দ্য ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন এক্সপেরিমেন্ট



মৃত ব্যক্তির শরীরে বিদ্যুতের শক দিলে কী হয়?
তা দেখার জন্য পরীক্ষা হয়েছে বহু বার।
তবে ভয়ঙ্করতমটি সম্ভবত ঘটেছিল ১৮০৩ সালে। এক বিশাল প্রেক্ষাগৃহে একটি মৃতদেহের শরীরে ১২০ ভোল্টের বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়।
শক দেওয়ার ফলে মৃতদেহ বিকৃত হয়ে স্টেজে সোজা হয়ে কাঁপতে থাকে। ভয়ে জ্ঞান হারান একাধিক দর্শক"
এটা একটি গল্প থেকে শুরু মাত্র!!
এই গল্পটা "Mary Shelley" স্বপ্নে দেখেছিল।আর তা লিখে তখন বিখ্যাত হয়ে গেছিল!!

এই ঘটনা শুনে একটি কাহিনী মনে পরল:-
ধরুন, আপনি মর্গে আছেন। ডোমরা মর্গের অনেক অদ্ভুত কাহিনী দেখে অভ্যাস্ত।বাট আপনি নতুন। একদিন বা রাতে মর্গে গিয়ে দেখলেন,লাশ কেবিনে উপরে উঠে বসে আছে,চোখ খোলা অবস্থায়!!
তখন আপনার মনে হবে,
এ কেমন কান্ড...!!
ভয় পাবেন না প্লিজ..!!

এটার পেছনের বৈজ্ঞানিক কারনটা অন্তত জেনে যানঃ

সাধারনত আমাদের শরীরে যখন কোন
কিছু দ্বারা আঘাত বা অভ্যন্তরীন কোন কিছু(ব্যাক্টেরিয়া,ভাইরাস) দ্বারা আক্রান্ত হয়,তখন সেনসরি(সংজ্ঞাবহ) স্নায়ু , মস্তিষ্কে তরিৎ সিগনালের মাধ্যমে সেই তথ্য নিয়ে আসে,আবার মস্তিষ্কও সেই অনুযায়ী মোটর স্নায়ুর মাধ্যমে তরিৎ সিগনাল পেরন করে।
এভাবে আমাদের বাহ্যিক অঙ্গ বা অভ্যন্তরীন প্রতিরক্ষা স্তর উদ্দীপিত হয় বা প্রদক্ষেপ গ্রহন করে।যেমন একটি মশায় কামড় দিলে,কতো জোরে থাপ্পর দিতে হবে,তা সিগনালের মাধ্যমেই হয়। যাদের মিরকি ব্যারাম বা এপিলেপসি আছে,তাদের অজ্ঞান হওয়ার কিছু পূর্বে মস্তিষ্ক তার এই সিগনালের সংযোজন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।ফলে সে ঐ সময়কার কোন ঘটনাই মনে রাখতে পারে না!!
এখন,যদি মানুষটি মরে যায়, মস্তিষ্ক মারারা যাওয়া বা অকেজো হয়ে যাওয়াকেই মানুষ মরে গেছে বলা হয়। যদি মরে যায়,তখন মস্তিষ্কের সব মোটর সিগনাল বডি সম্পন্ন নাও করে থাকতে পারে।ফলে সিগনালটি সুপ্তাবস্তায় থেকে যায়! যেহেতু মস্তিষ্ক মরার পরেও বডির অন্যান্য পার্টস তখনও জীবিত থাকে,সেহেতু সিগনাল কিছু সময় পরে হলেও, সেই মোটর সিগনালের প্রতি বডি সারা দেয়। ফলে মৃত লাশ হঠাৎ, বসে যেতে পারে,বেড থেকে পরে যেতে পারে,দাড়িয়ে যেতে পারে,কথাও(শব্দ উচ্চারিত) বলতে পারে,মুখ নারাতেও পারে,চোখও খোলতে বা বন্ধ করতে পারে...!!
এসব ঘটনা সাধারন মানুষ অলৌকিক মনে করবে,বাট আমরা যারা বিজ্ঞান জানি,ভয় না পেয়ে এসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করবো না।আগে এর কারন খোঁজবো...!!

শ্রাবন খান

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম