Benign টিউমার থেকে প্রাণঘাতী ক্যান্সারে রুপ নিতে সময় লাগে। শুরুর দিকে টিউমার ধরা পরলে তা সরিয়ে ফেলা যায় এবং সাধারনত তা পুন:রায় হয় না। ইহা ট্যিসুর ভিতরে প্রবেশ করে না এমন কি দেহের অন্য কোন অঙ্গে ছড়ায় না।
ম্যালিগনেন্ট টিউমার Benign টিউমার হতে মারাত্মক। এটি জীবননাশী রোগ। মাঝে মাঝে একে দূরীভূত করা যায় ,তবে পুন:রায় দেখা দিতে পারে।
মলিগন্যান্ট টিউমারের কোষগুলো তাদের কাছের
ট্যিসু এবং অঙ্গে ঢুকে পরতে পারে। ক্যান্সারের সেলগুলো প্রাথমিক টিউমার হতে বের হয়ে ব্লাড স্ট্রীম অথবা লিম্ফয়েড সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে, কোষগুলো অন্য অঙ্গে ঢুকে যেতে পারে, নতুন টি উমার তৈরি করতে পারে যা অঙ্গটিকে ধ্বংস করে দেয়।এভাবে ক্যানসার ছরিয়ে পরাকে মেটাসটেসিস বলে।
বেশিরভাগ ক্যান্সার যেখানে শুরু হয় তার দ্বারা নাম করন করা হয়। যেমন : ফুসফুসের ক্যান্সার শুরু হয় ফুসফুসে, ব্রেস্ট ক্যান্সার শুরু হয় ব্রেস্টে, লিম্ফোয়েড নামক ক্যান্সার শুরু হয় লিম্ফোয়েটিক সিস্টেমে এবং লিউকেমিয়া নামক ক্যান্সার শুরু হয় হোয়াইট ব্লাড সেল হতে।
নিম্নে ক্যান্সারের জন্য দায়ী ফ্যাক্টর গুলো আলোচিত হলো। এর মধ্যে অনেক গুলোই ভালো অভ্যাসের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। কিন্তু পারিবারিক বা বংশগত কারনে যে ক্যান্সার হয় তা থেকে রক্ষা পাওয়া অসম্ভব।
প্যানক্রিয়টিক ক্যান্সারঃ
প্যানক্রিয়টিক ক্যান্সারের জন্য অতিরিক্ত রেড মিট এবং কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহনকে দায়ী করা হয়।
ইসোফেগাল ক্যান্সারঃ
অ্যালকোহল, টোবাক্যো বিশেষ করে যখন দুটো একসাথে ব্যবহৃত হলে এছারা সংরক্ষিত খাদ্য যেমন (আচার), প্রয়োজনের বেশি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করলেও ইসোফেগাল ক্যান্সারের রিস্ক বেরে যায়।
পাকস্থলীর ক্যান্সারঃ
লবনে সংরক্ষিত খাদ্য (শুকনো এবং লবন দ্বারা প্রকৃয়াকৃত মাছ, গ্রিলএবং বারবিকিউ করা খাবার খেলে পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বেরে যায়।
কলোরেক্টাল ক্যান্সারঃ
ফ্যাট ( বিশেষ করে স্যাচুরেটেড ফ্যাট) , রেড মিট এবং অ্যালকোহল ( বিশেষ করে বিয়ার ) গ্রহন করলে
এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
লিভার ক্যান্সারঃ
হেপাটাইটিস বি অথবা সি দ্বারা ইনফেকশন , অ্যাফলাটক্সিনস , অ্যালকোহল এর জন্য দায়ী। এছারা সিরামে আয়রনের পরিমান বেড়েড গেলেও লিভার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেরে যায় ।
ফুসফুসের ক্যান্সারঃ
সিগারেট, অ্যালকোহল , ফ্যাট (স্যাচুরেটেড ফ্যাট ) এবং কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করলে। ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে ।
ব্রেস্ট ক্যান্সারঃ
ওজনাধিক্যের জন্য , সম্ভবত রেড মিট,খাদ্যস্থিত ফ্যাট এবং অ্যালকোহল গ্রহনকে দায়ী করা হয়।
ওভারিয়ান ক্যন্সারঃ
ইহা খাবারের সাথে সম্পর্কিত নয়।জন্ম নিরোধক পিলের সাথে সম্পর্কিত।
স্যারভিক্যাল ক্যান্সারঃ
ফলেটের অভাবে হতে পারে । এবং সিগারেট গ্রহন করলে স্যারভিক্যাল ক্যান্সার হতে পারে।
এন্ডোমেটরিয়াল ক্যান্সারঃ
ওজনাধিক্য ,ইস্ট্রোজেন থেরাপি, উচ্চরক্তচাপ এবং টাইপ ২ ডায়বেটিস কে দায়ী করা হয়।
ব্ল্যাডার ক্যান্সারঃ
সিগারেট গ্রহন , কৃএিম রং এর খাবার গ্রহন করলে ইহা হতে পারে।
নিম্নোক্ত কিছু টিপস ক্যানসারের
risk factor গুলোকে কমাবেঃ
★ওজন কমাতে হবে অথবা স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে হবে। ওজনাধিক্যের কারনে ব্রেস্ট, কোলন ,প্রোস্টেট , এন্ডোমেট্রিয়াম ( ইউট্রেরাসের এর আবরনের উপর),সারভিক্স,ওভারি,কিডনি,গলব্লাডার,লিভার,
প্যানক্রিয়াস, রেক্টাম এবং ইসোফেগাসে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি বাড়ায়। যদিও ওজনাধিক্যের সাথে ক্যান্সারের সম্পর্ক এখনও পরিস্কার না তবে মনে করা হয় হরমনাল পরিবর্তনের ফলে ও এমন হতে পারে।
★হেটারো সাইক্লিক এম্যাইন পরিত্যাগ করতে হবে ।মাংস যখন উচ্চতাপে রান্না করা হয় তখন এই ক্ষতিকর ক্যামিক্যাল উৎপন্ন হয়।যেমন : বারবিকিউ, সসেজ, ফ্রাই, গ্রিল প্রভৃতি উচ্চতাপে করা হয়।
★নাইট্রেটস এবং নাইট্রাস পাওয়া যায় সসেজ, হাম,বেকন প্রভৃতি্তে এগুলো পরিত্যাগ করাই শ্রেয় হবে।
★প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ ধরনের রংয়ের ফল ও সবজি খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। কারণ ফল ও সবজিতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন ,ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ও খাদ্যআঁশ রয়েছে। এসব খাদ্য উপাদান বিভিন্ন কাজ করে শরীরকে কিছু নির্দিষ্ট ক্যানসারের হাত হতে রক্ষা করে।
★হাতের কাছে যে সবজি, ফল, শাকপাতা থাকে, তাই দিয়ে সালাদ তৈরী করুন।সালাদে সবসময় সবুজ শাকপাতা, যেমন: লেটুস , বাঁধাকপি ,ব্রকলি দিতে চেষ্টা করুন, কারণ এই সবুজে আছে Vitamin A, Vitamin C, beta-carotene, calcium, folate,phytonutrients, ফাইবার ইত্যাদি।
★ফাইটোস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ খাবার খান ।সয়াবিন ও সয়াবিন জাত খাদ্য এবং কিছু সবজি ও শস্য ব্রেস্ট,এন্ডোমেট্রিয়াল, প্রোস্টেট ক্যানসারের রিস্ক কমায়। সয়াবিনে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। বিশেষ করে থায়ামিন, নিয়াসিন, ফলিক অ্যাসিড ও রাইবোফ্লেভিন।
★ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করুন। কাঠবাদাম , মিস্টি কুমরার বিচী , প্রভৃতি খেতে হবে। যা ব্রেস্ট ,কোলন এবং রেক্টাল ক্যানসারের সম্ভাবনা হ্রাস করে।
★সপ্তাহে ৫ অথবা তার বেশি দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট মডারেট পরিশ্রমের কাজ করতে হবে। যা ক্যানসারের রিস্ক কমাতে সহায়তা করবে।
★স্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমনঃ
মাখন ;মারজারিন;তেল ;মেয়ানেজ সমৃদ্ধ খাবার বর্জন করতে হবে। ইহার সাথে প্রোস্টেট ও ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কিত। অবশ্য কিছু স্ট্যাডি এই সম্বন্ধ সমর্থন করে না।
★ধুমপানের সাথে ইসোফেগাল ক্যান্সার ,ব্ল্যাডার ক্যান্সার ,স্যারভিক্যাল ক্যান্সার ,ফুসফুসের ক্যান্সার সম্পর্কিত তাই ইহা বর্জন করাই উওম।
★অ্যালকোহল গ্রহন বর্জন করুন । নিজেকে সুস্থ রাখুন
Tags:
স্বাস্থ্য