সকল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য


মেডিক্যাল কলেজ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রস্তুতি কিছুটা একই রকম। জাস্ট আলাদাভাবে ম্যাথ করলেই হয়। ফলে যাঁরা মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন, তাঁদের জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।


>>>চলুন এবার এই ৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ঃ
বিশ্লেষণী পরিচিতিঃ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণী, লেবেল-১; বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), ময়মনসিংহ।

আবেদন যোগ্যতাঃ
** এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল 9.০০ (৪র্থ বিষয় ছাড়া), আলাদা আলাদা জিপিএ ৩.৫০ থাকা আবশ্যক।
** এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অবশ্যই পদার্থ, রসায়ন, জীব ও গণিত বিষয়গুলো থাকতে হবে।
** এইচএসসি পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন, জীব, গণিতে ও ইংরেজী বিষয়ে প্রাপ্ত জিপিএ ন্যূনতম ৩.০০ করে থাকতে হবে।

আসন সংখ্যাঃ
► ভেটেরিনারি অনুষদ: (১৮০+১১)- ১৯১
► কৃষি অনুষদ: (৩৮১+২১)- ৪০২
► পশুপালন অনুষদ: (১৮০+১১)- ১৯১
► কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ স.বি.: (১২৬+৭)- ১৩৩
► কৃষি প্রকৌশল অনুষদ
(i) এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং: (৯৪+৬)- ১০০
(ii) ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং: (৪৮+২)- ৫০
► মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ: (১২৬+৭)- ১৩৩

মানবন্টনঃ
* পদার্থ ২৫
* রসায়ন ২৫
* জীব ২৫
* গণিত ২৫

জিপিএ গণনা ও অন্যান্য তথ্যঃ
✪ এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-কে ৮ দ্বারা এবং এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-কে ১২ দ্বারা গুণ করা হবে। অর্থাৎ, জিপিএ'র উপর ১০০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। মোট ২০০ (১০০+১০০) নম্বরের ভিত্তিতে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করা হবে।
✪ লিখিত (MCQ) পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর করে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য (০.২৫) নম্বর করে কর্তন করা হবে।
✪ ভর্তি পরীক্ষায় মোট নম্বরের ৩০% নম্বর পেতে হবে। অন্যথা অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবে।



শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ঃ
পরিচিতিঃ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণী, লেবেল-১; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

আবেদন যোগ্যতাঃ
** এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ৭.৫০ (৪র্থ বিষয় ছাড়া) এবং আলাদা আলাদা জিপিএ ৩.০০ থাকা আবশ্যক।
** এইচএসসি'র পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বিষয়ে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে।
** এসএসসি ও এইচএসসি উভয়ের ইংরেজী বিষয়ে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে।

আসন সংখ্যাঃ৬২৫+.....

► কৃষি অনুষদ- ৩৫০
► ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদ- ১০০
► এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট- ৮০। মাৎস্য বিজ্ঞান -২৫

মানবন্টনঃ
ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থ-২০, রসায়ন_২০, জীববিজ্ঞান-২০ ও গণিত-২০,ইংরেজি-
১০ ও সা.জ্ঞান-১০। বিষয়াবলী থেকে মোট ১০০ টি MCQ প্রশ্ন থাকবে।

জিপিএ গণনা ও অন্যান্য তথ্যঃ
✎ এসএসসি-তে প্রাপ্ত জিপিএ-কে ৮ দ্বারা এবং এইচএসসি-তে প্রাপ্ত জিপিএ-কে ১২ দ্বারা গুণ করা হবে। অর্থাৎ জিপিএ'র উপর ১০০ নম্বর থাকবে। সর্বমোট (১০০+১০০)= ২০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

✎ লিখিত (MCQ) পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর করে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য (০.২৫) নম্বর করে কর্তন করা হবে।

✎ ভর্তি পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর, মোবাইল ও ঘড়ি সহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

✎ সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে।


চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ঃ
পরিচিতিঃ তিনটি অনুষদের অধীনে স্নাতক সম্মান শ্রেণী ভর্তি; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়।

আবেদন যোগ্যতাঃ
** বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ৬.৫০ (৪র্থ বিষয় ব্যতীত) এবং প্রত্যেকটিতে আলাদা আলাদা জিপিএ ৩.০০ থাকা আবশ্যক।
** এসএসসি ও এইচএসসি লেভেলে পদার্থ, রসায়ন, গণিত (এসএসসির ক্ষেত্রে সাধারন গণিত) ও জীববিজ্ঞান বিষয়গুলো থাকতে হবে।
** এইচএসসি'র পদার্থ, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান ও ইংরেজী বিষয়গুলো-তে প্রাপ্ত জিপিএ ন্যূনতম ২.০০ থাকা আবশ্যক।

আসন সংখ্যা (সাধারন+কোটা):
► ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন: ৮১+৪=৮৫
► বিএস.সি ইন ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি: ৬৬+৪=৭০
► বিএস.সি ইন ফিসারিজ: ৫১+৪=৫৫
[সর্বমোট আসন সংখ্যা ২১০ টি।]

মানবন্টনঃ
* পদার্থ ২০
* রসায়ন ২০
* গণিত ২০
* জীববিজ্ঞান ৩০
* ইংরেজী ১০

জিপিএ গণনা ও অন্যান্য তথ্যঃ
✎ এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ-কে ৮ দ্বারা এবং এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ-কে ১২ দ্বারা গুণ করা হবে। অর্থাৎ, জিপিএ'র উপর ১০০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে।
.
✎ ভর্তি পরীক্ষার জন্য ১ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ থাকবে। সর্বমোট ২০০ (১০০+১০০) নম্বরের ভিত্তিতে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করা হবে।
.
✎ সার্কুলেশনে নেগেটিভ মার্কিং ও ক্যালকুলেটর ব্যবহার জনিত কোনরকম বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
.
✎ দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।


সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ঃ
পরিচিতিঃ স্নাতক (সম্মান) কোর্স, লেবেল-১; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।

আবেদন যোগ্যতাঃ
** এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ৬.৫০ (৪র্থ বিষয় ছাড়া) এবং আলাদা আলাদা জিপিএ ৩.০০ থাকা আবশ্যক।
** এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গণিত (এসএসসির ক্ষেত্রে সাধারন গণিত) বিষয়ের প্রতিটিতে আলাদা আলাদা জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে। ইংরেজীতে জিপিএ ২.০০ থাকতে হবে।

আসন সংখ্যাঃ
► ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স- ৮০
► কৃষি- ৭০
► মৎস্যবিজ্ঞান (ফিসারিজ)- ৬০
► কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা- ৫০
► কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি- ৫০
► বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জি.- ৩০

[মোট আসন সংখ্যা ৩৪০ টি। এছাড়াও সংরক্ষিত (কোটা) আসন সংখ্যা ৩০ টি।]

মানবন্টনঃ
* পদার্থ ২০
* রসায়ন ২০
* গণিত ২০
* উদ্ভিদবিদ্যা ১৫
* প্রাণিবিদ্যা ১৫
* ইংরেজী ১০

জিপিএ গণনা ও অন্যান্য তথ্যঃ
✎ SSC জিপিএ-কে ৮ দ্বারা এবং HSC জিপিএ-কে ১২ দ্বারা গুণ করা হবে। অর্থাৎ জিপিএ'র উপর ১০০ নম্বর এবং লিখিত (MCQ) পরীক্ষায় ১০০ নম্বর সহ মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করা হবে।

✎ লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি MCQ প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর করে বরাদ্দ থাকবে।

✎ ভর্তি পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার রয়েছে।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ঃ
** SSC ন্যূনতম GPA- 3.5
.
** HSC ন্যূনতম GPA- 3.5
.
** SSC এবং HSC ন্যূনতম GPA- 7.5
.
** বিভাগ –
>>ভেটেরিনারী মেডিসিন (৫০),
>>কৃষি (১৫০),
>>ফিশারিস (৫০),
>>কৃষি অর্থনীতি (৫০)

>>>সর্বমোট আসন সংখ্যা- ৩০০
** পরীক্ষা পদ্ধতি (সময়)- MCQ (১:০০ ঘণ্টা)
** পরীক্ষা নম্বর (প্রশ্ন সংখ্যা)- ১০০ (১০০)
** পরিক্ষার বিষয়-
>>গনিত (১৫),
>>পদার্থ (২০),
>>রসায়ন (২০),
>>জীববিজ্ঞান (২০),
>>ইংরেজি (১৫),
>>সাধারন জ্ঞান (১০)

** ফলাফল নির্ণয়- পরীক্ষা ১০০
[Note: SSC & HSC এর জিপিএ থেকে কোনো পয়েন্ট যোগ হবে না। জাস্ট যে ১০০ নম্বরের MCQ ভর্তি পরীক্ষা হবে ঐটা দিয়েই মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।)


█▒▒▒▒ ভর্তি প্রস্তুতি ▒▒▒▒█

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনোজ কুমার মজুমদার জানান, সব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রস্তুতি মোটামুটি একই রকম। সব ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত এবং জীববিজ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এর পাশাপাশি থাকে ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান। প্রশ্নের ধরনও একই রকম। তাই এক প্রস্তুতিতেই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া যায়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম মিত্রশ্রী দেব বলেন, 'ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে জীববিজ্ঞান ও রসায়নে বেশি জোর দিতে হবে। কয়েক বছর ধরে পদার্থ ও গণিত প্রশ্নের ধরনে কিছুটা পরিবর্তন আসছে। তাই এ দুটি বিষয়েও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিগত বছরের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন দেখলে এ বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে।'

জীববিজ্ঞানঃ
'যাঁরা মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন, নতুন করে জীববিজ্ঞানে প্রস্তুতি নেওয়ার কিছু নেই। তবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উদ্ভিদের বিভিন্ন পর্বের নাম, সামুদ্রিক শৈবালের গঠন, উদ্ভিদের কোষ, সালোকসংশ্লেষণ, শ্বসন, প্রাণীর শ্রেণিবিভাগ, হাইড্রা, পরিপাকতন্ত্র, রক্ত সংবহনতন্ত্র অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসে বেশি। আবুল হাসনাতের উদ্ভিদবিজ্ঞান বইয়ের খুঁটিনাটি জানতে হবে। প্রাণিবিজ্ঞানের জন্য গাজী আজমলের বইটিই যথেষ্ট। তবে অল্প সময়ের জন্য পড়তে পারো "বায়োলজি ভ্যাক্সিন"

রসায়নঃ
রসায়ন দ্বিতীয় পত্র থেকে বিভিন্ন বিক্রিয়ার উৎপাদক বিষয়ে বেশি প্রশ্ন আসে। বিক্রিয়া সহজে মনে থাকে না। আমি বিক্রিয়াগুলো বারবার লিখতাম ও পড়তাম। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিক্রিয়া একটি কাগজে লিখে পড়ার টেবিলে রাখতে পারো, যাতে সব সময় চোখে পড়ে। রসায়ন প্রথম পত্রের মোলার ও মোলারিটি, জারণ-বিজারণ, রাসায়নিক সাম্যবস্থা অধ্যায় থেকে অঙ্ক আসে। সূত্র ভালো করে রপ্ত করতে পারলে গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা সহজ হয়। কবীরের রসায়ন প্রথম পত্র এবং হাজারী নাগের দ্বিতীয় পত্র ভালো করে পড়তে হবে। গাণিতিক সমস্যা অল্প সময়ে সমাধানের নানা পদ্ধতি বাতলে দেওয়া হয়েছে 'দি ভার্সিটি টার্গেট' বইয়ে।

পদার্থবিদ্যাঃ
পদার্থবিদ্যায় অধিকাংশই গাণিতিক সমস্যা থাকে। প্রতিটি অধ্যায়ের গাণিতিক সমস্যার উদাহরণ ও বিগত বছরগুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় আসা গাণিতিক সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা, তড়িৎ, চুম্বক, আপেক্ষিক তত্ত্ব, ইলেকট্রনিকস সম্পর্কিত অধ্যায় থেকে গাণিতিক সমস্যা বেশি আসে। অল্প সময়ের মধ্যে অনেক গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে হবে। তাই সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে সমাধানের নিয়ম শিখতে হবে। বাজারের 'দি ভার্সিটি টার্গেট' বইটি গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য সহায়ক।

গণিতঃ
গণিতে ভালো করতে হলে প্রতিটি অধ্যায়ের সূত্র মুখস্থ রাখতে হবে। সূত্র থেকেও অনেক প্রশ্ন হয়। গাণিতিক সমস্যা সমাধানের সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি আয়ত্ত করতে হবে। বেশি গুরুত্ব দিতে হবে সেট, ফাংশন, অমূলদ-মূলদ সংখ্যা, বিন্যাস, সমাবেশ, ত্রিকোণমিতি ও ক্যালকুলাসে।

সাধারণ জ্ঞানঃ
সাধারণ জ্ঞানের নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস নেই। তবে সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির ওপর বিশেষ জোর দিতে হবে।কৃষি বিষয়ক তথ্য,মুক্তিযুদ্ধ, মুদ্রা, বৃহত্তর, ক্ষুদ্রতর, নদ-নদী, হ্রদ, সদর দপ্তর, পুরস্কার, স্থাপনা, সম্মেলন ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন থাকে। নিয়মিত পড়তে হবে পত্রপত্রিকা। মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।

ইংরেজিঃ
ইংরেজিরও নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস নেই। বিগত বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করলে কাজে দেবে। প্রিপজিশন, সিনোনিম, এনটোনিম, গ্রুপ ভার্ব, বাক্য রূপান্তর, বাক্য শুদ্ধকরণ, টেন্স, ভয়েস ইত্যাদি বিষয় থেকে বেশি প্রশ্ন হয়।

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার টেকনিক:
সবচেয়ে ভালো টেকনিক হলো প্রস্তুতি শুরুর আগে নেটওয়ার্ক বই থেকে শটর্কাট নিয়ম পড়ে বিগত বছরের প্রশ্ন দেখে নেওয়া। বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করলে বেশ কাজে দেবে। বিগত বছর থেকে প্রতিবছর ৩০-৪০ শতাংশ প্রশ্ন কমন থাকে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন পাবলিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কৃষি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করলেও কাজে দেবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। মাথায় রাখতে হবে এ বিষয়টিও।

আছে আরো সুযোগঃ
দেশের পাঁচটি সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি পড়ার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে কৃষি পড়ার সুযোগ রয়েছে।
এবার কৃষিতে সমন্বিত এক্সাম হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম