![]() |
লিউকেমিয়া |
লিউকেমিয়া, ব্লাড ক্যান্সার হিসাবেই আমাদের কাছে বেশি পরিচিত। সহজ কথায় বলতে গেলে এটা একটা রক্তের ক্যান্সার যেখানে রক্ত তৈরির আদিকোষগুলো বিশেষ করে শ্বেত কণিকাগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে যার ফলে অপরিপক্ব শ্বেত কণিকায় ভরে যায় আমাদের রক্ত। প্রতি বছর প্রতি লাখে প্রায় ১০ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়। তবে পুরুষদের আক্রান্তের হার বেশি।
সিএমএল কি?
লিউকেমিয়া হচ্ছে রক্ত ও অস্থিমজ্জার এক ধরনের ক্যান্সার (অস্থির ভেতরের অংশ, যেখানে রক্ত কণিকা তৈরি হয়)। লিউকেমিয়ার ক্ষেত্রে দুটো জিনিস ঘটে থাকে। প্রথমত, কিছু রক্ত কণিকা অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে, দ্বিতীয়ত, আমাদের দেহ প্রচুর পরিমাণে এ সকল অস্বাভাবিক কোষ তৈরি করতে থাকে।সিএমএল (ক্রনিক মাইলয়েড লিউকেমিয়া) হচ্ছে এক ধরনের লিউকেমিয়া। ক্রনিক বলতে বোঝায় এটি একটি ধীর গতির ক্যান্সার, যা পূর্ণতা লাভ করতে অনেক বছর সময় নেয়। মাইলয়েড হচ্ছে মাইলয়েড কোষ নামক এক ধরনের শ্বেত কণিকা হতে ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত অস্বাভাবিক রক্ত কণিকা। সুতরাং ক্রনিক মাইলয়েড লিউকেমিয়া হচ্ছে একটি ধীর গতির ক্যান্সার, যার ফলে দেহে প্রচুর পরিমাণে ক্যান্সার আক্রান্ত মাইলয়েড শ্বেত কণিকা তৈরি হয়। সিএমএল-এর তিনটি পর্যায় বা ধাপ রয়েছে। যেমন: ক্রনিক পর্যায়, একসিলারেটেড পর্যায় এবং ব্লাস্ট ক্রাইসিস পর্যায়। রোগীরা এসকল ধাপ ক্রমান্বয়ে অতিক্রম করার সাথে সাথে তাদের রোগের মাত্রা বাড়তে থাকে এবং শরীরে নানাবিধ উপসর্গ দেখা দেয়।
রোগের কারণঃ
এ রোগের আসল কারণ এখনও অজানা। তবে নিম্নলিখিত কারণগুলোকে দায়ী করা হয়ঃ-ক) রেডিয়েশন, রঞ্জনরশ্মি। আধুনিক বিশ্বে বিভিন্ন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যাপক প্রসারে লিউকেমিয়া রোগটি বেশি হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর জাপানিদের মধ্যে এই রোগ খুব বেড়ে যায়।
খ) সাইটোটক্সিক ড্রাগ- ক্যান্সারে ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহারের ফলে এই রোগ হতে পারে।
গ) বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল যেমন-বেনজিন নিয়ে যারা কাজ করে।
ঘ) কিছু কিছু ভাইরাসকে এবং ধুমপান ও তামাক দ্রব্য এই রোগের জন্য দায়ী করা হয়।
ঙ) কিছু জন্মগত রোগ যেমন- ‘ডাউন সিনড্রোমের’ রোগীদের এ রোগ বেশি হয়।
শ্রেণীবিভাগ : লিউকেমিয়া রোগটিকে একিউট লিউকেমিয়া এবং ক্রনিক লিউকেমিয়া এ দুভাগে ভাগ করা হয়।
ক) একিউট লিউকেমিয়া- সাধারণত ১ থেকে ৫ বছর বয়সের বাচ্চাদের বিশেষ করে একিউট লিম্ফোব্লাসটিক লিউকেমিয়া হয়ে থাকে। এটি অতি দ্রুতগতিতে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং রোগীকে অল্প কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায় যদি না এই রোগ সময়মতো ধরা যায় এবং চিকিৎসা করা যায়।
খ) ক্রনিক লিউকেমিয়া- সাধারণত একটু বেশি বয়সে হয়ে থাকে যা অনেকটা ধীর গতিতে শরীরকে আক্রান্ত করে।
রোগের উপসর্গ ও লক্ষণসমূহঃ
সিএমএল মাঝ বয়সের একটি রোগ (বর্তমানে মধ্যবয়সী বয়স হচ্ছে 42 বছর)। রোগীরা সাধারণত দুর্বলতা, রাতে ঘামানো, হালকা জ্বর নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকে। এ সকল উপসর্গ অতিরিক্ত শ্বেত কণিকা তৈরি হওয়ার কারণে হয়ে থাকে। প্লীহার আকার বৃদ্ধির ফলে রোগী পেটে ভার ভার বোধ করে। এছাড়া ঘটনাক্রমে শ্বেত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি ধরা পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে রোগীর শ্বাসকষ্ট ও ঝাপসা দৃষ্টির সমস্যা হয়। এ রোগের মাত্রা বৃদ্ধি (একসিলারেটেড পর্যায়ে) পেলে জ্বর হয়, তবে সংক্রমণ, অস্থিতে ব্যথা বা প্লীহার বৃদ্ধি হয় না। ব্লাস্ট ক্রাইসিস-এর ক্ষেত্রে অস্থিমজ্জার ব্যর্থতার ফলে রোগীদের রক্তক্ষরণও সংক্রমণের ঘটনা ঘটে।-শ্বেতকণিকা আমাদের শরীরের আদর্শ সৈনিক। শরীরের কোনো রোগজীবাণু ঢোকার সাথে সাথে শ্বেতকণিকা প্রতিরোধ করে থাকে। কিন্তু এই শ্বেতকণিকা যখন নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়ে তখনই হয় সব রকম সমস্যা। এ রোগের লক্ষণ দেখা যায় শ্বেতকণিকা সংখ্যার উপর ভিত্তি করেই।
-এই রোগের অপর আরেক ধরনের লিউকিমিয়ার নাম একিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়া- যা সাধারণত বড়দের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এটি সাধারণত চারগুণ বেশি একুইট লিম্পোসাইটিক লিউকেমিয়া থেকে যা অবশ্যই বড়দের ক্ষেত্রে।
-একিউট লিউকেমিয়ার রোগীরা অতি অল্প সময়ে রক্তশূন্য হয়ে যায়। অপরিপক্ব শ্বেত কণিকার জন্য শরীরে দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন এবং প্রচণ্ড জ্বর, গায়ে ও হাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। বস্তুত রক্তশূন্যতা, ইনফেকশন ও রক্তক্ষরণ এ রোগের মূল লক্ষণ।
রোগীকে পরীক্ষা করলে রক্তের উপাদানের ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়, যেমন- রক্তশূন্যতা, শরীরে র্যাশ, লিভার, প্লীহা এবং লিম্প গ্ল্যান্ড বড় হয়ে যায় এবং শরীরের হাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়।
একজন ব্যক্তির সুস্থ অবস্থায় প্রাপ্ত নির্দেশনা (সিগনাল) দেহকে নতুন রক্ত কণিকা তৈরি করতে বলে। এই নির্দেশনা আদি রক্তকোষে পৌছায়, যাকে বলে স্টেম কোষ। দেহের প্রয়োজনীয় রক্ত কণিকা তৈরির জন্যে নির্দেশনাগুলো স্টেম কোষকে সক্রিয় অথবা নিষ্ক্রিয় করে। একজন ব্যক্তির সিএমএল হলে, তার ডিএন-এতে একটি পরিবর্তন ঘটে, এর ফলে এই নির্দেশনা সব সময় সক্রিয় থাকে। নির্দেশনার এই সার্বক্ষণিক সক্রিয়তার জন্যে দেহ আরও অধিক পরিমাণে লিউকেমিয়া কোষ তৈরি করে।
পরীক্ষাঃ
ক) রক্ত পরীক্ষা-১. রক্ত শূন্যতা অর্থাৎ হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম।
২. শ্বেত কণিকার পরিমাণ বাড়তেও পারে আবার কমতেও পারে। এটি ১ ী ১০৯/লিটার থেকে ৫০০ ী ১০৯/লিটার পর্যন্ত হতে পারে।
৩. অনুচক্রিকার পরিমাণ কমে যায়।
৪. ব্লাড ফিল্ম : এক্ষেত্রে পরিপক্ক শ্বেত কণিকার চেয়ে অপরিপক্ক শ্বেত কণিকার বা ব্লাস্ট কোষ এর পরিমাণ বেড়ে যায়। এটি একটি সুনির্দিষ্ট পরীক্ষা।
খ) অস্থিমজ্জা পরীক্ষা পরীক্ষায় যা দেখা যায় তা নিম্নরূপ-
১. কোষের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি।
২. সাধারণ পরিপক্ক কোষের চেয়ে অপরিপক্ক ব্লাস্ট সেল এর আধিক্য। সাধারণত ২০% এর বেশি এই জাতীয় কোষ দেখা যায়। যদি এউর রডস ব্লাস্ট সেলের সাইটোপ্লাজমে পাওয়া যায় তাহলে বলা যায় এটি সাইটোব্লাস্টিক ধরনের লিউকেমিয়া।
চিকিৎসাঃ
এই রোগের চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হলো লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত কোষগুলোকে মেরে ফেলাএবং অবশিষ্ট স্বাভাবিক মাতৃকোষগুলোকে সংরক্ষণ করা। পরবর্তীকালে উক্ত মাতৃকোষ থেকে পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক কোষের জন্ম নেয়। এটির তিনটি ধাপ রয়েছে-
ক) রোগ ভালো করার প্রাথমিক পর্যায়।
খ) প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত কোষ নষ্ট হওয়ার পর
যদি কোনো ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ থাকে তাকেও ধ্বংস করা।
গ) উপরোক্ত ধাপে চিকিৎসা দেয়ার পর কেউ যদি ভালো অবস্থায় চলতে থাকে তবে এই ধাপে তাকে নিয়মিত ওষুধ খেয়ে যেতে হয়।
একিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়াঃ
রিমিশন ইন্ডাকশন ভিনক্রিস্টিন-শিরাপথে, ডওনোরুবিনোসিন-শিরাপথে প্রেডনিসোলন-মুখে,এল-অসপারাজিনেস-মাংসপেশিতে,
মেথোট্রাকজিয়েট-চামড়ার নিচে,
সাইটেরাবিন-শিরাপথে,
ইটোপোসাইড রিমিশন কনসোলিডেশন
ডওনোরুবিনোসিন-শিরাপথে,
মেথোট্রাকজিয়েট-চামড়ার নিচে,
সাইটেরাবিন-শিরাপথে
অ্যামসাক্রাইন মাইটোজেনট্রোন
রিমিশন মেইনটেনেন্স প্রেডনিসোলন-মুখে
ভিনক্রিস্টিন-শিরাপথে, মেথোট্রাকজিয়েট-মুখে
মারকেপটোপিউরিন-মুখে
এছাড়া কিছু কিছু সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা দেয়া হয় যেগুলো নিম্নরূপ-
(১) রক্তশূন্যতা চিকিৎসা দেয়া;
(২) রক্তক্ষরণ থাকলে তার চিকিৎসা দেয়া;
(৩) ইনফেকশন এবং তার ফলে সৃষ্ট জটিলতা চিকিৎসা প্রদান
ক) ব্যাকটেরিয়াজনিত
খ) ছত্রাক বা ফাংগাসজনিত
গ) ভাইরাসজনিত।
(৪) মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখা, কেননা এ ধরনের রোগী বিভিন্ন ধরনের ডিলিউশন, হ্যালোসিনেশন অথবা প্যারোনিয়াজাতীয় মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়।
ক্রনিক লিউকেমিয়াঃ
এ রোগ একটু বেশি বয়সে হয়ে থাকে । অনেক রোগী কোনো সমস্যা ছাড়াই থাকতে পারে। তবে, অনেক রোগী দুর্বলতা, রক্তশূন্যতা অরুচি, জ্বর, ক্ষুধামন্দা ও ওজন কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।রোগ নির্ণয়ঃ রক্ত পরীক্ষা করলে রক্তের পেরিফেরাল ব্লাড ফিম -এ সাধারণত অপরিপক্ব শ্বেতকণিকার উপস্থিতি বেশি থাকে। অপরিপক্ব কোষের পরিমাণ <১০% অস্থিমজ্জা পরীক্ষা করেও এই রোগের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্রোমোজোমাল প্যাটান সাইটোজেনিক এবং মলিকিউলার পরীক্ষা করা হয় যা এই রোগের একটা বিশেষ শ্রেণীবিন্যাস এবং রোগের চিকিৎসার অগ্রগতিতে সহায়তা করে থাকে।
এ রোগের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। সঠিক সময়ে এ রোগ ধরতে পারলে উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। যার ফলে অনেক রোগীই ভালো হয়ে যায়।
কেমোথেরাপিঃ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার বিধ্বংসী ওষুধ দিয়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হয় যাকে কেমোথেরাপি বলে। এত করে ক্যান্সার কোষগুলোকে মেরে ফেলা হয়। সঠিক নিয়মে এই থেরাপি দিতে পারলে একটা বিশাল সংখ্যক রোগীর আয়ুষ্কাল বাড়ানো সম্ভব।
এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ওষুধ নিম্নরূপ-
ক) ক্রনিক মাইলয়েড লিউকেমিয়া
(১) ইমাটিনিব: অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে চলা বা জন্ম নেয়া ক্যান্সার কোষগুলোকে জন্ম দিতে বাধা প্রদান করে। এটি ক্রনিক মাইলয়েড লিউকেমিয়ার ক্ষেত্রে প্রথম সারির ওষুধ।
(২) হাইড্রোক্সি কার্বামাইড: পূর্বে বেশি ব্যবহৃত হলেও এখনও জনপ্রিয়।
(৩) আলফা ইন্টারফেরন: ইমিট্যাবের পূর্বে আলফা ইন্টারফেরনকে প্রথম সারির ওষুধ মনে করা হতো। এ ওষুধ প্রায় ৭০% রোগ মুক্ত করাতে সক্ষম।
খ) ক্রনিক লিম্পোসাইটিক লিউকেমিয়া
প্রয়োজনীয় ও নির্দেশিত ওষুধগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো
(১) কোরামবিউসিল;
(২) পিউরিন এনালগ ফুডারাবিন;
(৩) কর্টিকোস্টেরয়েড।
অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনঃ অল্প বয়সের রোগীর ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি দেয়ার পর এই চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে যার অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হবে তার ব্লাডগ্রুপিং এবং ঐখঅ টাইপ ম্যাচ করিয়ে এই চিকিৎসা করা হয়। অন্য কোনো জটিলতা না হলে এতে রোগী ভালো হয়ে যায়। এই চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
স্টেমসেল প্রতিস্থাপন সামনের দিনগুলোতে আশার আলো নিয়ে আসবে যা এই রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটা বিপ্লব ঘটাবে। নতুন কিছু ওষুধ বাজারে আসছে যা বিভিন্ন ট্রায়াল- এ বিশেষ সফলতা রাখতে পেরেছে। এই রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় বিশেষ করে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের জন্য উন্নত ও আধুনিক হাসপাতালে যেতে হয়। সঠিক সময়ে এই রোগ ধরতে পারলে এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে পারলে অধিকাংশ রোগীই ভালো হয়ে যায়।
ব্লাড ক্যান্সার নিয়ে বিভ্রান্তিঃ
রক্তের কোষ, বোন ম্যারো বা অস্থিমজ্জা ও লিম্ফেটিক সিস্টেমের ম্যালিগন্যান্ট বা খারাপ প্রকৃতির টিউমারকে বোঝাতে 'ব্লাড ক্যান্সার' শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তবে অনেকে অ্যাপ্লাস্টিক এনিমিয়া ও থ্যালাসেমিয়াকেও ব্লাড ক্যান্সার মনে করেন, যা একেবারেই ভুল ধারণা।___________________________
লিখেছেনঃ খাদিজাতুল কোবরা (ফার্মাসিস্ট, ইউ.এস.টি.সি)