বে পেরিয়ে যেতে পারবেন সেই অসিম দুরত্বকে যা আলোর বেগকেও হার মানায়!
আপনি আলোর গতি চেয়ে তাড়াতাড়ি মহাবিশ্বকে ভ্রমণ করতে সক্ষম হবে এই ওয়ার্মহোল গুলোর মাধ্যমে।

তো আমরা একটি ওয়ার্মহোল কোথায় খুঁজে পেতে পারি?

বর্তমানে, শুধুমাত্র কাগজে।
( আমিতো প্রায় আঁকি)
সাধারন আপেক্ষিকতা বলে, ওয়ার্মহোল সম্ভবত সম্ভব হতে পারে, তবে তার অর্থ এই নয় যে তাদের বিদ্যমান থাকতে হবে!
সাধারণ আপেক্ষিকতা একটি গাণিতিক তত্ত্ব।
এটির সমীকরণগুলোর একটি সেট যার অনেক সম্ভাব্য উত্তর আছে, কিন্তু সমস্ত গণিত বাস্তবতা বর্ণনা করে না।
কিন্তু ওয়ার্মহোল তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব এবং এরা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে! আচ্ছা তার আগে জেনে নেই ওয়ার্মহোলকে" ওয়ার্মহোল "কেন বলা হয়!
একটি পোকা যেমন মাটি খুঁড়ে পৃথিবীর এক স্থানের সাথে অন্য স্থানের একটি সংক্ষিপ্ত রাস্তা তৈরি করতে পারে, তেমনি একটি ওয়ার্মহোল ও মহাবিশ্বের দুটি স্থানের ভেতর একটি বিকল্প সংক্ষিপ্ত রাস্তা তৈরি করে ফেলতে পারে।এটার বেশিরভাগ ক্রেডিট কেঁচোকে দেওয়া যায়,আর আমরা মানব কেঁচো হয়ে হয়তো এগুলো খুজচ্ছি!

১.আইনস্টাইন রোজেন ব্রিজেস(EINSTEIN ROSEN BRIDGES)

আইনস্টাইন রোজেন ব্রিজেস প্রথম ধরনের থিওরিটিক্যাল ওয়ার্মহোল! প্রতিটি ব্লাকহোলকে অসীম সমান্তরাল মহাবিশ্বের একেকটি প্রবেশ-দ্বার হিসেবে বিশ্লেষন করা হয়!
আমরা জানি খালি স্থান-কাল সমতল, কিন্তু এর উপর থাকা বস্তু দ্বারা এর বক্রতার সৃষ্টি হয়! যদি আমরা ঐ বস্তু কে আরো সংকোচিত করি, স্পেস-টাইম এটির চারপাশে আরও বেশি বক্রতার সৃষ্টি করে! অবশেষে স্থান কালের চারপাশে বস্তুটি এতোই বক্রতার সৃষ্টি করে যে সেটা একটি ব্লাকহোলে পরিনত হয়!যা একটি একরুপী প্রবেশদ্বার যার ঘটনাদিগন্ত পেরুলে কোন জিনিস আর ফেরত আসে না, চিরকালের মতো তার সিংগুলারেটির ফাঁদে আটকা পড়ে যায়! কিন্তু এটাও হতে পারে হয়তোবা সেখানে কোন সিংগুলারেটিই থাকে না!
এটি একটি সম্ভাবনার সৃষ্টি করে যে ঘটনা দিগন্ত অন্য দিকে, যেখানে অন্য মহা বিশ্বের দ্বার খোলে এবং সেখানে সময় পিছনের দিকে চলে । আমাদের মহাবিশ্বে বস্তু সমূহ ব্লাকহোল গ্রাস করে বা খেয়ে ফলে কিন্তু
সমান্তরাল মহাবিশ্বে পিছনে চলা সময়ের সাথে সাথে মীরর ব্লাকহোল বস্তু সমূহকে বাইরে ত্যাগ করে বা বের করে দেয়, এদের কেই শ্বেত গহ্বর বা হোয়াইট-হোল বলা হয়। তবে মূলতো এই ধরনের গহ্বর হাইপোথিসি ছাড়া তেমন গুরুত্ব নেই! দুর্ভাগ্যবশত, আইনস্টাইন-রোজেন ব্রিজগুলো কখনো ক্রস বা পার হওয়া সম্ভব হবে না কারন বিপরীত মহাবিশ্বে পৌছানোর জন্য অসীম পরিমাণ সময় লাগে এবং ব্রিজের মাঝখানে আসতে না আসতেই ব্রিজের সংযুক্ত থাকার প্রকৃয়া
বন্দ হয়ে যাবে। তো যদি আপনি একটি ব্লাকহোলের ভিতরে যান, আপনি সেখান থেকে বের হতে তো পারবেনই না আবার সমান্তরাল মহাবিশ্বেও পৌছাবেন না, আপনি শুধুমাত্র মৃত হয়ে যাবেন!
সুতরাং, চোখের পলকের মধ্যে মহাজাগতিক ভ্রমনের জন্য আমাদের একটি ভিন্ন ধরনের ওয়ার্মহোল প্রয়োজন! একটি সম্প্রসারিত চিন্তা সমৃদ্ধ ওয়ার্মহোল যা ভ্রমনযোগ্য হবে!


২.খুব পুরানো স্ট্রিং তত্ত্ব ওয়ার্মহোল সমূহ
(Very old sting theroy wormholes)

যদি স্ট্রিং তত্ত্ব আমাদের Theroy of everything হয় এবং এর থেকে পাওয়া বিষয়গুলো ও আমাদের মহাবিশ্বের বর্ণনার ঠিক থাকে , তাহলে আমরা ভাগ্যবান হতে পারি এবং আমাদের মহাবিশ্বে অসংখ্যা সংযুক্ত ওয়ার্মহোল এমনিতেই রয়েছে।
বিগ ব্যাংয়ের অল্পসময় পরে মহাবিশ্বের কোয়ান্টাম ফ্রাস্কচুয়েশন (যা একটি ক্ষুদ্রতম স্কেল একটি পারমানুর চেয়ে অনেক ক্ষুদ্র) হয়তোবা বহু সংখ্যাক ছোট ছোট সংযুক্ত ওর্য়ামহোল তৈরি করেছে!
তাদের মাধ্যমে জড়ানো ও পেঁচানো( এনটেংঙ্গেল্ড) স্ট্রিং কে বলা হয় মহাজাগতিক স্ট্রিং বা কসমিক স্ট্রিং!
বিগ ব্যাং এর প্রথম বিলিয়ন এর এক টিলিয়ন সেকেন্ড পরে এই অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ওয়ার্মহোল এর প্রান্ত গুলো অনেক আলোকবর্ষ দুড়ে টানা পড়ে যায় এবং মহাবিশ্বের মধ্য ছড়িয়ে পড়ে। তো মহাবিশ্বের প্রথম দিকেই যদি ওয়ার্মহোল তৈরি হয়ে থাকে, কসমিক স্ট্রিং এর মাধ্যমে বা অন্য যেকোন ভাবে তবে, তারা সব খানেই বিদ্যমান হতে পারে; শুধু আবিষ্কার করা অপেক্ষায় থাকতে হবে। এমনকি কোনটি আমাদের চিন্তার থেকেও কাছে থাকতে পারে । বাইরে থেকে, ব্লাকহোল এবং ওয়ার্মহোল খুব অনুরূপ দেখাতে পারে কিন্তু তা নাও হতে পারে আবার হতেও পারে! কিছু পর্দাথবিদের মতে গ্যালাস্কির কেন্দ্রে অবস্থিত সুপার ম্যাসিভ ব্লাকহোল প্রকৃতপক্ষে ওয়ার্মহোল হতে পারে!এটি অনেক কষ্টসাধ্য যে মিল্কিওয়ের মাঝে গিয়ে তা পরিক্ষা করা কিন্তু সেটা না করাই ভালো হবে। আমরাই কেন না খুব খেটে খুটে একটা ওর্য়ামহোল তৈরি করে ফেলি?
তো তার আগে এদিকে একটা ছোট অব্ধুদ উদাহরন পেশ করি যারা Endgame দেখেছেন তারদের নিশ্চই মনে রয়েছে Avengers টাইম ট্রাভেলের জন্য কোয়ান্টাম রিলেম ব্যবহার করছিলো, সেখানে সবাই বিভিন্ন ওয়ার্মহোলে ঢুকে ছিলে, সেখানে প্রদর্শিত ওয়ার্মহোল গুলো আসলে প্রায় উক্ত বিষয়ের ওয়ার্মহোল গুলোর মতোই।


৩. ম্যানমেড ওর্য়ামহোল(Men Made wormholes)

ভ্রমণযোগ্য এবং কার্যকর হতে হলে কিছু গুরুত্বপূণ বৈশিষ্ট্যের দরকার যা আমরা একটি ওয়ার্মহোল প্রয়োজনীয় মনে করি!
প্রথমত, যেকোন স্পেস টাইম এর দুটি দূরবর্তী অংশ সংযোগ করতে হবে।যেমন আপনার বেডরুমের এবং বাথরুম, অথবা পৃথিবী এবং বৃহস্পতির hi মত কিছু অবস্থানে।
দ্বিতীয়ত, এতে কোনো ঘটনাদিগন্ত থাকার দরকার হবে না, যা দ্বি-পথীয় ভ্রমণকে বাধা দেবে।
তৃতীয়, এটি পর্যাপ্ত আকারের হওয়া উচিত যাতে মহাকর্ষীয় শক্তি বা gravitational Force মানব ভ্রমণকারীদের হত্যা(কিংবা সম্ভাবত যা খারাপ হতে পারে তা) না করে ফেলে!
তবে তার জন্য আমাদের সমাধান করতে হবে সবচেয়ে বড় সমস্যাটিকে, সেটা হলো আমাদের ওয়ার্মহোলকে খোলা রাখার বিষয়ে! আমরা যেভাবেই ওয়ার্মহোল তৈরি করি না কেন মাধ্যাকর্ষণ শক্তি তাদের বন্ধ করার চেষ্টা করবেই। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এটাকে গুতো দিতে থাকবে এবং ব্রিজটাকে কেটে ফেলবে এবং শেষের দিকে শুধু ব্লাকহোল রেখে দেবে, যা কিনা আমাদের উভয় প্রান্তের সাথে যুক্ত হতে দেবে না। কিন্তু একটি ট্রার্ভাসেবল বা আড়াআড়ি ভাবে অবস্থিত ওয়ার্মহোলেও এমন ঘটনা ঘটবে যে,অন্য কোন মহাবিশ্বের ওয়ার্মহোলকে আমাদের মহাবিশ্বের ওয়ার্মহোলের সাথে যুক্ত করতে চাইলেও মহাকর্ষ শক্তি সেটিকেও বন্ধ করার চেষ্টা করবে যদি না আমরা এমন কিছু রাখি যা এটি খোলা রাখতে সাহায্য করবে ।
খুব পুরানো স্ট্রিং তত্ত্ব ওয়ার্মহোল এর কাজ এখানেই আসে আর সেটি হলো মহাজাগতিক স্ট্রিং এর বিষয়টি।
কিন্তু তা না খাটলে আমাদের অন্য কিছু চিন্তা করার প্রয়োজন! আর তা থেকেই উৎভব হয় নিম্নক্তোক বিষয়টির, মানুষের তৈরি ওয়ার্মহোল এর জন্য, আমাদের একটি নতুন উপাদান প্রয়োজন!
Exotic matter (বাংলায় যাকে অনুপম পর্দাথ বলে আরকি)।এটা কিন্তু এমন কোন কিছু না যা আমরা পৃথিবী দেখে থাকি বা খুঁজে পাই আর এটি এন্টিমেটারো নয়, এটি পুরোপুরি নতুন এবং ভিন্ন এবং উত্তেজনাপূর্ণ ও কিছুটা পাগলাটে বৈশিষ্ট্যগুলির মতো।
যা কখনও আগে দেখা যায় নি।অনুপম পর্দাথ এমন একটি উপাদান যার নেতিবাচক ভর আছে অথাৎ ঋনাক্তক ভর ( শুনে কেমন আজব লাগে ঠিকনা), মানুষের এবং গ্রহের ইতিবাচক ভর রয়েছে এবং মহাবিশ্বের অন্য সব কিছুই এর জন্য মাধ্যাকর্ষণের কারণে আকর্ষণীয় বা একে অপরকে আকর্ষন করে। কিন্তু নেতিবাচক ভর নিকর্শী স্বভাবের হবে; এটা বস্তু বা বস্তু কনাকে বিকষর্ন করবে বা ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেবে। এটি বিপরীত-মাধ্যাকর্ষণ বা(anti-gravity) এর সৃষ্টি করবে যা আমাদের ওয়ার্মহোলকে খোলা রাখতে সাহায্য করবে,
এবং অনুপম পর্দাথ টিকে যথেষ্ট শক্তি শালি হতে হবে যাতে স্পেস-টাইম এর দেওয়াল ঠেলে ধরে রাখতে পারে!এ অনুপম পর্দাথ দিয়ে তবেই আমরা স্থানকাল কে যেকোন ভাবে ফুটো বা বাঁকা করে রাখতে পারবো।তবে এতে নেগেটিভ এনার্জিরো যথেষ্ট প্রয়োজন পড়বে!
তো নেগেটিভ এনার্জি সর্ম্পকে যদি কিছু বলতে হয় তবে সেটি হবে,নেগেটিভ এনার্জি হলো মহাবিশ্বের শূন্য ক্ষেত্র(field) এবং বিভিন্ন কোয়ান্টাম ফিল্ডের প্রভাব সহ নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করার জন্য পদার্থবিজ্ঞানে ব্যবহৃত একটি ধারণা। এছাড়া আরো কিছু হাইপোথ্রেটিক্যাল তত্ত্বগুলিতে নেতিবাচক শক্তি বা নেগেটিভ এনার্জি জড়িত থাকে যেমন ওয়ার্মহোল এবং টাইম ট্রাভেল,স্পেস ট্রাভেল ইত্যাদি।

তো আমরা আগের কথায় ফিরে আসি এই অনুপম পর্দাথের জন্য আমরা একটা সম্ভাবনাও খুজে পেয়েছি ,সেটা হলে ভ্যাকুয়াম অফ স্পেস । খালি স্পেসে বা এমপ্টি স্পেসে কোয়ান্টাম ফ্রাস্কচুয়েশন ক্রমাগত কণা এবং প্রতিকনাদের বা(antiparticle) জোড়া তৈরি করে যাচ্ছে! এই কনা ও প্রতিকনা তাৎক্ষণিক ভাবে তৈরি হয় এবং এনাইলেশনের মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে যায় । এই শূন্যস্থান বা ভ্যাকুৃয়ম অফ স্পেসে এনাইলেশনের ফলে ফুটতে থাকে! ব্যাপারটা ঠিক ভাত শিদ্ধ হবার সময় পাএটি দেখলে যেমন দেখায় ঠিক তেমন তবে সেটার মতো গদো গদো শব্দ করে না নিশ্চশই।
আমরা ইতিমধ্যে খুঁজে ও পরিক্ষা করতে পেরেছি এই অবস্থার মাধ্যমে সেই সম্ভাবনাটা মানে নেতিবাচক ভর বা ঋনাক্তক ভর এর মতো বৈশিষ্ঠের যা আমরা খুঁজচ্ছিলাম! আমরা এই বৈশিষ্ঠ্যকে কাজে লাগাতে পারি আমাদের ওয়ার্মহোল কে স্থিতিশীল করার জন্য! একবার আমরা যদি এটা খোলা রাখতে পারি , শেষের অংশটা যদিও একসঙ্গে শুরু হবে তবে , আমরা তাদের দুটি আকর্ষণীয় জায়গা সরিয়ে দিতে পারবো! যেমন- এটাকে আমাদের সোলার সিস্টেমের শেষ অরবিট দিয়ে শুরু করতে পারি এবং পৃথিবীতে তার অগ্রভাগ রাখতে পারি এছাড়া আরো গভীর মহাবিশ্বের ভিতরেও সেটা স্থাপন করতে পারি;পৃথিবী হয়তো তখন একটা ইন্টারস্টেলার হাবে পরিনত হতে পারে এবং কোন কিছু শত আলোকর্বষ দুরে থাকলেও তা থাকবে আমাদের ওয়ার্মহোলের পাশেই। তবে, ওয়ার্মহোল একটি অন্ধকার দিকো আছে মানে নেতিবাচক দিক আরকি,শুধুমাএ একটি একক ওয়ার্মহোল খুললেই মহাবিশ্বের কিছু ঐকিক নিয়মাবলী ভঙ্গ করা হয়, এটা তৈরি করে ফেলে টাইম ট্রাভেল প্যারাডক্স এবং মহাবিশ্বের গাঠনিকতার সমস্যা ! অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন যে এটি যে কেবলমাত্র তৈরি করা অসম্ভব তা নয় এটিকে টিকে রাখার সম্ভবনাও প্রায় নেই বললেই চলে। সুতরাং, এখনকার জন্য, আমরা কেবল জানি যে ওয়ার্মহোল কেবল আমাদের অন্তরে এবং সমীকরণের আকারে কাগজের উপর বিদ্যমান!
বিষয়টা এখানেই শেষ করলাম পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Writer: Shazan Mahamud 


তথ্যসূত্র
wormholes

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম