১৯২০ সালে German নিউরোলজিস্ট Hans Gerhard Creutzfeldt এবং Alfons Maria Jakob কয়েকজন অজানা রোগে আক্রান্ত রোগীর উপর গবেষণা চালিয়ে প্রথম এই রোগের বর্ণনা দেন। Prion নামক ভাইরাস এর চেয়েও অনেক অনেক ক্ষুদ্র একপ্রকার Microorganism এই রোগের জন্য দায়ী।
Prion এর দেহ শুধুমাত্র Protein নির্মিত, কোনো নিউক্লিক এসিড থাকে না এবং এর আচরণ Virus ও Bacteria থেকে ভিন্ন।।।
Prion এর দেহের Protein আমাদের চেনাজানা সাধারণ Protein নয়। এদের protein গুলো অস্বাভাবিকভাবে Fold করা থাকে। Prion মানুষের মস্তিষ্কে ঢুকে এবং সংখ্যায় অনেক বেড়ে যায়। এরা Nerve cell এর Protein গুলোকে অস্বাভাবিকভাবে Fold করে দিতে থাকে। ফলে Nerve Cell কার্যকারিতা হারাতে থাকে। Nerve cell এর এই পরিবর্তন irreversible। Brain হয়ে যায় sponge এর মত।।।
Creutzfeldt–Jakob Disease এর ফলে প্রথম প্রথম মানুষ ছোটখাট জিনিস ভুলতে থাকে। এরপর দেখা যায় নিজের body র ভারসাম্য রাখতে সমস্যা হচ্ছে, কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে তার দৃষ্টিশক্তি লোপ পেতে থাকে এবং অন্ধ হয়ে যেতে পারে।।। এরপর তার চলাফেরায় অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। এসব symptom গুলো দিনের পর দিন আরও খারাপ হতে থাকে এবং একপর্যায়ে রোগী চলাচল করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।।।
এই রোগ এতই ভয়ঙ্কর যে, symptom দেখা দেয়ার ৬ মাসের মধ্যেই বেশিরভাগ রোগী মারা যায় ! আক্রান্ত হলে একবছর এর বেশি প্রায় কেউই বাঁচতে পারে না।।।
যে পরিমাণ তাপমাত্রা, রেডিয়েশন ইত্যাদি দিয়ে সব Bacteria Virus কে হত্যা করা যায়, সেই একই পরিমাণ এর প্রভাবে Prion এর কিছুই হয় না।।। এমনকি কোনোপ্রকারের antiviral বা antibiotic বা অন্য chemotherapy দিয়েও এদের মারা তো দূরের কথা, কোনো প্রকারের ক্ষতিই করা যায় না !!! সুতরাং এই রোগ হলে নিরাময় তো দূরের কথা, control ও করা যায় না, রোগীর মৃত্যু সুনিশ্চিত।।।
তার চেয়েও ভয়ানক ব্যাপার হল, রক্তের মাধ্যমে এই রোগ ছড়াতে পারে। অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ sperm donation নিষিদ্ধ করেছে। রক্তদানের ক্ষেত্রে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত সতকর্তা।
আগে কেবল ৪৫ বছরের উপর বয়সী মানুষের ক্ষেত্রেই এই রোগ দেখা যেত। কিন্তু recently তরুণদের মাঝেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।।।
এখনও এই রোগ অতটা বিস্তৃত নয়। প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে একজন প্রতিবছর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যা প্রতিবছর গড়ে ৩৫০ জন !!!
এই রোগের নিরাময় বা minimum control করারও কোনোকিছু আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। কয়েকটি ওষুধ তৈরি হয়েছিল। তবে সেসব খাওয়ার পরেও রোগী একবছরের মধ্যেই মারা গিয়েছে।।। রক্তের মাধ্যমে (এবং সম্ভবত sperm এর মাধ্যমেও, গবেষণা চলছে), অঙ্গ প্রতিস্থাপন ইত্যাদির মাধ্যমে এই রোগ সংক্রমিত হয় এবং এর বিরুদ্ধে আমাদের minimum কোনো weapon না থাকায় ভবিষ্যতে এই রোগ মহামারী আকার ধারণ করতে যাচ্ছে - এমনটাই আশঙ্কা করছেন Microbiologist রা।।।
Ahmad Salman Sirajee