হ্যালো বন্ধুরা! আজকে আমরা হিসাববিজ্ঞানের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক "অবচয়ের" ব্যাসিক কনসেপ্ট নিয়ে আলোচনা করবো। মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে আমরা অবচয় কি জিনিস সেটা জেনে নেই :
অবচয় (Depreciation) : অবচয় হচ্ছে মূলত একটি ব্যয় বণ্টণ প্রক্রিয়া। অর্থাৎ স্থায়ী সম্পদের ব্যয় উক্ত সম্পদের ব্যবহারিক আয়ুষ্কালের মধ্যে বণ্টণ করে দেওয়ার প্রক্রিয়াই হলো অবচয়। উদাহরণ স্বরূপ মনে করো একটি আসবাবপত্র কিনেছো ১,০০,০০০ টাকা দিয়ে যেটা ১০ বছর ব্যবহার করা যাবে। এখন ধরো ১০,০০০ টাকা করে প্রতিবছর চার্জ করে আসবাবপত্রের মূল্য কমিয়ে দেওয়া হয়।এই ১০,০০০ টাকাই হলো অবচয়। এরকম ১০ বছর ধরে ১০,০০০ করে অবচয় ধরলে যে ১,০০,০০০ পাওয়া যাবে ওটা হচ্ছে পুঞ্জীভূত অবচয়। অর্থাত প্রতিবছর যেটা চার্জ করা হয় সেটাকে বলে অবচয়। আর কয়েক বছরের অবচয়ের সমষ্টিকে বলে পুঞ্জিভূত অবচয় বা অবচয় সঞ্চিতি। অবচয় হচ্ছে খরচ (কারণ সেটা আয়ের বিপরীতে চার্জ করে আয়কে কমিয়ে দেওয়া হয়)। আর পুঞ্জিভূত অবচয় হচ্ছে বিপরীত সম্পদ (কারণ সেটা সম্পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়)।
*নিচে অবচয় ধরার কারণ উল্লেখ করা হলো।
১.অবচয় সঞ্চিতি দিয়ে মেয়াদ শেষে যেন পুনরায় সম্পদ ক্রয় করা যায়।
২.ব্যবহারজনিত ক্ষয়
৩.সময় অতিবাহিত ক্ষয়
৪.সম্পদের অপ্রচলন
*অবচয়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১.সম্পদ যতদিন ব্যবহার করা হবে ঠিক ততদিনের অবচয় ধরতে হবে। মনে করো অফিসের জন্য একটি ফ্রিজ ক্রয় করা হয়েছে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে। উক্ত ফ্রিজ প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয়েছে জুলাইয়ের ১ তারিখে। তাহলে ডিসেম্বর মাসে হিসাব করার সময় এখানে অবচয় কি পুরো ১ বছরের ধরবো? একদমই না। অবচয় ধরতে হবে ৬ মাসের। কারণ সেটা ব্যবহার করা হয়েছে ৬ মাস (স্থাপনের পর থেকে)।
২. দৃশ্যমান স্থায়ী সম্পদের (যন্ত্রপাতি,আসব
৩.সাধারণত ভূমির উপর অবচয় ধরা হয়না (ভূমির মূল্য যেহেতু সবসময় বাড়ে। তবে যদি সেটা কৃষি জমি হয় এবং কোনো কারণে উক্ত জমির উর্বরতা নষ্ট হয় তাহলে অবচয় ধরতে হবে।
*অবচয় ধার্যের বিভিন্ন পদ্ধতি :
১.সরলরৈখিক পদ্ধতি
২.ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতি
৩.বর্ষসংখ্যার সমষ্টি পদ্ধতি
৪.উৎপাদন একক পদ্ধতি
সরলরৈখিক পদ্ধতি
১.প্রতিবছর একই অবচয় ধার্য করা হয়
২.সম্পদের মেয়াদ শেষে কোনো ব্যালেন্স থাকেনা
৩.অবচয়যোগ্য মূল্য বের করার সময় ভগ্নাবশেষ মূল্য (যেটা মেয়াদ শেষে উক্ত সম্পদ বিক্রি করে পাওয়া যাবে বলে মনে করা হয়) বাদ দিয়ে নিতে হয়।
৪.ইজারা সম্পদ,ট্রেডমার্
ক্রমহ্রাসমান জে র পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যঃ
১.অবচয়ের পরিমাণ প্রতিবছর এক হয়না
২.অবচয় সবসময় পার্সেন্টেজে (%) বের করতে হয়।
৩.বহিমূল্যের উপর অবচয় ধরা হয় (অর্থাৎ প্রতিবছর অবচয় বের করার সময় আগে সম্পদের মূল্য থেকে পুঞ্জীভুত অবচয় বাদ দিয়ে নেওয়া হয়)।
৪.যে সমস্ত সম্পদের কার্যক্ষমতা দিন দিন কমে যায়, (কলকব্জা,মোটরগা
*নিম্নের তথ্যগুলো এইচএসসি পরীক্ষা এবং ভর্তি পরীক্ষা উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ :
**প্রতিবছর অবচয় ধার্য করা হয় হিসাববিজ্ঞানের চলমান প্রতিষ্ঠান ধারণা অনুসারে।
**অবচয় আয় বিবরণীতে চার্জ করা হয় মিলকরণ বা ব্যয় স্বীকৃতি নীতি অনুসারে।
**প্রতিবছর একই পদ্ধতিতে অবচয় ধার্য করস হয় সামঞ্জস্যতার নীতি অনুসারে
**ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতিতে অবচয় ধার্য করা হয় রক্ষণশীলতার নীতি অনুসারে।
*অবচয় হিসাবভুক্তকরণের
*সরাসরি পদ্ধতিতে সম্পদ হিসাবকে ডিরেক্ট ক্রেডিট করা হয়। সঞ্চিতি পদ্ধতিতে প্রথমে আয়ের টাকা থেকে অবচয় সঞ্চিতি নামক একটা বিপরীত সম্পদ হিসাব তৈরী করে রাখা হয়। অবচয় হলে সেই সঞ্চিতির টাকা ব্যবহার করা হয়।
অবচয় হিসাবভুক্ত
১.সরাসরি পদ্ধতি : অবচয় হিসাব ডেবিট / সংশ্লিষ্ট সম্পদ হিসাব ক্রেডিট
২.সঞ্চিতি পদ্ধতি : অবচয় হিসাব ডেবিট/ পুঞ্জীভুত অবচয় হিসাব ক্রেডিট
*বর্তমানে সঞ্চিতি পদ্ধতিই বেশি ব্যবহার করা হয়।
আজকে এই পর্যন্তই। অন্য কোনো টপিক নিয়ে আবারো হাজির হবো ইনশাআল্লাহ্।
Md. Mostakin Mamun
BBA,Department of Accounting & Information Systems (AIS), Faculty of Business Studies, University of Dhaka.
Accounting Instructor, Dream To DHAKA UNIVERSITY (Committed To Building up your Dream)
Joint G.S (PR) - SILSWA