(এক)
আচ্ছা আমি কি অপদার্থ ? প্রশ্নটা নিজেকে সবসময়ই করি এমন না ব্যাপারটা। তবে মাঝে মাঝে কথাটা মাথায় আসে । পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় যদিও বলতে পারি, না অপদার্থ নই আমি। কারণ আমার আকার আকৃতি আছে, অনেকখানি জায়গা দখল ও করি বটে। সেই হিসাবে এটুকু বলা যায় আমি পদার্থ। তবে সমস্যা হচ্ছে এই সংঙ্গা অনুসারে কোন মানুষকে অপদার্থ বলা যায় না। যদি কাউকে অপদার্থ না বলা যায় তাহলে অপদার্থের ক্ষেত্রে কি সংঙ্গা দেওয়া যায়? নতুন কোন সংঙ্গা? হয়তোবা।
বিছানায় শুয়ে শুয়ে সিগারেট একমনে টানছি। সিগারেট নতুন ধরিনি এমন নয় ব্যাপারটা কারণ বছর আড়াই ধরে এ অভ্যাসের সাথে জড়িয়ে রয়েছি। তবে বিছানায় শুয়ে নিজের রুমে সিগারেট টানা বেশ সাহসিকতার কাজ এটা নিজের কাছেই মনে হয়। পরিবারের সাথে থাকি। রুমে সিগারেট টানা বেশ সাহসিকতার কাজ এখানে। কারণ ধরা পরলে বেশ কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে এটা আমার থেকে অন্য কেউ ভালো বুঝতে পারবে কি না এটা নিয়েও সন্দেহ আছে। যদিও আমার এ কু - অভ্যাসের সাথে পরিবারের লোকেদের অজানা নয়। তারপরও রুমে সিগারেট টানা বেশ অন্যায়ের পর্যায়ে বটে।
বাম হাতটা সামন্য একটু বাঁকিয়ে সিগারেট ছাই টা পাশে রাখা খবরের কাগজের উপরে ফেললাম। বহু দিনের পুরানো কাগজ। সিগারেটের পোড়া কয়েক জায়গায় লেগেছে এটা যে কেউ দেখলেই বুঝতে পারবে। তবে সেটা নিয়ে কোন মাথাব্যাথা এ মূহুর্তে আমার মধ্যে সম্ভবত নেই। নাহলে এ কাজ করতে পারিনা। কয়েকটান দিয়ে সিগারেট শেষ করলাম। এখন হাতে বেশ কিছু কাজ আছে যদিও রাত বারোটা চুয়াল্লিশ বাজছে ঘড়িতে। প্রথম কাজ হচ্ছে সিগারেটের ছাইগুলো পরিষ্কার করে রুমে এয়ারফ্রেশনার মেরে নেওয়া। যদিও এই সিগারেটে কোন ধরনের গন্ধ নেই। শুধু কিছু অভ্যাসমত যেন বাড়তি সতর্কতা পালন করা।
বিছানায় শুয়ে পরার পরমূহুর্তে যেটা প্রথমে মাথায় এসেছে সেটা হচ্ছে মেইলটা চেক করার কথা। গত কয়েকদিন মেইল নেই একটাও। খুব শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কোন কাজ হাতে না থাকলে যেটা হয় আরকি। ঘুম নেই তেমন একটা চোখে তবে অভ্যাসমত একটা মেকি হাই তুলে ল্যাপটপটা কাছে টেনে নিলাম। অল্পসংখ্যক ক্লিক করে নিজের নেটওয়ার্কের প্রাইভেসি নিশ্চিত করে মেইল চেক করলাম। হুম আধাঘন্টা আগে একটা মেইল এসেছে দেখা যাচ্ছে। অভ্যাসমত মেইলকারীর আইডি একবার দেখে নিলাম যদিও এটা অপ্রয়োজনীয়। কারণ সত্যিকারের অর্থে এই মেইল এড্রেসের থেকে কখনো এই মেইলটি আসেনি। এই মেইলের বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই।
মেইলের সারমর্ম পড়ে হয়তো ইন্দ্রিয় গুলো সজাক হয়ে গিয়েছে। নতুন কাজ, নতুন উত্তেজনা। মাঝে মাঝে মনে হয় প্রতিটি কাজের উত্তেজনা অন্যটির থেকে ভিন্ন। যদিও কাজের খুব একটা পার্থক্য কখনো দেখতে পাইনি এখন পর্যন্ত। সব কাজের ধরন একই রকম। নির্দিষ্ট কিছু টার্গেট পূরণ ,কাজ যখন শেষ তখন সব ভুলে গিয়ে অন্য কাজের জন্য অপেক্ষা করা। তবে এবারেরটি হয়তো কিছুটা ভিন্নধর্মী। সাধারণ কোন মানুষের উপর আক্রমণ করতে হবে না। ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের মানুষ। যথেষ্ট সর্তক লোক হওয়ার কথা। নাহলে আমাকে ঠিক করার দরকার পরতো না।
হুম ঠিকই ধরেছেন আপনি। আমি সাদামাটা কোন মানুষ না যে নয়টা পাঁচটা চাকরি করে বাসায় ফিরবে আর রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে অন্য একদিনের জন্য অপেক্ষা করবে। সোজা বাংলায় বলা যায় পেশাদার খুনী আমি। তবে খুনি শব্দটা শুনতে যতটা খারাপ বা ভয়ঙ্কর লাগছে বাস্তবতা সেরকম না। বেশ বড়সর একটা ইন্সুরেন্স কম্পানির চাকুরী , সাথে মোটামুটি বেশ ভালোই বেতন পাই যেটা মোটামুটি সবাই ভালোভাবে জানে। পরিবারের এক মাত্র টেনসন হচ্ছে তারাতারি কোন বিয়ে দিয়ে দেওয়া। ঘর সংসারী হয়ে আমার বেঁচে থাকা। পরিবার নিয়ে আমি যে অসন্তুষ্ট এ কথা বলবো না। বলা যায় এর থেকে ভালো কোন পরিবার হয়তো আপনি কোথায় দেখেননি। বাবা সরকারী চাকুরীজীবি মা গৃহিণী। বড় ভাই দেশের বাহিরে থাকে আর ছোট বোন নিপা অনার্স করছে।
নিশ্চিত ভাবছেন এ রকম পরিবারের একজন ছেলে কিভাবে বা কেন নিজেকে পেশাদার খুনি হিসাবে গড়ে তুলেছে ! হয়তো প্রথমেই যে চিন্তাধারা আসবে সেটা হচ্ছে এডভেঞ্চার। তবে নিশ্চিত থাকুন আমার কাজে কোন কিছু এরকমের না। মোটামুটি বলা যায় একঘেয়ে একটা কাজ। এ পেশায় নিজে বুঝেশুনে এসেছি। আমার হিসাবে এসব কাজ শিক্ষিত মানুষের এগিয়ে আসা উচিত। ফালতু কিছু অল্প বেতনে চাকুরী না করে এ লাইনে ক্যারিয়ার গড়ে তুললে অনেক বড় হওয়া সম্ভব। আমি বুঝেশুনে এসেছি কোন এডভেঞ্চারের জন্য না। তাছাড়া এমন না যে ভয়ঙ্কর কিছু অস্ত্র নিয়ে শত্রুর উপরে ঝাপিয়ে পরি। আমার কাজ হয় সম্পূর্ণ নিঃশব্দে। কখন কিভাবে কাজ হবে এটা কেউ ঠিকমতো ধারনা করে না। এই যে সপ্তাহ খানেক আগে একজন ব্যবসায়ী কে উপরে যাওয়ার টিকিট কেটে দিয়েছি। লোকটা কিছু বুঝতেই পারেনি। কয়েকদিনের পাওয়া তথ্য থেকে বের করছি কোথায় কোথায় কিভাবে সময় কাটায়। এরপর একটা সুন্দর সন্ধ্যা বাছাই করে দাড়িয়ে ছিলাম তার বাসায় যাওয়ার রাস্তায়।
লোকটার পাশে যখন হাটছিলাম তখনও সে কিছু বুঝতে পারেনি। সাধারণ একজন মানুষের মত তারপাশে দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। এমন সময় চার ইঞ্চি ফলা বিশিষ্ট ছুরিটা কন্ঠনালী বরাবর বসিয়ে দিয়ে হেটে চলে এসেছি। কিছুক্ষণের মধ্যে তার ভবলীলা সাঙ্গ। তার আগের খুনটা আরো সহজ ছিলো। এক কন্টাক্টের এক্সিডেন্ট কেস সুন্দর করে সাজিয়ে দেওয়া আরকি। লোকটা তার কন্সট্রাকশন সাইটে বসে ছিলো একা। কাছে গিয়ে শুধু একটা ধাক্কা দিয়েছি। সেখানে থেকে পরে গিয়েছে পাশের খাদে। একগাদা লোহার জিনিসপত্র আর রডের মাঝে গেথে গিয়ে ভয়ানক অবস্থা তখন।
যদিও কতটা ভয়ঙ্কর সেটা নিজের চোখে দেখিনি। ভালো লাগে না রক্তারক্তি দেখতে। তাছাড়া দেখেও কোন লাভ হবে বলে আমার কখনো মনে হয়নি। আমার যে কাজটা করার দরকার সেটা করলেই হয়। রক্তারক্তি দেখা লাগবে এমন তো কোন কথা নেই। হাতে মোবাইলটা তুলে নিয়ে আবার রেখে দিলাম। আপাতত কিছু না করলেও চলবে। সপ্তাহ খানেক সময় বেধে দিয়েছে। এরমধ্যে যখন যেভাবে করি এটা আমার ব্যাপার।
(দুই)
হাসপাতালে বসে রয়েছি রুগী দেখার জন্য। আমার টার্গেট আমিনুল রহমান বিছানায় শুয়ে রয়েছেন। ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের একজন কর্মঠ লোক। যদিও এখন সেটা গুরুত্বপূর্ণ না । সকালে এক পিকআপ আমিনুল রহমানের বাইকে এসে লাগিয়ে দেয়। ঘটনাটা এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যেন পুরো ব্যাপারটা দূর্ঘটনা মাত্র। মোটামুটি বেশ ভালো আহত হয় সে। তবে স্বাভাবিক ভাবে নিয়ে নেন তিনি ব্যাপারটা। কয়েক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে তাকে। আমার প্লানের প্রথম অংশ তাকে আহত করা শেষ হয়েছে। তারপর আমি তাকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। অবশ্য সেটা গত কালকের কথা। আজকে তার অবস্থা বেশ ভালো। সপ্তাহখানেকের মধ্যে ফিরে যাবে সে আবার তার কর্মক্ষেত্রে। তবে সে যাতে তার কর্মক্ষেত্রে না যেতে পারে সেটাই তো আমার কাজ তাই না ?
পকেটে হাত দিয়ে সিরিঞ্জের অস্তিত্ব একবার চেক করে নিলাম। কাজটা সহজ তবে চারদিকে লক্ষ রাখতে হচ্ছে।আমিনুল রহমানের পরিবারের লোক আপাতত কাছে নেই তবে যে কোন সময় চলে আসতে পারে। আমিনুল রহমানের কেবিনে ধীরে প্রবেশ করলাম। একা সে কেবিনে। এসির বাতাসে যথেষ্ট আর্দ্রতা শরীরে ঠান্ডা কামড় বসানোর মত । পকেট থেকে সিরিঞ্জটা বের করে হাতে নিলাম। ভিতরে বাতাস ভরে নিয়ে আস্তে আস্তে পুশ করতে শুরু করলাম আমিনুল রহমানের ভেইন এ । নিঃশব্দে নিখুঁত খুন। কেউ কখনো বুঝতে পারবেও না কেন মারা গেল লোকটা। খুনের কথা কল্পনাই করতে পারবে না কখনো।
কাজ শেষ করে নিজের বেশভূষা দ্রুত পরিবর্তন করে বের হয়ে পরলাম। কোন সমস্যা ছাড়াই হাসপাতাল থেকে বের হয়ে এসেছি। এমন সময় চোখে বাধলো আমিনুল সাহেবের বড় মেয়ে তিথি হাসপাতালে যাচ্ছে। ওদের পরিবারের লোকদের সাথেও হালকা পরিচয় হয়েছিলো আমার। রাস্তার এক পাশে সরে দাড়িয়ে দেখছি মেয়েটিকে। বেশ সুন্দরী, লম্বা হাসিখুশি একটা মেয়ে। কিছুক্ষণ পরে যখন জানবে তার বাবা মারা গিয়েছে তখন কি অবস্থা হবে মেয়েটির ভেবে বেশ খারাপ লাগছে। কতদিন কাঁদবে মেয়েটা তার বাবার কথা ভেবে ? তবে আশাকরি মেয়েটা সামলে নিতে পারবে । এক পলক তিথিকে দেখে উল্টো পথে হাটতে শুরু করলাম । কোন কাজ নেই এখানে আমার। নতুন কাজের জন্য আবার অপেক্ষা প্রহর আবার শুরু।
(তিন)
সবকিছু ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করি আমি কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর। কোন ধরনের প্রমাণ রাখিনা খুনের। তাছাড়া এগুলো যে খুন এটা মাঝে মাঝে ক্লায়েন্টরা বিশ্বাস করতে চায় না। তবে আমার রেপুটেশন দেখে বাধ্য হয় বিশ্বাস করতে। অন্ধকার জগতের অন্ধকার এক নক্ষত্র আমি । আমার অস্তিত্ব সম্পর্কে না জানলেও , কাজের মান সম্পর্ক অজানা থাকা এত সহজ না । তবে পুরাতন স্মৃতি এভাবে আবার ফিরে আসবে ভাবতে পারিনি। পরিবারের চাপাচাপিতে মেয়ে দেখতে এসেছি বিয়ের জন্য । যদিও এবার প্রথম না তবে এবারের বিস্ময়ের ধাক্কা যেন সামলাতে কষ্ট হচ্ছে। সামনে বসে থাকা মেয়েটি অন্যকেউ না, আমিনুল রহমানের মেয়ে তিথি । বিস্ময়ের ধাক্কাটা তিথির চোখে পরার আগেই সামলিয়ে নিলাম।
তাকে মনে থাকাটা হয়তো স্বাভাবিক হবে না । দেড় বছর আগে তাকে শেষ দেখেছিলাম । সেটা মনে থাকা কোনভাবেই স্বাভাবিক হবে না । তিথির চোখের দিকে তাকিয়ে রয়েছি আমি। কোন অনুভূতি নেই তার চোখে । শেষবার জেনেছিলাম এক ছেলের সাথে ওর বিয়ে ঠিক। তার বাবা বলেছিলো যেটুকু তাতে বুঝতে পারছিলাম যথেষ্ট ভালো হবে সেটা । কিছুদিন পরে বিয়ে হবে। তাহলে বিয়েটা কেন হলোনা ! ওর বাবার মৃত্যু নিশ্চয়ই এতটা সমস্যা হওয়ার কারণ না। নিজেকে কোন অজ্ঞাত কারণে না দোষারোপ করে পারছি না। কোনমতে এখানে থেকে বের হয়ে আসার পায়তারা করেছি। মা যখন বললো চলো উঠি তখন যেন প্রান ফিরে আসলো । বের হয়ে যাচ্ছি এমন সময় কারো কন্ঠস্বর শুনতে পেলাম। ঘুরে তাকাতেই দেখলাম তিথি দাড়িয়ে রয়েছে,
- আপনি কি আমাকে চিনতে পারছেন ?
- বুঝতে পারলাম না ঠিক কি বলছেন।
- আপনি আব্বুর এক্সিডেন্টের সময় সাহায্য করেছিলেন। আপনার সাথে কখনো দেখা হয়নি। আব্বু খুব আক্ষেপ করে বলেছিলো আপনাকে ঠিকমতো ধন্যবাদ দেওয়া হয়নি। তাই এখন দিচ্ছি, ধন্যবাদ।
- ও আচ্ছা , কোনমতে শুধু বললাম আমি। ভিতরে এক আতঙ্ক অনুভব করছি। যদিও কারনটা খুঁজে পাচ্ছিনা। এখন কি বলা উচিত ঠিক তাকে? বলতে পারিনা তো তার আব্বু কেমন আছে? কারণ আমার পরিবার জানেই তার বাবা নেই। সুতরাং আমার জানাটাও স্বাভাবিক। কি বলবো বুঝতে পারছি না এ মূহুর্তে ছোটবোন নিপা এসে যেন আমাকে বাঁচালো।
- কি ভাইয়া কি চলছে এখানে? হালকা ধাক্কা দিয়ে বললো ও। মন চাচ্ছে থাপ্পড় লাগিয়ে দেই। বড়ভাইয়ের সাথে এভাবে কথা বলে নাকি! তবে কিছু বললাম না তাকে। কোনমতে তিথির কাছে থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম। গাড়িতে উঠেই যেন শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়ে আসলো। বারবার মনে হচ্ছিলো তিথি বলে উঠবে আমি আপনাকে চিনতে পেরেছি আপনি আমার বাবাকে খুন করেছেন। আপনাকে অনেকদিন ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছি শাস্তি দেওয়ার জন্য। ধীরে ধীরে বুকে আটকে রাখা বাতাসগুলো ছেড়ে দিচ্ছি। এমন সময় মা কথা বলে উঠলো,
- মেয়েটিকে কেমন দেখলি?
- ভালো, কিছুটা থতমত খেয়ে উত্তর দিলাম আমি।
- তাহলে এবার বিয়েটা সেরে ফেল তুই। মেয়েটাকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে। কি মিষ্টি চেহারা! মা হাসিমুখে বলছে কথাগুলো। বোঝা যাচ্ছে মেয়েটাকে তার খুবই পছন্দ হয়েছে। সাধারণত সে কখনো এভাবে বলে না। কিন্তুু কিভাবে সম্ভব ? কিন্তু এ মেয়ের বাবা কে আমি খুন করেছি। তার মেয়েকে আমি বিয়ে করি কিভাবে! নিজের কাছেই বাধছে ব্যাপারটা। কিন্তুু কিভাবে না করতে পারি? চটজলদি কোন কিছু মাথায় আসছে না এটা বাদ দেওয়ার জন্য। কেন যেন মনে হচ্ছে এ মেয়ের সাথে আমার বিয়ে হয়ে যাবে। স্থির দৃষ্টি তে মায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। ভালো করে কেউ যদি চোখের মনিতে তাকাতো তাহলে হয়তো সেখানে একরাশ আতঙ্ক দেখতো।
(চলবে)
মাশুক খান
Tags:
Thriller